হাতির বিষ
627
বার পঠিত
শুভর ঠিক মুখোমুখি বসে আছে রুমকি। একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ওর দিকে।
রুমকি- তুমি কি আমার কথা শুনবে?
শুভ- শুনছি তো…
রুমকি- আমার বন্ধুরা তোমায় নিয়ে হাসাহাসি করে…
শুভ- আচ্ছা? (মাথা এপাশ ওপাশ দুলিয়ে) কেন?
রুমকি- তুমি জানোনা! এই ওটা দাও, দাও এক্ষনি আমার কাছে…
রুমকি খুব রেগে আছে বুঝাই যাচ্ছে, রিস্ক নেওয়া ঠিক হবেনা। তাই কথা না বাড়িয়ে বিরিয়ানির প্যাকেটটা রুমকির হাতেই তুলে দিতে হল।
রুমকি- তুমি কি আমায় ভালবাসো?
শুভ- বাসিতো।
রুমকি- যদি আমাকে চাও তো, এই বেশি বেশি খাওয়াকে ছাড়তে হবে, স্বাস্থ্য কমাতে হবে।
শুভ- আচ্ছা। (ভালবাসার জন্য এইটুকু কষ্ট নাহয় সে করবেই)
চার মাস পর, শুভর স্বাস্থ্য তো কমেইনি, বরং দূর থেকে দেখলে মনে হয় আরো বেড়েছে। ভাঙ্গা হৃদয় নিয়ে হেলেদুলে হাটতে হাটতে বাড়ি ফিরে এলো শুভ। আজ রুমকি তার সাথে ব্রেকআপ করেছে কেবল সে একটু বেশি খায় বলে। আগামিকাল সকালে এক বন্ধুর বাসায় দাওয়াত আছে, ওখান থেকে ফিরেই আত্মহত্যা করে রুমকিকে দেখিয়ে দিবে সে কতটা ভালবাসে তাকে।
কয়েকটা টোস্ট বিস্কুটকে ভাল করে গুরো করে নিলো শুভ, তার সাথে একটু চিনি মিশিয়ে স্বাধটা দেখে নিলো, খুবি সুস্বাধুই মনে হচ্ছে, ইঁদুরের বিষের প্যাকেট টা ছিড়ে, বিষটা মিশালো টোস্ট গুরার সাথে। এরপর পরিমান মত পানি মিশিয়ে ক্রিমের মত বানালো। মরার আগে যেন দূর্বল না হয়ে পরে তাই গ্লুকোজও মিশালো সাথে।
সকালেই কল দিয়ে রুমকিকে আসতে বলেছিল সে, ও আসা মাত্রই এই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করবে সে। এক ঢিলে দুই পাখি শিকার করা হবে তাতে। দুপুরের খাওয়াটা খেয়ে মরা গেলো আর রুমকিকেও দেখিয়ে দেওয়া গেলো তার ভালবাসা কতটা গভীর।
রুমকি ঘরে ঢুকে কাছাকাছি এসে দাঁড়াতেই বিষটা সম্পূর্ন খেয়ে নিলো শুভ, লুটিয়ে পড়লো বিছানায় নিশ্বাস বন্ধ করে। এক মিনিট পরেই লাফিয়ে উঠে বসলো শুভ, আর নিশ্বাস না নিয়ে থাকা যাচ্ছেনা। বিষটা কাজ করেনি। এতক্ষন চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিল রুমকি। এবার হাসতে হাসতে বের হয়ে গেলো রুম থেকে।
দুদিন পর, হেলে দুলে হাটতে হাটতে রাশেদ মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে এলো শুভ, টুলে বসে শান্তিতে গরম চায়ে চুমুক দিচ্ছে লোকটা। চা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার কোন মানে হয়না, শুভ লোকটার সামনে যেয়েই একহাতে কলার আরেক হাতে লোকটার ঘাড় ধরে ফেললো-
শুভ- ঐ ব্যাটা কি বিষ দিছিলি?
-কেন ভাই? side effects of drinking alcohol on accutane
শুভ- ভেজাল ইঁদুরের বিষ বিক্রি করিস, আমার এলাকায়? (চেচিয়ে উঠলো শুভ)
-একটা ইঁদুরও মরে নাই? কেমনে সম্ভব?
শুভ- আমি নিজে বিষ খাইছি, দেখ জলজ্যান্ত দাড়ায়া আছি…
এক ঝাটকায় শুভর হাত থেকে ছুটেই কয়েক হাত দূরে চলে গেলো লোকটা-
-ইঁদুর মারার বিষ চাইছিলেন ভাই, হাতি মারার বিষ তো চান নাই…(এক ছুটে পালিয়ে গেলো লোকটা)
বিঃদ্রঃ ইঁদুর মারার বিষে পানি মিশালে কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। কেন, কে জানে?
viagra in india medical stores
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
মজা পাইছিইইই
জন কার্টার বলছেনঃ
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ
এই জাতি কিভাবে উন্নতি করবে যেখানে ইদুর মারার বিষেও ভেজাল থাকে। যাই হোক শুভ মরুক আর না মরুক আমরা কিন্তু একটা চমৎকার গল্প উপহার হিসেবে পেলাম।
দুর্বার প্রলয় বলছেনঃ metformin synthesis wikipedia
হাসাতে যেহেতু পেরেছি আমার লিখা স্বার্থক। ধন্যবাদ জয় & জন।
দুর্বার প্রলয় বলছেনঃ
শঙ্খনীল, সত্যি বলতে এ ব্যপারটা নিয়ে আমিও খুব চিন্তিতে, বেশ কয়েকদিন যাবতই লক্ষ্য করছি জ্বলন্ত মশার কয়েলের উপর দিয়ে দুরন্ত মশারা গান গেয়ে বেরাচ্ছে। ভেজাল ঢুকে গেছে সবকিছুতে।
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
হা হা হা…
বেশ মজার গল্প। ভাল লাগলো । can levitra and viagra be taken together
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
হা হা হা … ভালো লাগলো
একজন আইজুদ্দিন বলছেনঃ
আমার সাথে এতো টা অন্যায়!
সবাই পড়ে শেষ করার পর আমার সিরিয়াল……!
ইনবক্সে একটু কইলে কি খুব বেশি ক্ষতি হইত?
যা হোক, পড়লাম আর হাসলাম।
খুব ভাল লেগেছে প্রলয় ভাই। চালিয়ে যান।
দুর্বার প্রলয় বলছেনঃ accutane prices
ধন্যবাদ, শাহিন ভাই & জোহরা। doctorate of pharmacy online
দুর্বার প্রলয় বলছেনঃ
আইজুদা, ভুল হয়ে গেছে, পরেরবার গল্প লিখলে আপনাকে মেসেজ অবশ্যই দিব।
শিশিরস্নাত দ্রোহি বলছেনঃ
বেশ মজার গল্প দাদা !!! হা হা হা
দুর্বার প্রলয় বলছেনঃ
ধন্যবাদ, দ্রোহি।