বাংলায় গান গাই- প্রতূল মূখোপাধ্যায়
900 clomid calculator ovulation calendar
বার পঠিতআমি বাংলায় গান গাই
আমি বাংলায় গান গাই, আমি বাংলার গান গাই,
আমি আমার আমিকে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই
আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন, আমি বাংলায় বাঁধি সুর
আমি এই বাংলার মায়া ভরা পথে হেঁটেছি এতটা দূর
[বাংলা আমার জীবনানন্দ বাংলা প্রাণের সুখ
আমি একবার দেখি, বারবার দেখি, দেখি বাংলার মুখ]
[আমি বাংলায় কথা কই, আমি বাংলার কথা কই
আমি বাংলায় ভাসি, বাংলায় হাসি, বাংলায় জেগে রই]
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার
[বাংলা আমার দৃপ্ত স্লোগান ক্ষিপ্ত তীর ধনুক,
আমি একবার দেখি, বারবার দেখি, দেখি বাংলার মুখ] |
আমি বাংলায় ভালবাসি, আমি বাংলাকে ভালবাসি
আমি তারি হাত ধরে সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে আসি]
আমি যা’কিছু মহান বরণ করেছি বিনম্র শ্রদ্ধায়
মিশে তেরো নদী সাত সাগরের জল গঙ্গায় পদ্মায়
[বাংলা আমার তৃষ্ণার জল তৃপ্ত শেষ চুমুক
আমি একবার দেখি, বারবার দেখি, দেখি বাংলার মুখ] |
doxycycline dosage canine lyme disease
চ্যাপলিন
সেই ছোট্ট ছোট্ট দুটি পা ঘুরছে দুনিয়া
শান্ত দুটি চোখে স্বপ্নের দূরবীন
কাছে যেই আসি মুখে ফোটে হাসি
তবু কোথায় যেন বাজে করুণ ভায়োলিন |
সেউ ছোট্ট ভবঘুরে আজও আছে মনজুড়ে
মনজুড়ে তার ছবি আজও অমলিন
ভালবাসা নাও, ভালবাসা নাও
আমি তোমায় ভালবাসি |
ইচ্ছে করে আজ ফেলে সব কাজ
তোমার পাশে পাশে ঘুরে বেড়াই
মুখে নিয়ে হাসি, প্রাণের স্রোতে ভাসি
একসাথে একসুরে প্রেমের গান গাই |
প্রেম প্রেম প্রেম প্রেম প্রেম প্রেম প্রেম প্রেম প্রেম প্রেম
Love Love Love Love Love Love Love Love Love Love
দূর্বার স্বপ্ন দূর্মর আশা – প্রেম প্রেম প্রেম
রুদ্ধ কণ্ঠে ফুটে ওঠে ভাষা – প্রেম প্রেম প্রেম
শত্রুর মুখে ছোঁড়ে বেপরোয়া বিদ্রুপ – প্রেম প্রেম প্রেম
আবার, মোমের আলোর মত স্নিগ্ধ, অপরূপ
প্রেম প্রেম প্রেম
ভালবাসা নাও চার্লস চ্যাপলিন |
ভালবাসা ছড়াও চার্লস চ্যাপলিন |
পৃথিবীর বুকে উষর মরুতে ফুল ফোটাও |
এই গানগুলোর সাথে পরিচয় খুব ছোটবেলায়। ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানটা ছোটবেলায় ভাল লাগত সুরে তোলা সহজ ছিল বলে। এরপর যত বড় হয়েছি গানগুলোর কথা, সুরের গানগুলোর প্রতি ভাললাগা ততই বেড়ে গেছে। ততই শ্রদ্ধা বেড়ে গেছে গানটির স্রষ্টা প্রতূল মূখোপাধ্যায়ের প্রতি। গত ২০শে সেপ্টেম্বর ছিল এই গূণী সংগীতশিল্পীর ৭২তম জন্মবার্ষিকী । super viagra reviews
প্রতূল মূখোপাধ্যায় একজন অসাধারণ সঙ্গীত রচয়িতা, গীতিকার এবং সুরকার। যদিও নিজেকে সঙ্গীতজ্ঞ বলে পরিচিতি দিতে অস্বীকৃতি জানা তারপরও মাটি থেকে সুর নিয়ে মাটির মানুষের জন্য গান করার যে বিরল দৃষ্টান্ত তিনি সঙ্গীত জগতে তৈরি করেছেন তার জন্য তিনি অবশ্যই শ্রদ্ধার দাবি রাখেন।
১৯৪২ সালের ২০শে সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বড়িশালে জন্ম এই গূণী শিল্পীর। পৈত্রিক নিবাস বড়িশাল হলেও বড়িশাল তার উপর তেমন প্রভাব ফেলেনি। কীর্তনখোলা নদী আর মুক্তাগাছার জমিদার বাড়ির বিশাল বিশাল হাতিই বড়িশালকে তার স্মৃতিতে রেখেছে। মূলত শৈশব কেটেছে পশ্চিমবঙ্গের চুচুড়াতে। উচ্চ মধ্যবিত্ত সংসারের জন্মগ্রহন করেন। বাবা প্রভাতচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ছিলেন সরকারী স্কুলের শিক্ষক। মা বাণী মুখোপাধ্যায় ছিলেন গৃহিণী। দেশভাগের আগ পর্যন্ত তাঁর বাবা বাংলাদেশেই কর্মরত ছিলেন। দেশভাগের পর প্রথম যান খড়গপুরে এরপর পিতার চাকরিসূত্রে চুচুড়াতে গিয়ে নিবাস গড়েন। ventolin syrup for babies side effects
খড়গপুরে এক বড় কাকার বাসায় থাকতেন। একবার তার বড়ভাইজনুকে কাকাজিজ্ঞেসকরলেন, ‘আমি তোমার কে হই।’ জনু বললো ‘বড় কাকা।’ তখন প্রতূল স্বীকৃতিটা নেয়ার চেষ্টা করলেন এবং বললেন, ‘আমি ওরে শিখাই দিছি।’ এইকথাটা বলার পরে উত্তরে কাকা বলেছিলেন, ‘এ রকমকরে কথা বলোনা। এরকম করে বললে, এখানে সবাই হাসবে।’
‘আমি আমার মতো করে কথা বললে, লোকে হাসবে। তাহলে আমি একোথায় এলাম।’-তখন এটাই প্রতূলের মনে একটা বিরাট আঘাত হিসেবে এসেছিলো।
গনোমানুষের সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে প্রখ্যাত এই শিল্পী গণমানুষের সাথে মেশার গূণটি আয়ত্ত্ব করেছিলেন ছোটবেলায় তার পরিবার থেকেই। স্বাভাবিকভাবে আমাদের ভিতর এমন একটা অ্যাপ্রোচ হচ্ছে যে, এই দরিদ্র জনসাধারণ আছে তাদের তুমি করুণা করো। এরকম করুণা করার কথা তাদের পরিবারের শিক্ষায়ই ছিল না। বাড়িতে শিল্পীরা গান করতে আসতেন বেহালা নিয়ে। তাঁর বাবা তাদের আপন করে নিতেন, কথা বলতেন, বসতে দিতেন। যাদের গান শুনতেন, তাদের একটা সম্মানী দিতেন। আমাদের বাড়িতে যাকে আমরা মেথরানী বলি প্রতূলদের বাড়িতে তাঁর বাবা তাদের মা বলে সম্বোধন করতেন এবং অত্যন্তসম্মান করে কথা বলতেন। এটা অন্য কিছু না, দরিদ্র মানুষদের সমাদর করা, তাদের করুণা না করা এই জিনিসটা প্রতূল তাই বাবার কাছে শিখেছিলেন। তাঁর গণসংগীতে আসা র পেছনের প্রেরণা বা স্পৃহা হিসেবে কাজ করেছে এগুলো। বীজ হিসেবে কাজ করেছিল। which one is better cialis or viagra
সঙ্গীতের সাথে নিজেকে বাঁধা ১৯৫৪ সালে বড়ভাই পানুর উপহার দেওয়া বই থেকে মঙ্গলা চরণ চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমরা ধান কাটার গান গাই’ ছড়াটি সুর করে ফেলার মাধ্যমে। বইটার নাম- ঘুমতাড়ানী ছড়া। তাতে সুকান্ত ভট্টাচার্য, মঙ্গলা চরণ চট্টোপাধ্যায়, বিষ্ণু দেও জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র— এই চার কবির কবিতা এবং ছড়া থাকতো, সেটা ছিল তার জীবনে একটা মস্ত বড় সোপানের মতো। কারণ শৈশবে নানা রকম শিশু পাঠ্যই পড়ে, এগুলো সেরকম ছিল না। প্রতূল নিজে এগুলো সম্পর্কে বলেছেন, ‘সেখানে একটা সমাজতন্ত্রী ভাবনা ছিলো, তখনকার দিনের গরীব শিশুরা শিক্ষা পাচ্ছে সেদিকে আমার মনে চলে গিয়েছিল । অবশ্য আগে ছিলো সম্পূর্ণ ভগবত গীতার দিকে। বাবাও গীতা পাঠ করতেন। এই ভগবত ভক্তির দিক থেকে একেবারে জনভক্তির দিকে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কিন্তু এই ঘুমতাড়ানী ছড়াব ইটিই আমার প্রেরণা। মার্কস বাদের প্রতি আগ্রহ, সমাজতন্ত্রের প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে তোলার ক্ষেত্রে এই বইটি একটা মস্ত বড় ভূমিকা পালন করেছিল। পরে যত মার্কস বাদী সাহিত্য পড়েছি সেটা যে ভূমিকা পালন করেছিল— ওই চার কবির কবিতা আমাকে, আমার মনটাকে অনেক অনেক বেশি রকম করে বদলে দিয়েছিলো। শুধু তাই নয় ওই কবিতাগুলো বিশেষ করে যে গুলো খুব সারবান, সত্যিকারের কবিতা, কবিতার গীতিরূপে র ব্যাপারে ওই বইটাই ছিলো আমার সোপান’।
বইটা ১৯৫২ সালে ১০ বছর বয়সে পান তিনি। ১২ বছর বয়সে যখন ১৯৫৪ সেখানে তিনি তখন মঙ্গলা চরণ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ধান কাটার গান গাই, লোহা পেটার গান’— কবিতাকে গানে রুপান্তর করেন।সেই কবিতা সেরকম সুরে, মানে ১৯৫৪- এর সেই সুরে ১৯৯৪ সালে রেকর্ড করা হয়েছে।
সঙ্গীত জগতে তাঁর আত্মপ্রকাশ ১৯৮২সালেএকবন্ধুর অনুরোধে।এর আগে মঞ্চে বা রাস্তার পাশে কোথাও তাঁর লেখাও সুর করা গান হচ্ছে। প্রতুল পাশ দিয়ে ই হেঁটে যাচ্ছেন। নিজের গান অন্যের গলায় শুনে একটু দাঁড়াতেন। মনে হতো, গানের ওই জায়গাটা ঠিক হচ্ছে না। কিন্তু কিছু না বলেই নিরবে চলে যেতেন। এভাবেই আড়ালে কাটিয়েছেন ১৯ বছর।
স্কুল কলেজে নাটক হতো। এসব নাটকে অনেক গান থাকতো। মাঝেমাঝে কোনো কোনো শিক্ষকও নির্দেশনা দিতেন- ‘এতগান দিয়ে কী হবে, গানগুলো কেটে বাদ দাও।’ প্রতূল তখন বাদ দেবার কারণ জিজ্ঞেস করলে শিক্ষক বলতেন-‘গানগুলো কে গাইবে’। প্রতূল নিজে সেসব গান গাইতেন। বিভিন্ন গানের কথা থাকত সুর থাকত না। প্রতূল নিজে সেসবগানে সুর দিতেন। প্রতূল মূখোপাঢ্যায় তাঁর স্মৃতিচারণে এসম্পর্কে বলেন,
‘সুর দেয়াটা যে এত শক্ত কাজ তার জন্য যে তিনতলা চারতলা সুর পেরুতে হয় —এসম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা ছিলনা। আমার কাছে গানটা এত স্বাভাবিকভাবে এসেছে। যে কথাগুলো পেয়েছি কথাগুলো কিছুক্ষণ গুনগুন করতে করতে সুর হয়ে গেছে, গান হয়ে গেছে। তো যা বলছিলাম, নাটকে যে ছেলেটি গান গাইবে সেই ছেলেটির ভূমিকাই আমাকে দেয়া হতো, আমি দিব্বি গান গেয়ে দিতাম।’
পড়াশোনা শেষ করে নরেন্দ্পুর রামকৃষ্ণ মিশন কলেজে অধ্যাপনা করেন। এরপরে চাকরি নেন ইউনাইটেড ব্যাংক অব ইন্ডিয়াতে। পরে স্ট্যাটিসটিকস অ্যান্ড লং রেঞ্জ প্ল্যানিং বিভাগের প্রধান ব্যবস্থাপক হন।
বাম আন্দোলনের সাথে নিজেকে যুক্ত করেন ষাটের দশকের দিকে। কম্যুনিস্ট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ১৯৬৯-এ এবং নিজেই তখন এসব নিয়ে গান লিখতে শুরু করেন। এধরনের গান থেকেই তিনি ধীরে ধীরে গণসঙ্গীতশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। প্রতূল আলমগীর স্বপনের আছে দেওয়া তাঁর এক সাক্ষাতকারে এসম্পর্কে বলেন।
সঙ্গীত একটা মস্তবড় ইউনিভার্স। তার মধ্যে নানা ধরনের শ্রেণি বিভাজন হতে পারে। গণসঙ্গীত অনেকটা গণতন্ত্রের মতো, ‘অব দ্যা ম্যাস, ফর দ্যা মাস, বাই দ্যা মাস’— বলেও একে বলা যায়। মানুষের জন্যে, মানুষের গান, মানুষের পক্ষের গান। এখন বাই দ্যা পিপল বা গণসঙ্গীত দুই প্রকার।একটা হচ্ছে ব্যপ্ত মানুষের সৃষ্ট গান। আরেকটা হচ্ছে ব্যপ্ত মানুষের জন্য সৃষ্ট গান। আমরা কিন্তু সেদিক থেকে যারা ব্যপ্ত মানুষ যারা বঞ্চিত-শোষিত মানব, তাদের ঠিক অংশ নই। কিন্তু আমরা যখন গান করি তাদের জন্যে গান করি।
১৯৮২ সালে আত্মপ্রকাশের পর প্রতুল মূখোপাধ্যায় আর থেমে থাকেননি। চার্লি চ্যাপলিনকেনিয়ে ‘সেইছোট্টদুটিপা’, কিংবাজ্যাকপ্রেভরের ‘গিয়েছিলামপাখিরহাটে’, ‘লংমার্চ’ –এর মত অনবদ্য গানগুলো দিয়ে শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নিতে শুরু করেন। এরপর প্রকাশিত হতে থাকে তাঁর একের পর এক অ্যালবাম।
- পাথরে পাথরে নাচে আগুন (১৯৮৮) অন্যান্য শিল্পীর সাথে
- যেতে হবে (১৯৯৪)
- ওঠো হে (১৯৯৪)
- কুট্টুস কাট্টুস (১৯৯৭)
- স্বপ্নের ফেরিওয়ালা (২০০০) অন্যান্য শিল্পীর সাথে
- তোমাকে দেখেছিলাম (২০০০)
- স্বপ নপুরে (২০০২) sildenafil stada wirkungsdauer
- অনেক নতুন বন্ধু হোক (২০০৪) অন্যান্য শিল্পীর সাথে
- হযবরল, সুকুমাররায়ের (২০০৪) আবৃত্তি ও পাঠ্য পাঠ viagra vs cialis sales
- দুই কানুর উপাখ্যান (২০০৫) আবৃত্তি ও পাঠ্যপাঠ, অন্যান্য শিল্পীর সাথে
- আঁধার নামে (২০০৭)
তাঁকে নিয়ে বেশ কিছু ডকুমেন্টারিও প্রকাশ পায়।
ডকুমেন্টারিসমূহ
- প্রতুল মুখোপাধ্যায-র গান – অন্বেষণ প্রযোজিত, মানস ভৌমিক পরিচালিত
- ডিঙাভাসাও – সমকালীন চলচ্চিত্র প্রযোজিত
তাঁর বই-
- প্রতুল মুখোপাধ্যাযয়ের নির্বাচিত গান
- শক্তি- রাজনীতি
প্রতূল মূখোপাধ্যায়ের সঙ্গীতে আরেকটি বিষয়ের জন্য খ্যাতি রয়েছে। কম বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করে খালি গলায় গান গাওয়ার জন্য। কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল গান গাওয়ার সময় তাঁর কি কি বাদ্যযন্ত্র লাগবে। তিনি সরাসরি বলেছিলেন তাঁর কোন বাদ্যযন্ত্র লাগবে না। তাঁর বিভিন্ন সিডিতে বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার দেখা যায়। তবে সেগুলোর পয়াব এতটাই মৃদ্যু যে তা কখনো কন্ঠকে ছাপিয়ে যেতে পারেনা। পাশ্চাত্য সংস্কৃতির আগ্রাসনে যখন আমাদের সঙ্গীত জগত বাদ্যযন্ত্র বেসড হয়ে গেছে। সম্পদ লুন্ঠনের মত যখন আমাদের সংকৃতি লুন্ঠিত হচ্ছে তখন প্রতূল মূখোপাধ্যায় নজর দিচ্ছে আমাদের শেকড় আমাদের লোকসঙ্গীতের উপর। যদিও এই লোকসঙ্গীতও এখন বিকৃত তথা বলতেই হচ্ছে ‘বিক্রিত’ করে গাওয়া হয়। প্রতূল মূখোপাধ্যায় নিজে এসম্পর্কে একটা উদাহরণ টেনেছিলেন,
“এই যেমন ধরুন ‘সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী’ গান টাকি অসাধারণ একটি বাউলগান।কিন্তু এখন এত কদর্যভাবে গাওয়া হচ্ছে সে আর কি বলবো! এত মসলা এসে গেছে গানটার ভেতর! আপনাদের রুনা লায়লাও এ গানটাতে মসলা মিশিয়েছেন।” otc viagra uk
সুর এবং সঙ্গীত সৃষ্টি সম্পর্কে প্রতূল মূখোপাধ্যায়ের একটি নিজস্ব জীবনদর্শন আছে। নিজের জীবনে সঙ্গীতসৃষ্টিকে তিনি যেভাবে ব্যক্ত করেছেন তা আমি আমার ভাষায় বড় অন্যায় হয়ে যাবে। হয়ত এখানে দৃষ্টিভঙ্গি বিকৃত হয়ে যাবে। তাই সে সাহস না করে তাঁর নিজের ভাষ্যই তুলে দিলাম-
আমাদের সময় এত ভালোমানের সঠিক সুরে গাওয়া লোকের অভাব ছিলো না।সে তালিকা এখন করতে গেলে দেড় ঘণ্টা লেগে যাবে। কত সমৃদ্ধ গান তখন হতো। এসব গান আমার কানে গেছে, তাকে অনুসরণ করেছি, অনুকরণ করেছি, অনুসৃজন করেছি। প্রত্যেকটি স্রষ্টার কিন্তু এই তিনটে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হয়। আরেকটা কথা হচ্ছে নতুন সৃষ্টি যখন করতে হয়, সৃষ্টির প্রক্রিয়াটা হচ্ছে, ‘যত কিছু অর্জন করুন।’ মানে সোজা কথা হচ্ছে থলেতে সব পুরুন।একটা বস্তা নিন।যেমন কাগজ বিক্রির লোকেরা যখন যা পায় অর্থাৎ এখান থেকে নেয় ওখান থেকে নেয়। যখন সেগুলো দিয়ে কিছু তৈরি করবেন তখন দেখবেন সবগুলোকে একসঙ্গে জুড়ে একটা স্ম্যাস তৈরি হলো, কিন্তু সেটা কি সৃষ্টি হয়। তাই অর্জন যেমন প্রচণ্ড রকম দরকার তার সঙ্গে ভীষণ ভাবে দরকার বর্জন। এই যে বর্জন, এই বর্জনের জ্ঞান যাদের না থাকে, সে যদি বলে আমি এত জিনিস জোগাড় করেছি, আমার কাছে কত কত কিছু আছে আমি সব দেখিয়ে দেবো, এইসব দেখাতে গিয়ে সেযে একটা বিকট বস্তু তৈরি হয়, সেটাকে সৃষ্টি বলা যায় না।
আমি দেখেছি যখন একটা গান লিখতে গেলাম, তিন পাতা হয়ে গেলো। তিনপাতা গান তো মানুষ শুনবে না। তখন এক একটা স্তবক যেটা আমি অনেক ভেবে চিন্তে লিখেছি সেটাকে কাটতে হয়। কেটে কেটে একবারেই নরিডিউসেবল জায়গায় আনা যায়। তখন সেটা সৃষ্টি হয়, সংহত হয়। cialis black for sale
বর্জন ব্যাপারটা দু’ভাবে ভাবতে হয়। যেমন একটা জিনিস অনভিপ্রেত বাজে , একটা রকমিউজিক থেকে একটা সুর শুনলাম, তারমধ্যে একটা বিশ্রীরকম যৌনতার অনুষঙ্গ আছে। কিন্তু তার সুরটা ভীষণ ভালো, তো আমি কী করব, যেই সুরটা ভীষণ ভালো সেটা আমি মাথায় রাখবো।যেটাকে আবর্জনা মনে করছি সেটাকে বর্জন করবো।
আরেক রকম বর্জন আছে। যেমন ধরুন একজন ভাস্কর।তিনিপাথরখোদাইকরেএকটামূর্তিতৈরিকরছেন।তার মনের মধ্যে একটা শেপ আছে। এখানে তিনি বর্জন করে একটা সৃষ্টি করছেন।তাই অর্জনের সাথে বর্জনের বিষয়টি যে বেশ গুরুত্বপূর্ণ তা মাথায় রাখতে হবে।
বহুবছর বাংলাদেশে আসেননি প্রতূল মূখোপাধ্যায়। এক ধরনের অভিমানের জায়গা থেকেই আসেননি। মাহমুদুজ্জামানবাবুতারনিজেরইকরেফেলার আক্ষেপে তিনি আসেননি। পরে উদীচি শিল্পগোষ্ঠী অনুরোধে দেশে আসেন। এবং বেঙ্গল একাডেমির অনুরোধে এখানে একটি অ্যালবাম প্রকাশ করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় দু’জনে বাঙ্গালী ছিলাম গানের এই অ্যালবামটি ভারতে পাওয়া যেত না।
গেল বছর যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে যখন উত্তাল শাহাবাগ। তখন শাহাবাগে উচ্চারিত হত তাঁর সুর করা গান ‘শ্লোগান’
কথাঃ পার্থ বন্দোপাধ্যায়
সুরওকন্ঠঃ প্রতুল মুখোপাধ্যায়
শ্লোগান দিতে গিয়ে আমি চিনতে শিখি
নতুন মানুষজন- শ্লোগান
শ্লোগান দিতে গিয়ে আমি বুঝতে শিখি
কে ভাই, কে দুশমন- শ্লোগান।
হাট মিটিং এ চোঙা ফুকেঁছি
গেট মিটিং এ গলা ভেঙেছি
চিনছি শহরগ্রাম
শ্লোগান দিতে গিয়ে আমি
সবার সাথে আমার দাবি
প্রকাশ্যে তুললাম- শ্লোগান।
শ্লোগান দিতে গিয়ে আমি
ভিড়ে গেলাম গানে
গলায় তে মনসুর খেলেনা
হোক বেসুরো পর্দাবদল
মিলিয়ে দিলাম সবার সাথে
মিলিয়ে দিলাম গলা
ঘুচিয়ে দিয়ে একল সিড়ে চলা
জুটলো যত আমার মত
ঘরের খেয়ে বনের ধারে
মোষ তাড়ানো উল্টো স্বভাব
মোষ তাড়ানো সহজ নাকি
মোষের শিঙে মৃত্যু বাঁধা
তবুও কারালাল নিশানে
উস্কে তাকে চ্যালেন্জ ছোঁড়ে- শ্লোগান। clomid and abnormal pap smear
শ্লোগান দিতে গিয়ে আমি
বুঝেছি এইসার
সাবাশ যদি দিতে ইহবে
সাবাশ দেব কার।
ভাংছে যারা ভাংবে যারা
খ্যাপা মোষের ঘাড়।
প্রতূল মূখোপাধ্যায় যখন শুনলেন তাঁর পুরনো গান নিয়ে শাহাবাগে গাওয়া হচ্ছে। তিনি নতুন করে গান লিখলেন।
“ধর্মের নামে নিপীড়ন আর ধর্মের নামের খুন
রুখতে দাঁড়ালো বাংলাদেশের তরুণী আর তরুণ।
শোকে হয়ে ওঠে ঘৃণার আগুন
পবিত্রশাহবাগে can ventolin help croup
তাদের সঙ্গে কণ্ঠ মেলাতে এখনও ইচ্ছা জাগে
পেয়েছি খবর
পেয়েছি খবর, তাদের সঙ্গে রয়েছে আমারও গান
ধন্য হয়েছি এই সাঁজবেলায়
পেয়ে এ-সম্মান
যুদ্ধকে মুছে ফেলার যুদ্ধে নিখিল বিশ্বজুড়ে wie muss ich cialis einnehmen
তাদের সঙ্গে আমিও শামিল best place buy viagra online yahoo answers
আমার গানের সুরে
যুদ্ধকে মুছে ফেলতে চাই
আমরা যুদ্ধে নেমেছে তাই
মন্ত্র করেছি ভালবাসায়
আমারা ক্রুদ্ধ হয়েছি তাই।”
২০১৩ সালে ২৭শে ফেব্রুয়ারীতে তিনি একাত্মতা প্রকাশ করেন এই আন্দোলনের সাথে এবং বলেন , ‘“একাত্তরের যে অন্যায় করেছে রাজাকার আলদবরবাহিনী। বিশেষ করে, ২৫মার্চের রাতে তৎকালীন মুক্তিকামী বাংলাদেশকে বুদ্ধিজীবীশূন্য করার যে চেষ্টা করা হয়েছিল।এটা বিশ্বের আর কোনো জায়গাতে এই ধরনের ববরতা হয়েছে বলে আমার জানা নেই।তাই এর উপযুক্ত শাস্তির দাবির সঙ্গে আমি কেন পৃথিবীর কোটি কোটি বাঙালির সমর্থন রয়েছে।শাহবাগের এই আন্দোলন শুধু বাংলাদেশে নয় অপশক্তির বিরুদ্ধে সারা পৃথিবীতেই এক ধরনের কম্পন তৈরি করেছে।”
অসংখ্য শ্রদ্ধা এবং সম্মান এই মহান শিল্পীর প্রতি।
ণ বলছেনঃ canadian pharmacy cialis paypal
প্রতুলকে নিয়ে যেকোনো বাংলা ব্লগে মনে হয় এটাই প্রথম লেখা। ভালো লেগেছে।
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
এটা প্রথম না। সচলায়তনে এর আগেও লেখা হয়েছিল প্রতূলকে নিয়ে। আরেকটা ব্লগেও পড়েছিলাম সম্ভবত, নাম মনে পড়ছে না। তবে এত ব্যপকভাবে না।
ধন্যবাদ
জন কার্টার বলছেনঃ
ণ ভাই ঠিকই বলেছেন বাংলা ব্লগস্ফিয়ারে প্রতূলকে নিয়ে এটাই প্রথম লেখা। লেখাটা ভালো লেগেছে! ধন্যবাদ লেখক কে!
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ pcos treatment metformin spironolactone
বেশ তথ্যবহুল পাণ্ডুলিপি। স্টিকি হবার দাবী রাখে। তবে বরিশাল বা গুণীর মত সহজ বানান ভুলগুলো দৃষ্টিকটু লেগেছে। prednisone and hormone replacement therapy
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
large pupils zoloftবানানগুলোর দিকে বোধহয় লেখক দৃষ্টি দেবার সময় পাননি। সামান্য ভুল আছে যেগুলো, সেগুলো কাইন্ডলি ঠিক করে দেবেন আপা… :-w
চমৎকার লিখেছেন… :-bd %%- @};-
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
চমৎকার লিখছেন…
নীহারিকা বলছেনঃ
অনেক ভাল লেগেছে লেখাটা ।
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
এক কথায় অসাধারণ পোস্ট। আপনার পোস্ট বরাবরই খুব ভাল হয় । স্টিকি করার দাবী জানাচ্ছি।
তারিক লিংকন বলছেনঃ
অসাধারণ !!! ণ এর সাথে ১০০% একমত…
এতোসুবিশাল এবং তথ্যবহুল পোস্ট প্রতুল-কে বাঙলা ব্লগে এইটাই প্রথম
অনেক কিছুই নতুন করে জানলাম
জাফরান দেশের কাঁচপোকা বলছেনঃ
বেশ তথ্যবহুল একটি পোস্ট। লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটি লেখার জন্য।
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ cialis cost per pill 2014
novo-metformin 500 mgভাল লাগল।