হাংরি আন্দোলন — এক অভূতপূর্ব দ্রোহের বিস্ফোরণ (পর্ব -৩) ইতিহাস পরিবর্তনকারী এক আন্দোলনের পেছনের ষড়যন্ত্র ও এর কুশীলবেরা…
514
বার পঠিত doctorate of pharmacy onlineহাংরি আন্দোলন নিয়ে পুরো বাঙলা সাহিত্যে এক ভয়াবহ সুনামি বয়ে যায় মূলত এঁর চমকে দেয়া বেশ কিছু বুলেটিন আর কিছু ইশতেহারকে ভিত্তি করে। বুলেটিনগুলো ছিল এক পৃষ্ঠার, প্রকাশ হত পোস্টকার্ড, পোস্টার বা এক ফর্মার পুস্তিকা হিসাবে। হ্যান্ডবিল আকারে লাইব্রেরি, কলেজ স্ট্রীট, কফি হাউজ, পত্রিকাদপ্তর ইত্যাদি স্থানে এগুলো বিলি করার ফলে খুব অল্প সময়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে হাংরি মুভমেন্ট। তৎকালীন শিল্পসাহিত্যের হর্তাকর্তা বলে দাবীদার কৃত্তিবাস ও কল্লোলের সুশীলসহ সমাজ, মানবতা, দারিদ্র, দেশ ইত্যাদি সব কিছুর উপর চলা অন্যায়, অবিচার, নিরপেক্ষতা ও সুশীলতাকে একসাথে আক্রমন করে ধুয়েমুছে ভারত মহাসাগরে ছুড়ে ফেলে দেবার অপরাধে হাংরি আন্দোলনের সমালোচনা হতে লাগলো ভয়াবহভাবে। এক পর্যায়ে তো একদিন কফি শপে সুবিমল বসাককে হামলাই করে বসলেন কিছু লেখক। বিশেশত তৎকালীন সুশীল সাহিত্যিকদের কাছে হাংরি আন্দোলন ছিল রীতিমত এক অভিশাপ… wirkung viagra oder cialis
এক ফালি কাগজে বুলেটিন বের করার কারনে পরবর্তীতে আর এগুলো সংরক্ষন করা যায়নি। যদিও কলকাতার লিটল ম্যাগ ও গবেষণাকেন্দ্রের বহু চেষ্টায় গোটা দশেক এবং আমাদের বাঙলা একাডেমীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আরও কিছু বুলেটিন সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছিল। আর ইশতেহারগুলো ছিল বাঙলা সাহিত্য ইতিহাসে এক মাইলফলক। কেননা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই ইশতেহারগুলো বাঙলা সাহিত্যকে দিয়েছে এমন কিছু শিল্পকর্ম, যা হাংরি না এলে হয়তোবা সাহিত্যিকের সুদূরতম কল্পনায়ও আসত না। ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৫ পর্যন্ত হাংরি রেবেলরা বেশ কিছু সংবাদপত্র বের করেছিলেন। এরমধ্যে সুবিমল বসাকের “প্রতিদ্বন্দ্বী”, ত্রিদিব মিত্রের “উন্মার্গ”, মলয়রায় চৌধুরীর “জেব্রা”, দেবি রায়ের “চিহ্ন”, প্রদীপ চৌধুরীর “ফুঃ”, সতীন্দ্র ভৌমিকের “এষনা” এবং আলো মিত্রের “দি ওয়েস্ট পেপার” প্রনিধানযোগ্য। বিট আন্দোলনের কবি অ্যালেন গিন্সবারগ(মুক্তিযুদ্ধের উপর চাক্ষুস অভিজ্ঞতায় লেখা কবিতা-”সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড” এর লেখক) এইগুলো সংগ্রহ করে ইউনিভার্সিটিতে দিয়ে যান। যা পরবর্তীতে হাংরির কথা ছড়িয়ে দিয়েছে সারা বিশ্বে।
কৃত্তিবাসের মাধ্যমে সুনীলসহ সমসাময়িক লেখকেরা যে আন্দোলন করতে গিয়ে পারেননি,কিছু পাগলাটে রগচটা তরুন অদ্ভুত এক নাম দিয়ে সেই বিপ্লবকে লাভার মত চারিদিকে ছড়িয়ে দেয়ায় খুব দ্রুতই এই আন্দোলনকে ঘিরে শুরু হল নানারকম চক্রান্ত ও গোপন ষড়যন্ত্র। অবশ্য কিছু প্রথাবিরোধী কর্মকাণ্ড (যেমন পেইনটিং প্রদর্শনী করে শেষ দিন প্রতিটি ছবিতে আগুন ধরিয়ে দেয়া, একটি গ্রন্হের দাম কয়েক লক্ষ টাকা রাখা, বাণিজ্যিক পত্রিকায় গ্রন্হ রিভিউ করার জন্য জুতোর বাক্স পাঠানো কিংবা ছোটগল্পের নামে শাদা কাগজ পাঠানো ইত্যাদি) আগুনে ঢেলেছে উৎকৃষ্ট মানের গাওয়া ঘি। তবে সবচেয়ে বড় ঘটনাটা ঘটে ১৯৬৩ সালে। সমাজের বিষফোঁড়া রাজনীতিবিদগণ, অদৃশ্য কীট আমলা-সচিবেরা এবং সত্যের মুখোশপড়া সংবাদপত্রের মালিকদের এক অদ্ভুত বার্তা পাঠান তারা। রাক্ষস, জোকার, মিকিমাউস, দানব, দেবতা, জন্তু-জানোয়ার ইত্যাদি মুখোশে “”দয়া করে মুখোশ খুলে ফেলুন”” এই কথাটি লিখে পাঠিয়ে দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, এমএলএ, সচিব ও সাংবাদিক নেতাদের কাছে। ফলাফল, তারা শুধু একটা সুযোগ খুঁজছিলেন এই অভদ্র আন্দোলনকে থামিয়ে দেয়ার। অসামাজিক কর্মকাণ্ড করার অনেক বড় অভিযোগ ছিলও হাংরির বিরুদ্ধে।কিন্তু প্রশাসন চাইছিল সাহিত্যিক সমাজ থেকে সাপোর্ট। চরমভাবে আক্রমণাত্মক ও অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত হাংরিকে পুরোপুরি স্তব্ধ করে দেয়ার সেই মোক্ষম সুযোগটি এল সুশীল সুনীল বাবু পেছন থেকে সেই বহুল আকাঙ্ক্ষিত সমর্থনটা দেয়ায়। আন্দোলনের পিঠে ছুরি মেরে সুনীলের সাথে যোগ দেন শক্তি চট্টোপাধ্যায় ও সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়। আরও পরে নাটকের এক ক্লাইমেক্সে অভিনয়প্রতিভা দেখান সুভাষ ঘোষ, শৈলেশ্বর ঘোষ। metformin synthesis wikipedia
১৯৬৪ সালের সেপ্টেম্বরে ইনডিয়ান পেনাল কোডের ১২০বি, ২৯২ এবং ২৯৪ ধারায় ১১ জন হাংরি আন্দোলনকারীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হল । তাঁরা হলেন: সমীর রায়চৌধুরী, মলয় রায়চৌধুরী, দেবী রায় , সুভাষ ঘোষ , শৈলেশ্বর ঘোষ , প্রদীপ চৌধুরী, উৎপলকুমার বসু, রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়, বাসুদেব দাশগুপ্ত, সুবো আচার্য এবং সুবিমল বসাক । এঁদের মধ্যে প্রথম ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয় এবং কলকাতার ব্যাংকশাল কোর্টে তোলা হয় । মলয় রায়চৌধুরীকে হাতে হাতকড়া এবং কোমরে দড়ি বেধে রাস্তায় হঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় চোর-ডাকাতদের সঙ্গে। মামলার ফলে প্রত্যেকের স্বাভাবিক জীবন ধ্বংস হয়ে যায়। হাংরি আন্দোলন প্রস্তুত হয়ে যায় তার শেষটা দেখার জন্য। কিন্তু হঠাৎ নাটকের শেষ দৃশ্য আমাদের দেখায় এক অদ্ভুত ক্লাইমেক্স। যেই ক্লাইমেক্সটা না হলে হয়তোবা আজকের কলকাতার শিল্পসাহিত্যের একটা বিশাল অংশ আইনের দৃষ্টিতে হত অবৈধ ও নিষিদ্ধ।
আজকে আর না। বাকি অংশটা দিয়ে এই সিরিজ শেষ করে দেব সামনের পোস্টে। আপাতত কবিতা নিয়ে হাংরির দেয়া সেই অমর ইশতেহারটা পড়ি চলুন…
কবিতা বিষয়ক প্রথম বাংলা ইশতাহার (নভেম্বর ১৯৬১)’ ।
কবিতা এখন জীবনের বৈপরীত্যে আত্মস্হ । সে আর জীবনের সামঞ্জস্যকারক নয় , অতিপ্রজ অন্ধবল্মীক নয়, নিরলস যুক্তিগ্রন্হন নয় । এখন, এই সময়ে, অনিবার্য গভীরতার সন্ত্রস্তদৃক ক্ষুধায় মানবিক প্রয়োজন এমনভাবে আবির্ভূত যে, জীবনের কোনো অর্থ বের প্রয়োজন শেষ । এখন প্রয়োজন অনর্থ বের করা, প্রয়োজন মেরুবিপর্যয়, প্রয়োজন নৈরাত্মসিদ্ধি । প্রগুক্ত ক্ষুধা কেবল পৃথিবী বিরোধিতার নয়, তা মানবিক, দৈহিক এবং শারীরিক । এ ক্ষুধার একমাত্র লালনকর্তা কবিতা, কারণ কবিতা ব্যতীত কী আছে আর জীবনে । মানুষ, ঈশ্বর, গণতন্ত্র এবং বিজ্ঞান পরাজিত হয়ে গেছে । কবিতা এখন একমাত্র আশ্রয় ।
কবিতা থাকা সত্ত্বেও, অসহ্য মানবজীবনের সমস্তপ্রকার অসম্বদ্ধতা । অন্তর জগতের নিষ্ঠুর বিদ্রোহে, অন্তরাত্মার নিদারুণ বিরক্তিতে, রক্তের প্রতিটি বিন্দুতে রচিত হয় কবিতা । উঃ, তবধ মানবজীবন কেনএমন নিষ্প্রভ । হয়তো, কবিতা এবং জীবনকে ভিন্নভাবে দেখতে যাঁরা অভ্যস্ত তাঁদের অপ্রয়োজনীয় অস্তিত্ব এই সঙ্কটের নিয়ন্ত্রক ।
কবিতা বলে যাকে আমরা মনে করি, জীবনের থেকে মৌহমুক্তির প্রতি ভয়ংকর আকর্ষণের ফলাফল তা কেবল নয় । ফর্মের খঙাচায় বিশ্বপ্রকৃতির ফাঁদ পেতে রাখাকে আর কবিতা বলা হয় না । এমনকি প্রত্যাখ্যাত পৃথিবী থেকে পরিত্রাণের পথরূপেও কবিতার ব্যবহার এখন হাস্যকর । ইচ্ছে করে, সচেতনতায়, সম্পুর্ণরূপে আরণ্যকতারবর্বরতার মথ্যে মুক্ত কাব্যিক প্রজ্ঞার নিষ্ঠুরতার দাবির কাছে আত্মসমর্পণই কবিতা । সমস্ত প্রকার নিষিদ্ধতার মথ্যে তাই পাওয়া যাবে অন্তরজগতের গুপ্তধন । কেবল, কেবল কবিতা থাকবে আত্মায় । doctus viagra
ছন্দে গদ্য লেখার খেলাকে কবিতা নাম দিয়ে চালাবার খেলা এবার শেষ হওয়া প্রয়োজন । টেবলল্যাম্প ও সিগারেট জ্বালিয়ে, সেরিব্রাল কর্টেক্সে কলম ডুবিয়ে, কবিতা বানাবার কাল শেষ হয়ে গেছে । এখন কবিতা রচিত হয় অরগ্যাজমের মতো স্বতঃস্ফূর্তিতে । সেহেতু ত্রশ্নূ বলাৎকারের পরমুহূর্তে কিংবা বিষ খেয়ে অথবা জলে ডুবে ‘সচেতনভাবে বিহ্বল’ হলেই, এখন কবিতা সৃষ্টি সম্ভব । শিল্পের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা কবিতা সৃষ্টির প্রথম শর্ত । শখ করে, ভেবে-ভেবে, ছন্দে গদ্য লেখা হয়তো সম্ভব, কিন্তূ কবিতা রচনা তেমন করে কোনো দিনই সম্ভব নয় । অর্থব্যঞ্জনাঘন হোক অথবা ধ্বনিপারম্পর্ষে শ্রুতিমধুর, বিক্ষুব্ধ প্রবল চঞ্চল অন্তরাত্মার ও বহিরাত্মার ক্ষুধা নিবৃত্তিরশক্তি না থাকলে, কবিতা সতীর মতো চরিত্রহীনা, প্রিয়তমার মতো যোনিহীনা, ঈশ্বরীর মতৌ অনুন্মেষিণী হয়ে যেতে পারে । capital coast resort and spa hotel cipro
আর পোস্টটা শেষ করবো এই হাংরি কবিতাটা দিয়ে… ভালো থাকবেন সবাই
… private dermatologist london accutane
আমি চুপ করে থাকলে
দেবী রায়
নখ কাটতে গিয়ে আমার আঙুলে ব্লেড গঁথে যায়
আনেক গভীর
আমি আপেক্ষা করি, রক্তের — দেখা নেই
দারুন ভয় আমাকে চিৎ করে ফ্যালে, আমি ঢোঁক গিলি
এই ভয় — বিষম আন্তরঙ্গ কোনো মৃত্যুরই সমান আবিশ্বাস্য
বাস-ট্রাম আমায় বহু সময় গিলে নেয় কোনো কোনো
বন্ধুর ফ্ল্যাতে যেতে
এক পায়ে খাড়া হয়ে কড়া নাড়ি দরোজায় বহুক্ষণ
এক নাগাড়ে
হাত ধরে যায় ‘বাড়ি নেই’ অপরিচিত বিদেশী স্বরে কেউ বলে ওঠে
অথবা সরব হুক খোলার শব্দে দাড়ি কামানোর পর প্রথম
আয়নায় নিজের মুখ দেখার সময়ে আমি
হুডখোলা – কার
ছুটি, রেড ধরে ফাঁকা রাস্তায়
বন্ধুর স্ত্রী ঠেসে পরিচিত হতে চায় ফ্যাকাশে হেঁসে
দারুণ ক্ষিদেয় আমি অস্হির হয়ে উঠি – দারুণ ক্ষিদেয়
আমি
এখন বাসট্রাম অবগদি খেয়ে ফেলতে পারি – বেথানিয়া থেকে -
আসের সময়ে যিশু অব্দি এম্নি ক্ষুধার্ত হয়ে পড়েছিল
আমি চুপ করে থাকলে রাস্তার পাথর অব্দি চিৎকার করে
ওঠে
মানুষের মুখের দিকে চেয়ে আমি বুঝি নপুংসক হয়ে জন্মায়
কেউ
মানুষের হাতে রাজনৈতিক নপুংসক হয়েছে
কেউ
কবিতাকে ধর্মের সমান দেখতে চেয়ে
নিজেকে নপুংসক করেছে
প্রাসঙ্গিক পূর্বের পোস্ট–
১। প্রথম পর্ব- http://sovyota.com/node/3220
২। ২য় পর্ব- http://sovyota.com/node/3259
অংকুর বলছেনঃ can your doctor prescribe accutane
অসাধারণ একটা পোস্ট। হাংরি আন্দোলন সম্পর্কিত বেশি কিছু জানা ছিল না। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানলাম
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
পর্ব এক ও দুইয়ে প্রস্তাবনা অংশ দেয়া আছে, চাইলে পড়ে দেখতে পারেন। :-bd পড়বার জন্য %%-
অংকুর বলছেনঃ
হুম পড়ে দেখব অবশ্যই
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
ধন্যবাদ জনাব… %%-
অংকুর বলছেনঃ all possible side effects of prednisone
পড়িনাই তো এখনো walgreens pharmacy technician application online
তারিক লিংকন বলছেনঃ
এইটাই কি শেষ পর্ব! এই আন্দোলন সম্পর্কে আমার জ্ঞান আপনার পোস্টের মাধ্যমে! আগেই পড়েছি আজ আবার পড়লাম! শেষ পর্ব কবে আসবে?
অংকুর বলছেনঃ
দিবেনা শেষ পরব
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
এর পর আরও দুইটা পর্ব আছে। সব মিলিয়ে পাঁচ পর্বে শেষ হবে। অনুগ্রহ করে সাথেই থাকুন… :-bd
অংকুর বলছেনঃ
কতবড় লিখছেন? puedo quedar embarazada despues de un aborto con cytotec
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ acne doxycycline dosage
পেছনে সুনীলের কলকাঠি নাড়ার ব্যাপারে তথ্যসূত্রগুলো জানাবেন দয়া করে?
আমি বরং শুনেছি, এই মামলার বিচারের সময় সুনীল কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, কবিতায় অশ্লীলতা বলতে কিছু নেই। এবং তার এই বক্তব্য তাদের বেকসুর খালাসে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছিল।