আমি, বটু দা এবং হুইলচেয়ারের গপ্পো
295
বার পঠিতকোথা হতে শুরু করবো জানি নাহ, গল্পের শুরু আছে তবে শেষ নেই, সকাল বেলা এমনিতে ভাল ঘুম না হলে মাথা বেশ ঝিম ঝিম করে। ঈদের ছুটিতে ঘরে শুয়ে বসে থাকতে থাকতে বেশ মোটা হয়ে যাবার কথা, কিন্তু কেন যেন আমি দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছি। খাওয়া দাওয়া এবং আয়োজন এর কমতি নেই, কিন্তু তবুও অবস্থার উন্নতি হচ্ছে নাহ। আজ আমার ছুটির শেষ দিন, অহর্নিশি জাগরণ অভ্যাসটা একটা শক্ত ব্যামো ধরিয়ে দিয়েছে, এখন আর চাইলেও ঘুমোতে পারি নাহ।
সকাল সকাল উঠে পড়ে লাগলাম একটা ছোট্ট গল্প লিখবো বলে, এ গল্পের নায়ক আমার বটু দা। বটু দা মজার মানুষ, বয়স চল্লিশ এর কোঠা পেরিয়েছে, মাথার চুলে বয়সের ছাপ বোঝা যায়। চুলে হালকা পাক ধরলেও এখনো তাকে দিব্যি লাগে। বটূদা পশ্চিম বঙ্গ নিবাসী, ঈদের ছুটিতে আমাদের বাড়ি মানে ঢাকায় বেড়াতে এসেছেন। বটুদা কোলকাতার খাঁটি শুদ্ধ ভাষায় কথা বলেন, সকাল বিকাল উনার এত খাঁটি শুদ্ধ ভাষা শুনতে শুনতে অনেকটা আমি নিজেও অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি তা হয়তো এই গল্পের কথার ধরণ দেখেই বুঝতে পারছেন।
লোকটি আমার দুঃসম্পর্কের আত্মীয় হন, সম্পর্কে আমার পিশতুতো ভাই হন। বয়সে আমার চেয়ে অনেক বড়, তবুও এখনো মাথা থেকে ছেলে মানুষী যায়নি। সবচেয়ে আশ্চর্্যের বিষয় আমাদের বটুদা এখনো অবিবাহিত চিরকুমার, এজন্যই বোধ হয় মাথা থেকে ছেলে মানুষী ভূতটা নামাতে পারেন নাই। ঈদের ছুটিতে এদিক সেদিক ঘুরতে যাওয়ার কথা থাকলেও কোন ভাবেই সময় করে উঠতে পারছিলাম নাহ, তবে শেষ মেষ একটা কূল কিনারা হলো, বটেশ্বর রায় আর আমি ঠিক করলাম খুলনা বেড়াতে যাবো। সবকিছু ঠিক ঠাক থাকলে ঈদের দুদিন আগে আমাদের খুলনা উদ্দেশ্যে রওনা হবার কথা। যথারীতি বাসের টিকেট কাটা হলো, আমি আর বটু দা বাসে উঠলাম, ৩ দিনের জমজমাট একটা প্ল্যান ছিলো মাথায় – খুলনায় একটা পরিচিত ভদ্রলোকের রেস্ট হাউজ আছে সেখানে রাতটা বিশ্রাম নিয়ে সকালে সুন্দরবন অভিমুখে যাত্রা করবো। যাত্রা শুভ হলে চোখে দু একটা রয়েল বেঙ্গল টাইগারও চোখে পড়ে যেতে পারে। বন বিভাগের দুজন ডাকসাইটে বড় সরকারী কর্মচারীর সাথে পরিচয় ছিলো, সময় মত কাজে লাগিয়েছিলাম বলে হয়তো বন ঘুরতে আর তেমন অসুবিধা হয়নি।
রেস্ট হাউজে যে পরিচিত লোকের বাসায় উঠেছিলাম উনি বলে কয়ে একটা অভিজ্ঞ গাইডের ব্যবস্থা করাতে আমাদের সমস্যা বরং আরো কমে গিয়েছে। বটুদা আগে কখনো বন দেখেননি। এখানে এসে একটা তিক্ত অভিজ্ঞতা হলো, পথে একটা সাঁকো পেরুতে গিয়ে বটূদা সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে পা ভাঙ্গলেন। অতঃপর আমাদের সুন্দরবন দেখা ভুন্ডুল করে দিয়ে আমি আর বটু দা বাড়ি অভিমুখে যাত্রা করলাম, সঙ্গে চলল আমাদের গাইড আর বটূদার হুইল চেয়ার। achat viagra cialis france
আরো গল্প শুনতে লাইক দিন আমার ফেসবুক পেইজ: https://www.facebook.com/GeorgeAldrinGhosh private dermatologist london accutane
will metformin help me lose weight fast
অংকুর বলছেনঃ
একটু বেশিই ছোট হয়ে গেল না? আর ব্লগটা প্রচার প্রচারণার ক্ষেত্রে ব্যবহার না করলে ভালো হয় metformin gliclazide sitagliptin