মোহাম্মদ আশরাফুল- এক বিস্ময়ের নাম, এক প্রানপ্রিয় ভালোবাসার নাম, এক বিশ্বাসঘাতকের নাম…
443
বার পঠিতবেশ কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ(বিপিএল)য়ে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে আমাদের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান, একসময়ের বিস্ময় বালক মোহাম্মদ আশরাফুলকে আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হল। অনেককেই দেখছি তার এই শাস্তি প্রত্যাহারের ব্যাপারে সোচ্চার হতে। অনেকেই বলার চেষ্টা করছেন আশরাফুলের নাকি এখানে কোন দোষ নেই। তাকে নাকি বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে। তার শাস্তি প্রত্যাহারের দাবিতে করা মানববন্ধনে অনেকে এটাও বলার চেষ্টা করেছেন, মোহাম্মদ আশরাফুল সম্পূর্ণ নির্দোষ, তাকে নাকি ফিক্সিংয়ে বাধ্য করা হয়েছে !! এখন প্রশ্ন হল মোহাম্মদ আশরাফুল আসলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের নামে কি করেছেন? তার অপরাধ কি আদৌ শাস্তি পাবার মত? তাকে শাস্তি দেওয়াটা কি ভুল হইছে? নাকি তার শাস্তিটা আসলে অনেক কমই হয়ে গেছে?
আশরাফুল আমাদের ক্রিকেটের প্রথম সুপারহিরো ছিল। এটা অস্বীকার করাবার কোন উপায় নাই। আমরা ছোটবেলায় যার খেলা দেখতে বসলে একই সাথে প্রচণ্ড উত্তেজিত এবং দুশ্চিন্তায় থাকতাম, সে হচ্ছে আশরাফুল। উত্তেজিত থাকতাম তার নিতান্ত অবলীলায় খেলা মাস্টারক্লাস সব শট দেখবার জন্য আর প্রচণ্ড দুশ্চিন্তায় থাকতাম কখন নিতান্তই দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো দলকে বিপদের মুখে ফেলে জঘন্য একটা শট খেলে সে আউট হয়ে যাবে, সেই শঙ্কায়। ও হয়তোবা পৃথিবীর ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা প্রতিভাবান প্লেয়ার ছিল, কিন্তু একই সাথে ও ছিল দেশ ও দলের প্রতি চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং উদাসীন একজন ক্রিকেটার। এবং একই সাথে ও ছিল দর্শকদের চিরকালই হতাশ করে যাওয়া একজন। ওর প্রত্যেকটা ভালো ইনিংস দিয়ে ও আমাদের প্রত্যাশার পারদ নিয়ে যেত আকাশ চূড়ায়। এর মূল কারন হচ্ছে ওর খেলার স্টাইল এতটাই মন্ত্রমুগ্ধকর ছিল যে, বারবার হতাশ হতে হতে বিরক্ত ও ক্লান্ত হয়ে যাওয়া দর্শক পর্যন্ত না চাইলেও অবচেতনভাবে ওর উপর আস্থা এনে ফেলত। পরের ইনিংসটা খেলতে নামার সময় মনের গভীরে এক কোনে প্রার্থনা করতো ওর জন্য, আশা করতো আজকেও ও আগের ম্যাচের মতো চমৎকার খেলবে। কিন্তু ও যে কোন দিনই দর্শকের আবেগকে মূল্য দেয় নি। কোটি কোটি দর্শকের মনের আশা কিংবা প্রার্থনা মুহূর্তে গুঁড়িয়ে দিয়ে দলের ভয়াবহ সংকট কিংবা চরম প্রয়োজনের মুহূর্তে চরম জঘন্য একটা শট খেলে মাথা নাড়তে নাড়তে চলে আসত ড্রেসিংরুমে। ওর মাথা নাড়তে নাড়তে ফিরে আসা যেন দর্শকদের বলতো, মিছেই তোমরা আমাকে ভালবাসো, মিছেই তোমরা আমার জন্য প্রার্থনা করো… এইবার শিক্ষা হয়েছে তো? আর কোনদিন আশা করবা? এটা যদি শুধু একবার বা দুইবার ঘটত, তাহলে হয়তো দর্শক জিনিসটা মন থেকে মুছে ফেলত। কিন্তু এটা ঘটেছে প্রায় ১০ বছর ধরে। প্রায় ১০ বছর ধরে এই লোকটা আমাদের প্রার্থনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আমাদের সাথে পরিহাস করে গেছে। আমরা তারপরও ওকে ক্ষমা করে দিতে পারতাম যদি না…
যদি না ও আমাদের ক্রিকেটকে ফিক্সিংয়ের নিকৃষ্ট ও দূষিত সাম্রাজ্যে না নামাত। যদি না আমাদের বিশ্বাস , আমাদের আশা , আমাদের প্রার্থনাকে ও এভাবে সস্তা দরে বাজারে বিকিয়ে না দিত। আশরাফুল বাংলাদেশের সবগুলো বড় বড় জয়ের অন্যতম নিয়ামক। কিন্তু একই সাথে ও আমাদের দেশকে পাকিস্তান আর ভারতের কাতারে নিয়ে যাওয়ারও একমাত্র নায়ক। আমরা আগে গর্ব করতাম আমরা সৎ, আমরা ম্যাচ ফিক্সিং করি না। আজ ওই পাকিস্তান আর ভারতের দুর্নীতিবাজ ফিক্সারগুলো যখন আমাদের দিকে আঙ্গুল তুলে টিটকারী করে, তখন আমরা জবাব দিতে পারিনা। আমাদের মাথা নিচু হয়ে আসে। কারন তার বিপিএলের ফিক্সিং অপরাধ তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে আমাদের সুপারহিরো তার অভিষেকের পর থেকেই আমাদের সাথে প্রতারনা করছেন, আমাদের সম্মান, বিশ্বাস,ভালোবাসা নিয়ে ব্যবসা করছেন। সেই ২০০৪ থেকেই নানান গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সন্দেহজনকভাবে উইকেট আউট হয়ে তিনি প্রমান করেছেন তার কাছে আমাদের ভালোবাসা, বিশ্বাস কিংবা ভরসার বিন্দুমাত্র মূল্য নেই। যারা তারে নিয়া প্রচণ্ড আবেগে দুঃখে-কষ্টে প্রান ওষ্ঠাগত করে ফেলতেছেন, তারা আবেগটারে একটু দূরে রাইখা নরমাল কমনসেন্স কাজে লাগান, কেননা যার জন্য আবেগ দেখাইতেছেন এখন, সে আপনার আবেগটারে সামান্য বোঝা তো দূরে থাক, সেইটারে সস্তায় বাজারে বিক্রি করে দিছে বহুত আগেই… :-” accutane prices
এইখানে আমাদের সাবেক এক কোচের কথা বলব। তিনি জেমি সিডন্স। তাকে নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। তিনি নাকি আশরাফুলের ব্যাটিং নষ্ট করার প্রধান নায়ক। তার জন্য নাকি দলে আশরাফুলের জায়গা নিয়ে সবসময় একটা সংশয় থাকতো। কিন্তু সহজ বিচার করে আমরা যেটা দেখি সেটা হল সেই প্রথম আশরাফুলকে বুঝিয়ে দিয়েছিল একটা পেশাদার দলে খেলতে হলে অবশ্যই পেশাদারী আচরণ করতে হবে। দলের প্রতি ডেডিকেশন থাকতে হবে। নইলে সে যতই অসাধারন প্রতিভাবান হোক, বা অসাধারন ক্রিকেটার হোক, দলে তার কোন জায়গা নাই। সে সম্ভাব্য সব উপায়ে কাজ করেছে আশরাফুলকে নিয়ে, চেষ্টা করেছে তার ব্যাট হাতে বারবার ব্যর্থ হবার কারন জানার। কিন্তু তার সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে সফলভাবে আশরাফুল একের পর এক ম্যাচে বড় বিরক্তিকর দৃষ্টিকটু স্টাইলে আউট হতে লাগলেন। এমনকি একটা ম্যাচে সেঞ্চুরি করার পর ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে জেমি যখন বললেন, আপনারা দেখবেন, সে সামনের ম্যাচেই ডাক মারবে, তখন তাকে সবাই অবাক হয়ে এই ধরনের আজিব বক্তব্যের জন্য সমালোচনা করতে লাগলো। কিন্তু তার কথা সত্য প্রমান করে মোহাম্মদ আশরাফুল পরের ম্যাচেই ডাক মারেন, জানায়ে দেন দলের সম্মান তো দূরে থাক, নিজের সম্মান রক্ষা করার সামান্য দায়ভারও তার নাই। তাই জেমি তার উপর ভরসা হারায়ে ফেলে। সে জানতো, উন্নতি করতে হলে বাংলাদেশ জন্য একজন আশরাফুলের কোন প্রয়োজন নেই। কিন্তু এমন কিছু ডেডিকেটেড খেলোয়াড় দরকার, যারা এই দলটাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। যারা অন্তত দলের দুঃসময়ে অকল্পনীয় দায়িত্বজ্ঞানের পরিচয় দিয়ে জঘন্যভাবে আউট হয়ে মাথা নাড়তে নাড়তে ড্রেসিংরুমে ফিরে আসবে না। জেমিকে ধন্যবাদ এতোগুলো দায়িত্বশীল টাইগার তৈরির পথটা দেখিয়ে দেয়ার জন্য।
এক আশরাফুল ভক্ত দুঃখ করে বলতেছিলেন, আশরাফুলের জন্য দুঃখ পাওয়ায় এখন অপরাধ বোধ করি|কিন্তু মনের অজান্তেই বের হয় দীর্ঘশ্বাস,চোখ ভিজে যায় জলে|এমনটা হবেই বা না কেন?ওকে দেখেই ক্রিকেট শিখেছি,ওকে ভালোবেসেছি ওর খারাপ সময়ে… প্রথম আলোর চিরকুট বিভাগে লেখা পাঠাতাম|ছাপালে কত আনন্দ আশরাফুল যদি প্রথম আলো পড়েন তো আমার লেখাটা পড়বেন…….সত্যিই ভীষণ কেঁদেছি এই একটা প্লেয়ারের জন্য ।
এখনও আশরাফুলকে তার যথাযথ সম্মান দেয়া হয়, কিন্তু আজকাল মানুষের অতিরিক্ত আশরাফুল বন্দনা অসহ্য লাগে। আমরা বিশ্বাস করি, আশরাফুল যা করছে, সেটা জানার পরেও যারা ওর ছাড়া বাংলাদেশ দল অচল, এই ত্থিউরি বিশ্বাস করে ও বিশ্বাস করাইতে চায়, তাদের আর ভাদা-পাদা-আবাল-শুষিলদের মধ্যে তেমন পার্থক্য নাই। আশরাফুল আর আমাদের সুপারহিরো নয়, আশরাফুল আমাদের এক অকল্পনীয় যন্ত্রণার নাম , আমাদের সরল বিশ্বাসের বধ্যভুমির নাম , আমাদের অতুলনীয় অপরিমেয় ভালবাসাকে বাজারের মাঝখানে নিলামে তোলা এক নির্মম পরিহাসের নাম…
অংকুর বলছেনঃ
ঠিক বলেছেন। এর কাছে আমাদের আবেগের চেয়ে টাকা বড়
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
কি আর বলব ভাই, আফসোসও লাগে, কষ্টও লাগে… #-o
অংকুর বলছেনঃ
আফসোস করে লাভ নাই
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
সেইটা তো জানিই… তারপরও মনকে মানানো খুব অসম্ভব হয়ে যায় মাঝে মাঝে… [-( capital coast resort and spa hotel cipro
তারিক লিংকন বলছেনঃ
দারুণ বলেছেন!! আসলেই তাই…
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
কিন্তু কথাটা বলে আমার মোটেও দারুন অনুভূতি হচ্ছে না… [-( কথাগুলো বলতে না পারলে আমার চেয়ে খুশি আর কেউ হত না…
অংকুর বলছেনঃ can levitra and viagra be taken together
খারাপ লাগে অনেক
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ
বকুলের মালা শুকাবে
রেখে দেব তার সুরভী
দিন গিয়ে রাতে লুকাবে
মুছো নাকো আমারই ছবি।
আমি মিনতি করে গেলাম।।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
^#(^
[-(
মুদ্রা আতিক বলছেনঃ wirkung viagra oder cialis
আমাদের আবেগ দেখানোর জায়গাকে যে ফেরী করে বিক্রি করে তার প্রতি তীব্র ধিক্কার জানাই। :-/
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
প্রথম যখন গত বছর আশরাফুলের নামে ফিক্সিংয়ের কথা শোনা যেতে থাকে, সমানে ওকে ডিফেন্ড করে যেতে থাকি। বাংলাদেশের কোন প্লেয়ার ম্যাচ ফিক্সিং করতে পারে, এমন কিছু আমি দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি।
কিন্তু, পরে যখন ও নিজেই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিল, বুঝতে পারলাম – কখনও কখনও বাস্তবতা দুঃস্বপ্নের চেয়ে বিভীষিকাময় হয়। thuoc viagra cho nam
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
একটা মানুষের বা একটা জাতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হল তার নৈতিকতা এবং সততা। সেই ইন্ট্রিগ্রেটি ও লয়ালিটি যেখানে ধূলিসাৎ হয়ে যায়, সেখানে আর মাথা তুলে দাড়াবার কিছু থাকে না। ও আমাদের সততা আর বিশ্বাসের জায়গাটা নষ্ট করে দিয়েছে, বিশ্বের সামনে আমাদের বানিয়েছে ফিক্সার… এবং সবচেয়ে যন্ত্রণার হচ্ছে, একসময় সেই আমাদের বিশ্বের দরবারে গর্ব করার উপলক্ষ এনে দিয়েছিল, ওর জন্যই মানুষ বাংলাদেশের নাম জেনেছিল, চিনেছিল আমাদের… এই কষ্ট সহ্য করা যায় না…
একজন আইজুদ্দিন বলছেনঃ
আশরাফুল মানে একটা অবিস্মরণীয় ইতিহাসের নাম,
আশরাফুল মানে একটা দুঃসহ স্মৃতিকাতরতার নাম,
আশরাফুল মানে একটা মীর জাফরের নাম………।।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
এক অপরিসীম অপরিমেয় আফসোসের নামও…
[-(
শশী প্রসাদ শীল বলছেনঃ
কর্ম দিয়ে মানুষকে চিনতে হয়।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
সেখানেই তো দ্বন্দ্ব… আশরাফুলকে আমরা তার কোন কর্মে চিনবো? বীরত্বে না লজ্জায়?
শশী প্রসাদ শীল বলছেনঃ
zovirax vs. valtrex vs. famvirনা, যখন সে বীরের বেশে ছিল তখন বীর, আর এখন বিশ্বাসঘাতকে।