মুক্ত বিহঙ্গ (রোমান্টিক গল্প)
3102
বার পঠিত[এক]
মোটা একটা বই নিয়ে বসে আছে তানহা । এ মেয়েটা বই ছাড়া আর কিচ্ছু চিনে না । অনেকের ধারণা মরার আগে কেউ যদি ওকে জিজ্ঞাসা করে তোমার শেষ ইচ্ছা কি তাহলে সে বলবে- আমার কবরের মাঝে কিছু বই দিয়ে দাও ! এখানে বেড়াতে এসেও ও বই ছাড়ে নি । পড়তে পড়তে চোখের অবস্থা ১২ টা বাজিয়েছে । বয়স মাত্র ২০ কিন্তু এ বয়সেই ওর চোখে ২.৭৫ বিবর্ধন ক্ষমতার চশমা । আরেকটু বুড়ো হলে না জানি চোখে কি উঠবে ? private dermatologist london accutane
ওর পাশে বসে কফি খাচ্ছে স্নেহা । তানহার বেস্ট ফ্রেন্ড । কিন্তু তানহার সাথে ওর স্বভাবের একটুও মিল নেই । এ দুজন কিভাবে ফ্রেন্ড হল সেটা কারো মাথায় ঢুকে না ।
তানহা খুব ধীর, শান্ত স্বভাবের মেয়ে । পড়াশুনা ছাড়া অন্য কিছুতে তেমন ইন্টারেস্ট নেই । আর স্নেহা ? একমাত্র পড়ালেখা ছাড়া আর যত অকাজ এবং কুকাজ আছে সবই তার সমান প্রিয় । উজ্জ্বল ফর্সা, দুধে আলতা গায়ের রং, ভয়ার্ত হরিণীর মত টানা টানা চন্ঞ্চল চোখ, মায়াকাড়া চেহারার অপূর্ব এই মেয়েটির কোন অপূর্ণতা নেই । নাচ-গান-আবৃত্তি সবকিছুতেই সমান দক্ষতা তার । চমত্কার সব কবিতা লিখে । প্রায়ইশ জাতীয় দৈনিকগুলোতে ওর কবিতা ছাপা হতে দেখা যায় । মাঝে মাঝে শখের বসে গল্প লিখে । আর তার হাসির গল্পগুলো পড়ে বান্ধবীদের হাসতে হাসতে দম বন্ধ হবার জোগাড় হয় । ঘুরতে বিশেষ পছন্দ করা এই মেয়েটি একটা মিনিটও কোথাও স্থির হয়ে বসতে পারে না । যেখানেই যাক পুরো আড্ডা জমিয়ে রাখতে তার জুড়ি নেই । ওর হাতের রান্না অসাধারণ । একবার খেলে কেউ ভুলতে পারবে না । সুন্দরীরা গাধা হয় এ প্রবাদটি ওর ক্ষেত্রে খাটে না । পড়ালেখা কম করলে কি হবে ? সব পরীক্ষায়ই সুপার ডুপার রেজাল্ট ! মেডিকেলে কি আর এমনি এমনি চান্স পায় ? ওরা দুজনই DMC-র স্টুডেন্ট । এতসব গুণ যার মাঝে থাকে তার খানিকটা অহংবোধ থাকার হক জন্মায় । কিন্তু এ মেয়ের মাঝে অহংকারের ছিটে ফোঁটাও নেই ।
সে যেখানেই যাক না কেন, কমপক্ষে শ’খানেক ছেলে তার প্রেমে পড়ে । কিন্তু সে নিজে কারো প্রেমে পড়ে না ! সবাইকেই সে সমান গুরত্ব দেয় । সবার সাথেই হাসিমুখে কথা বলে । কিন্তু যারা ঐ হাসির ভিন্ন কোন অর্থ খুঁজে বের করার চেষ্টা করে সাথে সাথেই তাদের মুখটা বন্ধ করে দেয় ! আর এ একটি মাত্র কারণেই সে এখনো সিঙ্গেল !
ওর বান্ধবীরা যখন গর্ভ ভরে নিজেদের বয়ফ্রেন্ডের কথা বলে বেড়ায় তখন সে হাসিমুখে তাদের বলে- দেখ, আমার মা বাবা আমাকে অনেক কষ্ট করে জন্ম দিয়েছেন, বড় করেছেন, লেখাপড়া করাচ্ছেন । এবং আমি নিশ্চিত যে তারা আরো খানিকটা কষ্ট আমার জন্য করবেন । একটি ভাল ছেলে দেখে আমাকে পাত্রস্থ করবেন । আমি প্রেম বিদ্বেষী না । অবশ্যই আমি প্রেম করব । তবে এখন না । বিয়ের পর । আমার স্বামীর সাথে । বুঝলি ??
এই হল স্নেহা ।
সদা চন্ঞ্চল এমেয়েটি আজ দুদিন ধরে খুব চুপচাপ । তানহা খেয়াল করেছে ব্যাপারটি । কিন্তু কিছু বলে নি । কফির সাদা মগটা টি টেবিলের উপর রেখে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল,
-: বুঝলি রে তানু, আমি বোধহয় শেষ !
বই থেকে মুখ না তুলেই তানহা বলল,
-: কেন ? কি হয়েছে ?
-: সারাজীবন যেটা এড়িয়ে গেছি মনে হচ্ছে সেটাই হয়ে গেছে !
ব্যালকনি দিয়ে দূর আকাশের পানে তাকিয়ে থাকা স্নেহাকে লক্ষ করল তানহা । তারপর কন্ঠে যথেষ্ট মমতা ফুটিয়ে তুলে সে বলল,
-: কি হয়েছে রে ? আমাকে খুলে বল ।
-: আমি ঠিক সিউর না । বাট আই থিঙ্ক, অ্যাম ইন লাভ….
চশমার ভেতর থাকা টেনিস বলের সমান চোখ দুটো কে রীতিমত ফুটবলের সমান করে এবং একই সাথে চরম অবাক এবং হতভাগ হয়ে সে চিত্কার করে উঠল,
-: হোয়াট ? তুই প্রেমে পড়ছস ? তুইইই ? কার ?
-: উইথ নীল ।
-: নীল ! জিয়া ভাইয়ার ফ্রি ল্যান্সার বন্ধুটা ?
-: হুম !
-: দেখ স্নেহা, আমি নীল ভাইকে খারাপ বলছি না । এই কয়দিনে যা দেখেছি তাতে খারাপ কিছু চোখেও পড়ে নি । কিন্তু আমরা তো তার সম্পর্কে তেমন কিছুই জানি না । না জেনেশুনে এমন একটা সিদ্বান্ত নেয়াটা কি ঠিক হবে ?
-: জানি না তো কি হয়েছে ? জেনে নেব….
-: কিন্তু তারপরও…. can levitra and viagra be taken together
ভিতর থেকে ফারিয়া এসে তাদের সাথে যোগ দিল । ফারিয়া ওদের রুমমেট । মূলত তার বড় বোন সিলভিয়ার বিয়েতেই তারা এখানে এসেছে । এসেই সে বলে উঠল,
-: কি রে ? কে মরছে ? চিল্লাস কেন ? zoloft birth defects 2013
-: কেউ মরে নাই । কিন্তু কেন চিল্লাই সেটা শুনলে তুই আরো জোরে চিল্লাবি ।
-: তাই নাকি ? তাহলে বল । শুনে আমিও একটু চিল্লাই !
-: স্নেহা ইজ ইন লাভ !
-: হোয়াট….? স্নেহা…. তুইও শেষ পর্যন্ত তাহলে ডুবে ডুবে পানি খেতে শুরু করলি ?
-: না । বিষয়টা আসলে ঠিক তেমন না । আমি জানি না এটা লাভ কিনা ? কিন্তু যখনই তার কথা ভাবি তখন অন্যরকম একটা অনুভূতি হয় । তার সামনে গেলেই হার্টবিট অনেক বেড়ে যায় । এ অনুভূতিটির সাথে আমি ঠিক পরিচিত নই ।
-: এই অনুভূতিটির নামই ভালবাসা । বুঝলিরে গাধী ?
-: হুম…
-: নাম কি সে সৌভাগ্যবানটার যার প্রেমে তুই Sinking sinking drinking water ?
-: নীল ।
-: ভাইয়ার বন্ধু নীল ?
-: হুম…
-: হায় হায় ! কস কী ? আমিও তো উনার প্রেমে পড়ছি ।
-: হোয়াট…..?
-: হুম । তবে চিন্তা করিস না । তুই জীবনে প্রথম বার প্রেমে পড়লি ! তোর জন্য আমার প্রেম সেক্রিফাইস করে দিলাম । হি হি হি !!!
-: যা ভাগ !
-: উনারে বলছস ?
-: না । ভয় লাগে । যদি না করে দেয় ?
-: কি ? তোরে না করব এমন বুকের পাঠা পৃথিবীর কোন ছেলের আছে নাকি ? তুই খালি একবার বল । তারপর দেখ কি হয় ?
-: প্রপোজ করব ?
-: উউউ ! না থাক ! তুই খালি একটা ইশারা দেয় । দেখবি সে নিজেই এসে প্রপোজ করবে ।
-: ইশারা ? সেটি কিভাবে ?
-: উনার সামনে গিয়ে একটা লাস্যময়ী হাসি দিবি । আই থিঙ্ক, দ্যাট ইউল বি এনাফ !
-: সিউর তুই ? amiloride hydrochlorothiazide effets secondaires
-: হান্ড্রেট পার্সেন্ট !
-: না মানে । উনি একটু অন্যরকম !
:- সব মেয়েরাই তাদের বয়ফ্রেন্ডকে একটু অন্যরকম ভাবতে পছন্দ করে । ব্যাপার না সেটা ।
-: হুম…. zithromax azithromycin 250 mg
-: হুম কি ? যা বলছি তা কর ।
-: আচ্ছা দেখি ।
-: আচ্ছা দেখি কোন কথা রে ? এখন গিয়ে কর….
-: ওক্কে বাবা । এমন করিস ক্যান ? বললাম তো করব ।
-: কখন করবি ?
-: আজ সন্ধ্যায় ।
-: সিউর তো ?
-: হুম…. সিউর । cialis new c 100
-: বেস্ট অফ লাক । will metformin help me lose weight fast
-: থ্যাংকস ।
[দুই]
নীল । অদ্ভুত এক ছেলে । হালকা পাতলা গড়নের উজ্জল ফর্সা এই ছেলের মুখ থেকে হাসি কখনো সরে না । সদা হাস্যময়ী এই ছেলে শুধু নিজেই হাসে না ! এমন এমন সব কথা বলে, যারা ওর আশেপাশে থাকে হাসতে হাসতে তাদের অবস্থা বারোটা বেজে যায় ! কিন্তু তাই বলে তাকে জোকার ভাবাটাও উচিত হবে না । কারণ তার কাজকর্ম ঠিক জোকারের মত না ! তার প্রতিটি সিদ্ধান্তের পিছনে থাকে অত্যন্ত বিচক্ষণতার ছোঁয়া….
বন্ধুদের জন্য অন্তঃপ্রাণ । কখনো কাউকে না করে না সে । অনেকটা নেপোলিয়ানের ভাবাদর্শে বিশ্বাসী । অসম্ভব বলে খুব কম জিনিসই তার অভিধানে আছে । নিজের প্রয়োজনে কাউকে পাশে পাক বা না পাক, বিপদের সময় সবাই তাকে কাছে পায় । যেকোন সমস্যার তাত্ক্ষণিক সমাধানে তার জুড়ি নেই । স্বাধীনচেতা মনোভাবের অধিকারী এই ছেলে ঘোরাঘুরি খুব পছন্দ করে । দুদিন এখানে তো দুদিন ওখানে । দেশের আনাচে কোনাচে তার বন্ধুর অভাব নেই ! শুধু ঘোরাঘুরিতে অসুবিধা হবে ভেবে কোন চাকারিও করে না ! তার বর্তমান একটি খোলা ডাইরী । গোপনীয়তার লেশমাত্র নেই সেখানে । কখন কি করে না করে সবাই সেটা জানে । কিন্তু তার অতীত একটি এক্স-ফাইলের মত । সেখানে কি আছে কেউ জানে না । তাকে জিজ্ঞাসা করেও কোন সদুত্তর পাওয়া যায় না ।
জিয়ার মুখে তার বন্ধুর প্রশংসা শুনে শুনে সবার কান ঝালাপালা ! তাই যখন সুযোগ আসল সুপারম্যান টাইপ এই ছেলেটিকে দেখার সুযোগ কেউ হাতছাড়া করতে চাইল না । জিয়ার মায়ের বিশেষ অনুরোধেই সিলভিয়ার বিয়েতে এসেছে নীল । metformin synthesis wikipedia
সবাই ভেবেছিল জিয়া বুঝি গুলপট্টি মারছে তার বন্ধুকে নিয়ে । একটা মানুষের কখনোই এতসব গুণ থাকতে পারে না । কিন্তু নীলকে স্বচক্ষে দেখার পর তার সম্পর্কে সবার ধারণা বদলে গেছে । যদিও সে এখানে মেহমান হিসাবে এসেছে কিন্তু সিলভিয়ার বিয়ের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা বলতে গেলে সে একাই সামলাচ্ছে । বিয়ের এক সপ্তাহ আগেই সে বিয়ে বাড়িতে আসে । তারপর থেকে এক মূহুর্তের জন্যও বিশ্রাম নেয় নি । অনেকে তো ভেবে বসেছে নীলের বোনের বিয়ে হচ্ছে, জিয়ার বোনের না ! আর সবাইকে এত আপন করে নিয়েছে, বাইরের কেউ কস্মিনকালেও বিশ্বাস করবে না যে নীল এ বাড়িতে প্রথম বারের মত এসেছে, এ মানুষগুলোর সাথে তার আগে কোনদিন দেখা হয়নি, এদের সাথে তার রক্তের কোন সম্পর্ক নেই !
জিয়ার মা তো ঘোষণাই দিয়ে দিয়েছে যে নীলই তার বড় ছেলে । বন্ধুর এত আদর যত্নে জিয়া খানিকটা নাখোশ কিন্তু তার অখুশীকে কেউ বিশেষ পাত্তা দিল না ! যেখানে নীল আছে সেখানে দু-চার টা জিয়া না থাকলেও কারো কোন ক্ষতিবৃদ্ধি হবে না !
সবাই যেখানে নীল বলতে মাতোয়ারা সেখানে স্নেহা কেন পিছনে পড়ে থাকবে ? আসলে নীলের স্বাধীনচেতা পরোপকারী স্বাভাবই তার প্রতি তাকে আকৃষ্ট করেছে । জীবনে এই প্রথম কোন ছেলের প্রতি বিশেষ কিছু অনুভব করছে সে । এ নিয়ে সে খানিকটা লজ্জিতও । মাত্র কয়েকদিনের পরিচয় । তারপরও যেন মনে হয় কতদিনের চেনা !! বলি বলি করেও মনের জমানো কথাগুলো তাকে বলা হচ্ছে না ।
নীলটাও যে কি ! কিছুই বোঝে না । সে একটা মেয়ে হয়ে আগ বাড়িয়ে নিজের মনের কথা কিভাবে বলবে ? will i gain or lose weight on zoloft
কিন্তু শেষে কোন উপায় না দেখে বলার ই সিদ্ধান্ত নিল । এখন শুধু সুযোগের অপেক্ষা ।
সুযোগ পেলে না হয় বলা যাবে । এর আগে স্বপ্ন দেখতে তো দোষ নেই ! প্রথম প্রেমের প্রথম অনুভূতি । অনেক রঙিন স্বপ্ন ভাসতে থাকে সদা কল্প বিলাসী স্নেহার চোখে….
[তিন]
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা মোটামুটি শেষ । অতিথিরাও বেশির ভাগ চলে গেছে । যারা আছে তারাও আজ-কালকের মাঝে চলে যাবে ।
বিশাল এক যজ্ঞের সমাপ্তি হল । সবাই কম বেশি ক্লান্ত । নীল আর জিয়ার অবস্থা বেশি খারাপ । গত কয়দিনে না ছিল খাওয়া দাওয়ার ঠিক, না ছিল ঘুমের ঠিক । চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে । তবে এ নিয়ে কারোই বিশেষ কোন টেনশন নেই । সবকিছু ভালয় ভালয় শেষ হয়েছে- এতেই সবাই খুশী ।
রাতে সবাই একসাথে খেতে বসেছে । জিয়ার আম্মু নীলের প্রশংসা করে বলল- এই বিয়েতে যদি কেউ কাজ করে থাকে তবে তা নীলই করেছে । আর কেউ কিচ্ছু করে নাই । সবাই শুধু টৈ টৈ করে ঘুরছে আর খাইছে !
নীল সাথে সাথেই প্রতিবাদ করল- কি যে বলেন না আন্টি ! আমি তো শুধু ঘুরে ঘুরে সবার উপর মাতাব্বরী করছি ! কাজ যা করার তা তো সব এরাই করছে !
জিয়ার আম্মু আবার বলল- হয়েছে হয়েছে । তোমার আর বিনয় দেখাতে হবে না । কে কতদূর করেছে সেটা তো দেখেছিই ! ovulate twice on clomid
নীল কিছু না বলে চুপচাপ খেতে থাকল । পাশ থেকে জিয়া টিপ্পনী কাটল- মা ! তুমিও যে কি না ! ও যখন ক্রেডিট নিতে চাচ্ছে না তখন জোর করে ওকে ক্রেডিট দেয়ার মানেটা কি ?
চুপ থাক- ধমকে উঠলেন আন্টি । তারপর নীলকে বললেন- তা নীল, তোমার সম্পর্কে তো কিছুই জানা হল না ! কোথায় থাক ? কি কর ? ফ্যামেলিতে কে কে আছে ? কিছুই তো বললে না !
:- আন্টি, এতদিন পর যদি এসব জিজ্ঞাসা করেন তাহলে কিভাবে হবে ?
:- আসলে এদিক সেদিকের কাজ নিয়ে এত ব্যস্ত ছিলাম যে পরিচয় জানারও সুযোগ হয় নি । এখন ফ্রি হলাম । এখন বল…. about cialis tablets
তানহা, স্নেহা, ফারিয়া সবাই উত্সুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নীল কি বলে সেটা শোনার জন্য । viagra in india medical stores
একটু হেসে নীল বলল- আমার নাম নীল । ভাল নাম নিলয় মাহমুদ । নিয়মতান্ত্রিক বাঁধা ধরা রুলস ভাল লাগে না বলে কোন চাকরিতে থিতু হতে পারি নি । সফটওয়্যার ডেভেলপম্যান্টের উপর চুক্তিভিত্তিতে কাজ করি । থাকি কোথায় তার হিসাব নেই । দুদিন এখানে তো দুদিন ওখানে ! এই তো…..
:- বারে ! এটা কোন পরিচয় হল ? তোমার বাবা-মা, ভাই-বোন এদের কথা কিছুই তো বললে না ! এরা কোথায় থাকে ? বাড়ি কোথায় তোমাদের ? লেখাপড়া কোথায় করেছ ? জিয়ার সাথে পরিচয় কিভাবে ?
:- ওরে বাবা ! এত প্রশ্ন একসাথে ! জিয়ার সাথে পরিচয় একটা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে কাজ করার সময় । স্বাধীন- এর উদ্যোগে একটা ব্লাড ডোনেট ক্যাম্পে পরিচয় হয় । তারপরে বন্ধুত্ব । এই আরকি…
:- তুমি কিন্তু তোমার ফ্যামেলির বিষয়টা এড়িয়ে যাচ্ছ । ফ্যামেলি সম্পর্কে কিছুই তো বলছ না ?
:- আসলে আন্টি, ফ্যামেলি সম্পর্কে কি জানতেই হবে ?
:- মানে ?
:- মানে হচ্ছে- আমি এই টপিকগুলো নিয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করি না ।
:- কেন ?
:- কারণ জিনিসগুলাই এরকম । তাই বলছিলাম- না জানলে হয় না ?
:- তুমি তো শোনার আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিলে ।
এমন সময় জিয়ার আব্বু কথা বলে উঠল- কেন, বলতে সমস্যা কি ? ফ্যামেলি ব্যাকগ্রাউন্ড খারাপ ? আরে ধুর ! এটা কোন ব্যাপার হল ?
:- না না আঙ্কেল । ব্যাপারটা আসলে সেরকম না ।
:- তাহলে কি রকম ? doctus viagra
:- অনেকটা কষ্টের ।
:- ও । কষ্ট পুষে রেখে লাভ নেই । কোন এক মনীষী বলেছিলেন- শেয়ারে সুখ বাড়ে, কষ্ট কমে । আমাদের সাথে শেয়ার কর । দেখবে কষ্ট অনেকটা কমে যাবে ।
:- তাহলে যে আমার পুরো হিস্ট্রি টা শুনতে হবে ।
:- সমস্যা নাই । বলতে থাক । হাতে যথেষ্ট সময় আছে ।
:- পুরোটা শোনার সামর্থ্য হবে ?
:- সামর্থ্য ?
:- হুম । দূর্বল চিত্তের অনেকে পুরোটা সহ্য করতে পারে না ।
:- ইয়াং ম্যান । আর্মিতে ছিলাম আমি । ভয় পেয়ো না । শুরু কর ।
লম্বা একটা নিঃশ্বাস নিল নীল । সবাই তার দিকে তাকিয়ে আছে । সবার মুখের দিকে একবার চেয়ে শুরু করল সে…..
[চার]
আমার নাম নিলয় মাহমুদ । মা-বাবা, দাদু আর ছোট চাচা নিয়ে আমাদের ছোট্ট সুখের সংসার ছিল । বাড়ি চট্টগ্রামে ।
যে মাসে আমার জন্ম হল ঠিক সে মাসেই ছোট চাচার স্কলারশীফটা হয়ে যায় । এজন্য ছোট চাচা আমাকে তার জন্য লাকী মানতেন । স্কলারশীফ নিয়ে পরের মাসেই তিনি কানাডায় চলে যান ।
বাবা ইন্জ্ঞিনিয়ার, মা ডাক্তার । পরিবারে বাচ্চা বলতে কেবল আমিই ছিলাম । সবার আদর-যত্নে খুব ভাল ভাবেই বেড়ে উঠছিলাম । দাদীর সাথেই বেশী সময় কাটতো । তবে বাবা-মা কারো ভালবাসায়ই কমতি ছিল না । ছোট চাচা প্রতি মাসেই বিশাল বিশাল বক্সে করে আমার জন্য উপহার পাঠাতেন । আমার জীবনের প্রথম দুবছরে যে পরিমাণ গিফট পেয়েছি, তারপরে বাকি জীবনটাতেও সে পরিমাণ গিফট পাইনি !
বয়স তখন তিন । ছোট চাচা ছয় মাসের ছুটিতে দেশে আসবেন । ফ্যামেলিতে একটা উত্সব উত্সব ভাব । সবার প্লান ছিল এবার দেশে এলেই চাচাকে বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়ে দেবেন । কিন্তু স্রষ্টার প্লান বোধহয় অন্য কিছু ছিল । আমরা যখন চাচাকে রিসিভ করার জন্য চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আসছিলাম, কুমিল্লার কাছাকাছি একটা ট্রাকের সাথে আমাদের মাইক্রোবাসটার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় । আব্বু-আম্মু স্পট ডেড । হাসপাতালে নিয়ে যাবার পর দাদীও মারা যান । ডাক্তাররা ভেবেছিলও আমাকে বাঁচানো যাবে না । মাথায় প্রচন্ড আঘাত লেগেছিল । কিন্তু ডাক্তারদের ধারণা ভুল প্রমাণ করে অলৌকিকভাবে আমি রিকোভার করলাম । এক মাস কোমায় ছিলাম । যখন জ্ঞান ফিরল তখন সব শেষ । হয়ত সেদিন মারা গেলেই বোধহয় ভাল ছিল । half a viagra didnt work
ছোট চাচা আর কানাডায় ফিরে যাননি । দেশেই থেকে যান । আমাকে অসম্ভব ভালবাসতেন তিনি । তার ধারণা ছিল- আমার এ অবস্থার জন্য তিনিই দায়ী । আমরা যদি তাকে রিসিভ করতে না যেতাম তাহলে হয়ত এ অবস্থা দেখতে হত না ।
ছয় মাস আমাকে একা একা পাললেন । কিন্তু ব্যবসা, আমার দেখাশোনা সব একত্রে করা তার একার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না । বিয়ে করলেন তিনি ।
আমার চাচীটা অসম্ভব ভাল মানুষ ছিলেন । মা কেমন ছিল সেটা আমার মনে নেই । কিন্তু এই চাচীটার কারণে কখনো মায়ের অভাব অনুভব করি নি । নিজের সন্তানের চেয়েও আমাকে বেশী ভালবাসতেন ।
বিয়ের দুবছরের মাথায় চাচার মেয়ে তুশির জন্ম হয় । খুব কিউট ছিল মেয়েটা । ওকে কোলে নেয়ার জন্য আমার আর চাচার মাঝে প্রায়ই ঝগড়া বাঁধত !
আমি যখন এ লেভেল শেষ করে কানাডায় পাড়ি জমাই তখন তুশি মনে হয় ক্লাস সেভেন পড়ত । চার বছর পর যখন গ্র্যাজুয়েশান শেষ করে দেশে ফিরি তখন সে ছোট্ট মেয়েটা আর ছোট্ট ছিল না ! ওকে দেখে রীতিমত টাশকি খয়েছিলাম ! মাত্র চার বছরে একটা মানুষ কিভাবে এতটুকু বদলে যায় ? দেশে ফিরেই একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে জয়েন করি এক্সিকিউটিভ হিসেবে ।
তুশির সাথে আমার সম্পর্কটা ঠিক প্রেম ছিল না, বন্ধুত্বও ছিল না । ছিল এ দুইটার বাইরে আলাদা কিছু । শুধু বুঝতাম, তুশিই আমাকে সবচেয়ে ভাল বুঝতে পারে । মুখ ফুটে কিছু বলা লাগত না । তার আগেই সে সব বুঝে যেত । এ যেন মানবীয় সংজ্ঞার বাইরে আত্মিক এক সম্পর্ক ।
চাচী কিছুটা আঁচ করেছিলেন । চাচাকে জানালেন । চাচা রাজী ছিলেন । বিয়ে হয়ে গেল ! আমি অবশ্য একটু আপত্তি করতে চেয়েছিলাম । মিনমিন করে বলেছিলাম- এত তাড়াহুড়ার কি আছে ? আগে তুশির পরীক্ষা শেষ হোক । তারপর না হয় বিয়ে….
চাচা ধমক দিয়ে থামিয়ে দিলেন । বললেন- আগে করলেও বিয়ে, পরে করলেও বিয়ে ! শুভ কাজ যত তাড়াতাড়ি করা যায় ততই ভাল !
স্বপ্নের মত ছিল দিনগুলি । ছোটখাটো একটা চাকরি, ফুটফুটে পিচ্চি একটা বউ, মা-বাবার চেয়েও আপন শ্বশুর-শ্বাশুড়ী, দুচোখ ভরা উজ্জ্বল স্বপ্ন….. কি লাগে আর জীবনে ? সত্যি, চাওয়ার আর কিছুই ছিল না ।
তুশির পরীক্ষা যখন শেষ হল, চাচা বললেন- যা হানিমুন করে আয় ! tome cytotec y solo sangro cuando orino
আমি বলি- আপনারাও চলেন !
চাচা ধমক দিয়ে বললেন- তোরা হানিমুন করবি আমরা গিয়ে কি করবো ?
আমি নাছোড়বান্দা । বললাম- আমরা ফার্স্ট হানিমুন করলে আপনারা দরকার হলে সেকেন্ড হানিমুন করবেন ! তবু আপনারা যাচ্ছেন- এটাই ফাইনাল !
চাচা-চাচী, আমি-তুশি, সাথে আমাদের টয়োটা করলা… গন্তব্য বান্দারবান । গাড়ির ফ্রন্ট সিটে বসে আমরা যখন মেঘমালা ছোঁয়ার স্বপ্নে বিভোর, স্রষ্টা বোধহয় তখন মিটিমিটি হেসে আমার ভাগ্যে অন্য কিছু লিখছিলেন ।
তুশির হাতে হাত রেখে একহাতে ড্রাইভ করছিলাম । হঠাত্ কোত্থেকে যেন রাস্তার মাঝখানে এক পিচ্চি উদয় হল । তাকে বাঁচাতে গিয়ে হার্ডব্রেক কষলাম । পিছন থেকে ছুটে আসা লরিটি তা খেয়াল করে নি । পলকেই গুড়িয়ে গেল আমাদের গাড়িটি ।
আবার সে একই কাহিনীর পুনঃরাবৃত্তি । চাচা-চাচী স্পট ডেড, তুশি হাসপাতালে আর আমি মাসখানের জন্য কোমায়….. wirkung viagra oder cialis
যখন জ্ঞান ফিরল তখন আর কিছুই অবশিষ্ট নেই । সব হারিয়ে গেছে । চলে গেছে বিস্মৃতির অতল গহবরে…..
একটানা দীর্ঘক্ষণ কথা বলল নীল । কেউ ওর কথার মাঝখানে টুঁ শব্দও করে নি । কথা শেষ করে মাথা নিচু করল । নিঃশব্দে কয়েক ফোঁটা সোডিয়াম ক্লোরাইডের দ্রবণ বেরিয়ে গেল তার চোখ থেকে । renal scan mag3 with lasix
শুধু তার নয়, সামনে বসা সবার চোখই জলে ভরে গেছে । কারো মুখেই সান্ত্বনার কোন বাণী নেই । আসলে কি বলে সান্ত্বনা দেয়া যায়, সেটাই কেউ ভেবে পাচ্ছে না । জিয়ার আব্বু নিঃশব্দে তার হাত নীলের কাঁধে রাখলেন ।
নীলই আবার কথা বলে উঠল- জানেন আঙ্কেল, মাঝে মাঝে কি মনে হয় ? মনে হয়- একজন মানুষের একজীবনে যতটুকু ভালবাসা পাওয়ার কথা আমি বোধহয় তারচেয়ে খানিকটা বেশীই পেয়ে গেছি । এজন্যই স্রষ্টা আমার ভালবাসার মানুষগুলোকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছেন । কিংবা এও হতে পারে- স্রষ্টা চানই না আমি কারো ভালবাসা পাই । তাই যখনই কেউ ভালবেসে আমার কাছে আসতে চায় ঠিক তখনই স্রষ্টা তাকে তাঁর কাছে টেনে নেন….
“ছি, এভাবে বলে না নীল”- জিয়ার আম্মু বলল ।
স্মিত হেসে নীল জবাব দিল- বলতে তো চাই না । আপনারাই তো বলতে বাধ্য করলেন । জানেন আন্টি, এই যে আপনি আমাকে নীল বলে ডাকলেন, এটা কখনোই আমার নাম ছিল না । তুশি আদর করে আমাকে এ নামে ডাকত । এখন এটাই আমার নাম হয়ে গেছে ।
নীল স্বগত কন্ঠে বলেই চলেছে- আমি কখনো কাঁদি না, মন খারাপ করি না । কারণ আমি জানি, যদি একবার কাঁদি তাহলেই আমি হেরে যাবো । স্রষ্টা আমাকে নিয়ে একটা পরীক্ষা করছেন- একজন মানুষ ঠিক কতটা কষ্ট সহ্য করতে পারে, তার পরীক্ষা । এ পরীক্ষায় আমার হারা চলবে না ।
আমি যখনই কোথাও থিতু হওয়ার চেষ্টা করেছি, বানের জলের মত সব ভেসে গেছে সেখানে । তাই ছন্নছাড়া এই জীবনটা বেছে নিয়েছি আমি । চাকরিটাও ছেড়ে দিয়েছি শুধু রুটিনে থাকতে হবে এ জ্বালায় । রুটিনমাফিক জীবন আমার জন্য নয় । কোন সম্পর্কের বাঁধন আমার নেই, নেই কোন পিছুটান, কোন বাঁধনে জড়াবার ইচ্ছাও নেই । খোলা আকাশের নিচে উড়ে বেড়ানো বাঁধাহীন এক মুক্তবিহঙ্গ আমি । হয়ত এমন কপাল নিয়েই জন্মেছিলাম- বলতে বলতে হঠাত্ থেমে গেল নীল । একটু দম নিয়ে নিচুস্বরে আবার বলল- কাল সকালে চলে যাবো আমি । কিছু এ্যপ্লিকেশন সাবমিট করতে হবে । বায়াররা তাগাদা দিচ্ছে ।
নিঃশব্দে টেবিল ছেড়ে উঠে গেল নীল । ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেল । কে জানে কোথায় যাচ্ছে । হয়ত নিরিবিলি কোন স্থানে । হয়ত অনেক দিনপর প্রাণ খুলে একটু কাঁদবে…..
খাওয়ার টেবিলে তখন শ্মশান ঘাটের মতই নীরবতা ভর করেছে । কারো গলা দিয়েই ভাত নামছে না । যে যার মত করে পাত ছেড়ে উঠে পড়েছে । আসলে এমন একটা কাহিনী শোনার জন্য কেউই মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিল না । কারো হাসির পিছনে যে এতটা কান্না লুকায়িত থাকতে পারে এটা কেউ স্বপ্নেও ভাবতে পারে নি ।
[শেষ]
সবার জীবনেই নাকি কোন না কোন অপূর্ণতা থাকতে হয় ।
তা না হলে সে নাকি স্রষ্টাকে মনে রাখে না ।
এতদিন স্নেহার জীবনে কোন অপূর্ণতা ছিল না । আজ সে টুকুও পূর্ণ হয়ে গেল ।
সে তার ভালবাসার মানুষটিকে বলতেই পারেনি যে কতটা ভালবাসে তাকে ।
[সমাপ্ত]
(প্রথম দিকের লেখা একটা গল্প। সময়টা বোধহয় ২০১২ সালের মাঝামাঝি।) synthroid drug interactions calcium
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
বানানের ভুল যদিও আমার কাছে বড় কোন ব্যাপার মনে হয়না।তবে অর্থ পরিবর্তন করে দিলে সমস্যা।।। ওর বান্ধবীরা যখন গর্ভ ভরে নিজেদের বয়ফ্রেন্ডের…… বানানের ভুলটা হাস্যকর। আরো কিছু আছে। আগের গল্পগুলো আরো বেশি ভাল ছিল। শরতচন্দ্রের একটা বিষয় আমার পছন্দনীয় নয়। ঢালাওভাবে ভাল বর্নণা। যার ভাল বলে তার কোন ত্রুটিই দেখায়না। আপনার এই গল্পে সেই বিষয়টা চোখে পড়েছে
মাহবুব বলছেনঃ
উফ…সকাল সকাল এমন একটা কাহিনী…খুব সুন্দর