ক্যাওস অফ সুপিরিয়রিটি
611
বার পঠিতছাত্রলীগের মহাসমাবেশ দেখছিলাম।
এত বড় একটা সমাবেশ, বিশৃঙ্খলা একটু হবেই। বিরিয়ানি খাওয়া লীগারদের জন্যে ঝামেলাটা আরো বেশি। যারা মনে প্রাণে ছাত্রলীগ করে, তাদের প্রচেষ্টাটা ম্লান হয়ে যায়। শিক্ষা চত্বরে ঢাকার বাইরে থেকে আসা কয়েকজনের হৈ হুল্লোরে একটা গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়। তারা সরি বললেও ব্যাপারটা আমাকে অন্যদিকে চিন্তিত করে। এমনিতে ছাত্রলীগের ছেলেরা যথেষ্ট ভদ্র, অন্তত হেফাজতের তুলনায়। আমি আর মেঘ হেটে আসছিলাম যখন, সরে গিয়ে তারা জায়গা করে দিয়েছে, ব্যাপারটা ভালো লেগেছে। কিন্তু আমার মাথায় আটকে গেছে ঐ ভাঙা কাঁচ। চিন্তাটা সামগ্রিক, এর সাথে ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্ক নাই।
বয়েজ স্কুলে পড়েছি, বিভিন্ন কাজে বা প্রতিযোগিতায় গার্লস স্কুলে যেতাম। একটা লক্ষ্য থাকতো, কিছু ‘করে’ আসা। যেমন একবার চৌকি ভেঙে ফেলেছিলাম, এক ফ্রেন্ড পুরো দেয়াল জুড়ে নিজের অংকন প্রতিভার প্রমান দিয়েছিলো, প্রাকটিকালে একটা জার ভেঙে ফেলেছিলো এক বড় ভাই। এবং এ নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো আফসোসবোধ কাজ করতো না। বরং এটা আমাদের কাছে অনেকটাই গর্বের বিষয় ছিলো। ব্যাপারটা এমন না যে আমরা দুষ্টছেলে ছিলাম। আমার এক বান্ধবী জানিয়েছিল, একই ধরনের কাজ তারাও আমাদের রসায়ন ল্যাবে করেছিল। এবং এমনটা প্রায় প্রতি বছরেই হয়। ovulate twice on clomid
এটা শুধু একটা বাস্তব প্রায়োগিক উদাহরণ দিলাম মাত্র। আমরা, ছেলে বা মেয়ে, বড় বা ছোট, সবাই এরকম ‘দেখিয়ে দেয়া’ বা কিছু ‘করে’ আসা ব্যাপারটাতে খুব স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমার মাথায় এই ভাঙা কাঁচ তাই আটকে গেলো। আমি মোটামুটি নিশ্চিত, ঐ ছেলেরা, আড্ডায় বা বাসায়, গল্পের ছলে বা মজা করে হলেও একবার অন্তত বলবে, ঢাকায় যাইয়া গাড়ি ভাইঙ্গা আসছি। এবং তার দর্শক এবং শ্রোতাবৃন্দ এতে যে যথেষ্ট উৎফুল্ল হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ব্যাপারটা শুধুমাত্র ছাত্রলীগের কয়েকটা উচ্ছৃঙ্খল ছেলে বা পোংটা পোলাপান বা টমবয় টাইপ মেয়ের কর্মকান্ড না। ব্যাপারটা আমাদের মরণঘাতি একটা সামাজিক ব্যাধি। সুপিরিয়রিটি অফ ক্যাওস। বিশৃঙ্খলা প্রবণতা। আমাদের মতো দেশের সমাজে সবচেয়ে ভয়াবহ দুষ্টচক্র।
চক্রটা এরকম যে বিশৃঙ্খল প্রথম পক্ষের দ্বারা নিগৃহীত বিশৃঙ্খল দ্বিতীয় পক্ষ আবার বিশৃঙ্খল তৃতীয় পক্ষকে নিগ্রহ করে। বিশৃঙ্খল তৃতীয় পক্ষের দ্বারা আবার প্রথম পক্ষ ভিকটিমাইজড হয়। এ চক্র আরো বড় হতে পারে।
উদাহরণ দেই, বাপ উকিল, ছেলে বেশি টাকা নিল ভার্সিটির কথা বলে ; ভার্সিটি শিক্ষক দুর্নীতি করে বেশি টাকা রাখলো, আবার প্রয়োজনমুহুর্তে সেই শিক্ষক ঐ উকিল পিতার কাছে গিয়ে দুর্নীতির শিকার হলো। আমাদের দেশে বর্তমানে এই চক্র বড় হতে এখন সবজি বিক্রেতা মুদি দোকানী থেকে মন্ত্রী এমপি পর্যায় পর্যন্ত ঘিরে ফেলেছে। দুশ টাকার মাছ চারশ টাকা, আটত্রিশ টাকার কোক চল্লিশ টাকা, এগারোশ কোটি টাকার প্রজেক্ট তেরশ কোটি টাকা। বিশ টাকার ভাড়া চল্লিশ টাকা নেয় রিকশাওয়ালা, চারশ টাকার বিদ্যুত বিল ফাও বাড়িয়ে সাতশ টাকা নেয় সরকার। প্রতিটি স্তরে, প্রতিস্তরে উপস্তরে বিশৃঙ্খলা।
তো আমি, আপনি বা সে এই নষ্ট চক্রের বাইরে না। এই দেখিয়ে দেয়াটা এখানে ক্রেডিট, বাস ভাঙা ক্রেডিট, টিজিং করা ক্রেডিট, টিফিন অথবা প্রজেক্টের দুটা মিস্টি বা দু কোটি টাকা মেরে দেয়া ক্রেডিট। সে যদি বলে, ঢাকায় যেয়ে ভদ্র হয়ে ছিলাম, এটা ক্রেডিট না, প্রপোজ করা ক্রেডিট না, সৎ থাকা ক্রেডিট না। স্পেন্সার সাহেব বলেছিলেন, দ্য ফিটেস্ট উইল সার্ভাইব। টিকে থাকার তাগিদে সমাজ এখন মুখস্ত শিক্ষাকে ক্রেডিট দেয়, জ্ঞানার্জন এখানে ডিসক্রেডিট। zithromax azithromycin 250 mg
তো এই চক্রব্যূহ ভাঙবে কিভাবে ? উত্তর হচ্ছে আপনার আমার কারো পক্ষে সম্ভব না। এক সময় এই বিশৃঙ্খলারও একটা নিয়ম তৈরী হবে, শৃঙ্খলা তৈরী হবে এই অলাতচক্রের। আমাদের মাঝেই কেউ করবে। আমরা বুঝতেও পারবো না। নীৎসের ভাষায়ঃ একদল লোকের নাচ দেখে তাদের পাগল মনে হতেই পারে, যদি না আপনি মিউজিকটা শুনতে পান।
কিছু পাগলের খুব দরকার এই নন্দিত নরকে
অংকুর বলছেনঃ
বিষয়টা আসলেই চিন্তার। আমি এইরকম করিনা,এই কথাটা বললে ভুল হবে।সবাই নিজের অজান্তেই এমন কাজটা করে থাকে। এভাবে বিষয়টা দেখে না। দেখে ক্রেডিট হিসেবে।
বর্তমানে এই বিষয়টাই মূখ্য হয়ে গেছে ভাই। এখন কেউ চাইলেও জ্ঞান অর্জন করতে পারেনা। কারণ তাকে টিকে থাকতে হবে। কারণ এখন শিক্ষা মানেঈ ডিগ্রী। আর ডিগ্রীর সাথে শিক্ষার তথা জ্ঞানের কোন সম্পর্কই খুঁজে পাওয়া যায়না।
এটা তো অনেক দীর্ঘমেয়াদী। কোন স্বল্পমমেয়াদী উপায় কি নেই ভাই?
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
আমারও এই প্রশ্ন
ণ বলছেনঃ
স্বল্পমেয়াদী অনেক কিছুই আছে, যেমন সামাজিক সচেতনতা, পরিবর্তনের চেষ্টা, মিডিয়ার অস্তিবাচক ভুমিকা। কিন্তু ফলপ্রসূ না। আপনি আমি চাইলেই আসলে সংস্কৃতির মোড় ঘুড়িয়ে দিতে পারবো না।
অংকুর বলছেনঃ
এর উপর সবকিছু ছেড়ে দেওয়া কি ঠিক?
ণ বলছেনঃ
doctorate of pharmacy onlineবিন্দু বিন্দু মিলে সিন্ধু গড়ে, এটা সত্য
আমরা সিন্ধু ভেঙে বিন্দু গড়ার চেষ্টা করলে কি হবে ? বরং ছালা ও আম দুইই যাবে venta de cialis en lima peru
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
আমি এই ব্যাপারটায় নিশ্চিত না
বাকি বিষয়গুলোর সাথে একমত
ণ বলছেনঃ
আজাদ বলেছিলেন, মানুষ সিংহের প্রশংসা করে, কিন্তুকে গাধাকেই পছন্দ করে।
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
সত্যি বলতে কি, আমি আমার পড়াশুনার ক্ষেত্রে মুখস্তের মত কিছু দেখিইনি। মুখস্ত করে রেজাল্ট করার তো কোন প্রশ্নই ওঠে না। আর আমি সমাজকে দেখেছি রেজাল্ট দেখতে। মুখস্ত- জ্ঞানার্জন এগুলো ঘেঁটে দেখায় সমাজের কোন মনযোগ তো দেখিনি।
ণ বলছেনঃ
এই যে ফলাফল দেখার মানসিকতা, এটাও কিন্তু বিশৃঙ্খলা। এমনটা হওয়ার কথা না। যেমন মনে করেন, বিসিএস পরীক্ষায়, আপনার জ্ঞান যা সবই মুখস্তনির্ভর। কতটা মনে রাখতে পারেন তার উপর। আপনি মনে করেন পড়তেছেন, ইন্ডাকশন মোটর অথবা গ্যালভানোমিটার এর গঠন। এটা কিন্তু মুখস্ত, নিজে যখন বাস্তব প্রায়োগিক ক্ষেত্রে যাচিত আহরিত জ্ঞানের মাধ্যমে নতুন কিছু অর্জন করতে ব্রত হবেন, সেটা হবে “জ্ঞানার্জন”।
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
বাস্তব প্রয়োগিক ক্ষেত্র বলতে কি বুঝিয়েছেন তা ঠিকমত বুঝিনি। বই কি বাস্তব প্রয়োগিক ক্ষেত্রের মধ্যে পড়ে? যদি তা না হয় তাহলে কি কোন বই থেকেই আমরা জ্ঞানার্জন করতে পারিনা?
আর যদি বই তার মধ্যে অড়ে তাহলে পাঠ্যবই পড়বে না কেন? ইন্ডাকশন মোটর বা গ্যালভানোমিটারের গঠন এটা মূখস্ত আবার পুরোপুরি তা না যে ছাত্রকে শেখানো হয় কেন কোন অংশগুলো বসানো হল তার কাছে ব্যাপারটা মূখস্ত না। যেমনঃ ফিজিওথেরাপিরে Infrared ray ব্যবহৃত হয়। এটা মূখস্ত। কিন্তু যে ছাত্র বুঝতে পারল কেন ব্যবহৃত হয় সে একটা পাথর নিয়ে নিজেই সেটা গরম করে ব্যাথার জায়গায় দিয়ে ফিজিওথেরাপির বিকল্প তৈরি করবে।
তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি আঠ্যবই থেকে আমরা জ্ঞানার্জনই করি। গ্যালভানমিটারের যে বাস্তব গঠনটা আমরা দেখতে পাচ্ছি কিন্তু সবসময় বুঝতে পারছিনা সেটা তো বইই আমাদের দেখিয়ে দিল। হয়ত পুরোটা বুঝাতে পারেনা।
ফলাফল দেখার মানসিকতা -বিশৃংখলা নিঃসন্দেহে। আর বিসিএস পরীক্ষা মূখস্তের এটার সাথেও একমত
অংকুর বলছেনঃ
সমাজের আসলেই তাতে মাথাব্যাথা নেই।সমাজ শুধু দেখে রেজাল্ট। আপনি কতটা শিখলেই বা কতটা জানলেন তা নিয়ে কারো কোন কথা নেই। আপনার গ্রেড কি তা হচ্ছে কথা।
ইন্টারমিডিয়েট এ হয়ত দেখেছেন, অংক করার সময় সবাই বইয়ের ৪০ শতাংশ অংক করে। মানে যেগুলো বোর্ড পরীক্ষায় আসে শুধু সেগুলো। বাকিগুলো আপনি করছেন না করছেন না সেটা রেজাল্টের সময় কেউ জানবেনা। জানবে আপনি কত নম্বর পেয়েছেন। সব অংক করে পেয়েছেন না খালি বাছা কয়েকটা করে পেয়েছেন তা কেউ পুছবেনা। বিষয়টা সেরকম। kamagra pastillas
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ thuoc viagra cho nam
উঁহু। আমি একমত। প্রকৃত জ্ঞানর্জনের চেয়ে মুখস্ত বিদ্যাই বেশি ফলপ্রসূ। ইন্টার পাস করলেই যে কেউ ব্যাপারটা বুঝতে পারে। প্রতিটি সাবজেক্টে অসীম বেসিক নিয়ে বসে থাকলে ভালো কোনো ভার্সিটিতে চান্স পাওয়া যাবেই না। অন্তত বাংলাদেশে। প্রচুর মুখস্ত করতে হবে। যেহেতু এই স্টেজটা আমি অতিক্রম করে এসেছি তাই আমি এই ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিচ্ছি। মেডিকেলে ভর্ক্যাতি পরীক্ষায় ক্যালকুলেটর ব্যবহার নিষিদ্ধ। আমি নিজেই দেখেছি আমার বন্ধু বান্ধবরা কি করে ফিজিক্সের আমীর ইসহাক স্যারের বইয়ের অঙ্ক গুলো মুখস্ত করেছে। হাহাহাহা……
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ side effects of quitting prednisone cold turkey
প্রকৃত জ্ঞান বলতে আমি আমাদের দেশে ভালো একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে যে জ্ঞান(!) প্রয়োজন সেটাকেই বুঝালাম।
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
হতে পারে
তারিক লিংকন বলছেনঃ
গতকাল ফেসবুকে লিখাটি পড়েছিলাম! তখনই আপনাকে বলতে ছেয়েছিলাম পোস্টটি ব্লগ পোস্ট হতে পারত
, তাই এখানে দেখে ভাও লাগছে! আপনার শব্দচয়ন অনবদ্য…
সমাজ এখনও মুখস্ত বিদ্যাকে গুরুত্ব দেয় এটা ঠিক, তবে আমার মনে হয় টিকে থাকার জন্যে না অজ্ঞতাবশত…
ণ বলছেনঃ
যে মুখস্ত করে, অমুক স্যারের কাছে পড়ে, প্রস্ন নিয়ে পরীক্ষা দেয়, তারাই সফল। অন্যরা সেদিকে ধাবিত হবে নিজের জন্যেই
অংকুর বলছেনঃ
হুম,কিভাবে নম্বর পাচ্ছেন সেটা ব্যাপার না,নম্বর কত পাচ্ছেন সেটা ব্যাপার
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
একমত!