অন্য রকম এডমিশন : বাবা ডাকা আর বাবা ডাক শোনা অপেক্ষায় এক ছাদের দুই জন
586
বার পঠিত০১। levitra 20mg nebenwirkungen
আশরাফ সাহেব তার স্ত্রীর
দিকে চেয়ে সহজ
ভঙ্গীতে বললেন,”কি বলেছি শোন
নাই??কোথাও চান্স
না পেলে পিংকিকে আমি প্রাইভেটে পড়াবো”
মুনিয়া নিজের কানকে বিশ্বাস
করতে পারছে না,পিঙ্কি তার নিজের
মেয়ে না,ভাতিজী।ভাতিজীর জন্য
যতটুকু করা প্রয়োজন আশরাফ সাহেব তার
চেয়ে অনেক বেশী করেছেন।স্কুলের
খরচ দেয়া থেকে শুরু করে দিস্তা কাগজ
কিনার ২৪ টাকাটাও নিজের পকেট
থেকে দিয়েছেন,এখন
মেয়েকে প্রাইভেটে পড়াবেন!!
নিজের খরচে!!
মুনিয়া বলল,”বাড়াবাড়ির একটা লিমিট
থাকে আশরাফ… ও পাবলিকে চান্স
না পেলে ন্যাশনালে পড়বে”
“ন্যাশনালে?? ৭ বছর লাগবে বের হতে!!”
“লাগুক,তোমার এত মাথা ব্যাথা কেন
এই মেয়েকে নিয়ে?”
“মাথা ব্যাথা থাকবেনা?বাপ
মরা মেয়ে,আমি না দেখলে কে দেখবে?”
মুনিয়া বলে,যাই হোক… এই মেয়ের
পেছনে অনেক টাকা ঢালসো,কি লাভ
হইসে? চান্স পাচ্ছে কোথায়?
কি পড়ালেখা করসে সেইটা বোঝা ই
যাচ্ছে…
বিয়ে দিয়ে দাও,ঝামেলা চুকে যায়!
আশরাফ সাহেব
চোখে হালকা ব্যাথা নিয়ে এক
দৃষ্টিতে মুনিয়ার
দিকে তাকিয়ে রইলেন,নিজের
মেয়ে হলে কি মুনিয়া এই
কথা বলতে পারত? আশরাফ সাহেবের এর
এই প্রাচীন
আলাপকে সামনে টেনে নিতে ইচ্ছে করছে না্…
বলুক যা খুশী,
পিঙ্কিকে তিনি প্রাইভেটেই
পড়াবেন… যত টাকা লাগে!
মুনিয়ার ক্যাসেট বাজতেই
থাকল,ভলিউম
বাড়তে বাড়তে প্রথমে একটু কম,তার পর
শুনশান নীরবতা নেমে আসে…
০২।
পিঙ্কির কানে আসল সবই,খুবই খারাপ
লাগে তার… এমন
না সে পড়েনি,পড়েছে,তবু পারছে না।
এক্সাম হলে গেলেই সব গুলিয়ে যায়।এক
একটা বৃত্ত ভরাট করার সময় মরা বাপের
কথা মনে পড়ে,অসুস্থ মায়ের
কথা মনে পড়,চাচীর খোটার
কথা মনে পড়ে,ভালমানুষ চাচার
নির্ভেজাল হাসি আর ভরসার
কথা মনে পরে… এত ভার ওই ওএমআর শীট
টা নিতে পারেনা… তা না হলে ভুল
ভাল রেজাল্ট দেয় কেন?
বুয়েটে পয়েন্ট আসেনি… রুয়েট এক্সাম
দিয়ে ভেবেছিল হয়ে যাবে…
হলো না,তারপর প্রায়
সবগুলো ইউনিতে দিল এক্সাম,হলো না।
একটাতে হয়নি,এই নার্ভাসনেস
থকে বাকিগুলোও হচ্ছে না,শেষ এক্সাম
ঢাবি,এটার জন্য পড়তে গিয়েও
পড়তে পারছেনা…চাচা চাচীর
ঝগড়া কানে আসছে।
তার চাচার মত ভাল মানুষ খুব কমই
আছে,পিঙ্কির যখন এক বছর বয়স,ওর
বাবা ম্যালেরিয়ায় মারা গেল… সেই
থেকে এই চাচা কোন দিনই তার বাবার
অভাব বুঝতে দেয়নি,সবটুকু খরচ বহন
করে গেছে।কোন এক বিচিত্র
কারনে চাচা তার মাকে পছন্দ
করে না,মায়ের সামনে যায়
না সচরাচর,মায়ের
সাথে সরাসরি কথা না বলে তার
মাধ্যমে বলে।তাই প্রায় সময়ে নিজের
বাসাতেই এনে রাখে পিঙ্কিকে।
এইখানে তার পড়াশোনার খুব ভাল
ব্যাবস্থা,টিউটর
আসে,পড়িয়ে দিয়ে যায়,সব খরচ চাচার।
আর এই জন্য পিঙ্কির নিজের
ভেতরে অপরাধবোধটাও বেশি!!কেন
চান্স পাচ্ছেনা সে?এত মানুষ মরে আর ও
মরতে পারেনা? মুখ
দেখাতে ইচ্ছা করেনা কাউকে,চাচীর
কথা গুলো শুনলে মনে হয়
পানিতে ডুবে মরে যেতে পারত যদি!
আশরাফ সাহেব আসলেন,”কি করিস
রে মা?”
“পড়তেসি কাকা”
“শোন মা,তুই এটা বিশ্বাস কর… তুই
যা পারিস,যতটা পারিস,তার সবটুকু
দাগাতে পারলে তোর চান্স কেউ
ঠেকাতে পারবে না”
পিঙ্কি শুনে যায় শুধু… উপদেশ শুনতেও
লজ্জা লাগে এখন!!
০৩।
পিঙ্কি কাদছে… চান্স
হবে সেইটা এক্সাম দিয়েই
বুঝতে পেরেছিল,কিন্তু এত ভাল পজিশন
আসবে ভাবে নাই!
“মা রেজাল্ট দিসে?”
‘হ্যা কাকা… চান্স পাইসি, সি এস ই
পাবো”
আশরাফ সাহেবের গর্ব
হচ্ছে খুব,ভেতেরে ভেতরে তার অ
কান্না পাচ্ছে…মেয়েটাকে আজ
জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছা করতেসে,কত কষ্ট ই
না করল… পিঙ্কি হঠাত
ফোপাতে ফোপাতে বলল,”আজ
যদি আমার বাবা বেচে থাকত!! কত
খুশী হত!!”
আশরাফ সাহেবের বুকের তলায় আচর
লেগেছে…রক্তক্ষরন হচ্ছে।আজ
থেকে আর ১৮ টা বছর আগে,এক রাতে…
যখন তার ভাই বাসায় ছিল
না,তিনি গিয়েছেলেন তার বাসায়…
মাতাল,মাথার ঠিক ছিল না… একটা ভুল
হয়ে গেছিল।
সেই ভুলের কারনে এক নিঃসন্তান
দম্পতি একটা কন্যা সন্তান জন্ম
দিতে পেরেছিল।কেউ কিচ্ছু
জানেনা…কেউ না!!
আশরাফ সাহেবের এবার কান্না পেল…
দুইজনই কাদছে,একজন বাবা বলে ডাকার
জন্য,আরেকজন বাবা ডাক শোনার জন্য!!
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
ভালো লাগলো লেখাটি। কিপ ইট আপ। হ্যাপি ব্লগিং…
উদ্ভ্রান্ত পথিক বলছেনঃ
ধন্যবাদ আপু…… কষ্ট করে পড়ার জন্য……
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ wirkung viagra oder cialis
doctorate of pharmacy onlineভালো লাগলো। acquistare viagra in internet
দুর্বার প্রলয় বলছেনঃ
ভিন্ন ধরনের হয়েছে, ভাল লাগলো ভাইয়া। private dermatologist london accutane