রিভিউ-দ্য এইট
411
বার পঠিতবইটির ব্যাককভারে লেখা আছে,“দ্য দা ভিঞ্চি কোড পড়ে যেসব পাঠক রোমাঞ্চিত হয়েছেন বহুস্তরবিশিষ্ট সিক্রেটের দ্য এইট পড়ে আরেকবার মুগ্ধ হবেন তারা”।বইটি পড়তে পড়তে বারবার আমি এই কথাটার সার্থকতা উপলব্ধি করেছি।সত্যিই আমি মুগ্ধ হয়েছি।কাহিনী যত এগিয়েছে এই মুগ্ধতা বেড়েছে,বিন্দুমাত্রকমেনি।
বাস্তবিকই বহুস্তরবিশিষ্ট কাহিনী বলতে যা বোঝায় দ্য এইট তাই।বইটিতে মূলত বর্ণিত হয়েছে দুই সময়ের দুটি কাহিনী যা বইয়ের শেষে এসে মিলিত হয়েছে এক বিন্দুতে।দুটো কাহিনীই সমান্তরালভাবে চলেছে।একটি কাহিনীর শুরু ১৭৯০ সালে,অন্যটির ১৯৭২ সালে।এই দুই সময়ের দুই কাহিনীর কেন্দ্রে রয়েছে দুই নারী।১৭৯০ সালে শুরু হওয়া কাহিনীতে মিরিয়ে,আর ১৯৭২ সালের কাহিনীতে ক্যাথারিন।মূলত তাদের ঘিরেই কাহিনী আবর্তিত হয়েছে।আর এই ভিন্ন সময়ের ভিন্ন চরিত্রের দুই নারীকে সংযুক্ত করেছে একটি অভিন্ন জিনিস,একটি দাবাবোর্ড।শার্লেমেইনের কিংবদন্তীতুল্য দাবাবোর্ড যার মধ্যে লুকিয়ে আছে হাজার হাজার বছর আগের এক শক্তিশালী এবং বিপদজনক সিক্রেট ফর্মুলা।
এই সিক্রেট ফর্মুলা জানার জন্য হাজার হাজার বছরে চেষ্টা করেছে হাজার হাজার মানুষ।যাদের মধ্যে রয়েছে নেপোলিয়ন,নিউটন,পিথাগোরাস,ক্যাথারিন দি গ্রেট,রিশেলু,রুশো,ভলতিয়ার সহ আরও অনেক বিখ্যাত ব্যাক্তি।এই ফর্মুলা জানতে হলে পেতে হবে সেই দাবাবোর্ড আর তার ঘুঁটি।
১৭৯০ সাল—
এই কাহিনী শুরু হয় মন্তগ্লেইন অ্যাবি থেকে যেখানে নান হবার অপেক্ষায় আছে দুই এতিম খালাত বোন ভ্যালেণ্টাইন এবং মিরিয়ে।সেসময় বসন্তকাল চলছে।হঠাৎ অ্যাবিস অ্যাবির সব নানকে ডেকে পাঠায়।তাদের তিনি জানান তাদের এখানে মাটির নিচে আছে শার্লেমেইনের কিংবদন্তীতুল্য দাবাবোর্ড।এই দাবাবোর্ডের গোপনীয়তা তখন হুমকির মুখে।তিনি তাই সিদ্ধান্ত নিলেন দাবাবোর্ডটি মাটি থেকে তুলবেন।তারপর তার সব ঘুঁটি ছড়িয়ে দিবেন বিভিন্ন জায়গায়।নানদের উপর দায়িত্ব পড়ে কাজটি করার।তাদের জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করতে হবে এগুলোকে।
১৯৭২ সাল—
২৩ বছর বয়সী ক্যাথারিন ভেলিস।সে কম্পিউটার,গণিত ও সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ।সে না চাইলেও জড়িয়ে পড়ে এই দাবাবোর্ড আর তার রহস্যের সাথে।সে কাজ করে একটি সিপিএ ফার্মে,যেখানে সে প্রথম নারী হিসেবে নিযুক্ত হবার সম্মানে সম্মানিত।কাজের সুত্রে তাকে যেতে হয় আলজেরিয়ায় যেখানে রয়েছে রহস্যের চাবিকাঠি।
দ্য এইট এর লেখিকা ক্যাথারিন নেভিল।ভাবতে অবাক লাগে তিনি কিভাবে এত জটিল একটা প্লটের বই লিখলেন।উভয় কাহিনীতেই রয়েছে অসংখ্য চরিত্র যেখানে একই সাথে ঘটে চলেছে অসংখ্য ঘটনা।সেসব ঘটনা আর চরিত্রের হিসেব রাখতে আমিই পড়তে গিয়ে হিমশিম খেয়েছি।তিনি সেখানে কিভাবে সব হিসেব রেখে লিখলেন!উভয় কাহিনীতে দেখা যায় দুটি দল খেলছে যেখানে একদল ভাল,একদল খারাপ।আর দুটি দলের মানুষ সেখানে ঘুঁটি।হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসছে এই খেলা,যে খেলা ঘিরে রচিত হয়েছে অজস্র ষড়যন্ত্র।মিরিয়ে আর ক্যাথারিন উভয়ই প্রথমে মনে করে তারা এই খেলায় সামান্য সৈনিক।পরবর্তীতে তারা আবিস্কার করে তারা মোটেও সাধারণ নয়,বরং তারাই এই খেলার মূল খেলোয়াড়। side effects of quitting prednisone cold turkey
প্রায় ৬০০ পৃষ্ঠার একটি থৃলার।কিন্তু পড়ার সময় বিন্দুমাত্র বিরক্তিকর কিছু পাইনি।প্রতিটি পৃষ্ঠা আগ্রহের সাথে উল্টাতে বাধ্য হয়েছি।লেখিকা পুরোটা সময় আমার আগ্রহ ধরে রাখতে পেরেছেন।আর বইটির শেষ অংশতো সবচেয়ে উপভোগ্য।বইটির শেষে তিনি যে টুইস্টটি এনেছেন তা এক কথায় অনবদ্য।এই টুইস্টটিই দুই সময়ের দুই কাহিনীর সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করেছে।বইটির একেবারে শেষে না আসা পর্যন্ত আমি ব্যাপারটা ধারনা করতে পারিনি,যদিও ব্যাপারটির একটি ক্লু অনেক আগেই ছিল।
বইটি আমার কাছে যে এত উপভোগ্য হয়েছে তার কৃতিত্ব একা লেখিকার নয়।এই কৃতিত্বের সমান ভাগীদার অনুবাদকও।আর বইটির অনুবাদক আমাদের সবার প্রিয় মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন।তিনি বইটিতে অসাধারণ কাজ করেছেন।এত বিশাল ক্যানভাসের একটি জটিল লেখাকে তিনি যেভাবে সাবলীল ভাষায় অনুবাদ করেছেন তা প্রশংসার দাবিদার।যদিও কিছু নগণ্য জায়গায় অনুবাদ চোখে লেগেছে।যেমন তিনি কেমনে না লিখে কিভাবে,চলেন না লিখে চলুন লিখতে পারতেন।এটি অবশ্য একান্তই আমার ব্যাক্তিগত মতামত আর তেমন কোন ভুলও নয়।আর তিনি যে সুবিশাল কাজ করেছেন,এসব উপেক্ষা করা যায়।কিন্তু বইটির বিভিন্ন অংশে যে অজস্র বানান ভুল রয়েছে তা উপেক্ষা করা যায় না।
বইটির নাকি ফায়ার নামক একটি সিকুয়েল আছে।যদিও সেটি প্রথমটার মত এত বিখ্যাত নয়।তারপরেও আমার ফায়ার পড়ার অত্যন্ত আগ্রহ রয়েছে।আশা করি ভবিষ্যতে বাতিঘর আর মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন মিলে আমাদের দ্য এইট এর মতই ফায়ার এর একটি মানসম্পন্ন অনুবাদ উপহার দিবেন।সেই দিনটির অপেক্ষায় থাকব।
এক নজরে
বইয়ের নাম-দ্য এইট
লেখিকা-ক্যাথারিন নেভিল
অনুবাদক-মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
অনুবাদ প্রকাশক-বাতিঘর প্রকাশনী
অনুবাদ প্রকাশকাল-সেপ্টেম্বর,২০১১
প্রচ্ছদ-দিলান
গায়ের মূল্য-৪৫০ টাকা
আমার রেটিং-৪.৫/৫
পরিশেষে বলতে পারি যারা এখনো বইটি পড়েননি পড়ে ফেলুন,বিন্দুমাত্র হতাশ হবেন না।
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ venta de cialis en lima peru
ভালো লাগলো রিভিউটি। যদিও বইটি পড়া হয়নি তবে পড়ার ইচ্ছে রয়েছে
সৌর জিত বলছেনঃ
ধন্যবাদ
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
এত বড়!!!
আর ভাই রিভিউ ভাল লেগেছে তবে কবিতার মত এভাবে লিখেছেন কেন??? acquistare viagra in internet
তারিক লিংকন বলছেনঃ
গডফাদার বা ভিঞ্চি কোডের মত থ্রিলার হলে ৬০০/৭০০ পেইজ ব্যাপার না! আমিও পড়ি নি এইটা! ধন্যবাদ শেয়ার করবার জন্যে… অনেকদিন পর একটা বুক রিভিউ পড়লাম!! সুযোগ পেলে পড়তে হবে। আপনার পোস্ট ভাল লেগেছে!!
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
গডফাদার বা ভিঞ্চি কোড পড়েছেন জনাব?
walgreens pharmacy technician application online
সৌর জিত বলছেনঃ
ভিঞ্চি কোড পড়েছি।কিন্তু গডফাদার এখনো পড়া হয়নি।
সৌর জিত বলছেনঃ
metformin gliclazide sitagliptinকবিতার মত করে লিখিনি।আসলে এরকম দেখাচ্ছে আমার পোস্ট করার ভুলে।আর ৬০০ পৃষ্ঠার হলেও বইটা দুর্দান্ত গতির।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
রিভিউটা ভালো লেগেছে, আরও ভালো হোক, এই প্রত্যাশা নিরন্তর… :-bd
লেখা থামাবেন না, নেক্সট লেখার অপেক্ষায় রইলাম। :-w
সৌর জিত বলছেনঃ
ধন্যবাদ।আমারও ইচ্ছে লেখা চালিয়ে যাবার।
সৌর জিত বলছেনঃ
সকলকে ধন্যবাদ আর দেরি করে রিপ্লাই দিচ্ছি,এজন্য দুঃখিত।
মস্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
কেনার লিস্টেই ছিল। শেষে বাজেট ফুরিয়ে গেল