মুভি রিভিউ-Singhum Returns এবং বাংলাদেশ
382
বার পঠিতসচরাচর হিন্দী মুভিগুলোতে কোন কাহিনী থাকেনা। শুধু বিনোদন থাকে। কিন্তু কিছু কিছু মুভিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ফুটে উঠে। রোহিত শিট্টি বরাবরই একজন কমেডি ফিল্ম ডিরেক্টর হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি তার একটি ছবি রিলিজ পেয়েছে। “সিঙ্ঘাম রিটার্নস। আমি সচরাচর হিন্দী মুভি নিয়ে বেশি কথাবার্তা বলতে পছন্দ করিনা। কিন্তু এই মুভিটি দেখে আমার বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট মনে পড়ে গেল তাই বলছি।
synthroid drug interactions calcium
আমি বিস্তারিত কিছু বলব না। শুধু প্রেক্ষাপটটা বলব। এখানে মূখ্য চরিত্র একজন পুলিশ অফিসার। তিনি অত্যন্ত সাহসী এবং ভাল মনের মানুষ। শুরুতেই দেখা যায় কিছু বখাটে ছেলে বাইক নিয়ে বেহাল্লাপনা করে বেড়ায় এবং একজন ট্রাফিক সার্জনের সাথে বেয়াদবি করে। সেই সার্জন সেই অফিসারটির কাছে অভিযোগ করলে এক পর্যায়ে সেই ছেলেগুলোকে ধরতে পারে। ছেলেগুলোর বয়স ছিল কম। তাই সেই অফিসারটি এই যুক্তিতে তাদের ছেড়ে দেন যে, দেশকে যুবকদের দরকার আছে। জেলকে নয়। এখানে সেই অফিসারটি একটি গুরুত্বপূর্ণ লাইন বলে। লাইনটি আমি কোট করতে চাই।
আজ তাদেরকে ভয় দেখিয়ে ভাল পথে আনা যাবে। কিন্তু যদি তাদেরকে জেলে নেওয়া হয় তাহলে তাদের ভয় থাকবেনা। তারা ক্রিমিনাল হয়ে যাবে। পুলিশের কাজ ক্রাইম আটকানো। ক্রিমিনাল বানানো নয়।
এমনি একজন নেতা থাকেন ছবিটিতে। যাকে সবাই গুরুজি বলে ডাকেন। তিনি দেশের রাজনীতিতে তরুণদের সুযোগ দিতে চান। তাই তিনি নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে তরুণদের সুযোগ দেন। এই ক্ষেত্রে তার জোটকৃত দল,যেটা একটা ধর্মব্যাবসায়ী দল, এর বিরোধীতা করে। গুরুজী যখন তাদের এই কথা ফিরিয়ে দেন তখন তারা গুরুজিকে মেরে ফেলে।
বলে রাখি,এই ধর্মব্যাবসায়ী দলটির সাথে জরিত আছেন একজন ভন্ড বাবা যিনি আগে মদ, মেয়ে ব্যবসা ইত্যাদি খারাপ কাজের সাথে জরিত ছিলেন, তিনি বিভিন্ন উপায়ে টাকা কাল টাকা সংগ্রহ করে তা নির্বাচনের ভোট কেনার কাজে ব্যায় করতেন। তার অনেক ভক্ত। তাই সেই অফিসারটি যখন সেই বাবার বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করে তাকে গ্রেফতার করে তখন তার ভক্তরা পাগল হয়ে যায়। তারা দাঙ্গা ফসাৎ শুরু করে। সেই ধর্মব্যাবসায়ী দলের প্রধান তখন এই ধর্মের আশ্রয় নিয়ে দেশে অস্থিতীকর পরিস্থিতীর সৃষ্টি করে। যেদিন সেই ভন্ড বাবাকে কোর্টে নিয়ে যাওয়া হয় সেদিন কোর্টেও হামলা হয়। এখানে সেই ভন্ড বাবার বিরুদ্ধে জবানবন্দি দেওয়ার লোকটিকেও মেরে ফেলা হয়। ভন্ড বাবার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না থাকায় তাদের ছেড়ে দিতে হয়। এমনকি তখকার পুলিশ কমিশনার এবং সেই সাহসী অফিসারটির বিরুদ্ধে ইনক্যোয়ারি বসে। ক্ষমতাসীন দলের প্রধানমন্ত্রী সৎ ছিলেন। তিনি সেই অফিসারটিকে বলেন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবেনা। কিন্তু কিছুদিন চুপ থাকতে হবে। নির্বাচন পর্যন্ত। নাহলে তাদের ক্ষমতা থাকবেনা। অফিসারটি তার এই কথা মেনে নেয়নি। সে তখন পদত্যাগ করে ব্যক্তিগতভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। তার সকল সহকর্মী এমনকি পুলিশ কমিশনারও পদত্যাগ করে। তখন তারা প্রায় ২০-৩০ হাজার পদত্যাগকৃত পুলিশ সেই ভন্ড বাবার কাছে গিয়ে তাকে ব্যাপক মারধোর করে। পরে বাবার পশ্চাৎদেশে গুলি করা হলে তিনি হড়বড় করে তার সকল গুনাহ কবুল করেন।
কিন্তু তারপরও শেষ রক্ষা নেই। সেই বাবা সেই অফিসারটিকে হুমকি দেয় যে তারা ভিতরে যাচ্ছে। কিন্তু খুব দ্রুত বের হয়ে আসবে। অফিসারটি তখন জেলে নেওয়ার পথে ভন্ড বাবা আর ওই নেতাটিকে দূর্ঘটনার নাম করে মেরে ফেলে। এই হল কাহিনী।
এখন আমাদের প্রেক্ষাপটটা বলি। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে লাখ লাখ মানুষকে নির্বিচারে মারা হয়েছে। লাখ লাখ মেয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। মারতে বা ধর্ষণ করতে যারা সাহায্য করেছে তারা বাইরের কেউ না। দেশেরই মানুষ। তারা পালিয়ে নেই। দেশেই আছে। তাদের গাড়িতে লাল সবুজ পতাকা উড়েছে। তারা দেশের সবচেয়ে বড় হাসপাতালে সেবা পাচ্ছে। তাও বিনা খরচে। তাদের জন্য এদেশের মানুষ কেঁদে মরছে। তাদেরকে মুক্ত করার জন্য ধর্মের দোহাই দিচ্ছে। তারা এখন বিরাট ধর্মবোদ্ধা। তাদের বিরুদ্ধে সব সাক্ষীই আছে,কিন্তু তাদের সাজা হচ্ছে না। তারা বিচার চলাকালীন মারা যাচ্ছে,হয়ে যাচ্ছে শহীদ। আর কত? কেউ কি নেই তাদের বুকে পা দিয়ে “জয় বাংলা ” বলবে? কেউ নেই? zovirax tablets price
ণ বলছেনঃ
খুব প্রয়োজন আজ কিছু পাগলের, এই দেশে
অংকুর বলছেনঃ
হুম,ঠিক বলেছেন
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ
acquistare viagra online consigliমহাশয় ঘুমাচ্ছে, আগামী নির্বাচনের আগে জাগবে না।