সাঈদীর রায় এবং আমার সূর্য দেখা
355 renal scan mag3 with lasix
বার পঠিতগত বছর ফেব্রুয়ারীতে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মাওলানা সাঈদীর ফাসির রায় হয়। এর পর পরই সাঈদীকে চাদে দেখা গেছে এমন গুজব ছড়িয়ে সারা দেশে তুলকালাম তান্ডব চালানো হয়। সরকারী অফিস থেকে শুরু করে হিন্দুদের বাড়িঘর , মন্দিরের নির্জীব মূর্তি বাদ যায়নি কিছুই ।বাদ যায়নি আমাদের এলাকাও।আমি তখন ঢাকায় ।মহাকাশ বিষয়ক আমার সামান্য জ্ঞানে মাথায় ঢোকে না যে কি করে একজন মানুষের প্রতিকৃতি চাদে দেখা সম্ভব । তবুও এরকম দুর্লভ ঘটনার চাক্ষুশ সাক্ষী হতে না পারার তীব্র আক্ষেপ আমার সঙ্গী হয়। তখন থেকে আপিল বিভাগে সাঈদীর রায় নিয়ে আমার প্রতীক্ষার শুরু। হাইকোর্টের সমমান সম্পন্ন বিশেষ ট্রাইবুনালের রায়ের পর যদি তাকে চাদে দেখা যায় তাহলে এবার নিশ্চয় সুর্যে ?
আজ সকালে সাঈদীর রায় শোনার পর থেকেই আমি বেশ উৎসুক বোধ করি। অফিসের শত ব্যস্ততার এক ফাকে ছাদে চলে যাই ।পরম আগ্রহ নিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকি। দৃষ্টিসীমায় যতদুর চোখ যায় তার সবটুকু দেখার চেষ্টা করি । আমার চোখ দুটি খুজে ফেরে নুরানী চেহারার একটা শুশ্রু মন্ডিত মুখ। কিন্ত অসীম শূন্যতা ছাড়া আর কিছুই আমার নজরে পড়ে না। আশ্বিন মাসের প্রখর সুর্যের আলোয় আমার চোখ দুটি যেন ঝলসে উঠে ।আমি আৎকে উঠি।আজ থেকে অনেক বছর পূর্বে এর থেকেও অনেক বেশী তীব্র, এর থেকেও অনেক বেশী ভয়ানক আতঙ্কে আৎকে উঠেছিল পিরোজপুরের মানুষ,একটা ৩০ বছরের টগবগে যুবক দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলুর মুখ দেখে। শত সহস্র মানুষের সামনে রীতিমত যমদূত হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল সে ।ধর্মের নামে ,জিহাদের নামে ,পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষার নামে মানুষ হত্যা ছিল যার কাছে অত্যন্ত স্বাভাবিক কাজ,নারী ধর্ষন ছিল যার কাছে মধুর খোজে পিপড়ার আগমনের সাথে তুল্য। কালের পরিক্রমায় আজ সে দেলোয়ার হোসেন সাঈদী।কালের পরিক্রমায় আজ সে নামকরা ইসলামী বক্তা যার ওয়াজ শোনার জন্য নাকি লাখো মানুষ অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে। লাখো জীবিত কিংবা মৃত মুক্তিযোদ্ধাকে লজ্জা দিয়ে যার জায়গা হয়েছিল জাতীয় সংসদে। বুক ফুলিয়ে সে বলতে পারতো ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ কোন স্বাধীকার আন্দোলন নয়, ছিল ভারত- পাকিস্তানের ঐতিহাসিক যুদ্ধ। ৪৩ বছর ধরে একটু একটু করে জমা হওয়া বিশাবলী -ইব্রাহীম কুট্টি দের অতৃপ্ত আত্নার সীমাহীন দীর্ঘশ্বাসে ভারী হয়ে আছে এই বাংলার আকাশ-বাতাস ।দিনের পর দিন বছরের পর বছর এই দীর্ঘশ্বাসের মাত্রা শুধুই বেড়েছে । বেড়েছে শত শত পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধার সীমাহীন আক্ষেপ।আজ এত বছর পর একটু ন্যায় বিচার পাবার আনন্দে তাদের এত দিনের আক্ষেপ কি ঘুচবে ? can your doctor prescribe accutane
হ্যা আমিও এই রায়ে খুশি নই ।একমাত্র ফাসিই ছিল এই ব্যক্তির ন্যায্য শাস্তি ।যথারীতি এই রায় নিয়েও বিতর্ক হচ্ছে এবং সেটাই স্বাভাবিক । কারও মতে এই রায় সরকারের সঙ্গে জামায়াতের আপোষরফা, কারও মতে প্রসিকিউটরদের ব্যর্থতা , কারও মতে বিদেশী চাপ আবার কারও মতে ৪৩ বছর পরে যথাযথ প্রমাণের অভাবের ফল । হয়তো ইস্যুটিকে জিইয়ে রাখার জন্য আওয়ামী লীগের সর্বশেষ রাজনৈতিক কৌশল এটি (কারন তাদের নিজেদের স্বার্থেই প্রয়োজন ইস্যুটিকে জিইয়ে রাখা) নানা জনের নানা মত। হয়তো সবকটি কারণই সঠিক। মাঝে মাঝে অবাক হয়ে ভাবি কি আজব দেশটাই না আমাদের ।এখানে ন্যায় বিচারের চেয়েও বড় নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ। এখানে রাজনৈতিক স্বার্থে মুক্তিযোদ্ধাদেরকেও রাজাকার বানানো হয় আবার রাজাকার দেরও মুক্তিযোদ্ধা বানানো যায়।মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যকার পারষ্পরিক হানাহানি , দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া সেটাও খুব স্বাভাবিক এ দেশে ।অনেক মক্তিযোদ্ধা যখন অভুক্ত অবস্থায় রাস্তার মোড়ের কোন দোকানে ঝোলানো শুকনো পাউরুটির দিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে ঠিক তখনই আবার সরকারী খরচে বিলাসী খাবার দিয়ে রাজাকারদের এই পৃথিবীর আলো বাতাসে আরো কিছুদিন বেচে থাকা নিশ্চিত করা হয়। সব সম্ভবের এই দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের আদর্শিক ডিগবাজীও দুর্লভ নয় । কিন্ত সাঈদীরা চিরকালই একই আদর্শের প্রতি অবিচল থেকেছে, একই বিশ্বাসের প্রতি, সেই সঙ্গে ক্ষমতার প্রতিও । এখনও তারা স্বপ্ন দেখে এই উপমহাদেশে পাকিস্তান নামক একটা অবিভক্ত মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার। নিজেদের কৃত কর্মের জন্য ক্ষমার চাওয়া সেটা তো এখনও তাদের কাছে দূরের কল্পনা। হুমায়ুন আজাদ তাই যথার্থই বলেছিলেন যে “একবার যে মুক্তিযোদ্ধা সে চিরকাল মুক্তিযোদ্ধা নয় কিন্ত একবার যে রাজাকার সে চিরকালই রাজাকার”।
আজ অনেক আনন্দিত হবার ইচ্ছা ছিল । শেষ পর্যন্ত সেই সীমাহিন দীর্ঘশ্বাসই আবার সঙ্গী ।তবুও এত বছর পর এত না পাবার হাহাকারের মধ্যে একটু সূক্ষ আনন্দের প্রলেপ দেয় এই বিচার ।এই রায়ে পূর্ন ন্যায় বিচার নিশ্চিত হয়েছে কিনা আমি জানি না হয়তো হয়নি কিন্ত এই রায়ের ঐতিহাসিক আবেদন চিরকালই টিকে থাকবে । এই রায় হয়তো এই বিশ্বাসটিকে আরও পোক্ত করবে যে পৃথিবীতে ন্যায় বিচার এখনও টিকে আছে,চিরকালই থাকবে । irbesartan hydrochlorothiazide 150 mg
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
এটা ন্যায় বিচার হয় নি।
এটা লোকদেখানো বিচার্। capital coast resort and spa hotel cipro
ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসিই একমাত্র ন্যায় বিচার্।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
লাইনে আসুন…
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
সাঈদী যুদ্ধাপরাধী? কী বলেন এসব? আপনি জানেন তিনি তার এলাকা থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন? তার ছেলে এখন পিরোজপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান। তিনি একাত্তরে রাজাকার থাকলে মানুষ কখনও তাকে ভোট দিত? তাদের কি কিছুই মনে থাকবে না? সবার মেমরি কি বাঙালির মেমরির মত? সবকিছু ভুলে যাবে। জেল থেকে বেরিয়ে এসে তিনি আবার এমপিটু, এমপিথ্রি, এমপিফোর সবকিছু হবেন। can you tan after accutane
এখনও সময় আছে। লাইনে আসুন।
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
মাওলানা দেলোয়ার হুসাইন সাইদীকে হেফাজত করুন!
সাঈদী তুমি জান্নাতি পাখি, গায়েবী লইট্যা ফিস,
তোমার তরে ভাসিয়ে দিলাম একশো একটা কিস! :* para que sirve el amoxil pediatrico
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
can levitra and viagra be taken togetherআপনি আর শুধরাইলেন না! =))
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
will metformin help me lose weight fastএখনও সময় আছে, লাইনে আসুন… :-w