জর্জ অরওয়েল
352
বার পঠিতWho controls the past controls the future, who controls the present controls the past.’-George Orwell ‘1984’ (1949)
জর্জ অরওয়েল ছিলেন একজন বৃটিশ সাংবাদিক এবং লেখক যিনি বিংশ শতাব্দীর দুইটি বিখ্যাত বই “এনিম্যাল ফার্ম ” এবং ” নাইন্টিন এইট্টিফোর ” এর জন্য বিখ্যাত। ২০০৮ সালে টাইমস সাময়িকীর শ্রেষ্ঠ ৫০ জন লেখকের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন।
কালোত্তীর্ণ ইংরেজ সাহিত্যিক জর্জ অরওয়েল ১৯০৩ সালের ২৫ জুন বিহারের মতিহারে জন্মগ্রহণ করেন। জর্জ অরওয়েল মূল নাম এরিক আর্থার ব্লেয়ার।
অরওয়েলের বাবা রিচার্ড ওয়ামেসলি ব্লেয়ার ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসের আফিম বিভাগে কর্মরত ছিলেন। ১৯০৪ সালে অরওয়েল মায়ের সঙ্গে ইংল্যান্ডের হেনলি অন টেমসে চলে আসেন। অতঃপর ১৯১২ সালের আগ পর্যন্ত বাবার সঙ্গে তার আর দেখা হয়নি। ১৯২০-এর দশকে তিনি মিয়ানমারের কাথা বন্দরে কিছুদিন বসবাস করেন। অরওয়েলের পরিবারের সে সময়ের বসতবাড়িটি এখনো টিকে আছে। তার প্রথম উপন্যাস ‘বার্মিজ ডেজ’ (১৯৩৪)-এ কাথা ও ‘এরিক ব্লেয়ার’ নামের বাড়ির উল্লেখ আছে। স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধের অভিজ্ঞতায় লেখা বিখ্যাত বই হল হোমেজ টু ক্যাটালোনিয়া (১৯৩৮)।
তিনি ইংল্যান্ডে পড়াশুনা করেন।তারপর মায়ানমারে ইন্ডিয়ান ইম্পেরিয়াল পুলিশে যোগদান করেন। ১৯২৭ সালে তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন। ১৯২৮ সালে তিনি প্যারিসে চলে যান। সেখানে লেখক হিসেবে তার অপূর্ণতা তাকে বিভিন্ন ধরণের কাজ করতে বাধ্য করে। তিনি এর অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন তার প্রথম বই ‘Down and Out in Paris and London’, এ। সেখানে তিনি জর্জ অরওয়েল ছদ্মনামে লিখেন। একই নামে লিখেন তার প্রথম উপন্যাস ‘Burmese Days’ ১৯৩৪ সালে।
১৯৪১-১৯৪৩ পর্যন্ত অরওয়েল বিবিসি তে চাকরী করেন। ১৯৪৩ সালে তিনি “ট্রিবিউন ” নামে একটি বামধারার ম্যাগাজিনের সাহিত্য সম্পাদক নিযুক্ত হন।
‘বেশ কিছুদিন ধরেই আমার মনে হচ্ছে, সময়গুলো আমি নষ্ট করছি। একই সঙ্গে জনগণের অর্থেরও অপচয় করছি। আমি যা করছি তা আসলে কোনো ফল দিচ্ছে না।’
সংবাদমাধ্যম বিবিসি থেকে পদত্যাগের সময় পদত্যাগপত্রে এই কটি কথাই লিখেছিলেন লেখক ও সাংবাদিক জর্জ অরওয়েল। কথাটি বিবিসি কর্তৃপক্ষ ভোলেনি। এতটা বছর পর তার একটি জবাব তাঁরা দিয়েছেন অরওয়েলকে। সমপ্রতি বিবিসির নতুন সম্প্রচার কার্যালয়ের প্রাঙ্গণে অরওয়েলের একটি ব্রোঞ্জের মূর্তি স্থাপনের এক প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন বিবিসির মহাপরিচালক মার্ক থম্পসন। বিবিসির যুক্তি, বেশি মাত্রায় বামপন্থী ছিলেন অরওয়েল। প্রস্তাবটি বিবিসিকে দিয়েছিলেন জর্জ অরওয়েল মেমোরিয়াল ট্রাস্টের কর্ণধার ব্রিটেনের লেবার পার্টির সাবেক রাজনীতিক বেন হুইটেকার। প্রস্তাবটিতে সমর্থন দেন অভিনেতা রোয়ান অ্যাটকিনসন, লেখক ও সাংবাদিক মেলভিন ব্রাগ, জন হামফ্রিস, রেডিও উপস্থাপক জেমস নটি এবং অরওয়েলের ছেলে রিচার্ড ব্লেয়ার। তাঁরা মূর্তিটি তৈরির জন্য ইতিমধ্যেই ৬০ হাজার পাউন্ডের একটি তহবিলও জোগাড় করে ফেলেছেন। অরওয়েল বিবিসিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪১ থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অরওয়েল ট্রাস্টি এখন মূর্তিটিকে সেন্ট্রাল লন্ডনের পোর্টল্যান্ড প্লেসে স্থাপনের চিন্তা করছে।
১৯৪৫ সালে তার বিখ্যাত গ্রন্থ “এনিম্যাল ফার্ম “প্রকাশিত হয়। এখানে তিনি একটি পশুখামারের ভেতর একটি রাজনৈতিক পটভূমি সৃস্টি করেছেন। এটা মূলত রাশিয়ান রেভুলেশনের স্টেনের বিদ্রোহের উপর ভিত্তি করে লেখা। এটা অরওয়েলের জন্য খ্যাতি নিয়ে আসে।জীবনে প্রথমবারের মত তিনি আর্থিকভাবে সন্তুষ্ট হন। “নাইন্টিন এইট্টিফোর ” চার বছর পর প্রকাশিত হয়।
১৯৫০ সালের ২১ জানুয়ারি ৪৬ বছর বয়সে যক্ষায় আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
এত চমৎকার একজন সাহিত্যিক সম্পর্কে জানতে পেরে খুব ভালো লাগছে… এত অল্প বয়সে হারিয়ে না গেলে হয়তো তার কাছ থেকে বিশ্বসাহিত্য আরও কিছু পেত…
আপনার লেখনী বরাবরের মতই :-bd তবে একেবারে বইয়ের ভাষায় না লিখে একটু ভিন্ন স্টাইলে ট্রাই করে দেখতে পারেন…
শুভকামনা রইল… >:D<
চাতক বলছেনঃ
আপনি একদিন আগে পোস্ট করেছেন। তবে দারুণ একজন লিখককে নিয়ে দারুণ পোস্টটি দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ,
অংকুর বলছেনঃ sildenafil 50 mg mecanismo de accion
হ্যা পশুখামার বইটা পড়েছি। জর্জ অরওয়েল সম্পর্কিত অনেক কিছু আছে আরো! তিনি কঠোর ধারার বাম ছিলেন। আরও তথ্য পেলে খুশি হতাম। prednisone side effects moon face
যাহোক শুভ জন্মদিন অরওয়েল
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ cialis 20 mg prix pharmacie
নিঃসন্দেহে অ্যানিমাল ফার্ম আমার পড়া অন্যতম সেরা পলিটিক্যাল স্যাটায়ার। সেটার মাধ্যমেই প্রথম তার নাম জেনেছিলাম।
জন্মদিনে তার প্রতি শ্রদ্ধা।