“পাথর…”
405
বার পঠিতঅরন্য জানে অনামিকা কখন কষ্ট পায়, অনামিকাকে কষ্ট দিতে তার ভালো লাগে। এতে সে তার অতীতে পাওয়া কষ্ট থেকে অল্প হলেও নিষ্কৃতি পায়। অথচ অনামিকাকে সে অনেক ভালোবাসে। প্রচন্ড ব্যাকুলতা নিয়ে বারবার ভালোবাসার কথা অনামিকা তাকে বুঝাতে চেষ্টা করলেও অরন্য সেটা বুঝেও না বোঝার ভান করে, সে বুঝতে পারে ভেতরে ভেতরে অনামিকা কতোটা এগ্রেসিভ হয়ে যাচ্ছে এই বুঝিয়েও বোঝাতে না পারার আক্ষেপে, কতোটা কষ্ট পাচ্ছে সে বুঝতে পারে অরন্য। যেসব বিকেলে নিস্তব্দতা নেমে আসে পার্কের ব্যাঞ্চে, সেসব বিকেলে অবজ্ঞা আর অবহেলার সূত্রে প্রচন্ড অপমান করে সে অনামিকাকে! ঘুরে ফিরে সে প্রায় ভুলে যাওয়া এবং হারিয়ে ফেলা প্রাক্তন প্রেমিকার কথা বলে। অনামিকা মুখ হাসি হাসি করে সব শুনে যায়, কিন্তু অরন্য তার বুকের ভেতরের প্রবল দহন ভালোভাবেই দেখতে পায়। বিদায় নিয়ে যাবার বেলায় পার্কের গেট পেরুবার আগেই অনামিকা বারবার চোখ মুছে নেয়। অরন্য দূর থেকে দেখে। সে রাতে ভালো ঘুম হয় তার। ঘুমের ভেতরেও সে বুঝতে পারে অনামিকা ঘুমাতে পারছেনা। বিছানায় শুয়ে ছটফট করছে। অরন্যের সকাল হয় হাসি হাসি মুখ নিয়ে। কেউ তাকে ভালোবাসে। ভালোবাসাটা বাড়ছে।
এর কি কোন অর্থ থাকতে পারে?
অনামিকা ভেবে পায়না কিছু! সে বুঝতে পারে অরন্য তাকে অল্প হলেও ভালোবাসে একটু হলেও চায় কিন্ত দ্বিধাটা অন্য যায়গায়। মাঝে মাঝে অরন্যকে চিনতে কষ্ট হয় অনামিকার। অরন্য যখন বলে সে পাথর হয়ে গেছে কেউ তাকে কষ্ট দিতে পারবে না তার মন বলে আর কিছু অবশিষ্ট নেই। অনামিকা তখন মনে মনে বলে, কষ্ট দেবো বলে তো ভালোবাসিনি, আমি তোমায় কখনোই কষ্ট দেবোনা।
অরন্য যখন বলে তার জন্য কাঁদবার কেউ নেই, অনামিকা সে রাতে ঘরে ফিরে অরন্যের জন্য কাঁদে, ভেতরে ভেতরে চিৎকার করে বলে এই দেখো অরন্য আমি তোমার জন্য কাঁদছি, কে বলে তোমার জন্য কাঁদার কেউ নেই। অনামিকার দিন শুরু হয় বুকের ভেতর প্রবল দহন নিয়ে, দিনের সমাপ্তিও হয় দহন দিয়ে, অনামিকা রাত কাটায় দহনের ভেতর।
অরন্য কি ভাবে? সে যদি প্রশ্রয় দেয় তাহলে তার প্রতি ভালোবাসা কমে যাবে? অনামিকা সংশয়ে ভোগে, অরন্যকে বলতে পারেনা, তোমার হেলাই বরং আমাকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে। একবার শুধু ভালোবেসে দেখো আমি কতোটা উজার হই তোমার জন্য। তোমাকে কোথায় লুকিয়ে রাখি একবার শুধু কাছে টেনে দেখো। কিচ্ছু চাইনা আমি শুধু দুঃখের দিনে তোমার বুকে মাথা রেখে একটুক্ষন শুয়ে থাকতে চায়। শুধু চাই একটু হলেও তুমি আমাকে নিয়ে ভাবো, আমাকে জিজ্ঞেস করো, অবহেলা না করে অধিকার খাটাও, অবজ্ঞা না করে অনুভুতিটাকে বুঝো। আমি তো শুধু তোমার কাছেই স্বেচ্ছায় পরাধিন হতে চাই।
অনামিকার বুক পুড়ে ছাই হয়। অব্যাক্ত কষ্টে সে চৌচির হয়, মুখ ফুটে বলতে পারেনা কিছু।
অরন্য জানে অনামিকা তাকে নিয়ে ভাবছে, শুধুমাত্র তাকে ভালোবেসে আজকাল কাঁদছে। এই কষ্ট দেবার খেলা আর খেলতে ইচ্ছে করেনা তার। অরন্য বুঝতে পারে তার মন আছে। সেই মন ভালোবাসা বোঝে।
শ্রাবনের রক্তজবা বলছেনঃ amiloride hydrochlorothiazide effets secondaires
@};- @};- @};- @};- @};- @};- @};- @};- @};- @};- @};- @};-
বাস্তবে মিল খুঁজে পাই…………।
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
অব্যক্ত ভালবাসা……
চাতক বলছেনঃ
venta de cialis en lima peru=D> =D> =D> ভাল লাগল গল্প যদিও কিছুটা অল্প (বেশী ছোট!) @};- @};- @};-
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
আমার খুব ভাল লেগেছে। আপনাকে বোঝাতে পারব না কতটা ভাল!
দ্যা ডার্ক নাইট বলছেনঃ
কারো কাছে জীবন-মরণ, কারো কাছে খেলা!
=D> =D> =D> will i gain or lose weight on zoloft