বখাটে
338 can your doctor prescribe accutane
বার পঠিত clomid over the counterগল্পটা আমি তোমাকে বলব। জানি এই গল্পটা শোনার কোন ইচ্ছে তোমার নেই। তুমি শুনবেও না। তবুও তোমাকে বলব। কারণ, গল্পটা আবর্তিত তোমাকে ঘিরে। গল্পটার শুরুতে তুমি এবং শেষটুকুও তোমার হাতেই। তবু বলছি, গল্পটা তুমি আগে শোন নি। গল্পটাকে তুমি চেন। কিন্তু, জান না এটা ঠিক কী? বিশ্বাস কর, শুধু তোমাকে গল্পটা শোনাব বলে সেই ধূলি-ধূসরিত পৃথিবী থেকে এতটা পথ পাড়ি দিয়ে এই নিঃসীম অন্ধকারের জগতে এসেছি।
গল্পটা ঠিক কোথা থেকে বলতে শুরু করব, আমি জানি না। আমি লেখক নই। খুব ভাল আড্ডাবাজও নই। গল্প বলে কাউকে মুগ্ধ করার ক্ষমতাও আমার নেই। খুব সাধারণ একটা ছেলে। ‘বখে যাওয়া’ শব্দ দু’টো দিয়েই আমাকে সবাই বিশেষিত করতে ভালবাসে। তোমার কাছেও নিশ্চয় আমি ভিন্ন কিছু ছিলাম না।
কিন্তু, কেন যেন আমার আজও মনে হয়, আমাকে তুমি যেদিন প্রথমবার দেখেছিলে, আমার প্রতি এমন কোন ধারণা তোমার হয় নি। ভাল কোন ধারণা যে জন্মায় নি, এটা খুব ভাল করেই জানি। কিন্তু, এতটা খারাপও বোধ হয় আমাকে ভাব নি। আচ্ছা, সত্যি করে বল তো সেদিন কী আমাকে তোমার চোখে পড়েছিল? হয়তো। হয়তো না। বিশ্বাস করবে কি’না জানি না, তোমাকেও কিন্তু, আমার সেভাবে চোখে পড়েনি। হা হা হা। রাগ করলে। কী করব বল। সত্যি বলছি। হাঁটছিলে তো তোমরা দুই বান্ধবী। তোমাদের কারও চেহারাই সেভাবে খেয়াল করি নি। স্রেফ তোমাদের মাঝে আমি তোমাকে আর উচ্ছ্বাস তোমার বান্ধবীকে বেছে নিয়েছিল। ভাগ্যিস কোন কিছুতেই আমাদের দু’জনেই পছন্দ মেলে না। না হলে এখানেও হয়তো ঝগড়া লেগে যেত। আর তাছাড়া, এস.এস.সি.টা দেবার পর বহু মেয়ের পেছনে হেঁটেছি। গিয়ে বাসা চিনে এসেছি। স্কুল চিনে এসেছি। কোচিং চিনে এসেছি। তাই কোন মেয়ের পেছনে হেঁটে চলায় কোন নতুনত্ত্ব ছিল না। তার কোনটাই অবশ্য নিজের জন্য নয়; বন্ধুদের জন্য। নিজের জন্য হেঁটে চলা ছিল সেই প্রথম।
তুমি বোধ হয় খানিকক্ষণ পরেই ধরে ফেলেছিলে, আমি আর উচ্ছ্বাস তোমাদের পেছনেই আসছি। অবশ্য ধরে ফেলারই কথা। বেশি দূরত্ব রাখি নি। তোমাদের জীবনে হয়তো এমন কিছু ছিল প্রথমবার। তাই দু’জনেই হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছিলে। মাঝে মাঝে বোধ হয় তোমাদের সন্দেহ হচ্ছিল, তোমাদের পেছনেই আসছি কি’না? তাই থেমে থেমে পরীক্ষা করে নিচ্ছিলে। আমরাও থেমে থেমে জানিয়ে দিচ্ছিলাম, তোমাদের পেছনেই আসছি। একটু পরে গলা উঁচিয়ে জানিয়ে দিলে, ‘কালকে সাড়ে পাঁচটায়।’ যা বোঝার বুঝে নিলাম।
বাসায় ফেরার পর, সময়টা হুশ করে কেটে গেল। কিন্তু, বিছানায় শরীরটা এলিয়ে দিতেই যখন তোমার চোখটা ভেসে উঠল, সময় যেন স্থির হয়ে গেল। শত চেষ্টা করেও আর সামনে থেকে সরাতে পারলাম না। সারাটা রাত তোমার চোখ দু’টো ছিল চোখের সামনে। ঘুমোতে পারলাম পুরো রাত শেষ হয়ে যখন ভোরের পাখি ডাকতে শুরু করেছে তখন। আর তাই ঘুম থেকে উঠলাম বিকেল সোয়া পাঁচটায়। উঠতেই মনে পড়ল, ‘কালকে সাড়ে পাঁচটায়।’ ঘড়ির দিকে তাকাতেই আঁতকে উঠলাম। দৌড়ে গেলাম স্কুল ক্যাম্পাসে। যেখানে প্রথমবার তোমাকে দেখেছিলাম। উচ্ছ্বাস আগেই কয়েক বন্ধুকে বলেছিল। আমি এসে পুরো দু’টো ফুটবল টিম বানিয়ে ফেললাম। ইচ্ছে একটাই। তোমাদের কিংবা খুব ভাল করে বললে, তোমাকে ভড়কে দেয়া। আপেক্ষিকতার তত্ত্ব মেনে, প্রতিটি সেকেন্ড হয়ে গেল এক একটি যুগান্তর। এবং এক মহাকাল পার হয়ে আমি আবিষ্কার করলাম, তুমি আস নি। কেবল আমাকে খানিকটা আশা দিয়েছিলে এবং নিজ হাতে সেটিকে ভেঙ্গে চুরমার করেছিলে। হয়তো খুব আনন্দ পেয়েছিলে। আমি কিংবা আমরা কতটা বোকা বনেছি, ভেবে হেসে গড়াগড়ি খেয়েছ। কিন্তু, বিশ্বাস কর, আমার অনুভূতিটা এতটা আনন্দের ছিল না। প্রগাড় কোন বিশ্বাস হঠাৎ করে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে গেলে, হৃদয়টাও তার সমান টুকরো হয়ে ভেঙ্গে যায়। বোধ হয় আমার হৃদয়টাও গিয়েছিল। বন্ধুরা চারপাশ থেকে টিটকিরি মারছিল, ‘কি রে! তোর জান্টুশটুশ আসল না?’ আমি কিচ্ছু শুনি নি। শুধু অনুভব করেছিলাম। বিশ্বাসের প্রতি তীব্র বিতৃষ্ণা।
অবশ্য ক’দিন যেতেই কৈশোরের ক্ষণকালীন আবেগটা লীন হয়ে গেল। আমার জীবনটা তখন মোটামুটি স্বাভাবিক। মোটামুটি নয় পুরোপুরিই স্বাভাবিক। আবারও আমি আর উচ্ছ্বাস রাস্তায় হেঁটে চলি। আবারও ফুটপাত ধরে হেঁটে চলা প্রতিটি মেয়ের রূপের নাম্বার দিই। কোন মেয়েকে দেখার সাথে সাথে সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে, মেয়েটা মাত্রাতিরিক্ত অহংকারী; বেশি ভাব নেয়; ধরে থাপড়ানো উচিত ইত্যাদি ইত্যাদি। কিংবা, আবারও বিকেলে স্কুলের ছাদে বসে অথবা রাস্তায় রাখা কোন ভ্যানে বসে থেকে আড্ডা দিই।
এবং ঠিক কেন জানি না, আমি আবারও তোমাকে দেখলাম। তুমি হেঁটে যাচ্ছিলে। একা। কী ভেবে আমি উঠে দাঁড়ালাম। আমার দেখাদেখি উচ্ছ্বাসও। আবারও তোমার পেছনে হাঁটতে শুরু করলাম। তুমি ঠিক কী বুঝলে জানি না। কিন্তু, হঠাৎ দৌড়াতে শুরু করলে। দু’জনেই খানিকটা অবাক হলাম। তারপর হেসে ফেললাম। সার্থক একটা ধারণা আমাদের প্রতি বোধ হয় সেদিন তোমার জন্মে গিয়েছিল; বখাটে। তোমার কাছে গিয়ে স্রেফ বলব, ‘তুমি যা ভাবছ আমরা তেমন ছেলে নই। ভয় পেয়ো না। ধীরে-সুস্থে বাসায় যাও।’ এই ভেবে আমি পা জোরে চালালাম। কিন্তু, সাথে সাথে তুমি পাগলের মত দৌড়াতে শুরু করলে। আমি দৌড় দিলে তোমাকে ধরে ফেলতে পারতাম। কিন্তু, দিলাম না। কারণ, ‘এই ব্যস্ত সড়কে পাশে একটা মেয়ে পাগলের মত দৌড়ুচ্ছে আর পেছনে দু’টো ছেলে’ এই দৃশ্যটা কারও কাছেই গ্রহণযোগ্য হবে না। থেমে গেলাম। কিন্তু, কোন অজানা কারণে তোমার দিকে তাকিয়ে থাকলাম। তুমি একটু পর পর ভয়ার্ত চোখে আমাদের দিকে তাকাচ্ছ। প্রচণ্ড একটা আতঙ্ক তোমার চোখেমুখে। কিন্তু, আমার কেন যেন মনে হল সেই অবর্ণনীয় আতঙ্ক ভেদ করে আমি তোমার মাঝে একটা আশ্চর্য সরলতা খুঁজে পেলাম। কিংবা এই সরলতার মাঝে লুকিয়ে থাকা পবিত্রতা। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম তোমার ভয়ার্ত চোখ দু’টোর দিকে। ক্ষণে ক্ষণে আমাকে দেখে তাতে আতঙ্ক এসে ছোটাছুটি করছিল। কিন্তু, তার মাঝে আমি দেখেছিলাম মহাবিশ্বের শেষ রহস্য। তার মাঝে গেঁথে যেতে পারলে হয়তো আমি দেখতে পেতাম অতলান্তিকের চেয়েও গভীর কিংবা প্রশান্ত মহাসাগর থেকেও বড় কিংবা সায়ানাইডের থেকেও তীব্র কোন অনুভূতি। আমি সেই চোখের মাঝে প্রবেশ করতে পারি নি। ততটা পবিত্রতা আমার মাঝে ছিল না। walgreens pharmacy technician application online
প্রথমবার অনুভূত হওয়া একটা অনুভূতি নিয়ে আমি ফিরে এলাম। আমি কবি নই। শব্দের কারিগরি জানি না বলে ঠিক বুঝতে পারলাম না, আমার এই অনুভূতির কোন নাম আছে কি’না। মর্তবাসী মানবেরা কোন কোন শব্দ ঠিক করেছে কি’না এই অনুভূতির জন্য। কিংবা, অদৌ কেউ কি কোনদিন এই অনুভূতি ধারণ করেছে কিনা? কোন প্রশ্নের উত্তরই আমার জানা ছিল না। আমি স্রেফ জানতাম আমি আনকোরা এক অনুভূতিকে ধারণ করেছি। আমি আমার চোখে দু’টো চোখের ছবিকে গেঁথে নিয়েছি। সেই চোখের পবিত্রতাকে ধারণ করতে পারি নি। কিন্তু, অনুভব ঠিকই করেছি। এবং জীবনে প্রথমবারের মত আমি সত্যিই বিশ্বাস করলাম, ‘মানবজীবন আসলেই মহান’।
অথচ, আমি তখনও বুঝতে পারছিলাম, আমার প্রতি কতটা জঘন্য ধারণা নিয়ে তুমি বেঁচে আছ। অনুভূতির তীব্র মাদকতার মধ্যেও এই যন্ত্রণাটা ক্রমাগত আমাকে দংশন করছিল। নিজেকে কেন যেন মেহেদী পাতার মত মনে হচ্ছিল। ওপরে অসাধারণ একটা অনুভূতির সবুজ আবরণ। কিন্তু, ভেতরে যন্ত্রণা-মাখা একটা অনুভূতির রক্তিম লাল। কীভাবে জানি না, কিন্তু আমি জীবনে প্রথমবারের মত একটা কবিতা লিখে ফেললাম,
পরে শুনি ‘আবুল হোসেন খোকন’ নামে একজন বহু আগেই লিখে গেছেন: will i gain or lose weight on zoloft
কীভাবে এমন হল স্রষ্টাই ভাল জানেন। বোধ হয় অনুভূতিগুলো সবার কাছেই এক।
সেই অনুভূতিকে ধারণ করেই আমি প্রতিটি বিকেল বসে থাকতাম স্কুল ক্যাম্পাসে। স্রেফ তোমাকে কিংবা আরও নিখুঁতভাবে বললে, তোমার চোখ দু’টোকে দেখব বলে। তোমার দেখা পেতাম। কিন্তু, তোমার দু’চোখে ভর করে থাকত প্রচণ্ড আতঙ্ক। ঠিক যা আমি দেখতে চাই। কারণ, আমি তোমাকে ভালবেসেছিলামই তোমার ওই আতঙ্কিত চোখ দেখে। তোমার চোখ সবচেয়ে গভীর হয়ে থাকত যখন তাতে এসে ভর করত মহাবিশ্বের শূণ্যতাসম আতঙ্ক। তোমার মনে কী ঝড় বয়ে চলত আমি অনুভব করি নি। অনুভব করার চেষ্টাও করি নি। পৃথিবীর আর কিছুতেই আমার কোন খেয়াল ছিল না। খেয়াল ছিল শুধু তোমার চোখ দু’টোতে।
তাই, আমি ঠিকমত এও খেয়াল করি নি, হঠাৎ একদিন তুমি আস নি। আমি অপেক্ষা করে গেছি। কিন্তু, তুমি নেই। কোন এক মুহূর্তে আমি অস্থির হয়ে উঠি। তোমার একটি খবরের জন্য আমি যে কাউকে পুরো পৃথিবী দিয়ে দিতে পারি।
অবশ্য তোমার খবরের জন্য আমাকে কাউকে কিছু দিতে হয় নি। তোমার খবর আমি জেনেছিলাম ঠিক তিনদিন পর। যখন পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে জানাল, প্রতিদিন বিকেলে আমি যে মেয়েটাকে টিজ করতাম তিন দিন আগে সে গলায় দড়ি দিয়েছে। তিন দেয়ালের অদ্ভুত খাঁচায় আমি স্তব্ধ হয়ে বসে রইলাম। তোমার মৃত্যু আমার মনে কোন অনুভূতি তৈরি করেছিল কি’না আমার ঠিক জানা নেই। আমি শুধু এটুকু ঠিক করেছিলাম, তোমাকে আমি সত্যিটা জানাব। যেভাবেই হোক। এবং কেবল এই একটা পথই আমার সামনে খোলা ছিল।
ছাত্র হিসেবে আমি মোটেই ভাল নই। ধমনি ডান দিক দিয়ে চলে না বা’দিক দিয়ে ঠিক মত বুঝতে পারলাম না। সাত পাঁচ ভেবে বাম হাতটা সামনে মেলে ধরলাম। তারপরেই প্রচণ্ড জোরে তাতে কামড়ে ধরলাম যতটা গভীরে পারা যায়। খানিকক্ষণ নিজের সাথে ধস্তাধস্তির পর রেডিয়াসের ওপরের মাংসটুকু দাঁতের সাথে উঠে এল। রক্তের নোনতা স্বাদটা খারাপ লাগল না। তবুও মাংসটুকু মুখ থেকে ছুড়ে ফেললাম। বেশি জোর পেলাম না। আমার গায়ের ওপরই পড়ল। হাতটা থেকে অঝোর ধারায় বর্ষণ হতে শুরু করল। তার স্থায়িত্ব ঠিক কতক্ষণ ছিল ভাল মনে নেই। viagra en uk
তারপরেই আমি নিজেকে আবিষ্কার করলাম তোমার সামনে। ঠিক কতটা পথ পাড়ি দিয়ে এসেছি জানি না। কিন্তু, চেতনা ফিরে পেতেই আমি পেলাম এই নিকষ তিমির জগত এবং তোমাকে। তোমার দু’টো অশঙ্ক চোখকে। তারপর… আমি আপেক্ষিকতার সূত্র মেনে অনন্তকাল ধরে দাড়িয়ে আছি শুধু একটি শব্দ বলব বলে… ভালবাসি। ভালবাসার গল্পটা শুনবে? গল্পটা আমি তোমাকে বলব।
levitra 20mg nebenwirkungen
মাশিয়াত খান বলছেনঃ about cialis tablets
ভাল লাগল। নিঃসন্দেহে অনেক ভাল। তবে প্রথম দিকটা খুব বেশিই ভাল লেগেছে। শেষে ভাল লাগার অনুভূতি অতটা বেশি থাকেনি আর।
ইলোসিয়া মৌনিন বলছেনঃ
আমি মেয়েটার গলায় দড়ি দেয়ার কারনটা বুঝিনাই।
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
ধরে নিয়েছিল ছেলেটা ইভটিজার। মেয়ের বয়স ছিল কম। তাই মনে ভয় ছিল বেশি। ফলে, মানসিক চাপ নিতে পারেনি।
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ
missed several doses of synthroidঠিক আছে, তবে মেয়েদের থাবড়ানো অনুভূতিটা হজম হয়নি। শুরুর দিকের আগ্রহটা শেষে ধরে রাখতে পারিনি।
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
সদ্য এসএসসি পাশ করা দু’টো ছেলেকে আপনি নিশ্চয়ই এত ঠিক বেঠিক বোঝাতে পারবেন না।
শ্রাবনের রক্তজবা বলছেনঃ
ভাল লেগছে …।
ভালোবাসা বর্ণনা ফুটিয়ে তুলেছেন খুব চমৎকার ভাবে…
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ achat viagra cialis france
ধন্যবাদ আপনাকে।