দীপ নেভার আগে…
বার পঠিত
চোখের সানগ্লাস, ঠোঁটে সিগারেট, হাতে স্টেনগান– আধুনিক মডেলের একটা গাড়ি থেকে নেমেই মুহূর্তের মধ্যে নীরবে পজিশন নিল ওরা। রাজপুত্রের মত চেহারা আর স্টাইলিশ বেশভূষা দেখে বোঝার উপায় নাই কি ভয়ংকর তারছিঁড়া পোলাপান এরা, ঢাকা শহরটা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জন্য একেবারে নরক বানায়ে তুলছিল এই বাচ্চা ছেলেগুলো। তারছিঁড়া ক্র্যাক পোলাপান ছিল সব, অসামান্য দুঃসাহসী সব কর্মকাণ্ড দেখে দুই নম্বরের সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ বললেন, দিজ আর অল ক্র্যাক পিপল। তখন থেকেই এই ছোট্ট দলটার নাম ক্র্যাক প্লাটুন…
পাকিস্তান সেনাবাহিনী তখন সাক্ষাৎ যমদূত, সারা দেশে লাখ লাখ নিরীহ মানুষকে বিনা কারনে অবলীলায় গুলি করে মেরে ফেলতেছে ওরা। একটা পিঁপড়াকে যেমন বিনা কারনে ইচ্ছে হলেই টিপে মেরে ফেলি আমরা, বিন্দুমাত্র অনুশোচনাও হয় না তাতে,ঠিক সেইভাবে পাকিস্তানী সেনারা ইচ্ছে হলেই যাকে-তাকে যখন তখন গুলি করে,বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে মেরে ফেলতেছিল। অনুশোচনা তো দূরে থাক, বরং এইটা ছিল তাদের কাছে একটা প্রিয় খেলা। আর তরুন কিংবা যুবকদের গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাইতেছিল অজানা গন্তব্যে, যারা যাইতেছিল, তারা আর ফিরে আসতেছিল না। ভয়ংকর আতংকে জমে থাকতো ঢাকা শহরের মানুষগুলো, যেকোনো মুহূর্তে ঠা ঠা ঠা করে কিছু গুলি আসবে, একটু আগে যারা বেঁচে ছিল, তারা হুট করে মারা যাবে, এর চেয়ে বড় যন্ত্রণা আর ভয়ংকর ঘটনা আর হতে পারে না। বেশিরভাগ সময় তাদের উপর ভয়ংকর টর্চার করা হইত, অমানুষিক নির্যাতনের এক পর্যায়ে কেবল নির্যাতন থেকে বাঁচার জন্য আত্মহত্যা করার চেষ্টা করত মানুষগুলো। কিন্তু তাদের আত্মহত্যা করতে দিত না পাকি শুয়োরগুলো।
এইরকম তীব্র ভয় আর আতংকের উপত্যাকায় হঠাৎ করেই কয়েকটা অসম দুঃসাহসী ছেলে রুখে দাঁড়াইল, পুরো ঢাকা শহরে হিট অ্যান্ড রান পদ্ধতিতে একের পর এক ভয়ংকর গেরিলা আক্রমন চালাইতে লাগলো, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অন্তরাত্মা কেঁপে গেল, শহরের প্রতিটা জায়গায় প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে একের পর এক গ্রেনেড বিস্ফোরণে আর অ্যামবুশে পাকিস্তান সেনাবাহিনী হতভম্ব হয়ে গেল, তাদের আতংক আর ভয়ের সীমাপরিসীমা রইল না…
Ilajar Islam ক্র্যাক প্লাটুনের সেই বঙ্গশার্দূলদের নিয়ে একটা মুভি বানাতে চেয়েছিলেন। মুভির নাম ঠিক হয়েছিল “দীপ নেভার আগে”। অডিওট্র্যাক রিলিজ হয়েছিল ২০১০ সালে, বিখ্যাত মিউজিশিয়ান ফুয়াদ , মাহের আর উপল মিলে গানগুলো কম্পোজ করেছিলেন। প্রত্যেকটা গানই শ্রোতাদের অসাধারন রেসপন্স পেয়েছিল। মুভির কিছু ফুটেজ নিয়ে এক্সপেরিমেন্টাল ট্রেলার বানানো হয়েছিল, যেটা ইউটিউবে আপলোড করা হয় ২০০৯ সালে। সবাই আশায় বুক বেঁধেছিলেন তখন। ৪০ বছর পরে হলেও দেশের বীর সন্তানদের নিয়ে মুভি হচ্ছে, তাদের প্রজন্মের সাম্নে তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে…
কিন্তু না, মুভিটার কাজ এরপর মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। কি কারনে বন্ধ হয়ে গেল, এ ব্যাপারে তখন কিছু জানা গেলেও কয়েকদিন আগে পরিচালক জানিয়েছেন, প্রায় দুই বছর মুভিটা নিয়ে স্ত্রাগল করার পর শেষপর্যন্ত কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। একটা গেরিলা মুভি বানাবার জন্য যে পরিমান বাজেট তিনি পেয়েছিলেন, সেটা নিতান্তই অপ্রতুল, ন্যূনতম মান ধরে রাখার জন্য যেটা অপর্যাপ্ত। অ্যান্ড মোস্ট ইম্পরট্যান্টলি, তিনি দ্রুত খ্যাতি পেতে মুভির স্ক্রিপ্টের সাথে কম্প্রমাইজ করতে পারবেন না, ক্র্যাক প্লাটুনের বীরত্বগাঁথার সাথে কম্প্রোমাইজ করতে পারবেন না। ফলাফল অর্থের অভাবে “দীপ নেভার আগে” মুভির কাজ বন্ধ হয়ে গেল। aborto por segunda vez con cytotec
আজ স্বাধীন বাংলাদেশে রুবাইয়াৎ খানের মত নিকৃষ্ট প্রাণীরা মেহেরজানের মত বিকৃত রুচির অচিন্তনীয় মিথ্যাচারে ভরা জঘন্য চলচ্চিত্র তৈরি করে, কিন্তু ক্র্যাক প্লাটুনের তারছিঁড়া ক্র্যাক যোদ্ধাদের নিয়ে তৈরি হতে চাওয়া চলচ্চিত্র অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে যায়। বিচিত্র এক জাতি আমরা, পৃথিবীর অন্য দেশগুলো যেখানে তাদের বীরদের স্মৃতি সংরক্ষন করে অপরিসীম শ্রদ্ধা আর সম্মানে, স্মরন করে প্রজন্মের পর প্রজন্ম, সেখানে আমরা আমাদের বীরদের ইতিহাসের পাতা থেকে নিখুঁতভাবে মুছে ফেলার সর্বাত্মক চেষ্টা করি, তাদের বীরত্বগাঁথাকে পরিণত করি মিথে, রূপকথায়…
বিঃ দ্রঃ- এক্সপেরিমেন্টাল ফুটেজটা দিলাম। রুমি, বদি, আজাদ, জুয়েলের উপর অমানুষিক নির্যাতন শেষে তাদের এক লাইনে দাড় করানো হয়েছে। হাত বাঁধা, চোখ বাঁধা, খুব ধীরে ধীরে একজন উচ্চারন করছে জর্জ হ্যারিসনের “বাংলাদেশ” গানের সেই অসামান্য লাইনগুলো…
মাই ফ্রেন্ড কেম টু মি, উইথ স্যাডনেস ইন হিজ আইস
হি টোলড মি দ্যাট হি ওয়ান্টেড হেল্প
বিফোর হিজ কান্ট্রি ডাই’স
অলদো আই কুডন’ট ফিল দ্যা পেইন, আই নিউ আই হ্যাড টু ট্রাই
নাও আই এম আস্কিং অল অফ ইউ
টু হেল্প আস সেভ সাম লাইভ’স
বাঙলা–দেশ বাঙলা–দেশ
এতো আবেগ দিয়ে এতো যন্ত্রণা কিভাবে ফুটিয়ে তুলল এরা? কিভাবে?
https://www.youtube.com/watch?v=QgmBhEXYLzs
তথ্য কৃতজ্ঞতা- Nafeez Moontasir Robin ভাই
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
খুবই ভালো লাগলো।
day 21 no ovulation clomid
জন কার্টার বলছেনঃ
চমৎকার ডন দা……………।।
তারিক লিংকন বলছেনঃ
দারুন একটি প্রয়াস!
আমাদের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রথাগত ভুলগুলো আমাদের কাটিয়ে উঠতে হবে! আমরা ভাল করে সব কিছু রপ্ত করার আগেই কাজে নেমে পরি! তারপর গঠনমুলক সমালোচনা সইতে পারি না। যাহোক, ১ অগাস্ট ১৯৭১ সালে জর্জ হ্যারিসন প্রথম তাঁর বিখ্যাত বাংলাদেশ গানটি গায়। রুমিদের ফায়ারিং লাইনে পরতে হয় কবে আমার সঠিক দিন এই মুহূর্তে খেয়াল নেই। তবে কোন অবস্থাতেই ক্র্যাক প্লাটুনের কেউ এই গানটি জানতো না ১৯৭১ এ…
এছাড়াও অনেক ভুল ত্রুটি আছে আমাদের ডিটেইলের কাজে!!
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
আচ্ছা, তাহলে এখন কি হবে !!! ছবিটার কাজ কি বন্ধ হয়ে থাকবে !! না এইটা তো হইতে দেয়া যাইতে অয়ারে না, কিছুতেই না। কিছু একটা করতেই হবে। দরকার হইলে আমরা, সবাই মিলে সাহায্য করবো। একটা ইভেন্টের ডাক কি দেয়া যায় না ??
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
clobetasol cream online pharmacy***পারে
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
ট্রেইলারটা দেখলাম। এখানেও পুরোটা অংশ জুড়ে আর্থিক দৈন্যতার চিত্র স্পষ্ট। আমরা আমাদের তথাকথিত কমার্শিয়াল বস্তাপঁচা মুভির পেছনেও কোটি কোটি টাকা খরচ করি। সেটা তুলেও আনি। কিন্তু, দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের জাতির সামনের তুলে ধরার প্রচেষ্টা অর্থাভাবে থেমে যায়…
মষ্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
দ্বীপ জ্বলার আগেই নিভে গেল?!!!