এই সেই চলচ্চিত্র যেটা ইতিহাস লেখে আর আলোকিত করে!
600
বার পঠিতগত বছর প্রথম প্রিমিয়ার এর পর থেকেই ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়ে আসছিল যে এখন পর্যন্ত দাসত্বের উপরে নির্মিত সবচেয়ে ভালো ছবি “12 years a slave”। এটা আসলেই একটা বড়-সড় চ্যালেঞ্জিং দাবি এবং আমার মনে হয় আসলেই যৌক্তিক দাবি ছিল এবং একই সাথে এই প্রশ্নটা উঠে আসে যে আসলে অন্যান্য দাসত্ব ভিত্তিক মুভির সাথে প্রতিযোগিতার জায়গাটা আসলে কোথায়? cialis 20 mg prix pharmacie
ব্রিটিশ ডিরেক্টর Steve McQueen এর “12 years a slave” Solomon Northup নামের আপ্সটেট নিউয়র্কে বসবাসরত এক কালো-আমেরিকান পরিবারে জন্ম নেওয়া জন্ম-স্বাধীন নাগরিকের আত্ম-স্মৃতিকথা থেকে অ্যাডাপ্টেড স্ক্রিনপ্লে। Solomon Northup ১৮৪১ সালে কিডন্যাপ হন এবং দক্ষিনে লুইজিয়ানা প্লান্টেশনের এক মালিকের কাছে বিক্রি হন দাস হিসেবে। দাসত্ব নিয়ে অনেক মুভিই হয়েছে, সব মুভিতেই আমেরিকার দাস ব্যবসা দেখানো হয়েছে বিভিন্ন উপায়ে; আসলে মূল বিষয় কে অতটা ফোকাস করে নয় হয়ত কখনই। ‘Gone With the Wind’ থেকে শুরু করে ‘Mandingo’ সহ বেশ কিছু মুভির কথা উল্লেখ করা যায়। তাই মুভিতে বিষয়টি একদমই ম্যাপছাড়া কোন অঞ্চল নয় ।
কিন্তু আসল “অ্যামেরিকান দাসত্ব” কে ফোকাস করে মুভির সংখ্যা একদমই দুস্প্রাপ্য__ এমন একটা ফিল্ম যা দাসত্বের আদ্য-প্রান্ত খুলে তুলে ধরে, এর প্রতিদিনকার ভয়াবহতা চিত্রায়িত করতে পারে, দাসত্বের ঐ উৎসর্গ যেটা দেখে জাতির স্মৃতিতে চিরকালিন দাগ কেটে যেতে পারে। McQueen সাহেবের এ মুভি এ জনরা তে সম্পুর্ন নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে বলে আমার ধারনা, যেটা এসব বিষয়কে খুব ভালো করে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাতে পেরেছে। অস্কার তো অলরেডি জিতেই ফেলেছে, সুতরাং এ বিষয়ে খুব বেশি আর বলার কিছু নেই ।
solomon এর চরিত্র করেছেন chiwetel Ejiofor [জুয়েটেল এজিওফর ], একজন অতিশয় ট্যালেন্টেড ব্রিটিশ অভিনেতা, সঠিক সময়ে সঠিক ব্রেক-থ্রু টা মেরে দিলেন। মুভির শুরুর দিকে আমরা দেখি সলোমন তার হোমটাউন সারাটোগায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং Ejiofor এর ওই সময়কার চলাফেরা ছিল বেশ আত্মবিশ্বাসের যা পরবর্তীতে তার বন্দিদশা শুধু যে অমানবিকই নয়, সেটা যে অযৌক্তিক ছিল সেটা খুব ভালো করে প্রমান করে দেয় ।
তারপরেই আমরা তাকে দেখি আধো অন্ধকার/চাদের আলো যুক্ত নোংরা বিবর্ন একটি কারাগারে শিকল পরানো অবস্থায়। তার মত করে আমরাও বিস্মিত হয়ে উঠি একজন স্বাধিন ব্যক্তির হঠাত এমন অবস্থা দেখে। তারপরেই দেখি তাকে বন্দিকারি এসে তাকে নিগার বলে বিদ্রুপ করছে আর কাঠের প্যাডল দিয়ে পিটাচ্ছে যতক্ষন না সেটি ভেঙ্গে দুটুকরো হয়ে যায়।
12 years a slave এর ভাষা আর ভায়োলেন্স অবশ্যই আপনার অনুভুতিকে সংকুচিত করে নিয়ে আসবে কিন্তু বর্বরতা এখানে সুচের মত তীক্ষ্ম যা সাধারন অবিশ্বাস আর বিতৃষ্ণার বহিপ্রকাশ ছাড়াও আপনার পাজড়ের মাঝে বিধে যাওয়ার জন্য সদা প্রস্তুত। মনে হয়না McQueen সাহেব তার মুভিকে কোন পশ্চিমা অসাম্প্রদায়িক গিল্ট-ট্রিপ করার দিকে মনো সংযোগ করেছিলন,আর করার দরকারও ছিল না। আমরা যা দেখেছি সেটা নিজেই তার জন্য কথা বলে। পুরো জাতি, উত্তর থেকে দক্ষিন সব জায়গাই ছিল যেন সাম্প্রদায়িকতার করাল গ্রাস।
সলোমন কে নৌকায় করে নিউ-অরলিন্স এ নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে Paul Giamatti’র নারকীয় দাস ব্যবসায়ী তার নাম পালটে দাস নাম হিসেবে নতুন নাম Platt দেয় হয় আর Benedict Cumberbatch এর চাষাবাদের মালিক Ford এর কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। Ford এর অধীনে সে যথাসম্ভব তার বিড়ম্বিত ভাগ্যের সদব্যবহার করার চেষ্টা চালিয়ে যায়, কিন্তু মাঝে এক গভর্নর এর সাথে [কাস্টিং বাই Paul Dano] হালকা ব্যাগড়া লেগে যায়। এর ফলাফল যে খুব একটা ভাল হতে যাচ্ছে না আপনি হয়ে সাথে সাথেই টের পেয়ে যাবেন। তাকে হত্যার একটা চেষ্টা চালানো হয় কিন্তু তা ব্যর্থ হয়! সাইপ্রেস গাছের সাথে তাকে ঝুলানো অবসথায় আমরা দেখতে পাই, গলায় ফাস লাগানো, কক্কুটের ডাকের মত করে নিশ্বাস আটকে আটকে বের হচ্ছে, পায়ের জিচে পিছলা কাদায় কোন রকমে পায়ের বৃদ্ধাংগুলির সহিত দাঁড়িয়ে আছে জীবন বাচানোর জন্য। তার পিছনের ফ্রেমে দেখা যায় অন্যান্য দাস-দাসিরা তাদের নিত্য দিনের কর্ম কান্ডে ব্যস্ত! কিন্তু ম্যাক্কুইন সাহেব কি আমাদের সে দিকে মনোযোগ দিতে বলছেন ? না কখনোই না, তিনি সলোমন কে ঝুলিয়ে রাখেন তার ফ্রেমে দীর্ঘক্ষন থেকে আরো দীর্ঘতর ক্ষন।
আসলেই McQueen এর জন্য এক সিগনেচার মুভ তার এই “12 years a slave”। আপনি যদি তার আগের দুটি উল্লেখযোগ্য কাজ Bobby Sand এর বায়োপিক ‘Hunger’ আর সেক্স-অ্যাডিকশন ড্রামা ‘Shame’ দেখে থাকেন তাহলে আশা করি খুব ভালো ভাবে বুঝতে পারছেন আমি কি বলতে চাচ্ছি।
পরবর্তীতে সলোমনকে দেখা যায় অন্য আরেকটি প্লান্টেশন এ সেখানে মালিক ছিল এক মাথা নষ্ট [ব্যাং হেড ] ম্যানিয়াক Epps (Michael Fassbender)। এখানে আরেকটি অসাধারন সিঙ্গেল শট দৃশ্য [যেটাকে পুরো মুভিতে স্পেশালি মনে রাখবেন] চিত্রায়িত হয় যেটায় আরেক দাসী Patsey (Lupita Nyong’o) কে মালিক পেটাচ্ছিল , he is pretty obssessed with her [আমার প্যাটসি হারায় গেছেরে lol ] । সলোমন কে Patsey কে চাবুক পেটা করতে বাধ্য করা হয় যেটা আসলেই ছিল ভয়ঙ্কর রকম পাগলামি , অবশ্য এমনি হবার কথা ছিল। আর এখানকার সবার পারফরম্যান্স অনন্যরকম বিস্ময়কর __ ঐ নিস্পলক ক্যামেরা সেটা নিশ্চিত করবে।
Django Unchained অনেকেই এটার সাথে তুলনা করার চেষ্টা করেছেন , Django Unchained এ একজন স্লেভ এর সারভাইবাল দেখেছিলাম আমরা। কিন্তু দুইটা মুভিকে অনুভূতিগতভাবে তুলনা করা যায় না, আসলেই না। Django Unchained এর প্রত্যেক টা আকর্ষনীয় দৃশ্য গুলো ছিল শক্ত আর চাকচিক্যে ভরা , শেষ টা ছিল এক অনুভুতিহীন রক্তারক্তিতে যাতে আমরা “দুনিয়ায় বিচার নাইরে” প্রক্র থেকে মুক্তি পাই। কিন্তু এটা ছিল সত্যি ঘটনার উপরে নির্মিত কাহিনি, তাই ম্যাককুইন সাহেবের এমন প্রটেকশন নিয়ে কাজ কোন সুযোগ ছিল না।
12 years a slave এর গুরুত্ব মাপতে হলে ফিরে যেতে হবে ১৯১৫ তে। এ বছর D.W. Griffiths এর হিস্টোরিক এপিক The Birth of a Nation (অ্যামেরিকার সিভিল ওয়ার এবং এর পরবর্তী ফলাফল নিয়ে) মুক্তি পায় যা ছিল এক স্ম্যাস হিট। এখানে এমন কিছু রুল সৃষ্টী হয়েছিল/ নথিভুক্ত হয়েছিল যার উপরে ভিত্তি করে আধুনিক মুভি তৈরি হত এবং হচ্ছে। ঐ মুভির গুরুত্ব ছিল অবর্ননীয়। এটা ছিল ইতিহাসের প্রথম মুভি যেটা হোয়াইট হাউসে স্ক্রিনিং হয়। আর প্রেসিডেন্ট Woodrow Wilson এ মুভি দেখে বলে ওঠেন “history written with lightning” ।
কিন্তু Griffiths এর মুভিতে সত্যতা ছিল না। ওটা ছিল পুরোপুরি রেসিস্ট মুভি ওখানে নিগ্রোদের দেখানো হয়েছিল সন্ত্রাসি আর রেপিস্ট হিসেবে। ব্ল্যাকি ক্যারেক্টার গুলোতে অভিনয় করেছিলেন হোয়াইট রা ই, মুখে কালি মেখে । আর ওখানে Ku Klux Klan দের দেখানো হয়েছিল নিউ রিপাব্লিক এর saviour knights হিসেবে। সেইক্ষেত্রে চিন্তা করে দেখেন ‘দাসত্ব’ এর উপরে নির্মিত ফিল্ম এর ‘লঘুত্ব’ নিয়ে, কত বড় একটা সময় লাগলো সেই ইতিহাসের সাদা ভুত তাড়াতে !! , এই হিসেবে “12 years a slave” শুধুই একটি মাস্টারপিস ই না, একটা মাইলস্টোন। আর শেষে প্রেসিডেন্টের সেই কথা “এই সেই মুভি যেটা ইতিহাস লেখে আর আলোকিত করে”
ডিরেক্টরঃ Steve McQuee, অভিনয়েঃ Chiwetel Ejiofor, Michael Fassbender, Lupita Nyong’o, Benedict Cumberbatch, Paul Dano, Brad Pitt, Alfre Woodard, Adepero Oduye, Paul Giamatti, Sarah Paulson।
12 Years a Slave (2013) – IMDb
www.imdb.com/title/tt2024544/
Rating: 8.3/10 – 130,034 votes
ব্যক্তিগত রেটিং ৮.৫/১০
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
hcg nolvadex pct cycleএরকম করে আপনারা মুভির রিভিঊ দেন আর মুভি দেখার লোভ বাড়তে থাকে…
ভাল লাগল
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
কিন্তু রিভিউ যাদের জন্য লেখা, সেই পাঠকেরা যদি দর্শকে পরিনত না হয়ে কেবলমাত্র পাঠকই থেকে যান, তবে আর লিখে লাভ কি? :-” আপনার সম্পর্কে অভিযোগ হল, আপনি শুধু রিভিউ পড়েই যান, কিন্তু মুভি দেখেন না… :-?? এই অভিযোগ মাথায় নিয়ে আর কত দিন চলবেন মাদাম? :-w
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
আপনার না আমাকে মুভি দেবার কথা??? b-( kan metformin krossas
অংকুর বলছেনঃ
বাহ,ভাই তো দেখি রাইগা ফায়ার! doxycycline monohydrate mechanism of action
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
crushing synthroid tabletsরাইগা ফায়ার… !!! =)) =)) =))
নীহারিকা বলছেনঃ
সুন্দর রিভিউ
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
acheter cialis 20mg pas cherচমৎকার লিখেছেন এই অসাধারন মুভিটা নিয়ে… :-bd কিপিটাপ ব্রাদার… >:D<
দ্য হোয়াইট শ্যাডো বলছেনঃ silnejsie ako viagra
ধন্যবাদ সবাইকে! নিয়মিত থাকার চেষ্টা করব!
অংকুর বলছেনঃ cialis 10 mg costo
cd 17 clomid no ovulationমুভিটি দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। চমৎকার মুভি। আরো চমৎকার রিভিউ
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
আমার হয় নাই…