অনুগল্পঃ ‘নারী’
453
বার পঠিতহসপিটালের বিছানায় হুশ ফিরতেই, ঝাপসা চোখে চারপাশের কঠিন বাস্তবতাগুলোকে বুঝে ফেলেছিলাম আমি। আশপাশের মানুষগুলির কটাক্ষ ভরা চাহনি আর মার সাথে সাদা পোশাকের নার্সের তিক্ত ব্যবহার হতাশার দীর্ঘশ্বাস গুলিকে শুধু দীর্ঘই করছিলো।
বাঙ্গালী মেয়ের জীবন কত বিচিত্র তাই না? শৈশবের সদ্য বুঝ জ্ঞান হতে শুরু করেছে কি করেনি, শাসনের শেকল বেড়িটা এঁটে যায় পায়ে। এটা কোরোনা, সেটা কোরোনা, এটা তোমার নয়, ওখানে তোমার যাওয়া চলবে না। বেশ চোখে চোখে রাখা যাকে বলে। বয়সটা খানিক বাড়তে শুরু করেছে কি চারপাশের তীর্যক কথা কিংবা চাহনিগুলোও কেমন ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে বন্দীশালার পরিধি আর ক্রমশ কমতে থাকে বাইরে বেরুবার পথ। আশপাশের জগতের নির্মমতা টুকু বুঝতে বুঝতে শৈশব কৈশোরের বেলা ফুরিয়ে যায়।
কৈশোর-যৌবনের মাঝেই মৃদু পড়ালেখার ফাঁকফোকড়ে মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্ন মধ্যবিত্ত বাঙ্গালী মেয়েগুলোর নিজ বাড়িতে সংসার বিদ্যেয় হাতেখড়ি হয়। প্রশিক্ষণটা জোরেশোরেই চলে। রান্নাবান্না শেখো, ঘর গুছানো শেখো, হালকা হাতের কাজ, ধর্ম কিংবা নৈতিকতা সহ আরো কত কিছুই না শেখানো হয় সমাজ কিংবা পরিবার থেকে। বাবার গোসলে গামছা এগিয়ে দেয়া, রাত বিরাতে ঘরে ফেরা ছোট ভাইটিকে যত্ন নিয়ে বসে খাওয়ানো, মায়ের রান্নায় ছুটোছুটি সবকিছুতেই কম বেশি দৃষ্টি দিতে হয়। বিয়ের আগে নিজ বাড়িতে আর বিয়ের পরে শ্বশুর বাড়িতে, শুধু সময়ের ব্যাবধানে কিছু স্থান, কাল, পাত্রের পরিবর্তন। একসময় মায়ার জড়ানো সবকিছু ছেড়েছুড়ে চলে আসতে হয়। তারপর বুকে একগাদা ধুকপুকানি আর মাথায় খানিকটা টেনশন নিয়ে বাসর ঘরে স্বামী দর্শন হয়। অস্টাদশী কিংবা মাত্র বিশ পেরুনো মেয়েটির শুরু হয় আরেক সংসারে মানিয়ে চলার অবিরাম প্রচেষ্টা। capital coast resort and spa hotel cipro
ছুটোছুটির জীবনে কখনো কখনো শাসনের বেড়াজাল টপকে মাঝে মধ্যেই ভালবাসা নামক অদ্ভুত বিষয়গুলো উঁকিঝুকি দেয়। নিজের অজান্তেই মনের সাথে লুকোচুরি খেলে। হৃদয়পটে অদ্ভুত সব ছবি আঁকতে চেষ্টা করে। শেকল ছুটিয়ে তাদের কেউবা নিজের পৃথিবী খুঁজে পায়, কেউ নিজের বোকামিতে ধোঁকা খেয়ে আজীবন চোখের জল ফেলে আবার কেউ নিজের ভালোবাসার প্রাণপাখিটিকে গলাটিপে মেরে, ঘরে দরজা দিয়ে নিশ্চুপ অশ্রু বিসর্জন করে। প্রেমিকের ভাবনায় একাকী বালিশ ভেজায়। buy kamagra oral jelly paypal uk
আমিও একদিন প্রচন্ড কান্নায় বালিশ ভেজালাম। তখন আর বয়স কত হবে, বড় জোর পনেরো কি ষোলোর কিশোরী। বাবার আদরের ছোট মেয়ে অনি। সদ্য স্কুল পেরুনো আমি সেদিন এস.এস.সির শেষ পরীক্ষাটা দিয়ে বাড়ি ফিরবো ফিরবো করছিলাম। বান্ধবী রুনুর সাথে বেশ গল্পগুজবের মাঝেই, এক দীর্ঘদেহী ছেলে এসে ডেকে নিয়ে গেলো ওকে, কিছুক্ষণ পরে রুনু গালভরা হাসি সমেত ফিরে এলো, হাতে একটা নীল খাম। নিতে না চাইলেও একরকম জোর করেই ঠেলেঠুলে দিয়ে দিলো, বললো বাড়িতে গিয়ে খুললেই বুঝবি কি? সেকি ঠাট্টা মষ্করা। আমার মনে আছে, বাড়িতে ঢুকে দরজা দিয়ে খাম খোলার আগে কমপক্ষে ছ ‘সাত বার চারপাশে চোখ বুলিয়েছিলাম আশেপাশে কেউ আছে কি না। আশেপাশে কেউ ছিলো না বটে তবে বুকের ভেতর হৃৎপিণ্ডের ধুকপুকানি যে বেশ ছিলো তা এখনো মনে আছে। খাম খুলতেই চোখে পড়ে আলপিনে আটকানো দুটো সাদা কাগজ, সবকিছুই নীল কালিতে লেখা। বেশ সাজানো গোছানো লেখার একদম নিচের দিকে শেষপ্রান্তে তৃতীয় বন্ধনীর ভেতরে ফোন নম্বরও আছে। বলাই চলে, জীবনের প্রথম ভালবাসার আগমন। চোখজুড়ে তখন খেলছে অসংখ্য রঙিন স্বপ্ন । চিঠিটা না জানি ক ‘বার পড়েছিলাম, তা এখন আর মনে নেই।
রফিক নামের এই ছেলেটিকে বেশ আগে থেকেই চিনতাম, আমাকে দূর থেকেই মাঝে মাঝে দেখতো, তাকিয়ে থাকতো, আমি না দেখার ভান করে পাশ কাটিয়ে চলে যেতাম। চিঠি পাওয়ার দিন কয়েক পর তার সঙ্গে দেখাও করলাম কয়েকবার, সাথে রুনুও থাকতো। মাঝেমধ্যে বাসার ফোনে এস.এম.এস করতো, ফোন দিতো, তবে ডিজিটাল যুগে ঐ প্রথমটাই ছিলো ওর শেষ চিঠি এরপর আর ওসব লেনদেন হয়নি। কিন্তু সে চিঠি তে জানতে চাওয়া একটি প্রশ্নের উত্তর আমি ততদিনেও তাকে দিইনি যে আমিও মনে মনে ঠিকই ভালবেসে ফেলেছিলাম ওকে। একদিন ফোনে কথা বলতে গিয়ে প্রায় ধরাই পড়ে যাচ্ছিলাম মা’র কাছ। পরে ভাবলাম, অনেক হয়েছে, এভাবে আর কতদিন? wirkung viagra oder cialis
তখন একেকটা মোবাইল ফোনেরও যা দাম ছিল, দু তিন বছর আগেও অমন পারসোনাল ফোন রাখার সৌভাগ্য ছিলো না সবার। তাছাড়া মার চোখ রাঙানিটাও বেশ বুঝিয়ে দিতো ওসব প্রেম ট্রেম আমার জন্য নয়। তাই বাধ্য হয়ে একদিন রফিক কে বলেই দিলাম, আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে, একরকম মিথ্যেই বলতে হলো। প্রথমে ব্যাপারটাকে ও এমন হেসেই উড়িয়ে দিচ্ছিলো যেনো আমি ওর সাথে মজা করছি। কিন্তু নিজেকে সংবরণ করে বেশ সিরিয়াসলী ব্যাপারটা বুঝালাম ওকে। তবে এও বুঝেছিলাম ভীষন কস্ট পাচ্ছে ও। কিন্তু ও হয়তো কখনোই বুঝেনি তারচে ঢের বেশি কস্ট পেয়েছিলাম আমি। কস্ট লুকোনোর বৃথা চেষ্টা চললো কিছুক্ষন নিশ্চুপ থেকে। তারপর সবকিছু অন্ধকার। একরাত জ্বরে পড়ে রইলাম।
তারপর আবার রুটিন মাফিক পুরোনো জীবনে ফেরা। কিন্তু আজ কেনো যেনো সেসব বেশ মনে পড়ছে। জীবনের প্রথম প্রেম চাইলেই কি ভোলা যায়? যায় না। পরে শুনেছিলাম, রফিকেরা ফ্যামিলি সুদ্ধো ঢাকায় চলে গেছে। তারপর এ জীবনে বহুবার বহু প্রেম হৃদয়ের দরজায় কড়া নেড়েছে, কিন্ত তারপর আর দরজা খুলে কাউকে ভেতরে ঢোকানো হয়নি। হয়তো হারানোর ভয় নয়তো লোভাতুর দৃষ্টি কোনো না কোনো হেতু ছিলোই।
এরপর বছর দুয়েক বেশ কেটে যায়, পড়াশুনার ব্যাস্ততায় আমিও বেশ সবকিছু ভুলে থাকি। পুরোপুরি নয় বটে তবে ক্ষণিকের ভুলে থাকা অথবা কিছু ভুলে থাকার চেষ্টা। ওর কথা মনে পড়লেই, নিজেই নিজেকে স্বপ্ন দেখাতাম, বাবার স্বপ্ন। বাবার মেয়ে একদিন অনেক বড় হবে। ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার কিছু একটা হয়তো হবে। বাবার আশায় ছাই না চাপিয়ে নিজের ভালোবাসায় ছাইচাপা দিয়েছি। মার ইচ্ছে অবশ্য মেয়েকে জলদি বিয়ে দিয়ে বিদেয় করা। যেমনটা বড় আপুকে দেয়া হয়েছিলো! জলদি, জলদি! তবে শুরুর দিকে শ্বশুর বাড়িতে নাকি বেশ ত্যাড়া বাঁকা কথা শোনাতো ওকে, আমার গরীব বাবা যৌতুকের পরিমাণটা বেশ কম দিয়ে ফেলেছিলেন কিনা। পরে অবশ্য আরো লাখ খানেক টাকা দিয়ে ওসব চুকাতে হয়েছে।
নিম্নবিত্ত বাঙালি মেয়েদের নাকি শ্বশুর বাড়িতে একটু আধটু এমন তীর্যক ব্যবহার দাঁতে দাঁত দিয়ে সয়ে নিতে হয়। বিয়ের বছর কয়েক পেরুলেই নাকি সব ঠিক হয়ে যায়। পাশের বাড়ির ফুপি বলেন, একটা বাচ্চা হইলে সব ঠিক হইয়া যাবে। বড় আপুকে অবশ্য এখন বেশ হাসিখুশিই দেখি, তবে সেটা সত্যি না তার আড়ালে এখনো খানিকটা কান্না জমে থাকে আছে তা ধরতে পারিনি।
[[====]]=====[[====]]=====[[====]] can levitra and viagra be taken together
হসপিটাল থেকে বাড়ি ফিরেছি মোটে ৩দিন হলো, কিন্তু ঐ নরপশুদের শারীরিক যন্ত্রনার থেকে এ সমাজের তৈরি মানসিক যন্ত্রনাটাগুলি যেন আরো ভয়াবহ ভাবে পোড়াচ্ছে আমায়। এসমাজ আমায় বারবার ধর্ষন করছে। যে বাবার কান্না দেখবোনা বলে পণ করেছিলাম আমি, এখন সারাক্ষণই সেই নিষ্ঠুর কান্নাগুলো দেখতে হয় আমায়। সমাজের তীর্যক ছুঁচালো কথাগুলো অশ্রু হয়ে সারাক্ষণই ঝরে দুচোখ বেয়ে। জানি না এর শেষ কোথায়? চোখেমুখে সব যেনো অন্ধকার দেখি আজকাল। পুলিশ, উকিল ও সংস্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের অদ্ভুত প্রশ্নবাণ যেনো তীরের ফলার মতো এসে বিঁধে সমস্ত শরীরে। মরে যাওয়ার ইচ্ছেটা অনেক কস্টে দমন করে চলেছি। কিন্তু এখন কেনো যেনো বড্ড কষ্ট হয়। viagra vs viagra plus
প্রায় দু সপ্তাহ হতে চলেছিলো এইচ.এস.সি পরীক্ষা শেষ হওয়ার। আর বসে থাকা যাবেনা ভেবে কোচিংয়ে ভর্তি হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু যাওয়া আসার পথে মাঝেমাঝেই একদল বখাটে বেশ উৎপাত করতো সবসময়। আজে বাজে ইশারা ইঙ্গিত, বাজে কথায় কান পাতা দায় ছিলো।
গুরুজনের ভাষায়, সবই নাকি বেপর্দার ফল। অগত্যা সকলে মিলে বেশ বড়সর বোরখা গায়ে চড়িয়ে নিলাম। কিন্তু তাতেও কোনো ফল হলো না। বরং ঝামেলা যেনো ক্রমাগত বেড়েই চললো। তারপরও চলতি পথে কেউ ওড়নাটা টেনে দিলেও যেনো দোষের ঘড়াটা বরাবরই ঐ মেয়েদের ঘাড়ে এসেই জোটে। পাশের বাড়ির লোকটাকে দাঁত মুখ খিঁচিয়ে মেয়ের বাবাকে বলতে শোনা যায়, “এক হাতে তালি বাজে নাকি, মিয়া। আর মাইয়্যাদের কিছু বলে না, আপনার টারেই বলে ক্যান?”..আমার বান্ধবী তার পরিবারে সবকিছু খুলে বলায় তার কপালে এমনটাই জুটেছিলো। ফলস্বরূপ দিন কয়েক বাদেই তার এপথ মাড়ানো পুরোপুরি বন্ধ। চড়িয়ে দেয়া হয় বিয়ে নামক সামাজিকতার ডিঙি নৌকোয়।
একদিন একে একে সব স্যার এর কাছে আমরা বিষয় টা তুলে ধরলাম। এরপর, একদিন এমনি এক পরিস্থিতি তে পুলিশ এলো, সব ক ‘টাকে হাতেনাতে ধরলোও। সকলের সামনে সব বখাটে কে কান ধরে উঠবস করালো, পুলিশ অফিসারের নির্দেশে আমরা সকলে একে একে, সবক’টার গালে স্যান্ডেল বুলিয়ে কান মলে দিলাম। ছেলেগুলো বেশ রাগে ফুসছিলো। তারপর পুলিশ সবাইকে ভ্যানে তুলে নিয়ে চলে গেলো। তারপর মাসখানেক সবকিছু বেশ ঠান্ডাই রইলো। কিন্তু এরপরেই সেই বখাটেগুলোকে দেখা গেলো জেল থেকে বেরিয়েছে, তবে এবার আর তেমন উৎপাত চোখে পড়লো না। মাঝে মাঝে দূর থেকে আমাদের দেখতো। তবে মনে মনে ঠিকই ভাবতাম, শয়তানগুলো ভেতরে আবার কোনো মতলব আঁটছে না তো।
সেদিন ক্লাস শেষ হতে হতে প্রায় সন্ধ্যে হয়ে এলো, আমি আর মৌ রাস্তায় রিকশা খুঁজছিলাম, বাইরে বেশ গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিলো, কিছুক্ষণ আগের গা ভেজানো মুষলধারে বৃষ্টিটা সবে থামতে শুরু করেছে। রাস্তায় লোকজন বেশ কম। এদিকে দ্রুত বাড়ি ফিরতে হবে, আকাশটাও কেমন মুখ ভার করে আছে। এমন সময় একটা ছাইরঙ্গা মাইক্রোবাস আমাদের সামনে এসে দাঁড়ালো। চোখের পলকে ঘটে গেলো দূর্ঘটনা টা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তড়িৎ গতিতে গাড়ির দরজা খুলে দু জোড়া হাত বেরিয়ে এলো। আমাদের গাড়িতে তোলার প্রাণপণ চেষ্টা করতে লাগলো। মৌ কোনোমতে হাত ছুটিয়ে দৌড়ে পালাতে পারলেও আমি সবরকম চেষ্টা করেও ব্যার্থ হলাম, চিৎকার করতেই মুখে একজোড়া হাত তোয়ালে বা কাপড় জাতীয় কিছু দিয়ে চেপে রইলো। ওরা আমাকে তুলেই গাড়ি টান দিলো। দূর থেকে শুনলাম, মৌ চিৎকার করে সাহায্য চাইছে, ততক্ষণে ওরা গাড়ি জোরে ছুটিয়ে দিয়েছে।
গাড়ির ভেতরেই আমি ওদের পাশবিক রুপ দেখতে শুরু করলাম। ড্রাইভার সহ মোটে ৩জন ছিলো গাড়ির ভেতরে। একজন ভিডিও ক্যামেরা হাতে কুৎসিত দৃষ্টি মেলে আমার দিকে তাকিয়ে। গাড়ির ভেতরে সর্বচ্চো ঘন্টা দুয়েকের বেশি কিছু সময় ছিলাম ওদের সাথে। এই দু ঘন্টাই আমার পুরো জীবনকে ওলট পালট করে দিয়েছে। এর মাঝে যা যা হয়েছিলো তা বলার ভাষা আমার নেই। কিন্তু এরমাঝেই ধর্ষিতা শব্দটি এক দগদগে ঘাঁয়ের মতো পুরো শরীরে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে যায়।
মৌ দ্রুত চিৎকারে লোক জড়ো করেছিলো বলে পুলিশও এসে গেছিলো। ঘন্টা দুয়েক পরে, গাড়ির নাম্বার ধরে অচেতন আমায় উদ্ধার করে পুলিশ। নতুবা আমার প্রাণটা হয়তো সেদিনই চলে যেতো। অবশ্য ভালোই হতো, এ পৃথিবীর চরম তিক্ততাগুলো এভাবে দেখতে সইতে হতো না। গাড়ি থেকে পাষণ্ড গুলোকে থানায় নিয়ে গেছিলো। কিন্তু ততক্ষণে সবই শেষ হয়ে গেছে।
দিন কয়েক হলো হসপিটাল থেকে ফিরেছি কিন্তু আশপাশের পরিবেশ এতদিনে যে নির্মমতা আমায় দেখিয়েছে, তাতে এ দুনিয়ায় বেঁচে থাকার ইচ্ছেটাই উবে গেছে। আজকাল আর কেনো যেনো ঠিককরে কাঁদতেও পারিনা। কান্নাগুলো বারবার দলা পাকিয়ে যায়। গলায় বড্ড ব্যাথা হয়। হয়তো, মামলার খেলা, ঝুলে থাকা, গাদা গাদা টাকার খরচা চলবে বিচারের আশায়, কিন্তু যে সমাজ শিকারীর বদলে শিকার কে দোষের মালা পড়িয়ে ঘৃণার কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে দেয়, সেখানে বিচারের প্রহর গুনে না জানি আর কতদিন কত নারীকে অপেক্ষা করতে হবে।
আমি বোধহয় আর তোমাদের ভালো মেয়ে হতে পারলাম না, ক্ষমা কোরো বাবা, ক্ষমা কোরো মা… kamagra pastillas
১০ দিন পর….এক স্থানীয় পত্রিকার খবরঃ
: মাত্র দুদিন হলো এইচ.এস.সি র ফল বেরিয়েছে, কিন্তু তার সাফল্য নিজ চোখে দেখে যেতে পারলো না আনিকা আক্তার অনি(১৮)। আলীপুর সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ফাইভ পেয়ে পাস করেছে সে। স্থানীয় বখাটেদের দ্বারা ধর্ষিত হবার কিছুদিন পর, গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মৃতদেহ নিজ ঘর হতে উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে তার কিছু বিচ্ছিন্ন লেখাসহ একটি ডায়েরিও পাওয়া যায়। যে পরিবার টির আজ মেয়েকে নিয়ে হাসি খুশিতে মেতে উঠবার কথা ছিলো, তারা আজ বিচারের আশায় নিরব অশ্রু বিসর্জন করছে। এদিকে, গতকাল তার কলেজের শিক্ষার্থীরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে।..
(সমাপ্ত) clomid over the counter
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ walgreens pharmacy technician application online
ভালো লিখেছেন। বাস্তবতার সাথে মিল রয়েছে অনেক। লেখা চালিয়ে যান। হ্যাপি ব্লগিং… ~O)