নষ্ট গদ্য নষ্ট পদ্য
293
বার পঠিত side effects of quitting prednisone cold turkeyএক সময় রাজনীতি নিয়ে লেখার কারণে আমার দুর্নাম ছিল।বন্ধুমহলের সবাই আমার প্রতি ছিল ত্যাক্ত-বিরক্ত।রাজনীতির পচে যাওয়া কথা নিয়ে আমার স্ট্যাটাসের পর স্ট্যাটাস আর শেয়ার করা টপিক দিয়ে ভরে যেত তাদের নিউজফিড।বলত,”তুই কি রাজনীতি ছাড়া আর কিছু লিখতে পারিস না?”
রাজনীতি আমি বুঝিনা,আমি কেন আমার মনে হয় কেউই বোঝেনা।ঘোলা পানির নিচে কি আছে সেটা বোঝা যায়না,তবে এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় পানিটা পরিষ্কার নয়,নোংরা।রাজনীতি নিয়ে লিখতাম,কারণ ইচ্ছা ছিল রাজনীতি করব।ছোটবেলায় দাদাবাড়ি গেলে দেখতাম দাদার সেখানে বিশাল প্রভাব,রাজনীতি করেন বলে।বাবাকে সবাই সম্মান করত,সমীহ করত- রাজনীতি করতেন বলে।বাবা কে বলতাম “তুমি রাজনীতি ছেড়ে দিলে কেন?” আমার চোখে তখন রঙিন মোহ।বাবা বলতেন,”এত নোংরামি আমার পক্ষে করা সম্ভব হয়নি।”দাদা কে বলতাম,”আপনি তো চাইলেই এমপি হতে পারতেন,ছেড়ে দিলেন কেন?” বলতেন,”তাহলে এখন যে সম্মান টা লোকে আমাকে করে সেটা আর করতনা।” তাদের কথা গুলো বুঝতাম না,নির্বুদ্ধিতায় কষ্ট পেতাম।রাজনৈতিক পরিবার পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে রাগ হত।
বাবা রাজনীতি ছেড়েছিলেন ৯০ এ।এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের পর।সেই আন্দোলনের কারণে আমার মা কে অনেক বঞ্চিত করেছিলেন তিনি।কিন্তু হায়,দেখলেন যাদের বিরূদ্ধে আন্দোলন করেছেন তারাই বিভিন্ন দলে ঢুকে গিয়ে নতুন রূপ নিয়েছে।আওয়ামি বিএনপি নির্বিশেষে সবাই রূপ বদলে ফেলেছে।বাবার মত যারা মাঠে ময়দানে ঝুকি নিয়ে আন্দোলন করেছে তাদের থেকে গুরুত্ব পাচ্ছে মাস্তান বাহিনী,টাকা ওয়ালা সুবিধাবাদীরা।অনেকটা অভিমান করেই সেই সময় জেলা পর্যায়ের একটা গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট ছেড়ে দিয়েছিলেন।সেই সব গল্প শুনে মনে হত আমি পরিবর্তন করে দেব সব।দেশের জন্য কাজ করার সব থেকে উপযোগি মাধ্যম বলে মনে হয়েছিল রাজনীতি কে।মনে হয়েছিল রাজনীতিবিদরা দেশের সব থেকে উৎকৃষ্ট শ্রেণী।যত বড় হলাম তত বুঝলাম রাজনীতিবিদ হল দেশের সব নিকৃষ্ট শ্রেনী।সব থেকে মাথামোটা শ্রেনী।সমাজে একজন মেথরের কিছু ভূমিকা আছে,রাজনীতিবিদদের আছে অপ-ভূমিকা।তারা দেশের যেটুকু কল্যাণ করেন সেটা নিজেদের স্বার্থেই,মেপে মেপে করেন।যে কল্যাণে তাদের অকল্যাণ হতে পারে সেটা এড়িয়ে যান।
অবস্থার পরিবর্তনের প্রত্যয় নিয়ে অনেক তরুন স্বপ্ন দেখে রাজনীতি করার।আমিও দেখেছি।কিন্তু সব থেকে পচে যাওয়া দুটি দলের মধ্যে কোন রাজনৈতিক চর্চা নেই,কিছুটা অর্থহীন কিন্তু সত্যিকারের চর্চা আছে বাম দল গুলোর মধ্যে।শাহবাগ আন্দোলনের মাধ্যেম যোগ দিয়েছিলাম তাদের সাথে।তাদের দেশপ্রেম,সততা নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই,অথবা প্রশ্ন করার সুযোগ তারা পাননি।কি করে বলব ক্ষমতা পেলে কিংবা চোখের সামনে টাকার স্তূপ দেখলে তাদের চরিত্রও বদলাবে না?যেমনটা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।ভারতে স্বাধিনতার পর কংগ্রেস এর দুর্নীতির ফলশ্রুতিতে এক সময় বাম ফ্রন্ট আসে ক্ষমতায়।এক রাজনীতিবিদ মন্তব্য করেছিল,”কংগ্রেস তো তাও রেখেঢেকে খায়।বামেরা তো শুকনো ছাড়পোকা হয়ে আছে,ওরা এলে তো রক্ত চুষে শেষ করে দেবে।”ব্যাপারটা হয়েছিলও তাই।তাই একসময় বামদের হটিয়ে সেখানে ক্ষমতায় আছে তৃণমূল কংগ্রেস!যাদের ছিলনা কোন শক্তিশালী সংগঠন।তাই তাদের মাধ্যমে খাওয়া খাইয়ি এখনও ভালই চলছে।আমাদের দেশে বাম দল গুলো সরাসরি ক্ষমতার স্বাদ পাননি।পেলে তারাও উপোষি ছাড় পোকা হয়ে উঠবেন না,তা কে বলতে পারে?
বাম দল গুলোর কাছাকাছি এসে আমার মোহ ভাঙ্গে,বিরক্ত হই।তাদের অর্থহীন কার্যকলাপ আর নিষ্ফল লম্ফ-ঝম্ফ দেখে হাসি পায়।তাদের তাত্ত্বিক মসলায় মাখানো আর কঠিন সব শব্দে রান্না করা রাজনীতি সাধারনের হজম হয়না।কয়েকশ টুকরো দলের কয়েকজন মানুষ (যারা সত্যিকার অর্থে দেশপ্রেমিক,প্রগতিশীল,যুক্তিবাদি ও ঘিলু সম্পন্ন) নিয়ে তারা মিছিল মিটিং করে যার দিকে বিরক্ত হয়ে তাকিয়ে থাকে ক্লাস করতে আসা ছেলেটি।গলা ফাটিয়ে বক্তৃতা দেয়া ছাত্রনেতারা এক সময় হারিয়ে যায়।তিক্ত বাস্তবতা হল যারা নিজেদের খাবার জুটাতে হিমশিম খায়,তারা সাধারণের খাবারের নিশ্চয়তা দেবে কিভাবে?
বিএনপি নামে কোন এক সময় একটি দল ছিল। এখন তাদের অবস্থা বাম দল গুলোর থেকেও শোচনীয়।তাদের ছাত্র সংগঠনের নেতা আর শিক্ষক সংগঠনের নেতা- উভয়ের বয়স সমান- ৪০ এর কাছাকাছি!তাদের কোন কমিটি নেই,কোন রাজনৈতিক চর্চা নেই।কোন কালে ছিলওনা মনে হয়।প্রত্যেকটি সাধারণ কর্মী ক্ষিপ্ত।তাদের কে বাতিলের খাতায় ফেলে দেয়াই যুক্তিযুক্ত।তারা নোংরামি করতে করতে সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল,অবস্থানটা ধরে রাখতে পারেনি শেষমেষ।
আওয়ামি লীগ!বঙ্গবন্ধুর আওয়ামি লীগ!দেশ স্বাধীন করেছিল তারা।স্বাধীনতার সময় দেশের মানুষের আস্থার জায়গা ছিল এটি।সেই আওয়ামি লীগের কথা এখন বললে বড়জোড় সমৃদ্ধ অতীতের গর্বে বুক দু-তিন ইঞ্চি ফুলে উঠতে পারে,এর বেশি কিছু নয়।ইতিহাস বেচে বর্তমান চলেনা।ছাত্রলীগ!আওয়ামি লীগের ছাত্র সংগঠন।ছাত্ররাজনীতি করতে হলে এখানে যাওয়ার একটা অপশনও চলে আসে।কিন্তু রাজনীতি কোথায়?ছাত্রলীগের বিভিন্ন প্রোগ্রামে অনেক ছাত্র!এরা সবাই কি ছাত্রলীগ করে?না এদের অনেকেই “শেখ হাসিনার আগমন,শুভেচ্ছা স্বাগতম” বলতে বলতে শেখ হাসিনাকে গাল দেয়।এদের বেশির ভাগই বিভিন্ন হলে আসা প্রথম বর্ষের ছাত্র।যারা বাধ্য হয়ে এসেছে এখানে।হলের ‘ভাই’ বারটা বাজাবে এদের যদি না আসে।সদ্য মফস্বল থেকে আসা ছেলেটির এই ‘বড় ভাই’ নামক অপদার্থ গুলোর বিরোধীতা করার সাহস নেই।এই অপদার্থ গুলো ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়না,নেত্রীর ইচ্ছায় পদ লাভ করে।যেহেতু নির্বাচিত হয়না সেহেতু ছাত্রদের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই,আছে নেত্রী ও বড় নেতাদের প্রতি চাটুকারিতা।লম্বা জিহবা বের করে স্তবের লালা ঝড়িয়ে শিক্ত করতে পারলেই তো মোক্ষলাভ হয়!
খবরে দেখলাম আওয়ামিলীগের অনুষ্ঠানে লোক সমাগম নেই দেখে ক্ষুব্ধ নেতারা!তা ক্ষুব্ধ তো তারা হবেনই।নেতারা বরবরই এক পাল ছাগলের সামনে চিৎকার করতে ভালবাসেন।ছাগলের পাল যত বড় হয়,তারা তত বেশি সুখ পান।যত বড় পাল,তত বেশি হাততালি।হাততালির আলাদা মোহ আছে।সেটা না মিটলে ক্ষুব্ধ তো হবেনই তারা।তবে বুঝলাম না সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মত জায়গায় সমাবেশ হবার পরও পাল ছোট হল কেন?তাহলে কি ছাগল গুলো মানুষে রূপ নিচ্ছে?তা হলে কতই না ভাল হত!অপদার্থরা কি তবে ঠিক মত ভয় দেখাতে পারছেনা?মেরুদন্ডহীন গুলো কই যারা ফেসবুকে আওয়ামিলীগের ‘সুনাম’ বাড়িয়ে চলে?মেরুদন্ডহীন গুলো মনে হয় হাটতে পারেনা মেরুদন্ড না থাকায়,তাই তারা ফেসবুকেই তাদের কর্ম সম্পাদন করে দেশের সেবা করে।বৃদ্ধি করে গালির ভান্ডার,সমৃদ্ধ করে বাংলা ভাষাকে।
নির্বাচন যখন আসে তখন আমি নিজ উদ্যোগে বেশ কিছু প্রচারণা মূলক কাজ করেছিলাম অনলাইন এর বাইরেও যদিও তাতে কারও কিছু যায় আসেনা,আমার দায়বদ্ধতা থেকেই করেছিলাম।কারন যদি কোন ভাবে বিএনপি আর তার সাথে ইবলিসের বাহিনী জামাত ক্ষমতায় আসে তাহলে দেশ এক মুহুর্তের মধ্যে ধ্বংস হয়ে যাবে।কিন্তু যেদিন শুনলাম বিএনপি নির্বাচনে আসবেনা সেদিন থেকে সব বাদ দিলাম।এই কারণে না যে বিএনপির প্রতি আমার দুর্বলতা আছে,এই কারণে যে এখন এই সব প্রচারণা অর্থহীন।কারণ এমনিতেই জিতবে আওয়ামি লীগ।কাজেই অপচয় কেন?জিতে আসার পর (!?) আওয়ামি লীগের কার্যক্রম পচা গলা পুজের মত হয়ে উঠছে দিনকে দিন।নেত্রী কত বড় ইসলামের সেবক সেটি প্রচার করতে জান প্রাণ দিয়ে দিচ্ছে সবাই।মদিনা সনদে চলবে দেশ,পাড়ায় পাড়ায় মসজিদ বানিয়ে ইহকালিন শান্তির চেয়ে পরকালীন শান্তির দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে তারা।ভুলে যাচ্ছে মানুষ তাদের নির্বাচন করে ইহকালীন শান্তির জন্য,পরকালীন শান্তি অর্জন করানো তাদের দায়িত্ব নয়।পরকালীন শান্তির উদ্দেশ্যে ভেঙে ফেলছে ছবির হাট।গ্রেফতার করছে শীল্পি দের।যে যুদ্ধাপরাধের বিচারের মূলো ঝুলিয়ে জনগণ নামক গাধাকে তারা টেনে নিয়ে যাচ্ছে সেই মূলোটা যেন একদম শেষ না হয়ে যায় সেজন্য মূলোটা এদিক ওদিক দোলানো হচ্ছে ব্যাপক ভাবে।
সব গুলো ধারার কথা আসলো,শিবির বাদ যাবে কেন?শিবির বাদ যাবে এই কারণে যে তারা কি রাজনীতি করে?ছাত্রদল-ছাত্রলীগ না হয় পচা গলা নোংরা রাজনীতি টুকু করে কিন্তু শিবির তো আর রাজনীতি করেনা।শিবিরের কথা আসলে আসতে হবে জেএমবি,হরকাতুল জিহাদের কথাও।শিবির হল এক একটা রাক্ষসের সমষ্টি যারা শয়তানিতে তাদের আদি পিতা ইবলিস কেও অতিক্রম করে গিয়েছে। zithromax azithromycin 250 mg
আমাদের নষ্ট সমাজের নষ্ট রাজনীতি নষ্ট গদ্যের মত,নষ্ট পদ্যের মত।রাজনীতিবিদের প্রধান বৈশিষ্ট্য নির্লজ্জতা।বেহায়াপনা।যে যত বেশি নির্লজ্জ সে তত ভাল রাজনীতিবিদ।যে যত বেশি চাটুকার তার ভবিষ্যত তত উজ্জ্বল।যে এরশাদের বিরূদ্ধে এত আন্দোলন,এত রক্ত সেই এরশাদ কে নিয়ে টানাটানিই বুঝিয়ে দেয় নির্লজ্জতার চরিত্র।যে জামাত দেশের বিরোধীতা করেছিল সেই কুকুরের বীর্যে উৎপন্ন মনুষ্য ইবলিস গুলো রাজনীতি করে এখনও,তারা মন্ত্রি হয়।এর জন্য দায়ী সব গুলো নির্লজ্জই।এদের জিইয়ে রাখা হয়েছে ঘুটি হিসেবে।রাখা হবে।যখন যেভাবে ব্যবহার করা দরকার সেভাবে ব্যবহারও করা হবে।যেমন করা হচ্ছে এরশাদ নামক নপুংশক টিকে। metformin gliclazide sitagliptin
একটি দিকের কথা বাদ থেকে যাচ্ছে,যার মাধ্যমে আমার মত অনেকেরই পথে নামা।গণজাগরণ মঞ্চ।আমাদের স্বপ্নের শাহবাগ।যেখানে লক্ষ মানুষের সাথে বসে গলা মিলিয়েছি।নিজেকে চিনেছি ব্যাপক ভাবে।পেয়েছি সাহস,শক্তি।দেশপ্রেমের নতুন পাঠ।রাজনীতির পচা স্রোত থেকে রক্ষা পায়নি ঐ মঞ্চটিও।দূষিত হয়ে গিয়েছে সেটি।জনতা কেন্দ্রিক আন্দোলনের কোন অস্তিত্ব নেই এখন।সেটি হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের ঐতিহ্য অনুসারে পুরোপুরি ব্যক্তিকেন্দ্রিক ।ব্যক্তি হয়ে উঠেছে প্রধান।নেতা হয়ে উঠেছে প্রফেট।যে স্বপ্ন ন্যাস্ত হয়েছিল শাহবাগের উপর সেটিকে লালন করতে পারেন নি এর নেতারা।গণজাগরন মঞ্চের সাথে যুক্ত প্রায় প্রত্যকেটি মানুষ কে আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনি,প্রত্যেকটি মানুষের দেশপ্রেম নিয়ে সন্দেহ নেই কোনও।কিন্তু আমাদের নষ্ট গদ্য পদ্যের ভীড়ে ছন্দ হারিয়ে ফেলেছে তারা।সাধারণ মানুষ গাধা হতে পারে কিন্তু তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেনি কখনও।তাই ছুটে এসেছিল শাহবাগে।এখন যেমন আর আসেনা কোন সাধারণ,অসাধারণের জমায়েত হয় সেখানে।তাদের প্রতি আমার ক্ষোভ নেই।আমি মনে প্রাণে লালন করি শাহবাগ আন্দোলনের মূল শিক্ষাটিকে।ওটি আমার জীবনের বড় এক সম্পদ।অসংখ্য নষ্টের ভীড়ে একটুকরো বিশুদ্ধ।কিন্তু সেখানে আর যাওয়া হয়না আমার।কারণ আমি সাধারণ,আমি গাধার দলে।আমিও মূলো দেখে উত্তেজিত হই,ছুটে বেড়াই ওটার পিছনে।কিন্তু ভুলে যাই ওটা দুলছে নষ্ট পদ্যের মাত্রাবৃত্ত ছন্দে।
এক সময় আমি ব্যাপক ভাবে চাইতাম যেন ডাকসু নির্বাচন হয়।কিন্তু এখন ব্যাপক ভাবে চাই যেন ডাকসু নির্বাচন না হয়।কারণ এখন সেই রাজনৈতিক চেতনা নেই,সেই রাজনৈতিক আদর্শ তো ইতিহাস।এখন ডাকসু নির্বাচন হলে ছাত্রলীগ হলের ছেলেপেলেদের ভয় দেখিয়ে সব ভোট বাগিয়ে নেবে।তারা এত ঝামেলা নাও করতে পারে।সরাসরি ভোট বিপ্লব ও ঘটিয়ে দিতে পারে মারামারি করে,ককটেল ফাটিয়ে আর লাঠি বাশ রড নিয়ে।ক্যাম্পাস তাহলে হয়ে উঠবে রণক্ষেত্র।প্রকৃত নেতার জন্ম হবেনা,তৈরি হবে ‘আদালত কর্তৃক ঘোষিত সংবিধান সম্মত’ নেতাদের মত অপ্রকৃত নেতা।ক্ষমতা পেয়েই তারা হয়ে উঠবে দড়ি ছেড়া নেকড়ে,শুয়োর।এখন তাও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিজ ক্ষমতা বলে শান্ত রাখেন সব কিছু,তখন বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠবে মেরুদন্ডহীন অমানুষদের আখড়া।বাম দল গুলোও পেরে উঠবে না নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের ছাত্রসংগঠনের সাথে।
তবে কি নষ্ট গদ্যে,নষ্ট পদ্যে পুজের সাগরে ভেসে বেড়াব আমরা?রাজনীতি সব সময় মধ্যম শ্রেনীর মানুষরাই করবে।উচ্চ শ্রেনীর প্রতিভাবান মানুষ রাজনীতি করেনা।আইনস্টাইন রাজনীতি করলে তিনি আইনস্টাইন হতেন না।রবীন্দ্রনাথ যদি মুখ্যমন্ত্রি হওয়ার জন্য রাজনীতি করতেন তাহলে তিনি বিশ্বকবি হতেন না।হয়তো একজন সফল মূখ্যমন্ত্রি হিসেবে এক-দুই শতক সম্মান পেতেন কিন্তু এখন তিনি কয়েকশ শতক ধরে টিকে থাকবেন।মধ্যম শ্রেনীর অপ্রিতাভাবানরা রাজনীতি করলেও তাদের মধ্যে দেশপ্রেম সততা থাকতে হবে।রাজনীতিবিদ কে প্রতিভাবান না হলেও চলে কিন্তু অবশ্যই হতে হবে সৎ ও দেশপ্রেমিক যার বড় অভাবে আমাদের এ মুল্লুকে।হয়তো পাওয়া যাবে সৎ ও দেশপ্রেমিক কে।তবে সেটি বহু দূরের ব্যাপার।তার আগ পর্যন্ত চলুন আমরা গাধা হয়ে,নির্বোধ হয়ে,ছাগল এবং ভেড়া হয়ে ইবলিস-অপদার্থ-মেরুদন্ডহীনদের শেখানো নষ্ট পদ্য বিকট স্বরে আবৃত্তি করে যাই,চোখ বন্ধ করে পাঠ করি নষ্ট গদ্য সমূহ।অথবা জেগে উঠি ব্যাপক ভাবে!
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
irbesartan hydrochlorothiazide 150 mgশমসে রাফী ভাই আমার কাছে মনে হয় বাম দল গুলো হল সুন্দর মোড়কে মোড়কীকরণ করা পন্য। বাজারজাত করার জন্যে সব ব্যবস্থা নেয়া। এক সময় আমারও খুব ভাল লাগতো বাম দল গুলোর অনুসারী ছাত্রদের্। কিন্তু তারা সব কিছু সমালোচনা করতে করতে এমন অবস্থায় গিয়েছে কি আর বলার!
আর লীগ আর দল নিয়ে কিছু বলব!!! মুখ নষ্ট করে কী লাভ! ছাত্র দল তথা বিএনপি হল শিবিরের সহযোগী। এরা মানুষ না। আর ক্ষমতাসীন দলে যোগ দেয়ার ঝোক সর্বদাই সবার থাকে। তাই নব্য লীগারেরা লীগকে যাতা করে ফেলেছে।