গল্প—গোল্ডফিশ
329
বার পঠিতরাত ১.২০।
সারাদিন জেগে থাকা ঢাকা শহরটাও এসময়ে ঘুমিয়ে পড়ে। সবাই নিজ নিজ ঘরে ফিরে শুরু করে নিদ্রাদেবীর আরাধনা। তবুও এ সময়ে জেগে থাকে কিছু মানুষ।
এ গল্পের প্রধান চরিত্র রশিদ মিয়া সেরকম একজন।
রশিদ মিয়া ঢাকার গুলশান এলাকার একটি এটিএম বুথের সিকিউরিটি গার্ড। তাঁর পাহারা দেওয়ার সময় রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা। গুলশানের মতো এলাকায় রাত ১২টা-১২.৩০টা পর্যন্ত কোন সমস্যা হয় না। কিন্তু এর পরে এই এলাকা একদম নিস্তব্ধ হয়ে যায়। এই সময়ে একা বসে বসে পাহারা দেওয়া বড় কঠিন কাজ। এই সময়ে একাকীত্ব ঘিরে ধরে। রশিদ মিয়ার অবশ্য সেরকম কোন সমস্যা নেই। একা থাকতেই তাঁর বরং ভালো লাগে। জীবনের প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি যোগ বিয়োগ করে হিসেব মেলাতে ইচ্ছে করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অবশ্য হিসেব মেলে না।
রশিদ মিয়ার মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটাকে “শূন্য” দিয়ে গুণ করা গেলে মন্দ হত না। স্কুলে থাকতে মধুসূদন স্যার একবার বলেছিলেন, সব কিছুর শুরু শূন্য থেকে। আচ্ছা, মধুসূদন স্যার কি এখনও বেঁচে আছেন? সেই যে যুদ্ধের সময় দেখা হল তারপরে আর কখনও দেখা হয়নি। অমন একটা জাঁদরেল মানুষ বাড়ি ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়ার সময় কেমন ভেউ ভেউ করে কাঁদতেছিলেন।
আহারে, বড় মায়া লাগতেছিলো দেইখা।
১৯৭১ সালে রশিদ মিয়া পড়তো ক্লাস এইটে। কত সুন্দর সময় ছিল। আব্বা, আম্মা আর ছোট বোনটাকে নিয়ে সুখের সংসার ছিল। তারপরেই শ্যাখ সাব স্বাধীনতার ডাক দিলেন। দেশে যুদ্ধ শুরু হইলো। সংসারটা ছারখার হইয়া গেলো। acne doxycycline dosage
ফোঁস করে একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে রশিদ মিয়া। মধুসূদন স্যারের মেয়ে অদিতিকে সে খুবই পছন্দ করতো। অদিতিকে না পাওয়ার শোকে সে আর বিয়েই করেনি। “আইচ্ছা, অদিতি কেমুন আছে? ভালা আছে তো? দ্যাখতে কেমুন হইছে অহন? আগের মতোনই আছে নাকি চুলে পাক ধরছে?”
নিজেই মনেই গুনগুন করে ওঠে রশিদ মিয়া। “দাম দিয়া কিনেছি বাংলা, কারো দানে পাওয়া নয়” সত্যিই তো। দাম দিয়েই তো কিনতে হইছে। তাঁর বাপ, মা, আদরের ছোট বোন, ছোটবেলার প্রেম কতকিছুই না দিতে হইছে এই “স্বাধীন বাংলা” কেনার জন্য। তাঁর মতো আরও কত রশিদ মিয়ার দামে কেনা এই বাংলা।
যুদ্ধ কইরা কি পাইলাম না পাইলাম এই নিয়ে রশিদ মিয়া’র মধ্যে কখনো আফসোস জাগে না।
মুক্তিযোদ্ধারা কখনো আফসোস করে না।
২.
রাত ১.৩০। puedo quedar embarazada despues de un aborto con cytotec
গাড়ি চালিয়ে বাসায় ফিরছেন নাজমুল সাহেব।
প্রচণ্ড ধকল গেছে আজ শরীরের উপর দিয়ে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার এই এক সমস্যা। বেতন ভালো দেবে সাথে গাধার মতো খাটিয়েও নেবে।
নাজমুল সাহেব একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির হেড অব মার্কেটিং। এই পদের কারণে তার দায়িত্বের পাল্লাটাও বেশ ভারী। এমনিতে তার অফিস ছুটি হয় সন্ধ্যা ৬টায়। অন্যান্য এমপ্লয়িরা তখনই বের হয়ে যায়। তার বের হতে হতে রাত ৯-১০টা বাজে। কিন্তু আজ অনেক দেরি হয়ে গেছে।
দেশের বাইরে থেকে ক্লায়েন্ট এসেছে কয়েকটা চুক্তির ব্যাপারে। সারাদিন তাদের সাথে মিটিং হল। মিটিং শেষ হল রাত ৯ টায়। মিটিং শেষে ক্লায়েন্টদের সাথে ডিনার করে তাদেরকে হোটেলে পৌঁছে দিয়ে এখন বাসায় ফিরছেন নাজমুল আহসান। will metformin help me lose weight fast
মোবাইলে রিং হচ্ছে। গাড়ি চালানো অবস্থায় নাজমুল সাহেব সাধারণত ফোন রিসিভ করেন না। কিন্তু আজ করলেন। এতো রাত করে তিনি বাইরে কখনও থাকেন না। নিতুর টেনশন হওয়াটা স্বাভাবিক।
ফোন ধরলেন নাজমুল সাহেব।
“হ্যালো।”
“কোথায় তুমি?”
“এইতো কাছাকাছি চলে এসেছি।”
“এতো দেরি যে?”
“কি করবো বলো? বাইরে থেকে ক্লায়েন্টরা এসেছে। সবকিছু শেষ করে আসতে দেরি হয়ে গেলো।” zovirax vs. valtrex vs. famvir
“ও আচ্ছা। আচ্ছা শোনো, আজ ৭ তারিখ হয়ে গেলো। বাড়িওয়ালা আজ একবার কেয়ারটেকারকে পাঠিয়েছিলো।”
“ওহ-হো।এই সপ্তাহে এতো ব্যস্ততা যাচ্ছে যে ভুলেই গেছিলাম। শিট। আচ্ছা আমি দেখছি কি করা যায়।”
“আচ্ছা, ঠিক আছে। তাড়াতাড়ি আসো।”
নাজমুল সাহেব চিন্তা করছেন। আজ সাত তারিখ। বাসাভাড়া দেওয়ার কথা ৫ তারিখের মধ্যে। কাল বাড়িভাড়া নিতু’র হাতে দিয়ে যেতে হবে। নাহলে খুব লজ্জার ব্যাপার হয়ে যাবে। কিন্তু এতো রাতে টাকা তোলাটা কি ঠিক হবে? কাল সকালে তো সময়ও পাওয়া যাবে না।
নাহ,ভালো ঝামেলা হয়ে গেলো তো।
নাজমুল সাহেব “ঘ্যাঁচ” শব্দ করে গাড়িটা ব্রেক করলেন। গাড়ি থামলো একটা এটিএম বুথের সামনে।
৩.
রাত ১.২৭।
তারা ৩ জন লিঙ্ক রোড থেকে হেঁটে গুলশান ১ এর দিকে আসছে। তাদের মনমেজাজ ভয়ঙ্কর রকমের খারাপ।
মেজাজ খারাপের কারণ হল আজ কোন “পার্টি”কে ধরা যায় নাই। তাই “মাল”ও পাওয়া যায় নাই।
এই ৩ জন হচ্ছে ছিনতাইকারী দলের সদস্য। আজ তাদের ইনকামের খাতায় শূন্য।
তারা প্রায় গুলশান চত্বরে পৌঁছিয়ে গেছে। এমন সময়ে নাজমুল সাহেব গাড়িটা এটিএম বুথের সামনে থামালেন।
নাজমুল সাহেবের বুথে ঢোকার দৃশ্য তারা কিছুটা দূর থেকে দেখলো।
কাছে গিয়ে তারা গাড়ির ভিতরে উঁকি দিলো।
কেউ নেই।
৩ জনের মধ্যে যে নেতা, তার নাম আসগর।
সে ফিসফিস করে বাকি ২ জনকে বললো, “ঘটনাডা বুঝছোস? গাড়ির ডেরাইভার গেছে টাকা তুলতে।“
“হ, বুঝছি।” আরেক ছিনতাইকারী মাসুমের কণ্ঠে চাপা উল্লাস।
“টেনশনের কিছু নাই। ডেরাইভার একা। বুথের ভিতরে গার্ড আছে। হ্যারে নিয়েও টেনশনের কাজ নাই।”
“তাইলে চল যাই।”
“একটু পরে। ডেরাইভার ব্যাডা টাকাডা তুইল্লা লোক। শুন, প্ল্যান খুব সিম্পল। মাসুম, তুই গার্ডরে আটকাবি। আমি আর জয়নাল ঐ ব্যাডারে দেখমু। তয় কোনরকম খুনাখুনি না। ভয় দেখায়া কাম সারতে হইবো। ঠিকাছে?” levitra 20mg nebenwirkungen
মাসুম খিক খিক করে হেসে বলল, “আমাগো জিনিসপাতি দেখলেই ওগো প্যান্ট ভিজা যাইবো।”
“আইচ্ছা চল এখন। সময় হইছে।”
৪.
ঘুম ঘুম লাগছিলো রশিদ মিয়ার। বুথের দরজা খুলে যাওয়াতে ঘুম ঘুম ভাবটা ছুটে গেলো।
এক ভদ্রলোক বুথে ঢুকছেন।
নাজমুল সাহেব, রশিদ মিয়াকে জিজ্ঞেস করলেন, “টাকা আছে তো?” achat viagra cialis france
“জ্বি, স্যার।”
নাজমুল সাহেব তার ক্রেডিট কার্ড পাঞ্চ করে বিশ হাজার টাকা তুললেন।
টাকাটা তিনি নিজের পকেটে মাত্র রেখেছেন। এই সময় ঘটনা ঘটলো।
জোর এক ঝটকায় বুথের দরজা খুলে গেলো। ভিতরে এসে ঢুকলো আসগর, জয়নাল আর মাসুম। তিনজনেরই মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা। accutane prices
আসগরের হাতে একটা জং ধরা পিস্তল। মাসুম আর জয়নালের হাতে ছুরি।
মাসুম তার হাতের ছুরি চেপে ধরলো রশিদ মিয়া’র গলায়।
“একদম চুপ থাক খানকীর পোলা। বেশি তেড়িবেড়ি করলে গলা ফাঁক কইরা দিমু।”
“কি, স্যার? ভালো আছেন? টাকা পয়সা তুললেন মনে লয়?”
নাজমুল সাহেব ভয়ার্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন আসগর আর জয়নালের দিকে। কিন্তু যতটা ভয় তিনি পেয়েছেন তার চেয়ে বেশি বোধ করছেন বিস্ময়। এখন সরাসরি বুথের মধ্যে ছিনতাই হচ্ছে!
ঘটনার আকস্মিকতায় রশিদ মিয়া হতবিহ্বল হয়ে গিয়েছিলো। এখন সে তাঁর বিহ্বলতা কাটিয়ে উঠেছে।
রাগ হচ্ছে তাঁর। ভয়ঙ্কর রাগ। এই রাগের কোন সীমা পরিসীমা নেই।
“ওস্তাদ, তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করেন।” আসগরকে বললো মাসুম।
মাসুম কথা শেষ করতে পারেনি, রশিদ মিয়ার এক ঘুষিতে সে ছিটকে পড়লো। cialis new c 100
“তোগো চাইতেও ছোট বয়সে আমি মুক্তিযুদ্ধ করছি, খানসেনা মারছি। তোরা আমার গলায় ছুরি ধরোস? আমি তোগোরে ডরামু?”
রশিদ মিয়ার চোখ জ্বলছে। সে এখন দুজন ছিনতাইকারীকে দেখছে না। সে দেখছে দুজন পাকসেনাকে।
আসগর আর জয়নাল দুজনেই বিস্মিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রশিদ মিয়ার দিকে। “হইতেছেটা কি? কি করতেছে এই বুড়া হাবড়া?”
দুজনের মধ্যে জয়নাল আগে সম্বিত ফিরে পেলো। সে ছুরি হাতে এগোলো রশিদ মিয়ার দিকে।
জয়নাল কাছে আসা পর্যন্ত রশিদ মিয়া অপেক্ষা করলো। কাছে আসতেই ছুরি ধরা হাতে মোচড় দিয়ে ছুরিটা কেড়ে নিয়ে জয়নালের পেটে ঢুকিয়ে দিলো।
আসগর ততক্ষণে তার জং ধরা পিস্তল তুলে ধরেছে রশিদ মিয়ার দিকে। সে ট্রিগার টেনে ধরলো।
গুলি আঘাত করলো রশিদ মিয়ার কলার বোনের নিচে।
রশিদ মিয়া নিচে পড়ে গেছে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে মেঝে।
এমন সময় নাজমুল সাহেব একটা বিশাল সাহসের কাজ করলেন। গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে তিনি আঘাত করলেন আসগরের মুখে।
মুখের মধ্যে চারটা ভাঙ্গা দাঁত নিয়ে আসগর অজ্ঞান হওয়ার আগে আসগরের চিন্তা ছিল, “খেল খতম।”
পরিশিষ্টঃ
আহ!
দার্জিলিঙের চায়ে শেষ চুমুক দিয়ে কাপটা নামিয়ে রাখলেন তালেব আলী। টিভিতে মুক্তিযোদ্ধা রশিদ মিয়াকে গার্ড অব অনার দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। renal scan mag3 with lasix
“এটা আমাদের জন্য ভীষণ লজ্জার, দেশের সূর্যসন্তানদের একজন মৃত্যুর আগমুহূর্ত পর্যন্ত এটিএম বুথের একজন সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে চাকরি করতেন।
এ ব্যাপারে আপনার অনুভূতি কি তা যদি আমাদেরকে জানাতে চান তাহলে আমাদেরকে মেসেজ করে জানাতে পারেন। আমাদেরকে মেসেজ করতে হলে মোবাইলের মেসেজ অপশনে যান……………” about cialis tablets
“রশিদ মানে? ঐ হারামিটা? শালা। ৭১ এর গণ্ডগোলে হাড়মাংস জ্বালায়ে খাইছিলো। শুয়োরটা মরেছে তাহলে।” side effects of quitting prednisone cold turkey
রশিদ মিয়ার কথায় অদিতি’র কথা মনে পড়ে তার। “উফ!! মালাউন মাগীটা বড় খাসা ছিল। কি ডবকা শরীর ছিল রে বাবা। শরীরটা মাত্র ফুটছিলো। কচি দেহের স্বাদই আলাদা।” নিজের অজান্তেই একবার ঠোঁট চাটেন তিনি।
এতো নোংরা অতীত থাকার পরেও বাঙালি নামক গোল্ডফিশ জাতিকে বোকা বানিয়ে উপরে উঠতে তাকে কোন বেগই পেতে হয়নি।
৪৩ বছর পরে এসব কথা মনে করে নিজের বাড়ির ড্রয়িংরুমের সোফায় বসে আপনমনেই ভুঁড়ি কাঁপিয়ে হাসতে থাকেন ৭১ এর তালেব রাজাকার ওরফে বিশিষ্ট শিল্পপতি তালেব আলী।
(সমাপ্ত)
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
ovulate twice on clomidকষ্ট লাগলো, যন্ত্রণা আর প্রচণ্ড ক্রোধের একটা প্রচণ্ড জোয়ারে মাথায় আগুন ধরে গেল লেখাটা পড়ে… কি বিচিত্র প্রাণী আমরা, কি বিচিত্র আমাদের অক্ষমতা
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
can your doctor prescribe accutaneলজ্জা…
ভালো লিখেছেন। capital coast resort and spa hotel cipro
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
গল্প অনেক সুন্দর হয়েছে।
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
অনেক ভালো লাগলো গল্পটা।
গল্পটা এত বিশাল স্পেসের কারণে ভিউটা সুন্দর লাগছেনা। স্পেসগুলো কমিয়ে সাধারণ মার্জিনে লিখলে দেখতে সুন্দর দেখাবে।