বিষন্নতার শহরে(২য় অধ্যায়)
234
বার পঠিতসায়রা বেগম শুয়ে আছেন। ইদানিং বুকের ব্যথাটা সামান্য বেড়েছে। তিনবেলা রুটি খাওয়ার ফলে কি বুকের ব্যথাটা বাড়ছে? একটা সময়ের পর শুধু বেঁচে থাকার জন্য বেঁচে থাকে মানুষ। সময় তার গতিতে ছুটে যায়। দিন আসে রাত যায়। মানুষ হয়তো স্রষ্টার কাছে নিজেকে সপে দিতে গিয়ে নিজেকে নিজের কাছে সপে দেয়।
মিলি ঢুকে দেখলো মা ঘর অন্ধকার করে শুয়ে আছে। হাত বাড়িয়ে লাইট অন করলো মিলি। সায়রা বেগম চোখ মেলে তাকালেন। দেখলেন মিলি বিছানায় উঠে আসছেন। তার এই মেয়েটা বড় লক্ষ্মী হয়েছে। তাঁর শাশুড়ীর মত দেখতে সুন্দরী আর খুব মিশুক। সবার সাথে সহজেই মিশে যায়। বড় ভয় হয় সায়রা বেগমের। মেজো মেয়ের মত কান্ড না ঘটালেই হয়।
মিলি খাটে উঠে গিয়ে মায়ের কপালে হাত রাখে। চুলে বিলি কেটে দিয়ে বলে, তোমার কি হয়েছে মা? গত ক’টা দিন যাবৎ কারো সাথে ঠিকমত কথা বলছো না। ঠিক মত খাচ্ছোও না।
সায়েরা বেগম কিছু বলেন না। চুপ করে থাকেন। nolvadex and clomid prices
মিলি বলে, ও মা, কি হয়েছে তোমার বলো?
সায়রা বেগম মিলির হাতটা কপাল থেকে সরিয়ে দেয়। কোমল গলায় বলেন, তুই যা তোর বাবাকে খাইয়ে দে। লোকটা টাইম ছাড়া বেটাইমে খেতে পারেনা।
মিলি মায়ের হাতটা দু’হাতের মুঠিতে নিয়ে বলে, তুমিও চল। গতকাল রাতে তুমি খাওনি বাবা একগাদা প্রশ্ন করেছেন আমাকে। প্লিজ, মা চলো।
সায়রা বেগম উঠে বসেন। চুলের খোঁপা ঠিক করেন। বলেন, সবকিছু গরম করেছে না? মাজেদার মা আজকাল বড্ড বেখেয়ালি হয়ে গেছে।
আহ্ মা, তুমি চলো তো আগে। তুমি এসে দেখো দেখ সব ঠিক আছে কিনা?
সায়রা বেগম খাট থেকে নামেন। মাথার ঘোমটা ঠিক করেন। মেয়ের দিকে তাকান। তার বুকের ভিতরটা ধক করে উঠে। তার এই মেয়েটা এতো সুন্দর হলো কি করে? তার বা মিলির বাবার গায়ের রং মাঝামাঝি। এই মেয়েটা কোন যাদুর ছোয়ায় এতোটা মুগ্ধ করা রূপ পেল?
সে বলে , তুই যা তো মা, সব কিছু টেবিলে লাগাতে বল। আমি আসছি।
মিলি অবাক হয়ে মায়ের দিকে তাকায়, আবার কি হলো?
আহ, যা না!
মিলি হেসে ফেলে। হাসি দেখে সায়রা বেগমের তাঁর শাশুড়ীর কথা মনে পড়ে। অবিকল দাদীর রূপ পেয়েছে এই মেয়ে।
মিলি চলে যেতেই ওজু করতে ঢুকলেন সায়রা বেগম। এশা’র নামাজ শেষ করা হয়নি পুরোপুরি। বেতরের নামাজটা বাকী আছে। বয়স হয়েছে। একটানা নামাজ পড়তে ভারী কষ্ট হয়।যে কোন কিছু আল্লাহর কাছে চাইতে গেলে পবিত্র হয়ে চাওয়াই ভালো। শুয়ে থাকলে ওজু নষ্ট হয়না। তারপরও নতুন করে ওজু করা। মনের খুঁতখুঁত তার না পছন্দ। ছোট মেয়েটার জন্য খাস দিলে দোয়া করতে হবে।
সোবাহান সাহেব ড্রয়িং রুমে বসে গাজীপুর যে জায়গা কিনেছেন তার ট্যাক্সের কাগজ দেখছিলেন। সি সি লোনটা বাড়াতে হবে। সব ঠিকঠাকই আছে। সামান্য গড়মিল পেলে বেসরকারী ব্যাংকগুলো খুব একটা ঝামেলা পাকায় না। তারা নিজেরাই ঠিক করে নেয়। তারপরও দেখে নেয়া। মিলি আসলো তখনি। টিভি চলছিল। সেটা বন্ধ করলো মিলি। কৃত্রিম ধমকের সুরে বল্লো, চলো, খেতে চলো বাবা।
ফাইলে সব কাগজগুলো ভরলেন উনি। আচমকাই প্রশ্ন করলেন, তোর পড়াশুনার কি অবস্হা? আমার এবসেন্সে বিজনেসটা কন্টিনিউ করতে পারবি?
মিলি এই ধরণের প্রশ্নের জন্য প্রস্তুত ছিলনা। সে হাসিমুখে বল্লো, পারবো কিনা জানিনা, তবে চেষ্টা করবো, বাবা।
সোবাহান সাহেব দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন, তোকো পারতেই হবেরে মা। গাজীপুরে যে নিউ প্রজেক্টটা দাড় করাচ্ছি সেটা তোর কথা ভেবেই দাড় করাচ্ছি। বেহুদা আমেরিকা কিংবা অস্ট্রেলিয়ায় পঁচতে হবেনা। buy kamagra oral jelly paypal uk
মিলি তার বাবার দিকে তাকায়। বড় দুই আপুর প্রবাস জীবন কি বাবার কষ্টের কারণ হয়ে দাড়ােচ্ছ?
(চলবে)
বিঃদ্রঃ অত্যন্ত ব্যস্ততার কারণে লেখক সকলের কমেন্টের রিপ্লাই দিতে পারেননা। তাই লেখক প্রত্যেকের নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করছেন।
দুরন্ত জয় বলছেনঃ all possible side effects of prednisone
এত ছোট তেমন কিছুই ছিল না এ পর্বে…… আরেকটু বড় হলে ভাল হত।
স্পীকার বলছেনঃ
অনেকটা সহমত :-bd :-bd :-bd
অংকুর বলছেনঃ synthroid drug interactions calcium
লেখার ধরণটা ভালো । প্রেক্ষাপট বিস্তৃত না । আরেকটু পরিশ্রম দিয়েন । ধন্যবাদ ।
স্পীকার বলছেনঃ irbesartan hydrochlorothiazide 150 mg
:-bd :-bd :-bd renal scan mag3 with lasix
স্পীকার বলছেনঃ
গল্প বলার ধাচটা সুন্দর । পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম । শুভকামনা :-bd :-bd :-bd