দুর্শব্দ #১
346
বার পঠিত metformin tabletক.
মহসিন সাহেব হাজী মানুষ। একবার না। তিনবার হজ্জ্ব করেছেন তিনি। সামনের বছর আল্লাহ তৌফিক দান করলে, আরও একবার করার ইচ্ছে আছে। নামাজ পড়তে পড়তে তার কপালে দাগ পড়ে গেছে। এলাকার মসজিদে প্রথম কাতারে তার জন্য একটা জায়গা বরাদ্দ থাকে। মাথায় সব সময় টুপি, মুখে নূরানি দাঁড়ি, সবসময় মুখে আকণ্ঠ বিস্তৃত হাসি। শরীর থেকে সব সময় আতরের সুগন্ধ আসে। তার মুখটা দেখলেই যে কারও মন ভাল হয়ে যায়। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি তিনি। আল্লাহ পাক তাকে সবকিছু দু’হাত ভরে দিয়েছেন। মোহাম্মদপুরে তার আলিশান বাড়ি। টাকা পয়সা দু’হাতে খরচ করেও যেন শেষ হতে চায় না। স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে নিয়ে তার আদর্শ সুখী পরিবার।
জাহাঙ্গীর ছিচকে চোর। নিবাস ছাতা মসজিদ গলির একটা বস্তিতে। ওটা শুধু নামেই তার নিবাস। সেখানে তাকে পাওয়া যায় খুব কমই। তাকে বেশি পাওয়া যায় পাশের একটা বন্ধ থাকা কনস্ট্রাকশন সাইটে। সেখানে প্রতিদিন মাঝরাতে সবুজের আসর বসে।
সেদিনও সবুজের ধোঁয়ার ঘোরে ছল সে। ঘোরটা বোধ হয় তাকে সেদিন একটু বেশিই আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। ঘোর কাটল ফজরের আজান শুনে। ফজরের আজানের পর আসরের সবাই যার যার ডেরার দিকে রওনা দেয়। সবাই উঠে পড়ল। হালকা টলতে টলতে কনস্ট্রাকশন সাইট থেকে বেরিয়ে যে যে যার যার দিকে রওনা দিল। জাহাঙ্গীরও রওনা দিল তার বাসার দিকে। ফেরার রাস্তায় হঠাৎ চোখে পড়ল, একটা বিল্ডিংয়ের কলাপসিবল গেট খোলা। তার পেছনে একটা ফ্লাটের খোলা দরজার উঁকি দিচ্ছে। জাহাঙ্গীর সাত পাঁচ না ভেবে, সন্তর্পণে দরজা দিয়ে ঢুকে পড়ল।
মহসিন সাহেব ফজরের নামাজ পড়ে মাত্র বাসার দিকে রওনা দিয়েছেন, হঠাৎ দেখেন বাসার সামনে একটা জটলা। হন্তদন্ত হয়ে এগিয়ে এসে একটা ছেলের কাছে ঘটনা জানতে চাইলেন। ছেলেটা তার আরও কিছু ছাত্র বন্ধু-বান্ধব সহ মহসিন সাহেবের একটা ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকে। ঘটনা খুবই সাধারণ। তবে উত্তেজক। চোর ধরা পড়েছে। দরজা খোলা পেয়ে ঢুকে পড়েছিল। বেরোতে পারেনি।
শুনেই মহসিন সাহেবের মাথায় রক্ত চড়ে গেল। চুরি! বদমাইশের বাচ্চার এত বড় সাহস? তার বাড়িতে চুরি! তার রক্ত পানি করে করা সম্পদ। ভিড় ঠেলে সামনে এগিয়ে তিনি জাহাঙ্গীরের বুক বরাবর একটা লাথি মারলেন। জাহাঙ্গীর পেছনে উল্টে পড়ে গেল। মহসিন সাহেব বিকট একটা চিৎকার আশা করেছিলেন। মুখ দিয়ে ফোঁস ফোঁস ধরণের কোন আওয়াজ বের হল। মহসিন সাহেব আশাহত হলেন। তবে কি তার যৌবনের তেজ সব ফুরিয়ে গেল? কিন্তু, তার দিকে ভাল করে একটু তাকিয়ে বুঝতে পারলেন, এতক্ষণে তাকে যে পরিমাণ মারধোর করা হয়েছে, তাতে তার এখন শব্দ করাও ক্ষমতা নেই। মহসিন সাহেবের রাগ তখনও পড়েনি। আবারও এগিয়ে গিয়ে পা দিয়ে জাহাঙ্গীরের গলা চেপে ধরলেন। সাথে সাথে জাহাঙ্গীর দু’হাত দিয়ে মহসিন সাহেবের পা জড়িয়ে ধরল। আকুতিটা স্পষ্ট। তাতে কোন কাজ হল না। তারপর দু’হাতে ঠেলে পা সরানোর চেষ্টা করল। কিছু করতে পারল না। তার পুরো পৃথিবী ক্রমশ ঝাপসা হয়ে আসতে শুরু করল। একটু পরে তার কানে ভেসে এলো, “আব্বাজান! আপনি ছাড়েন। আমি দেখতেছি।” একটু পরে পা থেকে গলাটা সরে গেল। জাহাঙ্গীর বুক ভরে একটা নিঃশ্বাস নিলো। তারপর চোখ মেলে সামনে দেখার চেষ্টা করল। মহসিন সাহেবের বড় ছেলে সুমনকে দেখা গেল। তার হাতে একটা চেলাকাঠ ধরা। একটু পরে পেটে প্রচণ্ড আঘাতে জাহাঙ্গীরের নিঃশ্বাস আবার বন্ধ হয়ে এলো। একটু পরে আবার মহসিন সাহেবের গলা শুনতে পেল, “এইসব মাইরে ওর কিচ্ছু হবে না। হারামির বাচ্চাগুলার এইসব মাইর খাইয়া অভ্যাস আছে। দাঁড়া। আমি পাঞ্জাবীটা ছাইড়া আসতেছি।” zovirax vs. valtrex vs. famvir
একটু পরে জাহাঙ্গীরকে দেখা গেল রায়ের বাজারে। তার গলায় জুতার মালা পরানো। আর কোমরে একটা দড়ি। সেই দড়ি একটা রিকশার পেছনে বাঁধা। পিচঢালা রাস্তা দিয়ে রিকশাটা চলছে। প্যাসেঞ্জার সিটে বসে আছেন মহসিন সাহেব। জাহাঙ্গীর তার পেছে উল্টে পড়ে আছে। রিকশার সাথে সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। রাস্তার ঘষায় জাহাঙ্গীরের গেঞ্জিটা ছিঁড়তে শুরু করেছিল। গেঞ্জি ছিঁড়ে যাবার পর ছিঁড়তে শুরু করেছিল চামড়া। এখন ছিঁড়ছে মাংস। রায়ের বাজার আর মধুবাজার চক্কর দেয়া শেষ করে রিকশা থামল। মহসিন সাহেব পেছনে তাকালেন। জাহাঙ্গীরের কোন ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া দেখা গেল না। কী মনে করে মহসিন সাহেব নেমে এসে জাহাঙ্গীরের নাড়ি দেখলেন। তারপর রিকশাওয়ালাকে বললেন, জাহাঙ্গীরকে তুলে রিকশায় রাখতে। রিকশাওয়ালা জাহাঙ্গীরকে তুলে মহসিন সাহেবের পায়ের কাছে ফেলল। তারপর রিকশা ছুটল ছাতা মসজিদের দিকে। ছাতা মসজিদের পাশের গলি দিয়ে খানিকটা এগিয়েই রবির বাড়ি নামে কতগুলো আধপাকা ঘর। একজনকে ডেকে কিছু বলতেই সে একটা ঘর দেখিয়ে দিল। রিকশাওয়ালা গিয়ে দরজায় শব্দ করল। মহসিন সাহেব লাথি মেরে পায়ের কাছ থেকে আবর্জনাটাকে নিচে ফেলে দিলেন। জাহাঙ্গীরের বাবা দরজা খুলে দেখতে পেল, একটা লাল রংয়ের লাশের ওপর একটা রিকশা থেকে একদলা থু থু এসে পড়ল।
মহসিন সাহেব বাসায় ফিরলেন সন্ধ্যাবেলা। সারাদিনের দৌড়াদৌড়ির ধকলে তিনি বেশ ক্লান্ত। ঘামে ভেজা পাঞ্জাবীটা ছেড়ে বাথরুমে ঢুকলেন। দীর্ঘ একটা গোসল শেষে বেরিয়ে দাঁড়ালেন, সারাদিনের নামাজের ক্বাযা আদায় করতে।
অ. viagra en uk
তার কোন নাম নেই। কিংবা হয়তো ছিল। এখন সেটা কেউ জানে না। সে থাকে ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটের বিপরীতে রমনা পার্কে যে ওভারব্রিজটা আছে, তার নিচে। তবে, ওটা স্রেফ তার ঘুমোবার জায়গা; থাকবার নয়। তাকে কখন কোথায় পাওয়া যাবে, সেটা নিশ্চয়তা দিয়ে কেউ বলতে পারে না। অবশ্য, তার ব্যাপারে কেউ কিছু বলতে চায় কি’না কিংবা আদৌ কেউ তার সম্পর্কে কিছু জানে কি’না, সে নিয়ে সন্দেহের বিস্তর অবকাশ আছে।
আল্লাহ, ঈশ্বর, ভগবান, গড — তাদের কেউই তাকে কিছু দেয়নি। চুল আর দাঁড়ির জটায় তার মুখটা ঢেকে দিয়েছে প্রায়। তার পাশ দিয়ে যাবার সময় সস্তা বিড়ির গন্ধে কিংবা দুর্গন্ধে নাড়ি উল্টে আসার উপক্রম হয়। তার খাওয়া কিভাবে জোটে কেউ জানে না। কেউ জানে না, তার বিড়ি কিংবা পাউরুটিগুলো আসে কোথা থেকে। সেটা নিয়ে কেউ দুশ্চিন্তাও করে না। কারণ, তার ওপর যারা নির্ভরশীল তারা দুশ্চিন্তা করে সময় নষ্ট করতে জানে না।
মহসিন সাহেবের বিরুদ্ধে চার্জশিটটা লেখা শেষ করে, আমি সেটা তখন প্রিন্ট করতে প্রেসক্লাব গিয়েছি। এদিকে এত বড় কাগজ প্রিন্ট করা যায় না। চার্জশিটটা লিখতে লিখতেই ঘৃণায় আমার মনটা তখন বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। কী ভেবে কাগজটা হাতে নিয়ে শাহবাগের দিকে হাঁটা দিলাম। মৎসভবন পার হয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটের কাছের পৌছাতেই নাকে উৎকট বিড়ির গন্ধ ধাক্কা মারল। সাবেক চেইন স্মোকার হলেও এখন আর সিগারেটের ধোঁয়া তেমন সহ্য হয় না আমার। গোল্ডলিফ বা বেনসন হলে তবুও মানিয়ে নিতে পারি। কিন্তু, শেখ হোয়াইট বা হলিউড ধাতে সয় না। সেখানে নিখাদ আকিজ বিড়ি হলে তো কথাই নেই। ভাগ্যিস ছোট বেড়ার বমি করার অভ্যাস এখন নেই। নইলে তখনই হড়বড় করে পেট থেকে সব বেরিয়ে যেত।
গন্ধের উৎস সন্ধানে পাশে তাকাতেই খালি গা আর ছেড়া লুঙ্গি পরা এক জটাধারীকে দেখা গেল। সেটাই সে। তার এক হাতে বিড়ি অন্য হাতে একটা পাউরুটি। তার পেছন পেছন যাচ্ছে তিনটে কুকুর। বিড়িটা শেষ করে সে পার্কের রেলিংয়ে হেলান দিয়ে বসল। কুকুর তিনটাও সারিবদ্ধ হয়ে তার সামনে বসে গেল। তাদের মধ্যে একটা বিড়ির ফিল্টারটা শুকে শুকে দেখল, সেটা খাওয়ার যোগ্য কিনা। সেটা খাওয়া যায় না, বুঝতে পেরে আবার তার দিকে মনোযোগ দিল। তারপর, সে তার হাতের পাউরুটিটা, যেটা একজন খেলেও পেট ভরবে না, সেটা চার টুকরো করে তিন টুকরো সামনে ছুড়ে দিল। আমি হঠাৎ অনুভব করলাম, এতক্ষণ আমার মনের মধ্যে জমে থাকা বিষাক্ত ভাবটা ধুয়ে গিয়ে বৃষ্টির মত একটা স্নিগ্ধতা এসে ভর করেছে।
শাহবাগের দিকে পা বাড়িয়ে পেছন ফিরে একবার তার দিকে তাকালাম। মনে হল, আল্লাহ, ভগবান, ঈশ্বর কিংবা গড তাকে কিছু না দিতে পারে, কিন্তু সে তাদেরকে অনেক কিছু দিয়েছে।
can levitra and viagra be taken together
তারিক লিংকন বলছেনঃ
পরবর্তী পরবের অপেক্ষায় রইলাম, সাথে সাথে মুগ্ধ হবারও
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ amiloride hydrochlorothiazide effets secondaires
private dermatologist london accutaneলেখা এখানেই শেষ। দুর্শব্দ #২ হবে একই কনসেপ্টের ভিন্ন কোন গল্প।
তারিক লিংকন বলছেনঃ
synthroid drug interactions calciumতাই?
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
আহারে
viagra in india medical stores
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
হ্যাঁ! কিন্তু, চোখ বড় করার কী হল?
levitra 20mg nebenwirkungen
দুরন্ত জয় বলছেনঃ can your doctor prescribe accutane
can you tan after accutaneছাতা মসজিদ গলির একটা বস্তিতে — ছাতা মসজিদের গলিতে কুনু বস্তি নাই
side effects of drinking alcohol on accutane
আর চোর বেটাকে পেটালে হয় অন্যায়। না পেটালে বেটা পায় লাই, পরবর্তী চুরির উদ্দীপনা পায়। এখন বলেন কি করব আমরা!
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
মামলাটার বাদী ছাতা মসজিদের পূর্ব পাশের গলিতে থাকে। রবির বাড়ি নাম ওটার। যেহেতু, ছিঁচকে চোর, তাই আমার ধারণা ছিল কোন বস্তি হবে। wirkung viagra oder cialis
আর আপনি সম্ভবত আমার লেখার কনসেপ্টটা ধরতে পারেন নি। আচ্ছা, ওটা বাদ দিলাম। প্রথমত, দেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বলে একটা বিষয় আছে। দ্বিতীয়ত, যখন গণপিটুনী দেয়া হয়, তখন সবাই মোটামুটি উন্মত্ত থাকে, হিতাহিত জ্ঞান কম থাকে। ভিকটিমের অবস্থা দেখা হয় না। কিন্তু, আপনি যখন রিকশার পেছনে একটা অর্ধমৃত লোককে বেঁধে টেনে নিয়ে যাবেন, তার চামড়া ছিঁড়ে মাংস বেরিয়ে পড়বে আর যখন দেখবেন সে মরে গেছে তখন লাথি মেরে দরজার সামনে ফেলে আসবেন, তখন আমি আপনার মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ আছে কি’না, সে বিষয়ে অবশ্যই প্রশ্ন তুলব। zoloft birth defects 2013
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
দুর্দান্ত
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
kamagra pastillas