কামালপুরের যুদ্ধ — অজানায় থাকা এক বীরত্বগাঁথা (প্রথম পর্ব)
1148
বার পঠিতগত শতাব্দীকে বোধহয় আমরা সবচে নৃশংসতম শতাব্দীও বলতে পারি। সভ্য হওয়ার সবচে সাহসী দাবীদার এর আগে এতো রক্তপাত করেছিল কিনা আমার জানা নেই। যেমন ব্যাপক প্রাণঘাতী যুদ্ধের বেশ কয়েকটিই গত শতাব্দীর উদাহরণ দিয়ে শেষ হবার নয়। যেমন প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা প্রায় ১২ মিলিয়ন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ৬০ মিলিয়ন, ভিয়েতনাম যুদ্ধে প্রায় ৫ মিলিয়ন এবং কঙ্গো যুদ্ধের প্রায় ৪ মিলিয়ন প্রাণহানি। আর আমাদের এই বঞ্চিত-লাঞ্ছিত বাংলায় একাত্তরে প্রাণ দিতে হয় প্রায় ৩ মিলিয়ন মাত্র ৮ মাস ২০ দিনে। মৃতের সংখ্যা কেবলই বর্বরতার ভয়ংকরতম চেহারা ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম নয়। আমরা এইসবের কিছু ধারণা পায় বিশ্ব-চলচ্চিত্রের কিছু অসাধারণ কাজ থেকে তার থেকে বেশী পেয়ে থাকি অনবদ্য সব সাহিত্যকর্মে। এমনি একজন কালোত্তীর্ণ যুদ্ধবিরোধী সাহিত্যিক হচ্ছেন প্রিয় এরিক মারিয়া রেমার্ক। তাঁর All Quiet on the Western Front (1929) কিংবা Three Comrades (1937) কেবলই যুদ্ধের অমানবিকতা ফুটিয়ে তোলে নি একই সাথে মানুষের মনের মাঝে এর ভয়াবহতার একটি স্পষ্ট ধারণা দেয়। তারপরও তাঁর যে উপন্যাসটি সবচে বেশী দাগ কাটে মনে তার বাংলা শিরোনাম ছিল ‘যুদ্ধ-মৃত্যু-ভালোবাসা’। প্রায় সবকটিই পরবর্তীতে হয়ে উঠেছে দারুণ সব চলচ্চিত্রে।
একই সাথে এপোক্যালিপ্স নাও, সেভিং প্রাইভেট রায়ান, দ্যা ব্রিজ অন দ্যা রিভার কাউয়াই, দ্যা পিয়ানিস্ট কিংবা ডিফায়েন্স সহ আরও অনেক অনেক অসাধারণ সকল চলচ্চিত্র আছে যা যুদ্ধের শৈল্পিক এবং মানবিক রূপের যুগান্তকারী উপাখ্যান হয়ে আছে। কিন্তু দুঃখের এবং অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আমাদের একাত্তর নিয়ে এমন মানবিক সাহিত্যকর্ম বা শিল্পকর্ম খুবই দুর্লভ। অথচ এমন হাজার হাজারো গা শিউরে দেয়া মানবিক যুদ্ধের গল্প আমাদের আছে। সভ্যতা ব্লগের স্টিকি পোস্ট দেখেই প্রথমে আমারও একই চিন্তা হয় আমাদের এমন সকল যুদ্ধের গল্প সংগ্রহ করতে হবে। হতে পারে তা যুদ্ধের বীরত্বগাঁথাপূর্ণ কিংবা প্রেমময় আবেগে ভরা অথবা নৃশংসতম বর্বরতার কথা। কিন্তু আমাদের মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের প্রস্থানের পূর্বেই আমাদের এইসব সংগ্রহ করতে হবে। এই ধারাবাহিকতায় আজ আমি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের এমন এক ইতিহাস সবার সামনে উপস্থাপন করব যা আমাদের প্রজন্মের হয়তো কেউই (কিংবা অনেকেই বা বেশীরভাগই) জানেন না। যারা এই পোস্টটি পড়বেন তারা চেষ্টা করবেন এই যুদ্ধের যোদ্ধাদের সাক্ষাৎকার নিয়ে ইতিহাসকে সংরক্ষণ করতে। doctorate of pharmacy online
শিরোনাম থেকেই বুঝতে পেরেছেন আমি একাত্তরের কামালপুরের যুদ্ধের কাহিনী বলতে এসেছি। এটি এমনি একটি প্রথাগত সমন্বিত আক্রমণের জয়ের গল্প যা যেকোনো প্রশিক্ষিত যোদ্ধাদের জন্য হতে পারে দারুণ প্রেরণার এবং শিক্ষণীয়। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে কেনা এই স্বাধীনতার ইতিহাস আসলে কখনই সম্পূর্ণ সংগ্রহ সম্ভব না। তবুও এমনও কিছু ঐতিহাসিক মুহূর্ত আমরা বিভিন্ন যোদ্ধার বই থেকে পেয়ে থাকি। তেমনই একটি সম্মুখ যুদ্ধের নাম হচ্ছে কামালপুরের যুদ্ধ। পলাশী থেকে মুক্তিযুদ্ধ প্রায় ২১৫ বছরের সুদীর্ঘ অপেক্ষা পালা ঘুচানো এমনই এক সংগ্রামের ইতিহাস একাত্তর। আমরা ভেবেছিলাম ৪৭ এই বুঝি আমাদের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে কিন্তু ভুল ভাঙ্গতে সময় লাগলো মাত্র বছর খানেক। ৪৯ থেকেই ভাষার জন্যে রাস্তায় নামতে হল বাঙালীকে। অবশেষে সেই মুক্তিকামী বাঙালীর প্রতীক্ষার পর্ব শেষ হল ৭ মার্চ ১৯৭১ সালে। তারপর নিরস্ত্র বাঙালীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়া বর্বর হায়েনাদের রুখে দেয়ার পালা শুরু হল ২৬ মার্চ ১৯৭১ থেকেই। রুখে দেয়ার গল্প নয় আমি বলতে এসেছি হায়েনাদের বিপুল বিক্রমে পরাজিত করার এক মহাকাব্যিক যুদ্ধের গল্প।
সর্বস্তরের মানুষের সমন্বয়ে গঠিত মুক্তিবাহিনী হায়েনাদের রুখে দিতে লাগলো সর্বত্রই। জেড ফোর্সের আত্মপ্রকাশের পরই প্রথম সঙ্ঘবদ্ধ আক্রমণে যায়। কামালপুরের যুদ্ধ তেমনই একটি সফল আক্রমণের উজ্জ্বলতম দৃষ্টান্ত। বিশাল মুক্তিযুদ্ধের ছোট্ট এই আক্রমণের কৃতিত্ব এখানেই যে মুক্তিবাহিনী কেবলই প্রতিরোধ করেনি আক্রমণেও সফল। আক্রমণের এই সক্ষমতার খবর দ্রুত প্রশিক্ষণ নেয়া একটি মুক্তিবাহিনীর জন্যে দারুণ প্রেরণাদায়ক যা দুর্বল সমরাস্ত্র এবং জোড়াতালি দেয়া একটি বাহিনীর জন্যে খুবই দরকার ছিল যা প্রশিক্ষিত একটি সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে রুখে দেয়ার ক্ষেত্রে।

লাল গোল বৃত্তে কামালপুর যুদ্ধের এলাকা চিহ্নিত viagra in india medical stores
amiloride hydrochlorothiazide effets secondairesকামালপুর হচ্ছে জামালপুর জেলার একটা ছোট্ট মফস্বল শহর। বিচ্ছিন্নভাবে ছড়ানো ছিটানো গ্রাম্য ঘরবাড়ী, ইতস্তত যত্রতত্র ঝোপঝাড়ের এই শহরটি জামালপুর সদর থেকে বেশ দূরে অবস্থিত। তুরা রেঞ্জ সংলগ্ন গারো পাহারের দক্ষিণে এবং জামালপুর সদর থেকে প্রায় ৪০ কিমি উত্তরে BOP ছিল। যা আন্তর্জাতিক সীমানা থেকে মাত্র ১ কিমি দূরে অবস্থিত ছিল। বিস্তীর্ণ খোলা জমি, চাষের জমি, ছোট বড় কিছু পাহার আকৃতির টিলা, পুকুর আর জলাভূমিই ছিল এই অঞ্চলের সাধারণ বৈশিষ্ট্য। আর গ্রামগুলো হল পশ্চিম কামালপুর পারা, বর্মণ পারা, উঠানি পারা, ঘশিপাড়া, খাশের গাঁও, ধুনাও কামালপুর, পালবাড়ি এবং মাহেন্দ্রগঞ্জ। বেশ কিছু জলপ্রবাহ ছিল আঁকাবাঁকা হয়ে গোটা কামালপুর জুড়ে। যা সুদিনেও যান্ত্রিক গাড়ির জন্যে অনতিক্রম্য বা কঠিন। কামালপুর শেরপুর হয়ে জামালপুর সদরের সাথে মেঠো পথে যুক্ত ছিল যা জামালপুর-টাঙ্গাইল সড়কের একটি সংযোগ সড়ক মাত্র।
কামালপুর বিওপি [BOP] ছিল সাবেক ইপিআর সৈনিকদের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি পর্যবেক্ষণ পোস্ট। যা পরবর্তীতে একসময় হানাদার বাহিনীর ৩১ বেলুচ রেজিমেন্টের একটি কোম্পানির দখলে চলে যায়। এটা ছিল হানাদার বাহিনীর একটি বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ। তারা কামালপুর-জামালপুর বরাবর ১৮৫ কিমি জুড়ে আক্রমণের প্রশস্ততা বিস্তার করতে চেয়েছিল। এই আক্রমণ ভাগে ছিল ৩১ বেলুচ রেজিমেন্ট, প্যারা-মিলিটারির সমন্বয়ে ৪টি স্বতন্ত্র কোম্পানি এবং ১২০ মিমি মর্টার সহ একটি আর্টিলারি ব্যাটারি। পাক আর্মি তাদের পরিকল্পনা মোতাবেক ভূমি দখল করেছিল যার প্রধান ছিল ক্যাপ্টেন আহসান মালিক সাথে তার ৭০ জন প্রশিক্ষিত সৈনিক, এক প্লাটুন রেঞ্জার এবং তিনটি ৮১ মিমি মর্টার। তারা মুক্তিবাহিনীর সকল অতর্কিত আক্রমণের জন্যেও প্রস্তুত ছিল। তাদের পরিখাগুলো তিনটি স্তরে নির্মিত ছিল; প্রথমত মাটি এবং টিন, তারপর রেইল বিম এবং শেষে সিমেন্টের কংক্রিট যেগুলোর উচ্চতা ছিল প্রায় একতলা বাড়ির সমান।
জেড ফোর্সের ১ ইস্ট বেঙ্গলের মেজর মুইনুল হুসাইন চৌধুরী অগাস্ট পর্যন্ত ছিলেন ময়মনসিংহ এলাকার দায়িত্বে, যেখানে ভারতের তুরা পাহাড়ে ফোর্স হেড কোয়ার্টার অবস্থিত ছিল। অগাস্টই জেড ফোর্সের হেড কোয়ার্টার সিলেটে স্থানান্তরিত করা হয়। একই সময়ে ১১ নং সেক্টর স্থাপিত হয় মেজর আবু তাহেরের তত্ত্বাবধানে। যিনি পরবর্তীতে গোটা এলাকার দায়িত্ব নেন। যুদ্ধ চলাকালীন ভারতের ৯৫ মাউন্টেন ব্রিগেড গ্রুপের বিগ্রেডিয়ার এইচ এস ক্লের তিনিই মূলত জামালপুর-কামালপুর এক্সিসের দায়িত্বে ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই জয়-পরাজয়ের ছোট ছোট যুদ্ধে এই অঞ্চলের সাধারণ রীতি ছিল। কিন্তু মুক্তিবাহিনী বুঝতে পারে এই অঞ্চল স্বাধীন করতে হলে বড় ধরণের জয় অত্যাবশ্যক। কলকাতায় কেন্দ্রীয় পর্যায়ের সিদ্ধান্ত হয় জুলাই মাসে, সেই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে অগাস্টে এই বিপুল পরিবর্তন। যা পরবর্তীতে মুক্তিবাহিনী এবং যৌথবাহিনীর সমন্বয়ে অফেন্সিভ যুদ্ধের দিকে গড়ায়। জুনের একটি ব্যর্থ আক্রমণের পর সব মিলিয়ে মোট ৮ টি আক্রমণ ( Attack) করার পর মুক্তিবাহিনী একটি বিশাল জয়ের দেখা পায়।
প্রথম চেষ্টা para que sirve el amoxil pediatrico
প্রথম চেষ্টা করেন নায়েব সুবেদার সিরাজ ১২ জুন ১৯৭১ সালে। তখনও বৃহৎ পরিকল্পনা অনুযায়ী সব শুরু হয় নি। নায়েব সুবেদার সিরাজ তাঁর স্বল্প অস্ত্রসজ্জিত ১৪৮ জন মুক্তিবাহিনী নিয়ে পাক হানাদার বাহিনীর সুপ্রশিক্ষিত এবং অধিকতর অস্ত্রের মুখে পড়েন পরে যে আক্রমণ ব্যর্থ হয়, হানাদার বাহিনী মুক্তিবাহিনীর এই আক্রমণ রুখে দেয়। তারপর প্রথম সুপরিকল্পিত অ্যাটাক বা আক্রমণ করা হয় জেড ফোর্সের প্রধান লে: কর্নেল জিয়াউর রহমানের পরিকল্পনায়। দায়িত্ব দেয়া হয় ১ ইস্ট বেঙ্গলের মেজর মইনকে, জামালপুর বিওপি দখল করার জন্য। ক্যাপ্টেন মাহবুব, ক্যাপ্টেন হাফিজ এবং ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ তিনটি কোম্পানি নিয়ে প্রথম প্রথাগত রণকৌশলে বিওপি আক্রমণ করেন ৩১ জুলাই বিকাল ১৫৩০ ঘটিকায়। ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন ছিলেন যুদ্ধের প্রথম সপ্তাহে পাকিস্তান আর্মি থেকে পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করা গভীর দেশপ্রেমিক এবং দারুণ এক ত্যাগী অফিসার। আক্রমণের দু’রাত আগে ২৭/২৮ জুলাই তিনি রেকি করতে গেলে ধরা পরেন, পরবর্তীতে তাঁর সহকারী নায়েব সুবেদারের বুদ্ধিমত্তায় তিনি ছাড়া পান, পরবর্তীতে সায়েব সুবেদার হাইকে ‘বীর প্রতীক’ উপাধি দেয়া হয় তাঁর বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য।
দ্বিতীয় সুপরিকল্পিত অ্যাটাক বা আক্রমণ
দ্বিতীয় সুপরিকল্পিত অ্যাটাক বা আক্রমণ পরিকল্পনা মোতাবেক ১৫৩০ ঘটিকায় শুরু হয় ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিনের কোম্পানি দিয়ে। দুর্বল এবং চটজলদি পরিকল্পনার আক্রমণের শুরুতেই মুক্তিবাহিনী এমনিতেই অস্ত্র এবং জনবলে দুর্বল। তার সাথে যোগ হয়েছিল অপর্যাপ্ত ওয়ারলেস যোগাযোগ। পরিকল্পনা মোতাবেক ভারতীয় মর্টারের আক্রমণ শুরু হলেও মুক্তিবাহিনী নিজেদের আক্রমণে দেরী করে ফেলার কারণে হানাদারবাহিনী আগেই সতর্ক হয়ে যায়। এদিকে ততক্ষণে শত্রুপক্ষ অর্থাৎ পাক আর্মি তাদের মর্টার শেলিং শুরু করে। ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিনের পক্ষে পুনঃ আক্রমণ কঠিন হয়ে পরে। বিগ্রেড কম্যান্ড গ্রুপের লে: কর্নেল জিয়া এবং মেজর মইনের প্রেরণাদায়ক প্ল্যানিং এ ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন, হাফিজ এবং নায়েব সুবেদার হাই আক্রমণ শুরু করেন। প্রায় ২০-২৫ জন সৈন্য হানাদার বাহিনীর সম্মুখভাগে প্রবেশ করে বীরত্বের সাথে। হাইয়ের প্লাটুনের ৪০ জনের ২০-২৫ জনই যুদ্ধে প্রাণ হারান।
এই সফলতার পেছনের একটা মূল কৌশল ছিল ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিনের আচানক মেগাফোনে পাক-হানাদারকে আত্মসমর্পণ করতে বলা। যা মুক্তিবাহিনীকে পুনরুজ্জীবিত করে এবং সফলতা এনে দেয়। এক পর্যায়ে লে: কর্নেল জিয়া মেজর মইনকে বলেন তিনি ৯৫% জনবলের ক্ষয়ক্ষতি মানতে রাজি আছেন কিন্তু আক্রমণ সফল হতে হবে। এইদিকে ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন, নায়েব সুবেদার হাই এবং নায়েক শফিকের দৃঢ়চেতা মনোভাবে মুক্তিবাহিনী এগিয়ে যেতে থাকে। এমন সময় হঠাৎ করে একটি মেশিনগানের গুলি লাগে বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিনের বুকে, ঐদিকে মাইন বিস্ফোরণে নায়েক শফিকও একটি হাত হারান। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিরও আশঙ্কায় ক্যাপ্টেন সালাউদিনের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয় নি। বলা হয়ে থাকে তাকে প্রথাগত আর্মির মর্যাদায় পাকিস্তান আর্মি বখশীগঞ্জে দাফন করে। ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিনের মৃত্যুর পর মুক্তিবাহিনী পুনরায় সংগঠিত হয় এবং একপর্যায়ে সফলতার সম্ভাবনা কম দেখে ১ অগাস্ট ০৭৩০ ঘটিকায় মুক্তিবাহিনী পশ্চাৎপসারণ করে।
এই যুদ্ধের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্যে ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজকে বীর উত্তম উপাধি দেয়া হয়। তাঁকে ছাড়াও ১ ইস্ট বেঙ্গলের ৩০ জন সৈনিক নিহত এবং ৬৫ জন আহত হন। অন্যদিকে হানাদার বাহিনীর ৫০-৬০ জন মৃত্যু বরণ করে এবং আহতের সংখ্যা অজানা। কামালপুরের মানুষ আজও ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিনের মহৎ আত্মত্যাগের জন্যে তাঁকে গভীর শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করেন। তাঁকে উৎসর্গ করে কামালপুরে একটি ক্লাব আছে যেখানে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় উৎসবের দিন নানান প্রোগ্রাম আয়োজন করা হয়। পরবর্তী সংঘবদ্ধ আক্রমণ হয় ১৫ অগাস্ট ১৯৭১, মুক্তিযুদ্ধের ১১ নং সেক্টরের তত্ত্বাবধানে।
তৃতীয় থেকে অষ্টম আক্রমণের সাফল্যগাঁথা আগামী পর্বে সমাপ্য। (চলবে…)
তথ্যসূত্রঃ
- The Documents of the Liberation War of Bangladesh part 10.
- AGAROTY SECTOR BIJOY KHAHINI by Major Rafiqul Islam, psc
- “Witness to Surrender” by Siddique Salik.
- উইকিপিডিয়া এবং
- আইএমডিবি ডট কম।
কৃষ্ণ গহ্বর বলছেনঃ
চমৎকার একটি লেখা।এই রকম বীর নির্ভীক সালাউদ্দিনের মত যোদ্ধারা ছিলো বলেই আমরা আজ স্বাধীন। তাদের আত্ত্বত্যাগের কথা ভুলার নয়। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক অজানা তথ্য…অতৃপ্ত রয়ে গেলাম। আশা করছি খুব দ্রুত পরবর্তী পর্ব পেয়ে যাবো।
তারিক লিংকন বলছেনঃ
ধন্যবাদ…
আশাকরি ঈদের আগেই ২য় এবং শেষ পর্ব পোস্ট করতে পারব!!
জন কার্টার বলছেনঃ
অসংখ্য ধন্যবাদ তারিক লিংকন ভাই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বপূর্ণ কামালপুর যুদ্ধের এই ইতিহাসটি তুলে ধরার জন্য!
আসলে শুধু কামালপুর যুদ্ধ নয় আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের হাজারো বীরত্বপূর্ণ ঘটনা এখনও আমাদের অগোচরে রয়ে গেছে আবার অনেক ঘটনা সংরক্ষণ-এর অভাবে হারিয়ে গেছে যার কালের গহব্বরে! অথচ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের এইসব বীরত্বপূর্ণ ঘটনা দিয়ে ইচ্ছে করলেই Oscar winning চলচিত্র তৈরি করা সম্ভব!
আবারো অসংখ্য ধন্যবাদ তারিক লিংকন অজানা এই ইতিহাস আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য….. buy kamagra oral jelly paypal uk
তারিক লিংকন বলছেনঃ
আমাদের গৌরবময় ইতিহাসের প্রেরণায় নির্মিত চলচ্চিত্র একদিন অস্কার পাবেই…
আপনাকে ধন্যবাদ! আশাকরি আপনিও আপনার আসেপাসের এমন গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস আমাদের সামনে তুলে ধরবেন!!
আপনাকে অফুরন্ত ধইন্যা এইভাবে প্রেরণা দেয়ার জন্যে…
মায়াবী তেজস্বিনী বলছেনঃ
venta de cialis en lima peruধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের মুক্তিযুদ্ধের এই হারিয়ে যাওয়া বীরত্বপূর্ণ ইতিহাস তুলে আনার জন্য। দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় রইলাম…
তারিক লিংকন বলছেনঃ
আপনাকেও অফুরন্ত ধন্যবাদ। আশাকরি শীঘ্রই শেষ করতে পারব… posologie prednisolone 20mg zentiva
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
প্রজন্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য সম্বলিত এই পোস্ট অবশ্যই স্টিকিযোগ্য। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
একদম সঠিক বলেছেন । আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে পাকবাহিনী যে নৃশংস বর্বরতার পরিচয় দিয়েছে তা দুটি বিশ্বযুদ্ধেও ঘটেছে কিনা সন্দেহ; যদিও সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বযুদ্ধে বেশি মানুষ নিহত হয়েছে ।
অসাধারণ একটি লেখা লিংকন ভাই । বীর সালাউদ্দিনের মত যোদ্ধারা ছিলেন বলেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি । ৭১ এর বীরদের আত্বত্যাগের কথা কোনদিন ভুলবার নয় ।
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ।
অনুস্বার বলছেনঃ
একদম সঠিক বলেছেন । আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে পাকবাহিনী যে নৃশংস বর্বরতার পরিচয় দিয়েছে তা দুটি বিশ্বযুদ্ধেও ঘটেছে কিনা সন্দেহ; যদিও সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বযুদ্ধে বেশি মানুষ নিহত হয়েছে ।
বিনাবাক্যে সহমত… [-(
তারিক লিংকন বলছেনঃ
১০০ % সহমত!
ধন্যবাদ শাহিন ভাই… about cialis tablets
munna বলছেনঃ
লিংকন ভাই জোশ হইছে!!
metformin synthesis wikipedia
তারিক লিংকন বলছেনঃ
glyburide metformin 2.5 500mg tabsধন্যবাদ… এইটা জোশ হওয়ার বিষয় না! তবে চলচ্চিত্র হলে আসলেই অসাধারণ কিছু হত
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এসব লেখা পড়তে অসাধারণ লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
তারিক লিংকন বলছেনঃ
আপনাকেও ধন্যবাদ…
চাতক বলছেনঃ
— সভ্যতা ব্লগের আদি সভ্যের পোস্টের কিছু অংশ
বিনির্মাণে আগামীর পথে সভ্যতার সাথেই আছি
অনুস্বার বলছেনঃ
সভ্যতার এই উদ্যোগের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি… ^:)^ >:D< কিপিটাপ পিপল, গো এহেড… :-bd
তারিক লিংকন বলছেনঃ
ধন্যবাদ…
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
চমৎকার একটি তথ্যসমৃদ্ধ লেখা।মুক্তিযুদ্ধের এমন হাজারো ইতিহাস রয়েছে আমাদের জানার বাইরে।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এমন একটি অজানা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস আমাদের সামনে তুলে ধরবার জন্য। পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি
তারিক লিংকন বলছেনঃ
ধন্যবাদ… আশাছিল ঈদের ছুটিতে দ্বিতীয় পরব লিখে ফেলব!! দেখি শেষ করতে পারি কিনা!! doctus viagra
সোমেশ্বরী বলছেনঃ will metformin help me lose weight fast
দারুণ কাজ হয়েছে, লিংকন ভাই।
তারিক লিংকন বলছেনঃ
আপনাকেও ধন্যবাদ…