নিউক্লিয়াস- ক্র্যাক পিপল নিডেড…
289 viagra en uk
বার পঠিতমাঝে মাঝে নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের জন্য খুব আফসোস হয়। ডিসি কমিক্স কিংবা মারভেল কমিক্সের থর, আয়রনম্যান, সুপারম্যান কিংবা ব্যাটমানের মতো সুপারহিরোরা তাদের ছোটবেলার নায়ক, বড় হয়ে তারা জেমস বণ্ড হতে চায়, ভিনদেশের বীরদের নিয়ে কি উচ্ছ্বাস তাদের… মজার ব্যাপার হচ্ছে ভিনদেশের সেই বীরেরা নিতান্তই কাল্পনিক চরিত্র ,তাদের এতসব বীরত্ব কিছু উর্বর মস্তিকের কল্পনা মাত্র।
অথচ যে জন্মভূমির আলো হাওয়ায় নতুন প্রজন্মের এই সন্তানেরা বেড়ে উঠেছে, সেই জন্মভূমি স্বাধীন করতে ১৯৭১ সালে অসংখ্য বীর হাসতে হাসতে নিজের প্রানটা উৎসর্গ করেছিলেন, তাদের বীরত্বগাঁথা ছিল রূপকথার গল্পের মতই অবিশ্বাস্য কিন্তু সন্দেহাতীত বাস্তব, সাধারন মানুষ হয়েও কেবলমাত্র মায়ের জন্য, মাতৃভূমির জন্য তারা পরিনত হয়েছিলেন একেকজন হারকিউলিসে, অবিস্মরণীয় সংশপ্তকে… can your doctor prescribe accutane
দুই নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা খুব সামান্য আর্মি ট্রেনিং পেয়েছিলেন, কিন্তু তাতেই তারা হয়ে উঠেছিলেন দুর্ধর্ষ সব বীর। আর তাদের যারা ট্রেনিং দিতেন, ফোরথ বেঙ্গলের সেই সুবেদার আর হাবিলদারেরা ছিলেন একেক জন লিভিং লিজেন্ড। সুবেদারদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর ছিলেন সুবেদার ওয়াহাব,দেখতে আর দশজন বাঙ্গালীর মতই, হালকা-পাতলা, গাল ভাঙ্গা, থুতনির নিচে হালকা দাড়ি। পান খেয়ে মুখ আর ঠোঁট লাল করে রাখতেন সবসময়, দাঁতগুলো কালো হয়ে থাকতো। সদারসিক মানুষটাকে কেউ কখনো গোমড়ামুখে দেখেনি। অ্যাকশনের সময় লুঙ্গিটা মালকোঁচা মেরে বসতেন, দেয়ালে হেলান দিয়ে পা দুটো হাঁটুর কাছে মুড়ে, পাশেই থাকতো এসএমজি, পান চিবাতে চিবাতে আর পিক ফেলতে ফেলতে ব্রাশফায়ার করতেন, নির্বিকার ভঙ্গি। মাঝে মাঝে মুজিব ব্যাটারির তিন ইঞ্চি মর্টার কাঁধে চলে যাইতেন একেবারে পাকি ক্যাম্পের কাছে, সেইখান থেকে শেলিং করতেন। এতো রিস্ক নেওয়ার দরকার কি জিজ্ঞেস করলে পানের পিক ফেলে হাসিমুখে জবাব দিতেন, এতো পিছ থেইকা শেলিং কইরা আরাম পাই না, সামনে গিয়া যুদ্ধ না করতে পারলে মজা নাই… তার অসমসাহসিকতায় প্রচণ্ড ভয়ে এক পর্যায়ে পাকিস্তানীরা তার মাথার মূল্য নির্ধারণ করে ১৫০০০ টাকা।
সেই ওয়াহাবের বীরত্বের কথা এই প্রজন্ম জানে না, জানার সুযোগ পায়নি। শহীদ সুবেদার বেলায়েত হারিকিউলিসের মতো একাই একের পর এক পাকি বাংকার উড়ায়ে দিছিল, যেই ঘাঁটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সুপ্রশিক্ষিত মিডিয়াম আর্টিলারি আর মুক্তিযোদ্ধাদের তিনটা ব্যাটালিয়নও দখল করতে পারে নাই, সেই ঘাঁটি জাস্ট বেলায়েতের তারছিঁড়া সাহসিকতায় দুই ঘণ্টায় দখল করে ফেলছিল মুক্তিযোদ্ধারা, ইঁদুরের বাচ্চার মতো জান হাতে পালায়ে গেছিল পাকিস্তানীরা, তিনদিন পর প্রায় তিন কোম্পানি পাকিস্তানী সৈন্য আবার আক্রমণ করে, তাদের ফার্স্ট অ্যান্ড ফরমোস্ট লক্ষ্য ছিল বেলায়েতকে হত্যা করা। সেই বেলায়েতের আত্মত্যাগের গল্প এই প্রজন্মের কয়জন জানে?
ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স(আইএসআই) এর পূর্ব পাকিস্তান অংশের হেড ছিলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন ইসলাম। পাকিস্তান ইন্টিলিজেন্সের এই সিনিয়র কর্মকর্তা পাকিস্তানের অনেক গোপন তথ্য জানতেন, তাই তার পালিয়ে যাবার খবর শুনে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী পাগলা কুত্তা হয়ে চারিদিকে খুঁজতে লাগলো। সেই সময় লাখ লাখ হিংস্র পাকিস্তানী জার্মান শেফার্ডের চোখ ফাকি দিয়ে অসামান্য সাহস আর বীরত্ব দেখিয়ে ঢাকার বাসাবো থেকে গ্রুপ ক্যাপ্টেন ইসলাম এবং তার পরিবারকে নিরাপদে ভারতে দুই নম্বর সেক্টরের হেডকোয়াটারে পৌঁছে দেয় ১৮ আর ২২ বছর বয়সী শহীদ আবু বকর আর ফতেহ আলী চৌধুরী। ক্র্যাক প্লাটুনের এই দুই যোদ্ধার অসমসাহসী এই রেসকিউ অপারেশন জেমস বন্ডের যেকোনো দুর্ধর্ষ অভিযানের চেয়েও হাজারগুনে অসাধারন। কিন্তু কয়জন জানে এই অভিযানের গল্প?
ক্র্যাক প্লাটুনের দুর্ধর্ষ যোদ্ধা ফতেহ আলী চৌধুরীর সাক্ষাৎকারের সময় বলেছিলেন, “হু অ্যাম আই? আমি কেন? আমার সাক্ষাৎকার কেন নিতে চাচ্ছ তোমরা? আই এম নট অ্যা হিরো। সত্যিকারের হিরো দেখতে চাও? সত্যিকারের হিরো ছিল তরু ওস্তাদ, মুনির ওস্তাদ, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের দুর্ধর্ষ সেনা ছিল তারা। সেক্টর টু-এর হাজার হাজার গেরিলা যোদ্ধাদের ট্রেনিং দিয়েছে ওরা, পাকিস্তানির সেনাদের সাথে চোখে চোখ রেখে ফাইট করছে। আজকে তারা কই? গ্রাম-বাংলার হাজার হাজার গ্রামে এমন অসংখ্য আনসাং (Unsung) হিরো আজ অবর্ণনীয় দুঃখ- কষ্ট যন্ত্রণায় জীবন কাটাচ্ছে , যারা সত্যিকারের বীর ছিল। পারলে তোমরা তাদের কাছে যাও, সাক্ষাৎকার নিতে হলে তাদের সাক্ষাৎকার নাও।”
ফতেহ আলী স্যারের কথাটা মাথার ভেতর গেঁথে গেছিল। আমাদের রক্তাক্ত জন্ম ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ অসংখ্য বীরদের অসামান্য সব বীরত্বগাঁথা তুলে আনতেই তাই নিউক্লিয়াস এর জন্ম। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখা সেই চারজন নিউক্লিয়াসের নামানুসারে এই প্লাটফর্মের সবার নাম হবে নিউক্লিয়াস। আইডিয়াটা প্রথম মাথায় আসে অর্ফিয়াস রিবর্ন এর। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের সেই দুর্ধর্ষ নিউক্লিয়াসদের স্মরনে গ্রুপে নামটা ঠিক করে ও। ফতেহ আলী স্যারও যখন একই কথা বললেন, তখন আর দেরী করিনি আমরা। নিউক্লিয়াস সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হইছে। প্রত্যেক নিউক্লিয়াসের কাজ হবে, গ্রামবাঙলার আনাচে কানাচে হারিয়ে যেতে থাকা সেইসব আনসাং হিরোদের সাক্ষাৎকার ভিডিও ফরমেটে রেকর্ড করে সেটা গ্রুপে পাবলিশ করা। তারপর সেখান থেকে সেটা ছড়িয়ে দেওয়া হবে ইউটিউবে নিউক্লিয়াস চ্যানেল থেকে শুরু করে ফেসবুক, ব্লগ এবং অনলাইনের সর্বত্র। যেন নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা জানতে পারে তাদের পূর্বপুরুষের অসামান্য বীরত্বগাঁথা, যেন তারা মুক্তিযুদ্ধকে পাস্ট বলে এড়িয়ে যেতে না পারে, যেন গর্ব করার জন্য তাদের ভিনদেশের কাল্পনিক সুপারহিরো খুঁজতে না হয়। এই ভিডিওগুলো একসময় ইতিহাসের শক্ত দলিল হিসেবে কাজ করবে, কোন পাকিস্তানী শুয়োর আর বলতে পারবে না, মুক্তিযুদ্ধ একটা গণ্ডগোল ছিল, ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যাটা একটা নিতান্ত অপপ্রচার মাত্র…
#সদস্য আবশ্যক– নিউক্লিয়াস
যোগ্যতা- পিউর বাংলাদেশী দালাল, মাতৃভূমির প্রতি অতল ভালোবাসা। (তারছিঁড়া এবং ক্র্যাক পিপলদের অগ্রাধিকার )
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
চমৎকার একটি উদ্যোগ। সাথেই আছি…
তারিক লিংকন বলছেনঃ
পিউর বাংলাদেশী দালাল, মাতৃভূমির প্রতি অতল ভালোবাসা। (তারছিঁড়া এবং ক্র্যাক পিপলদের অগ্রাধিকার)
মাতৃভুমি পাগল ক্র্যাক পিপলড আসলেই এই সময়ে খুব খুব দরকার! !
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
অনেক অনেক দরকার ব্রাদার… zoloft birth defects 2013
লাল সবুজের ফেরিওয়ালা বলছেনঃ
#সদস্য আবশ্যক– নিউক্লিয়াস
যোগ্যতা- পিউর বাংলাদেশী দালাল, মাতৃভূমির প্রতি অতল ভালোবাসা। (তারছিঁড়া এবং ক্র্যাক পিপলদের অগ্রাধিকার )
মস্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
অফিয়ার্স রিবর্ন আর ডন মাইকেল – উভয়ের প্রতিই কৃতজ্ঞতা