অগ্নিবিজেতা ক্ষুদিরাম বসু…
747
বার পঠিত viagra in india medical stores‘একবার বিদায় দে-মা ঘুরে আসি।
হাসি হাসি পরব ফাঁসি দেখবে জগৎবাসী।
কলের বোমা তৈরি করে
দাঁড়িয়ে ছিলেম রাস্তার ধারে মাগো,
বড়লাটকে মারতে গিয়ে
মারলাম আরেক ইংল্যান্ডবাসী।
শনিবার বেলা দশটার পরে
জজকোর্টেতে লোক না ধরে মাগো
হল অভিরামের দ্বীপ চালান মা ক্ষুদিরামের ফাঁসি
দশ মাস দশদিন পরে
জন্ম নেব মাসির ঘরে মাগো
তখন যদি না চিনতে পারিস দেখবি গলায় ফাঁসি’
_______ পীতাম্বর দাস।
এই গানটির মধ্যে দেশমাতাকে ছেড়ে যাওয়ার জন্য যাঁর আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে এবং যাঁর কথা উঠে এসেছে তিনি এ উপমহাদেশেরই সূর্যসন্তান। এই গানটি আজও বিভিন্ন গণ আন্দোলনে অনুপ্রেরণা যোগায়, উৎসাহিত করে দেশপ্রেমের অগ্নিমন্ত্রে শপথ নিতে। এই গানের মাধ্যমে যে কিংবদন্তীর কথা তুলে ধরা হয়েছে সে আর কেউ নন , সে হলেন অগ্নিযুগের অগ্নিজিতা বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু।
১৮৮৯সালেরএইদিনেঅর্থাৎ৩রাডিসেম্বর তৎকালীনব্রিটিশভারতেরবেঙ্গলপ্রেসিডেন্সিরঅন্তর্গতমেদিনীপুরজেলাশহরে্রকাছাকাছিহাবিবপুরগ্রামেজন্মগ্রহণকরেন এই মহা বিপ্লবী। সংক্ষেপে এই অগ্নিমানবের জীবনী তুলে ধরছিঃ-
জীবন পথের সূচনাঃ-
তৎকালীনব্রিটিশভারতেরবেঙ্গলপ্রেসিডেন্সিরঅন্তর্গতমেদিনীপুরজেলাশহরে্রকাছাকাছিহাবিবপুরগ্রামেজন্মগ্রহণকরেন ক্ষুদিরাম বসু।তারপিতাত্রৈলকানাথবসুছিলেননাদাজলপ্রদেশেরশহরেআয়এজেন্ট।তারমালক্ষীপ্রিয়দেবী।তিনকন্যারপরতিনিতারমায়েরচতুর্থসন্তান।তারদুইপুত্রআগেইমৃত্যুবরণকরেন।ক্ষুদিরামেরনামটিনিয়েওআছেমজারএকগল্প।তখনকারদিনেপরপরকয়েকটিছেলেসন্তানমারাগেলেমাতাঁরকোলেরছেলেরসবলৌকিকঅধিকারত্যাগকরেবিক্রিকরারভানকরেন।তাই তাঁর মা তারবড়বোনেরকাছেতিনমুঠিখুদের (শস্যেরখুদ) বিনিময়েবিক্রিকরেদেন ক্ষুদিরামকে।খুদেরবিনিময়েক্রয়কৃতশিশুটিরনামপরবর্তীতেরাখাহয়ক্ষুদিরামবসু ।
ক্ষুদিরামের বয়স যখন সাত বছর তখন তাঁর বাবা মারাযান। বাবা মারা যাওয়ার ছয় মাস পরে তাঁর মা মারাযান। এরপর তাঁর আশ্রয় হয় দূর সম্পর্কের এক দাদা ওবৌদির কাছে। কিন্তু সেখানে তাঁকে অমানবিক অত্যাচারসহ্য করতে হয়। অশান্তিতে তাঁর মন ভরে উঠে। সঙ্গী হয়দুঃখ আর একাকীত্ব। তবু পেটের দায়ে ৮/৯ বছরের এইছেলেটিকে সবই সহ্য করতে হতো। এ সকল কারণেপড়াশোনায় তাঁর মনবসত না। তবে সুযোগ পেলেইখেলাধুলা আর ব্যায়াম করতেন। এ্যাডভেঞ্চার জাতীয়কাজের প্রতি তাঁর প্রচুর আকর্ষণ ছিল। capital coast resort and spa hotel cipro
দিনের পর দিন দাদা-বৌদির নিষ্ঠুর অত্যাচারে অতিষ্ঠহয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পড়লেন একদিন। বোনের বাড়িযাবেন কিনা ভাবতে ভাবতে মেদিনীপুরে এসে পৌছলেন।সেখানে একজনের সাথে তাঁর পরিচয় হয় যিনিক্ষুদিরামের বোনের বাড়ি চিনতেন, তিনি তাঁকে সেইবাড়িতে পৌছে দিলেন।
শিক্ষা জীবনঃ-
ক্ষুদিরাম বসুর শিক্ষাজীবন শুরু হয় তমলুকের হ্যামিলটন স্কুলে। ১৯০২ সালে ক্ষুদিরাম তাঁর বোন অপরূপার স্বামী অমৃতের সাথে তামলুক শহর থেকে মেদিনীপুরে চলে আসেন। সেখানে তিনি মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হন।সেখানে তিনি অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেন।ক্লাস ফাঁকি দেয়া ও পড়াশোনা না করার জন্য স্কুলেরশিক্ষকরা তাঁকে বিভিন্ন শাস্তি দিতেন।ক্ষুদিরাম তাঁরমতো বাউণ্ডুলে স্বভাবের ছেলেদের নিয়ে ভূত ধরা এবংতাড়ানোর দল গড়লেন। তখনকার দিনের কুসংস্কার তাঁকেমোটেও স্পর্শ করতে পারেনি। বরং সমাজের মানুষের মধ্যথেকে কুসংস্কার দূর করার জন্য চেষ্টা চালান তিনি।এজন্য তাঁকে অনেকের বকাবকি খেতে হয়েছে। এক পর্যায়েস্কুল ছেড়ে দিলেন। মেধাবী, দুরন্ত এবং কিছুটা বাণ্ডুলেস্বভাবের কিশোর ক্ষুদিরাম ১৯০৩ সালে অষ্টম শ্রেণীপর্যন্ত লেখাপড়া করে পড়াশুনা বন্ধ করে দেন। এ সময়তিনি ঝুঁকে পড়েন দুঃসাহসিক কর্মকাণ্ডে। অন্যায়অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সংকল্প গ্রহণ করেনতিনি।
বিপ্লবী জীবনের সুচনাঃ-
বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলে পড়ার সময় এক বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয় হয় বিপ্লবী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর সঙ্গে এবং তাঁর হাত ধরেই শুরু হয় ক্ষুদিরামের বিপ্লবী জীবনের সূচনা। সত্যেন্দ্রনাথ তাকে সে যুগের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সশস্ত্র সংগঠন ‘যুগান্তর’ দলের সদস্য করে নেন। এই দল সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে সত্যেন্দ্রনাথএক তাঁতশালা স্থাপন করেছিলেন। তাঁতশালার আড়ালে তিনি তাঁর শিষ্যদেরলাঠিখেলা, অসি চালনা, বোমা ফাটানো, পিস্তল, বন্দুক ছোড়া ইত্যাদি শিক্ষাদিতেন।১৯০৩ সালে ক্ষুদিরাম তাঁর কাছে গুপ্ত সমিতির (সশস্ত্রবিপ্লববাদী সংগঠন) শিষ্য হিসাবে দীক্ষা গ্রহণকরলেন। এতো দিন পর ক্ষুদিরাম মুক্তভাবে নিঃশ্বাসনিতে পারলেন। ইচ্ছে মতো পড়াশুনা, খেলাধুলাসহ নানাকর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত হলেন। বিপ্লবীদেরআদর-স্নেহ-ভালবাসায় সিক্ত করলেন নিজেকে। রাজনৈতিকপড়াশুনা ক্রমান্বয়ে বাড়াতে থাকলেন। শপথ গ্রহণকরলেন দেশমাতৃকাকে ব্রিটিশদের হাত থেকে মুক্ত করারজন্য।এদিকে এসব কারণে তাঁকে তাঁর বোনের সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করতে হল।
বঙ্গভঙ্গবিরোধী ও স্বদেশি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হনক্ষুদিরাম বসু। এ সময় ক্ষুদিরাম সত্যেন বসুর নেতৃত্বেগুপ্ত সংগঠনে যোগ দেন। এখানে তিনি শারীরিক শিক্ষারপাশাপাশি নৈতিক ও রাজনৈতিক শিক্ষা গ্রহণ করেন।এখানে পিস্তল চালনার শিক্ষাও হয়। এই গুপ্ত সংগঠনেরকর্মসূচির অংশ হিসেবে ক্ষুদিরাম ইংল্যান্ডে উৎপাদিতকাপড় জ্বালিয়ে দেন এবং ইংল্যান্ড থেকে আমদানীকৃতলবণবোঝাই নৌকা ডুবিয়ে দেন। এসব কর্মকান্ডে তাঁরসততা, নিষ্ঠা, সাহসিকতা ও বিচক্ষণতার পরিচয় পাওয়াযায়। ফলে ধীরে ধীরে গুপ্ত সংগঠনের ভেতরে তাঁরমর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
১৯০৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মেদিনীপুরের মারাঠা কেল্লায় এক শিল্প প্রদর্শনী হয়। তখন দেশপ্রেমের একটা ছোট বই ছাপাহয়েছে। সেগুলো বিক্রির জন্য তরুণদের উপর দায়িত্ব পড়ল।ক্ষুদিরাম তাদের মধ্যে অন্যতম। সেই মেদিনীপুর মারাঠাকেল্লায় প্রবেশ দ্বারে দাঁড়িয়ে ক্ষুদিরাম বই হাতে বলতে থাকে -
‘আসুন পড়ুন। দেশের দুর্দশার খবর জানুন।অত্যাচারী রাজশক্তির নির্মমতার নজির – এই বইআপনাদের জন্য’।
এমন সময় একজন হাবিলদার এসে ক্ষুদিরামের হাত চেপেধরল। শক্তি ওবয়সে তার চেয়ে অনেক বেশি। তবুও ক্ষুদিরামের কাছে-কুছপরোয়া নেহি। হাবিলদারের মুখের মধ্যে এক ঘুষি মেরেদিলেন সমস্ত শক্তি দিয়ে। তৎক্ষনাৎ নাক ফেঁটে রক্তবেরুলো। সত্যেন বসু ঠিক ওই সময় এসে হাজির হলেন।দেখলেন বিষয়টি। সান্ত্বনা দিলেন হাবিলদারকে।ক্ষুদিরাম মুহূর্তের মধ্যে হাওয়া। কয়েকদিন আত্মীয়েরবাড়িতে আত্মগোপন করে রইলেন। তাতে কি আর একজনদেশপ্রেমিক শান্তি পায়? দেশ জোড়া বিপ্লবের ঢেউ।হাজার হাজার ছেলে মেয়ে জড়িয়ে আছে দেশমাতৃকারকাজে। পুলিশ ধরার ভয়ে আর কত দিন পালিয়ে থাকাযায়? মনস্থির করলেন পুলিশের কাছে ধরা দেবেন। তাইআলীগঞ্জের তাঁতশালায় চলে এসে ধরা দিলেন। পুলিশমারা ও নিষিদ্ধ বই বিলির অপরাধে ক্ষুদিরামেরবিরুদ্ধে রাজদ্রোহের মামলা করা হল। বাংলাসহ সারাভারতবর্ষ এই প্রথম ক্ষুদিরামকে চিনলো। ১৩ এপ্রিলক্ষুদিরাম মুক্তি পেলেন। খানিকটা শাস্তি পেলেন সত্যেনবসু। ক্ষুদিরাম এবার গুপ্ত সমিতির কাজে আরো উঠে পড়েলাগলেন। buy kamagra oral jelly paypal uk
ইতোমধ্যে বিলেতী পণ্য বর্জনের পালা শুরু হলো। বিলেতীপণ্য নৌকায় দেখলে ক্ষুদিরামসহ বাংলার অসংখ্যক্ষুদিরাম বাহিনী তা ডুবিয়ে দিত। ১৯০৭ সালের শেষেরদিকে কালী পুজার সময় একদিন সন্ধ্যার অন্ধকারে তিনিডাকহরকরাকে ছুরি মেরে গুপ্ত সমিতির জন্য টাকা সংগ্রহকরে আনেন।সে সময় বিপ্লবীদের রাজদ্রোহ মামলায় কঠোর শাস্তি দেওয়ার জন্য কলকাতার চিফপ্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড মরিয়া হয়ে ওঠেন।ব্রিটিশ শাসনেরভিত্তিমূলে কাঁপন ধরাতে বিপ্লবীরা প্রথমেই সিদ্ধান্ত নেন কিংসফোর্ডকে হত্যাকরার। যথাসময় এ দায়িত্ব দেওয়া হয় ক্ষুদিরাম বসুর ওপর। আর তার সহযোগী করাহয় রংপুরের আরেক যুবক বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকীকে। বিপ্লবীদের সম্ভাব্য আক্রমণএড়াতে কিংসফোর্ডকে বদলি করা হয় মজফফরপুরে। জীবনের কঠিন ব্রত পালন করতেতারাও রওনা দিলেন মজফফরপুর। দুজনে আশ্রয় নিলেন কিংসফোর্ডের বাসভবনের পাশেরএকটি হোটেলে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা কিংসফোর্ডের গতিবিধি লক্ষ্যকরতে থাকেন। কিংসফোর্ডের বাসভবনের পাশেই ইউরোপিয়ান ক্লাব। অফিস আর ক্লাবছাড়া কিংসফোর্ড বাইরে যেতেন না।
ক্ষুদিরামের অভিভাবক সত্যেন বসুর কাছে চিঠি লিখেপাঠানো হলো। চিঠি অনুযায়ী ১৯০৮ সালের ২৫ এপ্রিলক্ষুদিরাম কলকাতায় এসে পৌছালেন। গোপীমোহন দত্তের১৫ নম্বর বাড়ি ছিলো বিপ্লবীদের তীর্থক্ষেত্র। এখানেবসেই হেমচন্দ্র ও উল্লাসকর শক্তিশালী’book bomb’ তৈরী করলেন। এ বোম বইয়ের ভাঁজে রাখা যেত। বেশকৌশলে একটি বই কিংসফোর্টের কাছে পাঠানো হলো।কিন্তু কিংসফোর্ট বই না খোলার কারণে সে যাত্রায়বেঁচে গেলেন।
শুরু হলো আবার নতুন প্রস্তুতি। প্রফুল্ল চাকী ও ক্ষুদিরামকলকাতা রেলস্টেশনে পৌছার পর বারীণ ঘোষ তাঁদেরকাছে কিংসফোর্টকে মারার জন্য বোমা পৌছে দিলেন।বোমার সঙ্গে রিভলবার কেনার জন্য কিছু টাকা ওমজঃফরপুরে যাওয়ার মানচিত্র দেয়া হলো তাঁদেরকে।প্রফুল্ল চাকী ও ক্ষুদিরাম প্রথম একত্রিত হলেনরেলস্টেশনে। এর আগে কেউ কাউকে চিনতেন না। কথাহলো। কিংসফোর্টকে হত্যা করার জন্য ইস্পাত দৃঢ় সংকল্পকরলেন তাঁরা। এরপর সতর্কতার সাথে চলে যানমজঃফরপুরে। কারণ এখানেই বাস করেন কিংসফোর্ড।প্রতিদিন ক্লাব হাউজ থেকে সন্ধ্যার পর সাদা ফিটনগাড়িতে করে নিয়মিত বাড়ি ফিরে আসেন কিংসফোর্ট।পাঁচ দিন অতিবাহিত হলো, কিন্তু তাঁকে হত্যা করারউপযুক্ত সুযোগ পেলেন না।
১৯০৮ সালের ৩০ এপ্রিল। বাইরে আগে থেকেই দুই বিপ্লবী প্রস্তুত ছিলেন।গাড়িটি ফটক পার হতে না হতেই প্রচণ্ড শব্দে পুরো শহর কাঁপিয়ে একটি বোমাবিস্ফোরিত হলো। কেনেডির স্ত্রী ও তার মেয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। বিধ্বস্তগাড়িটি এক পাশে উল্টে পড়ে। যাকে হত্যার জন্য বোমার বিস্ফোরণ, সেইকিংসফোর্ডের গাড়িটি অক্ষত অবস্থায় মাত্র কয়েক হাত দূরে দাঁড়িয়ে।বোমা নিক্ষেপ করেই দুই বিপ্লবী ছুটলেন দুই দিকে।কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না তাঁদের, কারণকিছুদূর যাওয়ার পর পথে ব্রিটিশ পুলিশের হাতে ধরাপড়লেন ক্ষুদিরাম ও প্রফুল্ল চাকী। প্রফুল্ল চাকী ধরা পড়ারসাথে সাথে নিজের মাথায় রিভলবারের গুলি ছুঁড়েআত্মহত্যা করেন।ক্ষুদিরাম গ্রেপ্তার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গোটা শহর যেন মুহূর্তে ভেঙে পড়ল।পুলিশবেষ্টিত ক্ষুদিরামকে একনজর দেখতে হাজারো লোক ভিড় জমাল ওয়াইসিরেলস্টেশনে। উৎসুক জনতার উদ্দেশে ক্ষুদিরামের কণ্ঠে তখন ধ্বনিত হলো বজ্রনিনাদ বন্দেমাতরম…!
হাসতে হাসতে ফাঁসির কাষ্ঠে গমনঃ-
অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই তরুণ বিপ্লবীকে নিয়ে ব্রিটিশ সরকার অনেকটা বিপাকেইপড়ে যায়। যত দিন যাচ্ছিল, সারা ভারতে ক্ষুদিরামকে নিয়ে এক ধরনের উন্মাদনাতৈরি হচ্ছিল।
ব্রিটিশের মাথা থেকে সেই বোঝা নেমে যায় সেদিন, যেদিন মামলায় ভারতীয়দণ্ডবিধি আইনের ৩০২ ধারা মোতাবেক ক্ষুদিরামের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়।১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট ভোর পাঁচটায় ব্রিটিশ সরকার ১৮ বছরের সেই তরতাজা যুবককে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড় করায়।কারাফটকের বাইরে তখন হাজারো জনতার কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে ‘বন্দেমাতরম’ স্লোগান। ফাঁসিতে ঝোলানোর আগে কারা কর্তৃপক্ষ যুবকটির কাছে জানতে চাইল, মৃত্যুর আগে তাঁর শেষ ইচ্ছা কী? যুবকটি এক সেকেন্ড অপেক্ষা না করেইনিঃশঙ্কচিত্তে বলে উঠলেন,
‘আমি ভালো বোমা বানাতে পারি, মৃত্যুর আগে সারাভারতবাসীকে সেটা শিখিয়ে দিয়ে যেতে চাই।’
উপস্থিত কারা কর্তৃপক্ষ সেদিনবিস্মিত হলো যুবকটির মানসিক দৃঢ়তা আর ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের প্রতি তীব্রঘৃণাবোধ উপলব্ধি করে।আজ এই অগ্নিমানব, মহা বিপ্লবীর ১২৫ তম জন্মদিন। আজকের এই দিনে হৃদয়ের গভীর থেকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি তাঁকে। ক্ষুদিরামদের বিনাশ নেই, তাঁরা বেঁচে থাকবে হাজার হাজার বছর মানুষের হৃদয়ে…
তথ্যসূত্রঃ-
- http://www.gunijan.org.bd/GjProfDetails_action.php?GjProfId=278
- http://www.sonelablog.com/archives/4134
- http://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE_%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%81
- http://www.somewhereinblog.net/blog/cowboyineast/29640588
walgreens pharmacy technician application online
অপার্থিব বলছেনঃ
শ্রদ্ধা রইলো এই মহান বিপ্লবীর প্রুতি ।
জন কার্টার বলছেনঃ
metformin gliclazide sitagliptinবিপ্লবীর মৃত্যু আছা বিপ্লব এর না…………
আর আসঙ্খ ধন্যবাদ ফাতেমা
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
আপনার বানানার হঠাৎ এই অবস্থা হইল ক্যা?
viagra vs viagra plus
তারিক লিংকন বলছেনঃ
zoloft birth defects 2013বানানা কি ক্লান্ত দ্যা?
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ
glyburide metformin 2.5 500mg tabsতারিক লিংকন বলছেনঃ
can you tan after accutaneদারুণ তহ্যবহুল হয়েছে পোস্টটি!
অগ্নিবিজেতাকে শত সহস্র সালাম আর আপনাকে অফুরন্ত ধন্যবাদ মনে করে সবাইকে মনে করিয়ে দিবার জন্যে!
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ half a viagra didnt work
লেখাটি পড়বার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
এই মহান বিপ্লবীর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ acquistare viagra in internet
মহান বিপ্লবীর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
মষ্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
বিনম্র শ্রদ্ধা