অপারেশন হাতমা ব্রিজ
561
বার পঠিতগভীর রাত। নিঃশব্দে এগিয়ে চলেছে মুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল। লক্ষ্য হাতমা নদীর উপর দুটো ব্রিজ। একটা সড়ক, আরেকটা লোহার রেলব্রিজ। উড়িয়ে দিতে পারলে সিলেটের সাথে বাইরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন যাবে। দলটির কমান্ডারের নাম বাবু, বয়স টেনেটুনে উনিশ। দলের বেশিরভাগেরই প্রথম অপারেশন এইটা, বিশোর্ধ কয়েকজন ছাড়া কারো বয়সই ১৮ রের বেশি হবে না। অবশ্য রেকি টিম জানিয়েছে, ব্রিজ দুটো পাহারায় জনা চল্লিশেক রাজাকার ছাড়া আর কেউ নেই, খুব বেশি সমস্যা হবার কথা না…
কংক্রিটের ব্রিজটার শ’ গজের মধ্যে আসতেই হঠাৎ বাবুর চোখে পড়ল একটা কালভার্ট, ব্রিজের কিছুটা আগে, পাহারা দিচ্ছে কিছু রাজাকার। প্রমাদ গুনল বাবু, রেকিটিম তো দুটো ব্রিজের কথা বলেনি। কয়েকজনকে পাঠানো হল, ভয় দেখিয়ে ওদের ডিজআর্ম করবার জন্য, সেখানে আরেক বিপত্তি। ৫২ টা ছেলেকে প্রথমবারের মত পাঠানো হয়েছিল অপারেশনে,যাদের বেশিরভাগই ছিল বালক কিংবা কিশোর। ফলে একেবারে অনভিজ্ঞ হওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে পারল না ওরা, উল্টো রাজাকারদের হামলার শিকার হল। বাধ্য হয়ে বাবুকে ফায়ার ওপেন করতে হল, গুলির শব্দ শুনে মুহূর্তের মধ্যে রাজাকার বাহিনী তাদের স্বভাবসুলভ রীতিতে বন্দুক ফেলে জান হাতে পালায়া গেল। এর চেয়েও বিচিত্র ঘটনা ঘটল একটু পর, বাবু পিছনে ফিরে দেখল, তার দলের ১০-১৫ জন অভিজ্ঞ যোদ্ধা ছাড়া আনকোরা ৫২ জনের বেশিরভাগই গায়েব… rx drugs online pharmacy
তাদের দোষ দেওয়া যায় না, বাচ্চা ছেলেপেলে সব, রাতের কালো অন্ধকারে হঠাৎ ঠা ঠা গুলির শব্দে নার্ভ অকেজো হয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক না। কিন্তু সমস্যাটা হল, ব্রিজ দুইটা ওড়ানোর জন্য যে প্ল্যাস্টিক এক্সপ্লোসিভ আনা হয়েছিল, তার প্রায় সবটাই ছিল ওদের হাতে। পালাবার সময় আতংকে কোথায় ফেলেছে সেগুলো, সেটা এই অন্ধকারে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কমান্ডার বাবু তৎক্ষণাৎ নির্দেশ দিল তার দলের অবশিষ্ট সবাইকে ওগুলো খুঁজে বের করতে, অন্তত একটা ব্রিজ ওড়াতেই হবে।
বহু কষ্টে নদীর অন্ধকার পাড়ের জলা-জঙ্গল খুঁজে এক্সপ্লোসিভের কিছু অংশ পাওয়া গেল। ব্রিজের উপর প্রেসার এক্সপ্লোসিভ লাগাতে গেল একজন আর নিচে পিলারের গোড়ায় বাকিটা ফিউজসহ লাগাতে শুরু করল বাবুসহ বাকিরা। পিলারের গায়ে ফিউজ আর কর্ডেক্স পেঁচানো যখন প্রায় শেষদিকে, তখন হঠাৎ আরেক নাটক…
ব্রিজের নিচে দৌড়ে একজন মুক্তিযোদ্ধা বাবুর পাশে এসে ফিসফিস করে বলল,
—স্যার , সর্বনাশ হইছে, পাঞ্জাবি…
—কি কস না কস, পাঞ্জাবী কৈ পাইলি?
—আল্লার কসম কইরা কইতাছি স্যার।
একে তো ব্রিজটায় এক্সপ্লোসিভের ফিউজ পেঁচানো শেষ হয় নাই, তার উপর কোত্থেকে সাক্ষাত মৃত্যুদূত হাজির। মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থা তখন তথৈবচ। বাবু কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারতেছে না যে এইখানে পাঞ্জাবী থাকতে পারে, কারন রেকি টিম বারবার করে জানাইছে, এই দুইটা ব্রিজে কোন পাকি নাই, জাস্ট কয়েকটা রাজাকার ছাড়া। এখন হুট করে পাঞ্জাবী কোত্থেকে আসলো এইটা ভাবতে গিয়ে যখন বাবুর শিরদাড়া দিয়ে ভয়ের ঠাণ্ডা স্রোত নেমে যাচ্ছে, তখন হঠাৎ সে শুনতে পেল, পাঞ্জাবী টানে কেউ ডাকছে, বাবু, বাবুউউ, তুম কাঁহা হো, তুম কাঁহা হো বাবু?
রাজাকারদের উপর বাবু যে গুলি চালিয়েছিল, সেই গুলির শব্দ শুনেই বোধহয় পাঞ্জাবি সেনাদের একটা টহল দল খোঁজ নিতে হাজির। রাইফেলটা কাঁধের এক পাশে ঝুলিয়ে বেশ মার্চ করবার ভঙ্গিতে তারা উপস্থিত হয়েছিল ব্রিজের গোড়ায়। কিন্তু কিভাবে পাঞ্জাবীটা তার নাম জানলো , আর একজন পাকিস্তানী ক্যাপ্টেন কেন একজন গেরিলা কমান্ডারকে ডাকবে, এটা ভাবতেই যখন বাবুর কালো ঘাম ছুটে যাচ্ছে, তখন হঠাৎ কেউ একজন জবাব দিল…
— হাম ইয়েহি হ্যায়, ইধার আইয়ে…
নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারল না সে, যখন বুঝতে পারলো, জবাবটা আসলে তার গলা দিয়ে বেরিয়েছে। কি ভয়ংকর? তার কি মাথাটাথা খারাপ হয়ে গেল নাকি? কিন্তু তখন আর কিছু করার নেই, সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে তার অবস্থান। সাতপাঁচ ভেবে ফায়ার করার সিদ্ধান্ত নিল বাবু, ওদিকে কিংকর্তব্যবিমূঢ় পাঞ্জাবীটা তখনও চেঁচিয়েই যাচ্ছে, কিধার হো তুম। তুম তোঁ হামারা আদমি হ্যায়, হ্যায় না?
বাবু ফায়ার ওপেন করতেই খয়ের আর খোকনও একসাথে গুলি চালালো। পাকিসেনাগুলো আঃ আঃ করতে করতে গড়িয়ে পড়ল রাস্তার ওপাশে, পড়ে যাবার পরেও তাদের চাইনিজ জি-থ্রি বন্দুক থেকে অনবরত গুলি বেরোতেই থাকলো, টাক ডুমমম… টাক ডুমমম…
কিছুক্ষন পর বাবু হঠাৎ টের পেল তার মাথার উপর ব্রিজের সমতলে কি যেন নড়ছে, শব্দ হচ্ছে। সাবধানে মাথাটা একটু উপরে তুলতেই স্থির হয়ে গেল বাবু। সেই পাঞ্জাবী অফিসার মরেনি, সহজাত রিফ্লেস্কের কারনে লাফ দিয়ে চলে গেছে ব্রিজের উপর, শুয়ে পড়েছে, কাঁধ থেকে রাইফেলটা নামাবার আপ্রান চেষ্টা করছে। অনেকক্ষন গুঁতোগুতির এক পর্যায়ে শেষ পর্যন্ত সে রাইফেলটা নামাতে পারল, সামনে তাক করে ধরে হঠাৎ আবছা আলোতে দেখল, ব্রিজের উপরে শেষ মাথায় কেউ একজন আছে। সে পাঞ্জাবি টানে বেশ উঁচু গলায় জিজ্ঞেস করল,
— কৈন হো তুম?
ব্রিজের উপর প্রেশার ফিউজ লাগাতে থাকা মানুষটা হঠাৎ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে জবাব দিল, আমি লিয়াকত…
—হাতিয়ার হাত মে লেকে খাড়া হো যাও।
লিয়াকতের ঘোর তখনও কাটেনি। জবাব দিল,
—আমি তো এক্সপ্লোসিভ টিমের, বন্দুক কৈ পামু?
বলেই লিয়াকতের হঠাৎ খেয়াল হল, প্রশ্নকর্তা উর্দু ভাষায় প্রশ্ন করতেছে কেন? ঘটনা বোঝামাত্র ঝপাৎ শব্দে ঝাপ দিল সে নদীতে।
এদিকে চরম কনফিউজড অবস্থায় টহল দলের অফিসার পড়ে গেল বেকায়দায়। প্রথমত সে গুলির শব্দ শুনে এগিয়ে এসে ব্রিজের কাছে রাজাকারদের কাউকে খুঁজে পায়নি। দ্বিতীয়ত হঠাৎ কথা নাই বার্তা নাই, ব্রিজের নিচ থেকে ফায়ার হইল, কোনোমতে জানটা বাঁচায়ে ব্রিজের উপর দেখল একজনকে, তাকে ঠিকঠাক কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই সে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে গায়েব। সব মিলায়ে পুরাই ভজঘট অবস্থা। cialis online pharmacy forum
সঙ্গে সঙ্গে মাথাটা নামিয়ে ফেলল বাবু, একটা ইন্ডিয়ান গ্রেনেডের পিন খুলে ছুড়ে মারলো ব্রিজের উপর। তারপর চোখ বন্ধ করে ১০০১, ১০০২, ১০০৩ করে গুনতে আরম্ভ করল।
কিন্তু ১০ পর্যন্ত গোনার পরেও গ্রেনেড তো আর ফাটে না। অথচ ১ থেকে ৫ আসতে আসতেই গ্রেনেড ফাটবার কথা, এইটার তো ফাটার নামগন্ধও নাই। আবার মাথা তুলে এক বিচিত্র দৃশ্য দেখতে পেল বাবু। গ্রেনেডটা পাঞ্জাবী অফিসারটার কোমরের কাছে গিয়ে পড়েছে, কিন্তু ফাটেনি। এই শালা কি মরবো না নাকি? বিরক্তে আর আতংকের এক অদ্ভুত ঘোরের ভেতর সঙ্গে সঙ্গে স্টেনগানটা তুলে নিল বাবু, ঠিক সেই মুহূর্তেই রাইফেলটা নিয়ে বাবুর দিকে ঘুরল পাকিটা। ব্রাশফায়ার করল বাবু, পুরো ম্যাগাজিনটা খালি করে দিল পাকিটার বুকে। তারপর দ্রুতগতিতে নিচে নেমে কম্পিত হাতে বাকি ফিউজটুকু জড়িয়ে কর্ডেক্স লাগিয়ে ফেলল ওরা। কিন্তু রবসন লাইটারটা বের করে কর্ডেক্সে আগুন দিতে গিয়েই হল বিপত্তি। অসম্ভব উত্তেজনা আর আতংকে কর্ডেক্স ধরে রাখা খয়েরের হাতটা কাঁপছিল পেন্ডুলামের মত, ভয়ংকরভাবে কাঁপছিল লাইটার ধরে থাকা বাবুর হাতটাও। লাইটার আর কিছুতেই জ্বলে না। শেষমেষ খোকন পাশে দাড়িয়ে লাইটারটা শক্ত করে চেপে ধরল, জ্বলে উঠল আগুন। পুড়তে লাগলো কর্ডেক্স আর ফিউজ, দ্রুত ওখান থেকে সরে এল ওরা।
দুই মিনিট যায়, চার মিনিট যায়, ছয় মিনিট যায়, ব্রিজ আর ওড়ে না। সমস্যা কি? তাহলে কি ফিউজ ঠিকমত এক্সপ্লোসিভে বসেনি? ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ করে একটা গ্রেনেড এসে পড়ল এক্সপ্লোসিভ লাগানো পিলারের পাশে। তবে কি পাকিগুলো মরেনি? গ্রেনেডটা পড়বার কিছুক্ষনের মধ্যেই পিলে চমকানো বিকট শব্দ, দিনের মত আলো হয়ে গেল চারপাশ। বিশাল কমলা রঙের আগুন আর ধোঁয়ার কুণ্ডলী ছাতার মত পাকিয়ে উঠলো, পূর্ব দিগন্তে ভোরের লাল আভার ব্যাকগ্রাউন্ডে যে দৃশ্য অসাধারন লাগলো বাবুর কাছে। জীবনে আর কখনই সেই দৃশ্য তিনি ভুলতে পারেননি, ভুলতে পারেননি স্টেনগানের ব্রাশফায়ারের পর সেই পাকি অফিসারের চিৎকার, কিভাবে সে বাবুর নাম জেনেছিল, কেন উদ্বিগ্ন স্বরে এইভাবে বারবার ডাকছিল বাবুকে, সে রহস্যও কোনোদিন পরিস্কার হয়নি। বিচিত্র এ জগতের রহস্যময় রহস্যগুলো বোধহয় এভাবেই রহস্যই রয়ে যায়… উত্তর পাওয়া যায় না।
পরিশিষ্ট- মুক্তিযুদ্ধের চার নম্বর সেক্টরের সাব সেক্টর কমান্ডার Ruhel Ahmed ডাকনাম বাবু। হাতমা ব্রিজ উড়িয়ে দেবার ঘটনাটা শুনছিলাম গতকাল রাতে,তার অফিসে। ব্রিজটা উড়িয়ে দেবার পর ফেরার পথে নতুন ছেলেগুলোকে পেয়ে যান, তারা পালিয়ে বেশি দূরে যায়নি। সত্যি বলতে কি, তারা তখনও বুঝতেই পারছিল না, তারা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে এসেছে, প্রচণ্ড ভয় আর আতংক ঘিরে ধরেছিল তাদের। নিজেদের উপর কোন কন্ট্রোল ছিল না তাদের। আজ এতদিন পর এই ঘটনাগুলো শুনতে হয়তো খুব অদ্ভুত শোনাতে পারে, কিন্তু সেইসময় এইটাই ছিল কঠিন সত্য, অকল্পনীয় বাস্তব…
একাত্তরের সেই ভয়ংকর সময়ে আমাদের কোন জেমস বণ্ড কিংবা র্যাম্বো ছিল না, যারা যুদ্ধ করতে গিয়েছিল, তারা সবাই ছিল খুব সাধারন মানুষ- একজন স্বাভাবিক মানুষের মত তারাও ভয় পেত, তাদেরও যন্ত্রণা হত, কষ্ট হত। ভয়ংকর গোলাগুলি আর মর্টার শেলের মাঝে তারাও আতঙ্কিত হত। কিন্তু তারা হাল ছাড়েনি। গুলি খেয়েছে, পড়ে গেছে,কিন্তু আবার উঠে দাঁড়িয়েছে, একটা পা উড়ে গেছে, কিন্তু গুলি করা থামায় নি। মানুষ হিসেবে তারা হয়তো খুবই সাধারন,দুর্বল চিত্তের, কিন্তু দেশের প্রতি অসামান্য ভালোবাসা আর শর্তহীন প্রতিজ্ঞা তাদের পরিণত করেছিল অসামান্য বীরযোদ্ধায়, আমাদের কাছে তারা চিরকালই অভূতপূর্ব সংশপ্তক…
দুর্বার প্রলয় বলছেনঃ
বাঙ্গালী বীরের জাতি, বাঙ্গালীর মন ও তাই।
ধন্যবাদ ডন ভাই লিখার জন্য।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
সহমত ভাই। আপনাকেও ধন্যবাদ পড়বার জন্য
অপার্থিব বলছেনঃ does accutane cure body acne
ভাল লাগলো। রুহেল আহমেদের দুঃসাহসী অভিযান সম্পর্কে জানানোর জন্য ধন্যবাদ
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
এটা তো একটা মাত্র, এরকম আরও অসংখ্য ঘটনা আছে মুক্তিসংগ্রামের… আশা করি সেগুলোও জানাতে পারব। পড়বার জন্য কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের না ছিল যুদ্ধক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা, না ছিল ট্রেনিং। একমাত্র বুকের সাহস আর দেশ প্রেমের জোরেই দুঃসাহসিক সব অভিযান সম্পন্ন করেছে। এই বীরদের ঋণ কোনদিন শোধ হবার নয়।
স্যালুট দেম…
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
মানুষের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু হচ্ছে তার জীবন। কারন জাগতিক সব আশা-আকাঙ্ক্ষা, আনন্দ-বেদনা, প্রাপ্তি-প্রত্যাশার মূলে রয়েছে বেঁচে থাকা না থাকার ব্যাপারটা। সেই জীবনটাই তুচ্ছ করে এই মানুষগুলো মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। এই জীবনটাই তুচ্ছ করে তারা লড়েছেন শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত… সেই মহান মুক্তিযোদ্ধাদের বিনম্র শ্রদ্ধা…
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
এই কথা গুলোই যখন সেই মুক্তিযোদ্ধা বাবু এর কাছ থেকে শুনেছি তখন যেন দৃশ্য গুলো চোখের সামনে ভাসছিল… আপনার লেখা পড়েও এমনই হয়। সুন্দর করে লিখেছেন…
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
আমি অভাজন কিছুই না, সেদিন যদি রুহেল ভাইদের এরকম অসামান্য বীরেরা স্বাধীনতার লাল সূর্যটা ছিনিয়ে না আনতো, তবে আজ এভাবে প্রানের স্বতঃস্ফূর্ত উচ্ছলতায় বাঙলায় কথা বলতে পারতাম না, লিখতে পারতাম না… রুহেল ভাইদের মতো অসামান্য মুক্তিসেনানীদের বিনম্র শ্রদ্ধা…
পড়বার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ…
জন কার্টার বলছেনঃ diflucan dosage for ductal yeast
বিনম্র স্রদ্ধা রুহেল আহমেদ ভাই এর প্রতি…………… soulcysters net metformin
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা
ইউরিডাইস রিবর্ন বলছেনঃ
শত সহস্র সালাম শ্রদ্ধা কোন কিছুই তাদের অবদানকে সম্মান দিতে সক্ষম না। কেবল একটা সুন্দর আর তাঁদের স্বপ্নের মত করে বাংলাদেশ গড়লেই তাঁদের প্রতি প্রকৃত সম্মান দেখানো হবে, তার আগে সকল হায়েনার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে!!
আপনাকে অফুরন্ত ধন্যবাদ এমন সাবলীল ভাষায় ঘটনাটি ব্যাখ্যা করবার জন্য… cuanto dura la regla despues de un aborto con cytotec
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
শত সহস্র সালাম শ্রদ্ধা কোন কিছুই তাদের অবদানকে সম্মান দিতে সক্ষম না। কেবল একটা সুন্দর আর তাঁদের স্বপ্নের মত করে বাংলাদেশ গড়লেই তাঁদের প্রতি প্রকৃত সম্মান দেখানো হবে, তার আগে সকল হায়েনার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে!!
চমৎকার বলেছেন। একেবারে আমার মনের কথাগুলো… পড়বার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ। সভ্যতায় পুনঃস্বাগতম, ওয়েলকাম ব্যাক ইউরি
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ
বিনম্র স্রদ্ধা এই মুক্তি সেনার প্রতি।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা…
একজন আইজুদ্দিন বলছেনঃ
আপনার পোস্ট গুলো নিরবে পড়ি, পড়ি আর অলখে তাকিয়ে স্মৃতি রোমন্থন করি।
আপনাদের এই স্মৃতি খুড়ে ইতিহাস সামনে টেনে আনার প্রচেষ্টাকে অভিবাদন বা অভিনন্দন জানিয়ে খাটো করার দুঃসাহস দেখাতে চাইনা।
শুধু বলি বন্ধু, যখন নৌকো মাঝ সাগরে মাঝিবিহীন খাবি খায়
তখন আপনাদের মতো সাহসী কিছু নাবিক প্রানের পরোয়া না করেই ঝাপ দিয়ে নৌকোর হাল সামলায়,
আপনাদের অদম্য লক্ষ্য জয়ের অভীপ্সার কারনেই তো নৌকো দেখে দূর বাতিঘরের আলো।
সেলিউট টু ইউ এন্ড অল অফ ইউ।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
যখন নৌকো মাঝ সাগরে মাঝিবিহীন খাবি খায়
তখন আপনাদের মতো সাহসী কিছু নাবিক প্রানের পরোয়া না করেই ঝাপ দিয়ে নৌকোর হাল সামলায়,
আপনাদের অদম্য লক্ষ্য জয়ের অভীপ্সার কারনেই তো নৌকো দেখে দূর বাতিঘরের আলো।
এরকম অসংখ্য নাবিকের একজন হতে পেরে অসামান্য গর্বে বুকটা ভরে গেছে ভাই। আপনাদের মত সহযোদ্ধা থাকলে কোন কিছুকেই পরোয়া করি না। জয় বাঙলা…
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
কিছুক্ষণের জন্য কোথাও হারিয়ে গিয়েছিলাম মনেহয়। হৃদয়ের গভীর থেকে শ্রদ্ধা জানাই বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহেল আহমেদকে। আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ এত্ত চমৎকার ভাবে ঘটনাটি আমাদের জানানোর জন্য।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
এই অসামান্য বীরত্বগাঁথা আপনাকে জানাতে পারলাম, এর চেয়ে বড় আনন্দের কিছু আর হতে পারে না। পড়বার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু…
দুর্বার প্রলয় বলছেনঃ viagra type medicine in india
এমন আরো বীরের ইতিহাস জানার জন্য বসে রইলাম, ডন ভাই।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
যথাসাধ্য চেষ্টা করবো ভাই জানাবার জন্য, সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ…
Mosabbir Hossain Rafi বলছেনঃ viagra generico prezzo farmacia
রাজাকার টার নাম হয়ত একই ছিল :/