১৬ই আগস্ট হোক জাতীয় শোক দিবস ।
823
বার পঠিতবেগম জিয়ার জন্মদিন নিয়ে হাজার হাজার ব্লগপোষ্ট, কলাম, সম্পাদকীয়, ফেসবুক পোষ্ট লিখা হয়েছে । ঐ দিন জন্মদিন কিনা তা নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে অনেক যুক্তি তর্ক সহ আলোচনাও হয়েছে । মেজরিটি লেখক ও আলোচক প্রমাণ করেছেন ঐ দিন বেগম জিয়ার জন্মদিন নয়। এদের মধ্যে অনেকেই শেষপর্যন্ত আবার এও বলতে বাধ্য হয়েছেন যে, ঐদিন সত্যিকার অর্থে কারো জন্মদিন হলেও তা উৎসব করে পালন শোভনীয় নয় । কেননা ঐদিন জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছে এবং বাংলার ইতিহাসে এদিন একটা শোকের দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাছাড়া ১৫ই আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসাবেও ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হইয়াছে ।
কিন্তু কে শুনে কার কথা! মানুষ হলে তো শুনবে? মানুষরূপী অমানুষেরা কখনো কি ন্যায়-নীতি, মানবতা বলতে কিছু আছে বলে বিশ্বাস করে?
এখনো ১৫ই আগস্টে কেক কেটে জন্মদিন পালন না করতে যেসব বিশিষ্টরা বেগম জিয়াকে অনুরোধ জানাচ্ছেন তারা আসলেই বোকার স্বর্গে বাস করছেন। তারা জেনেও একটি হত্যা উৎসবকে বার বার জন্মদিন হিসেবে প্রচার করছেন।
দেশের তাবৎ প্রগতিশীল জনতা, এমনকি খোদ বিএনপির অনেক নেতাই জানেন ঐ দিন বেগম জিয়ার জন্মদিন নয়। তবুও কেন এত উৎসব করে ঐ দিনটি তারা জন্মদিন হিসেব পালন করে? কারন হচ্ছে, ঐদিন তাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের দিন। তারা যদি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে না পারতো তবে তাদের কোন অস্থিত্ব কোনদিন কোন কালে বঙ্গদেশে সৃষ্টি হত না।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বহুকাল পর্যন্ত তারা ঐদিনটিকে উৎসব হিসেবে পালন করেনি। এর অন্যতম কারন, তখন উৎসবের প্রয়োজনই ছিল না। মিথ্যা ইতিহাস আর বানোয়াট গল্প তৈরী করে তারা এদেশের জনতার মনকে বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিষিয়ে তুলেছিল। তারা প্রচার করেছিল যে, শেখ মুজিব নয়; ভাসানী আর জিয়াই স্বাধীনতার মূল নায়ক। তারা প্রতিষ্টা করতে সম্ভব হয়েছিল যে, ৭১ এ শেখ মুজিব পাকিস্থানে পালিয়ে গিয়েছিল এবং জিয়ার এক রেডিও ঘোষণায়ই দেশ স্বাধীন হয়ে গিয়েছে!
প্রশ্ন হল এখন বঙ্গবন্ধু হত্যাদিবসে তারা ঘটা করে জন্মউৎসব পালন করে কেন? কারন হচ্ছে, এখন আর সেই দিন নাই। বাংলার মানুষ প্রকৃত ইতিহাস জেনে গিয়েছে। সাধারণ মানুষের দেশপ্রেম আর বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধবোধ ৭২ পূর্ববর্তী সময়ের ন্যায় হয়ে গেছে। আর এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে অবিকৃত মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসের প্রচার এবং জাতীয় শোকদিবস। কেননা অন্যান্য জাতীয় দিবসের মত শোক দিবসেও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর অবদানকে ব্যাপক আকারে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরা হচ্ছে। বিশেষ করে ঐ একটি দিবসের মাধ্যমে পরাজিত শক্তির বিশ্বাঘাতকতাকে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরা সম্ভব হচ্ছে। আর এতে করেই তাদের মূল জ্বলুনিটা সৃষ্টি হয়েছে। তারা দেশবাসীকে প্রকৃত ও তাদের ন্যাক্বারজনক কর্মকান্ডের ইতিহাস জানা থেকে বিরত রাখতে এবং বিভ্রান্ত করতে ঐ দিনকে বেছে নিয়েছে কোথাকার কোন মেজরের স্ত্রীর জন্মোৎসব হিসেবে। সাবেক হুইপ জামালের পরামর্শে ১৯৯১ সাল থেকে তারা ১৫ই আগস্টকে কথিত মেজরের স্ত্রীর জন্মদিন হিসেবে পালন করে আসছে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে ঐদিন উৎসব আনন্দ ও নষ্টামির মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করা ও জাতির জনককে অপমান করা।
সবচেয়ে বড় কথা হল, যারা ইচ্ছা করে, ষড়যন্ত্র করে, অসৎ উদ্দেশ্যে ঐ দিনের মত একটা বিশেষ শোকের দিনে মিথ্যা জন্মদিন বানিয়ে আনন্দ উৎসব করবে তাদেরকে বলে-কয়ে কিংবা অনুরোধ করে কোনক্রমেই বিরত রাখা সম্ভব না । তার চেয়ে তফাৎ যাওয়াটাই হবে উত্তম পন্থা। কিন্তু কিভাবে অমানুষদের থেকে আমরা তফাতে যেতে পারি? হ্যা, এই উত্তরটাই পোষ্টের শিরোনামে উল্লেখ করা হয়েছে ।
যেহেতু ১৫ আগস্ট গভীর রাতে (রাত ১২টার পর) এই হত্যাকান্ডটি শুরু হয়েছিল এবং শেষ হয়েছিল ভোর রাতে সেহেতু ঐরাত মূলত ১৬ তারিখের রাত বলেই বিবেচিত হয় । কেননা GMT সময় অনুসারে রাত ১২টার পরপরই তারিখ পরিবর্তন হয়ে যায় । সে অনুসারে মূল হত্যাকান্ডটি শুরু হয় মূলত ১৬ আগস্ট । তাছাড়া ধর্মীয় অনেক বিশেষ দিনগুলিও আমরা ঐ দিনের আগের রাতকে ঐদিনের প্রথমার্ধ বিবেচনায় পালন করে থাকি । সে অনুযায়ী সন্ধ্যার পর থেকে বিবেচনায় নিলেও ১৫ আগস্ট দিবাগত রাত হচ্ছে ১৬ আগস্টের রাত।
অতএব, সামগ্রিক দিক বিবেচনায় ১৫ই আগস্টকে বাদ দিয়ে ১৬ই আগস্টকে শোকদিবস হিসাবে ঘোষণা করার দাবী জানাই ।
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
পোস্টে যোগ করতে পারিনি বিধায় এখানে দিলাম । এই স্ক্রীনশটটিতে দেখতে পাবেন কার পরামর্শে এবং কখন থেকে ১৫ই আগস্টে ঘটা করে উৎসব পালন করা হচ্ছে ।
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
কমেন্টেও ছবি আসছে কিনা বুঝতে পারতেছি না । আমার ব্রাউজার থেকে দেখা যাচ্ছে না তাই আবার দিলাম।
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না। ১৫ই আগষ্ট এর বদলে ১৬ই আগষ্ট শোক দিবস কেন ঘোষণা করব? সেটা হবে আমাদের হার্।
ভবিষৎ প্রজন্ম যখন জানবে একটা উপহাসসূচক হাসি উপহার দেবে আমাদের্।
আর এই বর্তমান ইতিহাস যখন জানবে তখন স্বাধীনতা বিরোধি শক্তিকে আরও ব্যপকভাবে ঘৃণা করবে।
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
দ্বিমতের জন্য ধন্যবাদ জয় । আসলে দাবীটি আমার একান্ত ব্যাক্তিগত অভিমত। ১৫ই আগস্ট উৎসব না করতে বেগম জিয়ার প্রতি বিশিষ্টদের কাকুতি মিনতি দেখে ভাবলাম অগ্রহণযোগ্য হলেও একটা বিকল্প তৈরী করা যায় কি না । সেই চিন্তা থেকেই পোস্টখানার উৎপত্তি । metformin gliclazide sitagliptin
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ viagra en uk
ওদের কাকুতিমিনতিরে উস্টা… >:P ফালায়া পাড়াইতে পারলে খুশি হইতাম…
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
সেই ৯১ সাল থেকে কথিত বিশিষ্টরা ঐ একই অনুরোধ বার বার করে আসছে । অনুরোধের নামে ১৫ই আগস্ট কার না কার জন্মদিন নামক মিথ্যেটা তারাই বার বার জোর গলায় বলে আসছে । তাদের তোড়জোড় দেখলে মনে হয় ঐদিন কোথাকার কোন মেজরের স্ত্রী কেক কাটলে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুটা মিথ্যে হয়ে যাবে । আজিব।
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
এটাই বুঝলেন।
তারিক লিংকন বলছেনঃ kamagra pastillas
কোন দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য বেকুবের জন্য ৪০ বছরের রীতি পরিবর্তন করা হবে সত্যের পরাজয়। কোনটা সত্য? আজ আপনি ঐ পাতানো জন্মদিনকে পাশ কাটাবেন তো ঐ বিভ্রান্তরা ১৬ তারিখ আরেকজনের জন্মদিন পালন করা শুরু করবে!! তাতে লাভ? আর একটা মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করতে আমাদের কেন মাথা ব্যাথা? যারা ঐদিন উৎসব করতে চায় তারা ১৬ তারিখ করলেও তাই করবে। তাদের বিবেচনায় নেয়ারই বা দরকার কি? wirkung viagra oder cialis
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
চরম যৌক্তিক ।
নিতান্ত সত্য । এটা তো আগে ভাবি নাই!?
যুক্তিপূর্ণ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ লিংকন ভাই । half a viagra didnt work
তারিক লিংকন বলছেনঃ
আপনাকেও ধন্যবাদ…
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
সহমত লিংকন ভাই এর সাথে
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
চমৎকার বলেছেন লিংকন ভাই… :-bd can your doctor prescribe accutane
উদ্ভ্রান্ত পথিক বলছেনঃ thuoc viagra cho nam
সংশোধনী আনছি,
জামাল ৯১ সালে পরামর্শ দিলেও ৯১,৯২,৯৩,৯৪এমন কি ৯৫ সালেও কেউ কেক কাটে নি, কোথাও কারো জন্মদিন পালন হয় নি। জন্মদিন পালন শুরু হয় ৯৬ সালে শেখ হাসিনা কতৃক জাতীয় শোক দিবস ঘোষনার পর।
একটু সংশোধন করবেন।
২০১০ এর ১৫ আগস্টের যুগান্তর অনলাইনে নেই। নাস্তিকগন এ নিয়ে নানা কথা কয়।
আর যে দাবিটি করেছেন আমি তার বিপক্ষে।সিংহ কখনওই বিড়ালের পদাংক অনুসরন করে না, বাংলা দিন সূর্যোদয় থেকে শুরু হয়। মার্ডারার মিশনের তারিখ ডে ডেট হিসাবে লেখা হয়।…..
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা উদ্ভ্রান্ত পথিক ভাই ।
আসলে হয়েছে কি, যুগান্তর কতৃপক্ষ অজ্ঞাত কারণে ঐ সংবাদটি তাদের অনলাইন ওয়েব পেজ থেকে সরিয়ে নিয়েছে । এখন পুরোনো সংখ্যার ১৫ আগষ্ট তারিখে ক্লিক করলে পেজটি সাদা দেখায় ।