সমাজ, ভালবাসা, অতঃপর…
371 pharmacy tech practice test online free
বার পঠিতমেয়েটির বয়স ছিল ১৭ বছর ৮ মাস। নাম ছিল সুপ্তি। এমন কোন শব্দ এখনও সৃষ্টি হয় নি যা দিয়ে সুপ্তির সম্পূর্ণ রূপের বর্ণনা দেয়া যায়। রূপ-লাবণ্যে স্বর্গের অপ্সরীও যেন হার মানে। বিধাতা তার অবসরে যেন সুণিপুণ ভাবে সাজিয়েছে অপরূপ এই মেয়েটিকে। জীবনানন্দ দাশ যদি সুপ্তিকে দেখতো তবে বনলতা সেন এর মত সুপ্তির রূপেরও বন্দনা করতো তা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়।
মেয়েটির সাথে প্রথম কবে যে আমার দেখা হয়েছিল তা বলতে পারবো না, কারণ প্রতিবারেই আমি যেন নতুন এক সুপ্তিকে খুঁজে পাই। কিভাবে যেন বন্ধুত্ব হল। বন্ধুত্বের চেয়ে আগে বেড়ে কবে যে আমরা একে অপরের অতি আপনজন হয়ে উঠলাম, তাও অনুমান করতে পারি নি। কিন্তু বুঝতে পেরেছিলাম এ শুধু বন্ধুত্ব নয় এর চেয়েও বেশি কিছু। তখন ডায়েরি লেখার অভ্যাস হয়নি, তা না হলে প্রতিটি মুহূর্ত কলম-খাতার মিলনে স্মৃতির এক সুন্দর ভাণ্ডারের রূপ পেত। জড় ডাইরির পাতায় চোখ বুলিয়ে সময়ের সাথে হালকা হয়ে যাওয়া স্মৃতি গুলোকে জীবন্ত করতে পারতাম।
দিনটি ছিল ১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩। সুপ্তি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল-তুমি কি আমাকে সবসময় ভালবাসবে?সেদিন আমি উত্তর দেই নি। দু দিন পর ভ্যালেন্টাইন ডে তে একটি কার্ড দিয়েছিলাম ওকে। সেখানে লিখেছিলাম “Please forgive me, I can’t love you all the time. I will hate you everyday from 11:59:59pm to 12:00:00am.” লিখাটি পড়ে সুপ্তি হেসেছিল। পরক্ষণেই ওর চোখে একটু অশ্রু দেখতে পেয়েছিলাম।
সুপ্তির সাথে প্রথম যে দিন রিক্সায় ঘুরতে বেরিয়েছিলাম সেই দিনটি আজও চোখের সামনে ভেসে ওঠে, মাঝে মাঝে ঘুমন্ত নগরীর বাসিন্দা হয়েও সেই দিনটিতে ফিরে যাই। খুব ভয় পেয়েছিলাম প্রথমে, কিন্তু যখন সুপ্তি আমার হাতটি ধরলো ভয় গুলো কোথায় যেন পালিয়ে গেল। ও হেঁসে বলেছিল “মেয়েরা ভয় পায়। আমি মেয়ে হয়ে নির্ভয়ে বসে আছি আর তুমি ছেলে হয়ে ভয় পাচ্ছো”। সেই হাসি যেন আজও আমি শুনতে পাই। এর পর ওর সাথে ঘুরে বেড়িয়েছি অনেকবার ভয় হয়নি কখনও।
প্রতি মুহূর্তের কথা গুলো একে অপরকে বলতাম, কোন দিন একে অপরের সাথে কথা না হলে মনে হত কয়েক শতাব্দী বুঝি পেরিয়ে গিয়েছে। আলেকজেন্ডার সাহেব যদি দূরালাপনি যন্ত্রটা না বানাতেন তবে যে কি হত! কিভাবে যেন আমার সব সমস্যা গুলো বুঝতে পারতো সুপ্তি, কখনও কিছু বলার প্রয়োজন হয় নি। আমাদের ঝগড়া হত, তুচ্ছ তুচ্ছ বিষয়ে। আমি ঝগড়া করতে খুব পছন্দ করি যে। একে অপরের থেকে দূরে গেলে আরও বেশি কাছে আসা যায়। খুব মিষ্টি মধুর সময় কাটিয়েছি, গল্প করেছি ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কখনও চুমু একে দিয়েছি গালে-ঠোঁটে-কপালে। কখনও ভুলবার নয় দিন গুলো।
দিনটি ছিল ৫ই সেপ্টেম্বর, আমার সাথে ফোনে কথা বলার সময় বাবার হাতে ধরা পরে। এর পর যা হবার তাই, মোবাইল নিয়ে নেয়। যোগাযোগ হয়নি প্রায় তিনমাস। একদিন ওর বান্ধবীর মোবাইল দিয়ে ফোন দিয়েছিল। আমি হাজারটা অভিযোগের ঝড় তুলে ছিলাম, একটুও প্রতিবাদ করে নি। শুধু একটি কথাই বলেছিল- “তোমায় খুব ভালবাসি’। শান্ত হোলাম, পরে জানতে পারলাম ওকে বাসা থেকে বের হতে দেয় নি ঘর থেকে, এমনকি কোন বান্ধবীর সাথেও দেখা করতে দেয় নি।
আস্তে আস্তে সব আবার আগে মত ঠিক হয়ে গেল। কিন্তু বিধাতার যেন আমাদের এ সুখ সহ্য হয়নি। একদিন সুপ্তির সাথে গল্প করছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মাঠে, আমার মামা আমাদের দেখে ফেললেন। আমার বাবাকে ডেকে আনা হল, এর পর ওর বাবাকেও। শত অপমান মুখ বুজে সহ্য করতে হয় সুপ্তির বাবাকে। এ জন্যেই হয়তো মামাদের শকুনি মামা বলে সম্বোধন করা হয়। সেদিন বিচার করেছিল সমাজের মানুষ, সকল দোষ সুপ্তির ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু আমার ওপর একটুও আঙ্গুল উঠেনি কারণ আমি লিঙ্গে পুরুষ। পাঁজর ভাঙ্গা পিছিয়ে পড়া এ সমাজের বিচারের অপরাধী হয় সুপ্তি। কারণ আমার বয়স তখন ১৬ বছর ২ মাস। নিজ থেকে দেড় বছরের ছোট ছেলেকে ভালবাসা সমাজের চোখে এক অমার্জনীয় অপরাধ। পরিনামে বর্ননাতীত লাঞ্ছনার স্বীকার হতে হুয় তাকে, পরে প্রতিটি দিন যেন তাকে উপহাসের স্বীকার হতে হয়েছে। পাড়ার দশ বছর বয়সী ছেলেও সুযোগ ছাড়ে নি। অসহ্য এ মানসিক যন্ত্রণার স্বীকার হয়ে নিজ বাড়ি ছেড়ে তাকে চলে যেতে হয়েছিল অন্য শহরে তার চাচার বাড়িতে। সে দিন জয় হয়েছিল সমাজের, জয় হয়েছিল সমাজ ব্যবস্থার। হেরে গিয়েছিলাম আমরা, আমাদের ভালবাসা।
ডায়েরিতে আর কিছু লেখা ছিল না।
মৃত বাবার ডায়েরিটি পড়ে সারা রাত ঘুমতে পারে নি নিলাদ্রী। পরদিন সকালে ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০৪০ তারিখ। তার মাকে একটি কার্ড দেয়। কার্ডটিতে লিখা ছিল “Dear mom , please forgive me, I can’t love you all the time. I will hate you everyday from 11:59:59pm to 12:00:00am.” আগের সেই দিনটি ভেসে উঠলো সুপ্তির সামনে। can you die if you take too much metformin
মায়ের কাছ থেকে তার বাবা মায়ের বিয়ের গল্প, জীবন যুদ্ধে পতিপক্ষ সমাজকে হারিয়ে কি করে তার বাবা-মায়ের ভালবাসার জয় হয়েছিল সেই গল্প শোনে নিলাদ্রী। অতপরে সে ডাইরিটিতে লিখে – “সেদিন সমাজের জয় হলেও চুড়ান্ত জয় হয়েছিল আমার বাবা-মায়ের এবং আমার বাবা-মায়ের ভালবাসার”।
সফিক এহসান বলছেনঃ
গল্পের নায়িকাগুলোর মত অপ্সরীটাইপ সুন্দরী বাস্তব জীবনে চোখে পড়ে না কেন?
হ্যাভ এনি আইডিয়া???
হ্যাপি এন্ডিং… সুন্দর গল্প।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
কেননা বাস্তব জীবন গল্প না …
অংকুর বলছেনঃ
:bd :bd
তারিক লিংকন বলছেনঃ
আগে পড়া ছিল। সহজ সরল নিরেট প্রেমের গল্প… ভালই … চলুক তবে চর্চা!!
ইলোসিয়া মৌনিন বলছেনঃ
প্রেমের গল্পে দুরন্ত দিশেহারা!!! rx drugs online pharmacy
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
>:) >:)
অংকুর বলছেনঃ
আপনার সবগুলা গল্পের শিরোনাম একরকম মনে হয়। একটু ক্রিয়েটিভ করুন, প্লট চমৎকার।আমার নিজের একটা ঘটনা মনে পড়ল।
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
কোনটা ?? বলুন শুনি। শিরোনাম নিয়ে আমি সর্বদাই মাত্রাতিরিক্ত নার্ভাস থাকি।