ভালবাসা যেখানে অপবিত্র, ভাঙ্গন সেখানে অনিবার্য (পর্ব-২ )
400
বার পঠিতকোচিং করে বের হচ্ছিলাম তখন। আমি, সারা আর সাকিব। kamagra pastillas
সাকিব সারার দিকে এগিয়ে বলল, ‘আমি তোমাকে নাম্বারটা দিব নাকি তোমারটা আমাকে দিবে?’
সারা আমার হাত ধরে টান দিয়ে জোরে টানতে থাকল। রাস্তায় আদিবের সাথে দেখা, ‘হাই সারা’
- বাই। will metformin help me lose weight fast
আমি আমার হাতটা ছাড়িয়ে সারার দিকে তাকিয়ে বললাম, ‘এটা চরম অভদ্রতা।’
- কোনটা?
- তুই যে ব্যবহারগুলো করিস। tome cytotec y solo sangro cuando orino
- তুই জানিস না। তুই আসার আগে সাকিব আমাকে বলছিল ও নাকি আমাকে খব পছন্দ করে। অনেকদিন থেকেই বলবে বলবে করে বলতে পারছে না। ইত্যাদি ইত্যাদি।
- তো? কেউ জানাতেই পারে। তাই বলে এরকম ব্যবহার করতে হবে?
- তো কি নাম্বার দিয়ে দিব? না সুন্দর করে ওরটা নিয়ে নিব।
- ভাল করে বলতে পারতি এখন নাম্বার দিতে চাচ্ছিস না। কোচিং-এ সাকিবের সাথে তো ঠিকই পালটা পালটি কথার তুবড়ি ছুটাতি। metformin tablet
রাস্তায় তখনই অলি আপুর সাথে দেখা হল। আমার খালাত। বোন।
- তোরা কোথায় যাস?
- রাসেল স্যারের কাছে পড়তে।
- কখন পড়া?
- আধাঘন্টা পর। ovulate twice on clomid
- এতক্ষণ কি করবি? metformin gliclazide sitagliptin
- ওখানেই গিয়ে বসে থাকব।
- রাজধানীতে বরং ফুসকা খাই। যাবি?
- আচ্ছা।
ফুসকা খেতে খেতে অলি আপু সারা কথা শুনল। এরপর আমার দিকে ফিরে বলল, ‘ছেলেদের কখনো চান্স দিতে হয় না।’
- এখানে চান্স দেবার কি আছে? ওকে বলল একজন পছন্দ করে। তার সাথে একটু ভাল করে কথা বলা মানে চান্স দেওয়া? না টা তো ভাল করেই বলা যায়।
- সুন্দর করে রিফিউজ? হাহা…
- করতেই পারে।
- আমার ভার্সিটিতে সহজে আমাকে কেউ কিছু বলত না। এক বড় ভাইয়ের সাথে পরিচয়ের প্রায় আড়াই বছর পর সে বলেছিল ভয়ে সে কিছু বলত না। ব্যক্তিত্ত্বই এমন হবে যে মানুষ গায়ে হেলবে না।
- আমার কাছে এটা খুবই অসম্মানজনক মনে হয়।
- একটু সম্মানই সেখানে অনেক কিছু হয়ে যায়। তাছাড়া মানুষজন এই অসম্মানটাই পছন্দ করে। কেন মুন্নিকে দেখিসনি? তোদের সামনে ওর বয়ফ্রেন্ডকে কিরকম ঝাড়ি মারল? ‘তুমি কেন আমাকে বিরক্ত কর? তোমাকে না বলেছি আর কখনো ফোন দিবে না? আমাকে আমার ফ্রেন্ডদের সবাইকে বিরক্ত কর।’ আমাদের সামনে এটা বলেছে, সারাদিন বলেছে রাহুল দেখতে ফালতু, ছেঁড়া স্যান্ডেল কিন্তু পরদিন ঠিকই রাহুলের বাসায় গিয়ে ছিল। এটা হল মাছ খেলিয়ে খেলিয়ে তোলা।
- নিজেকে, নিজের বয়ফ্রেন্ডকে এবং নিজের সম্পর্ককে নিচু করা।
- তুই একটা আঁতেল। সব কথা সিরিয়াসলি নিস। যেটাই হোক। একটু স্টিফ হওয়া ভাল।
________________________________________________________________________
- ওফ! অলি আপু একটা বস!
- কেন?
- কালকে আমাদের সামনে আপুর এক স্টুডেন্ট এসে বলে কি, ‘ম্যাডাম, আমি আপনাকে পছন্দ করি।’ আপু বলে কি! ‘আপনার কি মনে হয় আপনি সেই যোগ্যতায় পৌঁছেছেন?’ ছেলেটা আর কিছু না বলে মুখ কাল করে চলে গেল।
- এটাকে তোর বস মনে হচ্ছে?
- হ্যা। নয়ত কি আর দশটা মেয়ের মত গলে যাবে?
- এখানে গলার তো কিছু নেই। তুই এরপরের ঘটনাটা জানিস তো?
- কি?
- আপুর নামে ঐ স্টুডেন্ট কমপ্লেইন করেছে।
- এরা করেই। এতে আপুর কোন দোষ নেই।
- আপুর হয়ত এখানে কোন দোষ ছিল না। কিন্তু প্রথমক্ষেত্রে ছিল। একজন স্টুডেন্ট যখন এসে বলেছে তখন আপু এমনভাবে উত্তর দিয়েছে যেটা তাকে অসম্মান করা হয়েছে। আমার ঘটনাটা দেখে মনে হয়েছে, আপু স্টুডেন্টের সাথে না প্রতিদ্বন্দীর সাথে কথা বলছে। ঐ স্টুডেন্ট হয়ত ভাল ছিল না। কিন্তু আপু তাকে আরো খেপিয়ে দিয়েছে।
- নিধি তুই আপুর দোষ দিচ্ছিস? এমনিতে তো বলে না মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু।
- নিভৃত সাধারণভাবে তুই ঐ ছেলেটার জায়গায় এসে আপুকে বলতি তোর আপুকে পছন্দ হয়েছে। তোকে এভাবে বললে তোর কেমন লাগত? তোর জায়গাটা কেমন হত? ছেলেটা অভিযোগ করেছে সেটায় ছেলেটার দোষ আছে। কিন্তু শুরুতে আপুও কাজটা ঠিক করেনি।
- তো কি? তোর মত পটে যেত?
- নিভৃত, আমি কখনো বলি না আমার কথাই ঠিক। তোরটাও হতে পারে। কিন্তু আমি এখনই সেটা মানতে পারব না।
________________________________________________________________________
২০০৯ সালে ওদের পরিচয় হয়। লিতুনের ভাইয়ের ফ্রেন্ডের সূত্র ধরে। এরপর ফেসবুকে কথা হত। ২০১০ সালের দিকে ফোনে যোগাযোগ শুরু হয়। এরপর ২০১১ সালে খুব সম্ভবত লিতুনের সাথে বাধনের সম্পর্ক হয়। যদিও সম্পর্কটা বেশিদিন ছিল না। কয়েক মাস পর ভেঙ্গে যায়। লিতুন পরিবারে জানায়। ওর ফুপির সাথে বাধনের পরিচয় করে দেবার পর বিভিন্ন বিভিন্নভাবে ভেঙ্গে যায়। এরপরও বাধনের সাথে ওর যোগাযোগ ছিল। বাধন প্রায়ই ফোন দিত। ফেসবুকে মেসেজ দিত। সম্পর্কটাকে আগের মত করে ফেলার কথা বলত। লিতুন বরাবরই বলার চেষ্টা করত যে এই সম্পর্কটা আগের মত হবে না। হলেও এই সম্পর্ক পরে যেয়ে আর সুন্দর থাকবে না। কখনো কখনো লিতুনই ফোন দিয়ে ওর সাথে কথা বলত। ব্যাপারটা নিয়ে রিয়া বারবার দোষ দিত লিতুনকে। লিতুন বলত, ‘কেউ ফোন দিয়ে আমার সাথে যোগাযোগ করছে আর আমি নির্লিপ্ত থাকছি এই ব্যাপারটা আমার কাছে অশোভন মনে হয়। ভালবাসার প্রতি যথেষ্ট সম্মান রেখেই কখনো কখনো আমারও খোঁজ নেওয়া উচিত’। রিয়া গালি দিয়ে উঠে যেত।
কিছুদিন আগে বেশ রাতে লিতুনকে ফোন দিয়েছিল বাধন।
- কেমন আছ?
- ভাল। তুমি? viagra en uk
- আছি একরকম। কি করছিলে?
- একটা পোস্টার তৈরি করছিলাম।
- কিসের?
- স্পৃহা সম্পর্কে বলেছিলাম না? স্পৃহায় কাজ করতাম। ওখানকার। স্পৃহা আমাদের গ্রুপ ছিল, কলেজের।
- তখন যখন বারবার জিজ্ঞেস করেছিলাম স্পৃহা সম্পর্কে তখন বলনি। এখন নিজে থেকেই বলে দিলে। এসব খেলার মানে কি? তুমি জান আমার জানার আগ্রহ কতটুকু। যদিও তোমার এসব বিষয় নিয়ে কোন ডিল নেই। কিন্তু তখন আগ্রহ জেনেও বলতে না। এখন ইচ্ছে হল নিজেই বলে যাও। তুই বলবি না যখন কখনো বলিসই না। আবার বলতে যাস ক্যান? acquistare viagra in internet
এপর্যায়ে লিতুন এসে চুপ করে গিয়েছিল। তুই বলে এরকম কথা আশা করেনি। বরাবরই বিরক্ত বা রাগ হলে ও চুপ করে থাকে কিংবা কম কথা বলে। বাধন বুঝতে পেরেছিল লিতুনের মেজাজ খারাপ হয়েছে শুনে। তাই হেসে বলল, ‘সরি’
- তখন বলিনি কারণ তখন গ্রুপটা সম্পর্কে আমি কাউকেই কিছু জানাতাম না। কলেজের আলাদা গ্রুপ সম্পর্কেও কাউকে কিছু বলিনি, বাসায়ও না। তাই কিছু জানাইনি তোমাকে। এখন যেহেতু বাসা বাইরে জানে তাই তোমাকে না বলার কিছু নেই। সবকিছু সব সময় বলার উপযোগী না।
পরদিন লিতুন কলেজে এসে আমাদের বাধনের সম্পর্কে বলে। রিয়া প্রথমেই বলে উঠে, ‘হি ইজ আ নাইস ম্যান’ । বাধনকে আমারও ভাল লাগত। আমার মনে পড়েনা এরকম শান্ত কাউকে আমি কখনো দেখেছি। যদিও বাধনের এরকম ব্যবহারের কথা শুনে আমিও অবাক হয়েছি। কিন্তু তখন প্র্যাক্টিকাল নিয়ে ব্যস্ত থাকায়। আমি কিছু বলছিলাম না। লিতুন আর রিয়ার কথা শুনছিলাম। viagra in india medical stores
লিতুন রিয়ার কথা শুনে বলল, ‘হুম। গত সাড়ে তিন বছর ধরে এই ছেলেটা আমাকে ভালবাসে। এই তার ভালবাসা? অসম্মান করে?’
- দেখ তুই সবসময় এই ব্যাপারটা গুলিয়ে ফেলিস। এটা অসম্মান না। অভিমান করে বলেছে। তোর সাথে অনেক আগে সম্পর্ক ছিল, এখনও ভালবাসে। সে তোর কাছে জানতে চেয়েছে তুই জানাস নি। তাই অভিমান করে বলেছে। আমি তো বুঝি। এমন হয়।
- বউ পিটিয়ে আদর করা বুঝিস? এটা বউ পিটিয়ে আদর করার শিক্ষিত রুপ। আর তোরা তথাকথিত মুক্তমনারা সেটার অংশ।
- এটা ভালবাসার দাবি। তুই কোনদিনই এই অধিকারটা বুঝবি না।
- কেউ আমাকে ভালবাসে তার ভালবাসাকে আমি সম্মান করি বলে যদি ভালবাসা তাকে আমার সবটুকু জানার অধিকার তাকে দেয় আর আমি না জানালে আমাকে অসম্মান করার অধিকার দেয় তাহলে আমি সত্যিই এই ভালবাসা চাই না।
- তাহলে ফোন ধরতে যাস কেন? আর তোর অসম্মান মনে হলে তুই অসম্মান করিসনি কেন?
- আমি কি রিভেঞ্জ নেওয়ার জন্য বসে আছি? সে আমাকে অসম্মান করবে বলে আমাকেও করতে হবে? এই তোদের চিন্তাধারা? আর কেউ একজন ফোন করবে সে আমাকে ভালবাসে এজন্য আমি তার ফোন ধরব না? এটা কি ধরনের ভদ্রতা।
- এটার জন্য তুইই দায়ী। যদিই এমনই মনে হয় তাহলে এমন কারো সাথে বন্ধুত্ত্বই করেছিলি কেন? আবার সম্পর্কও?
- পাঁচ বছর ধরে চেনা মানুষটা যে কোন খারাপ আচরণ করেনি সে হঠাত পাঁচ বছর পর এসে অসম্মান করবে সেটা আমি পাঁচ বছর আগে কি করে জানব? সম্পর্ক করাটা ভুল হতে পারে। কিন্তু একটা ভুলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কি আরও বড় ভুল হত না? can your doctor prescribe accutane
- সিম্পল বিষয়কে বড় করে দেখা তোর রক্তে।
- ছোট খাট আচরণগুলোকে তাচ্ছিল্য করিস জন্যই পরে যেয়ে তোদের সম্পর্কগুলো খারাপ হয়। বুঝতেই পারিস না এই ছোটছোট আচরণগুলোই তোদের অজান্তে বড় সম্পর্কটাকে ভেঙ্গে দিয়েছে।
________________________________________________________________________
মুমুর বড় বোন শান্তা আপুর সাথে আদ্বিনে আপু ক্যাম্পাসে গেলাম একদিন। আমরা রিকশা থেকে নামতেই শান্তা আপু এক আপু আর ভাইয়ার দিকে দেখিয়ে বলল, ‘পাগল কাপল একটা?’ venta de cialis en lima peru
- মানে?
- একটু পরই দেখতে পারবি।
আমরা ভেতরে ক্যাফেটারিয়াতে বসতেই কিছুক্ষণ পর ঐ আপু আর ভাইয়া চলে আসল। ওরা ভালই গল্প করছিল। হঠাত ভাইয়া আপুর চুল ধরে টেবিলে ধাম করে লাগিয়ে গজ করতে করতে বের হয়ে গেল। আপুও মাথা তুলে দৌঁড়ে ভাইয়ার কাছে গিয়ে ভাইয়াকে একটা ঘুষি মেরে চলে আসল। পুরো ক্যাফেটারিয়া হঠাত চুপ। আমি শান্তার আপুর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কি হল?’
- নাথিং।
কিছুক্ষণ পর ভাইয়া আবার ফিরে আসলে, হাতে লাল গোলাপ নিয়ে। আপুটার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল, ‘ইতি একান্তই তোমার’। আপুটা গোলাপ নিয়ে ভাইয়ার দিকে একটা চকলেট বাড়িয়ে দিয়ে বলল, ‘ইতি একান্তই আমার? না তুমি?’ এরপর খুব সুন্দর দু’জনে গল্প করতে লাগল।
শান্তা আপু আমাদের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘কি বুঝলি?’
আমি বললাম, ‘ আপু, ফুপি বলেছে কখনো কখনো সম্পর্ক খুব ওপেন হয়ে গেলে। এরকম হয়। হাজবেন্ড ওয়াইফ রিলেশনটা এত ওপেন যে ছেলে মেয়ে বাবা মায়ের সাথে অত ওপেন হয়না। তাই এধরনের সম্পর্কে কোন রকম রাগ ঢাক থাকে না। ফুপি বলে আমরা ঐ সম্পর্কটার গভীরতা সম্পর্কে না জান্য আমাদের উদ্ভট লাগে।’
- শিট গার্ল। তোর কি মনে হয় এটা সুস্থ সম্পর্ক?
- আমি আসলে না জেনে কিছু বলতে চাচ্ছি না।
- আম্মুকে আব্বু খুব টরচার করে। মারধর কিছুই বাদ নাই। কিন্তু আম্মু মনে করে তোর মা বা অন্য যেকোন কারো চেয়ে আম্মু হ্যাপি। কারণ সে লাভ ম্যারেজ করেছে এবং আব্বু আম্মু আর আমাদের জন্য এত খাটনি করে। তোর কি মনে হয়?
- এটা আসলে আন্টি বুঝতে না পারার জন্য।
- হেয়ার ইজ দা সেম কেস ডিয়ার। সিঁথি আপুকে রবিন ভাইয়া ধাম করে বারি মেরে গেল। আম্মুকে আব্বু যেভাবে টরচার করে। সিঁথি আপু একটা ঘুষি মারল। আম্মু যেভাবে আব্বু মারলে হালকা প্রতিবাদ করে। নেক্সটে ভাইয়া গোলাপ নিয়ে আসল। আব্বু যেভাবে আমাদের জন্য খাটনি করে বাড়ি নিয়ে আসচে। এটা ঐ ঘটনারই পরিশিলিত রূপ। একই রকম পরিশিলীত রুপ তুই সেদিন নিহান ভাইয়াদের ক্ষেত্রে দেখেছিস। নিহান ভাইয়া ভাবীকে সবার সামনে যেভাবে চুপ করিয়ে দিল একটা ধমক মেরে আর ভাবী হেসে হেসে বল ধমক দিচ্ছ কেন? ধমক কি বাংলালিঙ্ক দামে পাইসো? তারপর আবার ভাইয়া হেসে আগেরমত হয়ে গেল। এখন তুই যদি মনে করিস হাজবেন্ড ওয়াইফ ওপেন রিলেশনশিপের ফলে এটা হতেই পারে। তাহলে তো ওপেন রিলেশনশিপের ফলাফলই এমন বীভতসতা!
- আমি ঠিক জানি না।
- আমার আর অন্তুরও তো ওপেন রিলেশনশিপ। কই আমাদের মধ্যে তো ইররেস্পেক্টের জায়গা তৈরি হয় না? তোর কথা মানে তো রিলেশনে রেসপেক্টের কোন স্থান নেই।
- আমি বলতে পারব না আপু।
- তুই বলতে পারবি না জন্যই বলে রাখছি, এই ধারনাগুলো মনে গেঁথে ফেলিস না। আমাদের তো সাইকোলজি পড়ায়। তখন স্যার বরাবর বলে সম্পর্কে যখন বিশ্বাস আর সম্মান এদু’টো জায়গা হারায়। সেটা কোন সম্পর্ক থাকে না আসলে। কিন্তু সবাই আমার আম্মুর মত মনে করে বিশাল ভাল সম্পর্ক এবং সম্পর্কে একটু আধটু এমন হয়ই।
- – ওভাবে ভাবলে খাটখাট করে সব সম্পর্ক ভেঙ্গে যাবে।
- ভাংবে না। একবার দু’বার সম্পর্কে এরকম হয়। কিন্তু সিঁথি আপুদের মত রোজ রোজ আর এটাকে স্বাভাবিক মনে করে নেওয়াটা উচিত না। এরকম ঘটতে থাকলে তোর সম্পর্কের প্রতি আস্থাও কমে যাবে।
________________________________________________________________________ posologie prednisolone 20mg zentiva
- কনক, তুই কখন আসলি?
- কিছুক্ষণ আগে।
- হঠাত? renal scan mag3 with lasix
- ভাল লাগছিল না।
- কেন? কি হয়েছে?
- ভাইয়া ভাবীর ডিভোর্স হয়ে গেছে?
- কবে?
- গত মাসে।
- তোর আজকে খারাপ লাগছে?
- না।
- তো আজকে আসলি যে? এতদিন কোথায় ছিলি?
- তমার সাথে ব্রেক আপ হয়ে গেছে গতকাল।
- ও!
- ভাইয়া ভাবীর বিয়ের সময়টা তোর মনে আছে?
- হুম, ভাইয়া পাগলের মত কাঁদতে কাঁদতে আমাদের কাছে এসেছিল। ভাবীর নাকি বিয়ে ঠিক হয়েছে। ভাবীকে ছাড়া থাকতে পারবে না। মনে আছে কথাগুলো।
- সেই সম্পর্ক আজকে এসে গেল যখন আমারটা তো ভাঙ্গারই ছিল।
- আজকে না গতমাসে।
- তুই মজা নিস না।
- ভাংল কেন?
- বিশাল ইতিহাস। amiloride hydrochlorothiazide effets secondaires
- বল।
- গতবছর আম্মা টুসিকে নিয়ে হুজুরের কাছে গিয়েছিল। হুজুর টুসিকে সেক্সুয়ালি হ্যারাস করেছে।
- টুসির বয়স না চার বছর?
- হুম, খুব অসুস্থ ছিল। একমাস টানা জ্বর। ডাক্তাররা কিছু ঠিকমত বলছিল না। আম্মা তখন পাশের বাসার আন্টি আর আমাদের কাজের লোকের কথায় হুজুরের কাছে নিয়ে যায়।
- ও! তারপর?
- এইখানে আম্মার অনেক বড় ভুল ছিল। এরপরই ভাবীর মাথা খারাপ হয়ে যায়। ভাবী কিছুতেই মেনে নিতে পারে না। আলাদা হয়ে যেতে চায়।
- স্বাভাবিক নিজের মেয়ের এরকম একটা ঘটনা মেনে নেওয়া কঠিন।
- কিন্তু আম্মা না থাকলে ভাইয়া ভাবী যখন অফিসে থাকে তখন টুসিকে দেখার তো কেউ নেই। ভাবীর আম্মা, বোন কেউ নেই দেখার মত। আমাদের এদিকেও তেমন কেউ নেই। আমরা তিন ভাই। কে কাজ ফেলে দেখব? para que sirve el amoxil pediatrico
- বোন থাকলে বুঝি তাকে কাজ ফেলে দেখতে হত?
- না তা না। আমি এমনিতেও পুরো ব্যাপারটা বলছি। ভাইয়া তখন বলেছে যেটা হয়ে গেছে সেটা তো আর ফিরে আসবে না। আম্মাকে ভাইয়াও অনেক কথা শুনিয়েছে। কিন্তু আম্মার থেকে আলাদা হয়ে এভাবে থাকাটাও তো ঠিক সম্ভব না। ভাবী কাজের লোক রাখবে বলেছিল। তখন ভাইয়া বলেছে কাজের লোক উলটা পালটা কি সব খাওয়াবে? খাবার দাবার সব নোংরা হাতে খাওয়াবে শেষে না আরো বড়ো কোন বিপদ হয়! ভাবী আর মেনে নিতে পারেনি। এইখান থেকে ঝামেলার শুরু। এরপর সব বিষয়ে আস্তে আস্তে লাগতে থাকে। আমি ব্যান্ডের বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে আসতাম। ভাবী সেটা আর সহ্য করত না। সন্দেহ ঢুকে গিয়েছিল। আমার ফ্রেন্ডরাই কেউ কিছু করে বসে কিনা। নিভৃতের লেখালিখির ধরন দেখে একসময় নিভৃতকেও উলটা পালটা কথা বলতে শুরু করল।
- নিভৃত আমাকে কিছুই জানায়নি।
- আমি জানি। যাই হোক। এরপর থেকে ভাইয়াকেও কথা শুনাতো। ভাইয়াও এত ঝামেলা সহ্য করতে পারত না। বাসায় রাত করে ফিরত। আমরা আড্ডা দিতাম বাইরে। এটা নিয়ে আবার সমস্যা লাগতে লাগল যে ভাইয়া বাসায় সময় দেয় না। সব কাজ ভাবীকে করত হয়। একদিন ভাবীর এই অমূলক সন্দেহগুলো সহ্য না করতে পেরে ভাইয়া ভাবীকে একটা থাপ্পর মেরে বসল। ভাবী সেদিনই বের হয়ে গেল। এরপর ভাইয়াও আর কিছু বলেনি। ভাবীও ফিরেনি।
- তোদেরটা ভাঙ্গল কি করে?
- তমা অনেকদিন আগে আমাকে ওর ফেসবুক পাসওয়ার্ড দিয়েছিল। আমি এতদিন ঢুকিনি ওর আইডিতে। পরশু কি মনে করে ঢুকলাম। মাসুমের সাথে ওর বিশাল চ্যাট হিস্টোরি পড়লাম। মান্সুমকে বলেছে, আমাকে নাকি ওর একদম পছন্দ না। আমি শুধু ওর পেছন পেছন ঘুরি জন্য আমার সাথে একটা সো কলড সম্পর্কে আছে। মাসুমের গান অনেক ভাল হয়। আমার কোন কিছুই ভাল লাগে না। ইত্যাদি ইত্যাদি। এভাবে মাসুমের সাথে ও একটা রিলেশনও কন্টিনিউ করেছে। ওরা একসাথে ছিল কিন্তু আমি কিছুই জানতাম না। এরপর আমিই ভেঙ্গে ফেলেছি।
- নেক্সট তাহলে নিভৃত? all possible side effects of prednisone
- ওরফে তুই।
- নিভৃতের সাথে কখনো আমি ছিলাম না।
- মানে?
- কিছু না।
- তোদেরটা ভাঙ্গবে কেন?
- ভালবাসা যেখানে অসম্মানিত, কষ্ট সেখানে অনিবার্য।
- তখন কি তোর সাথে আমার ফ্রেন্ডশিপ থাকবে না?
- আজব তো! নিভৃতের সাথেই থাকবে। আর তোর সাথে থাকবে না!
________________________________________________________________________
- ফোন দিয়েছিলি?
- হুম। can you tan after accutane
- আম্মুর সাথে কথা বলছিলাম।
- ও! ভাল।
- সারাদিন আম্মুকে সময় দেওয়া হয়না। টুসিরা যাবার পর থেকে আম্মু একা। তাই বাসায় ফিরে আম্মুকে সময় দিতে হয় একটু। অবশ্য তোর এটা বোঝার কথা না। তোর আম্মু তোদের রেখে বাইরে ঘোরে, তোদেরও কাউকে টাইম দেওয়ার দরকার হয় না।
- নিভৃত, তোর কি মেজাজ খারাপ?
- তোরা মেয়েরা এত অবিবেচক কেন?
- নিভৃত এভাবে কথা বলার কি হল?
- আমি আসলে পারছি না।
- নিভৃত অবিবেচক তোরা। তোর মনে আছে আমি মাঝে মাঝে আমাদের আড্ডায় আম্মুকে নিয়ে আসতাম। তুই বলতি একা চলা ফেরা পারি না। আরে আমার মা কক্সবাজার ঘুরে বেড়ায় আমি একা একা সব জায়গায় যাই আর তুই কিনা বলিস আমি একা চলতে পারি না? আমি আম্মুকে নিয়ে আসতাম আমার সার্কেলটা আম্মুকে দেখাতে। তুই কোনদিন এনেছিস? তোর কাছে প্রয়োজনই মনে হয়নি। একদিন ভাবতে পেরেছিস তোর আম্মু ঘুরতে যাবে টাঙ্গাইল, রংপুর আর তুই এখানে নিজে রান্না করে খাবি দাদীর রান্না করবি, পুরো বাসাটা হ্যান্ডেল করবি। একদিন ভেবেছিস আন্টি বাইরে ঘুরপবে আর তুই ঢাকায় কাজ করবি। এই ব্যাচেলর লাইফে? নিজে ঘুরেছিস দুই দিন পর পর। কিছু মনে করিস না। আমি আমার আম্মুকে সময় দিয়েছি। বাইরে যেতে দিয়ে। এখানে আমি সময় দিয়েছি আম্মুর সাথে বসে দু’টা কথা বলে না আম্মুকে নিজের মত কিছুটা সময় থাকতে দিয়ে, আম্মুর কাজগুলো আমি করে। তোদের এরকম অবিবেচকের মত তথাকথিত সময় দেওয়ার জন্যই আন্টির বাসার কাজের লোকের কথা শুনে টুশিকে নিয়ে গিয়েছিল হুজুরের কাছে। তোরা টাইম দিলে তো এরকম কিছু করার কথা তোদের সাথে শেয়ার করত, কাজের লোক বা পাশের বাড়ির সাথে শুধু না। আন্টি অনেক বেশি কিছু জানতে পারত হুজুরদের সম্পর্কে। sorry to say.
- তোকে এগুলো কে বলেছে?
- কনক।
- তোর এই স্বরুপটা কখনো দেখা হয়নি।
- তোকে কখনোই এভাবে কিছু বলার মত ইচ্ছা আমার ছিল না। আমি অনেক কিছু ভাবলেও তোকে বলতাম না সবসময়। কারণ আমি তোকে ভালবাসতাম।
- এই ভালবাসা? তোকে আমি সত্যিই ভালবেসেছিলাম।
- তোকে বেগম রোকেয়ার একটা কথা বলতাম না, যখন তুই আমাকে উত্তরায় একা যেতে দিতি না বলতি তুইই আসবি?
- অনুগ্রহ কর এই যে আর অনুগ্রহ কর না।
- আজকে আমার বলতে ইচ্ছে করছে, অনুগ্রহ কর এই যে আর ভালবেসো না। ভালবাসা যদি অসম্মান করার মাঝেই থাকে আমি সেই ভালবাসা চাই না।
- আমি তোকে অসম্মান করেছি?
- অনেকদিন।
- তুই এখন আর ভালবাসিস না?
- না।
- ভুলে গেছিস? levitra 20mg nebenwirkungen
- আমি সম্পর্ককে ভুলে যাই না। সম্পর্ককে ভুলে যাওয়া মানে তাকে অসম্মান করা, তুচ্ছ করা। দর্শনের উচ্চমার্গে গিয়ে সম্পর্ককে ভুলে যাওয়ার মত উদার আমি হতে পারি না।
- ওটা উদারতাও না।
- আমার মনে থাকবে শেষ দুই মাস। সবসময় মনে থাকবে। ‘বৈকুন্ঠপুরের নারায়ণ যেমন সিঁথিতে সিঁদুর দিতে ভোলে না’ আমিও তোর সাথে এই সামান্য সময়টা ভুলব না।
(সমাপ্তি)
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
শিরোনামটা চমৎকার ।
:দে দে তালি: :দে দে তালি: about cialis tablets
দুরন্ত জয় বলছেনঃ irbesartan hydrochlorothiazide 150 mg
গল্পের প্রথম পর্ব। http://sovyota.com/node/2461 metformin synthesis wikipedia
অংকুর বলছেনঃ
পড়ে ভালো লাগল । কিন্তু দুইজনে মিলে গল্পের দুইটা পর্ব লিখেছেন । কেমনে কি ?
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
আমিও সেইটাই ভাবতেই আছি ভাবতেই আছি …
(:|
অংকুর বলছেনঃ
ভাবার মতই ব্যাপারটা
স্পীকার বলছেনঃ
আমারো সেইটাই কথা @-) @-) @-)
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
যাহোক সেইরম হইছে গল্পটা… :-bd :-bd :-bd =D> =D> =D>
স্পীকার বলছেনঃ
মনেহয় খুব তাড়াহুড়োয় ছিলেন ? তাড়াহুরো না , সময় নিয়ে লিখুন , আরো ভালো হবে :-c :-c :-c