জীবকড়াঁ!
778
বার পঠিতএকটি করে টর্চ লাইট, বল্লম, ছুরা ও লাঠি নিয়ে প্রস্তুত গফুর, করিম, রহিম এবং বন্ধু আফজল। সব মিলে তারা মোট চারজন যাবে কবরস্থানে। হারিকেন নিয়ে পেছনে থাকবে গফুরের স্ত্রী আমিনা ও গফুরের অন্য বন্ধু কুদরত। মোল্লাজির কথামত আমিনা সবকিছু বুঝিয়ে দিচ্ছে গফুরদের।
- তুমি থাকবে সামনে, মেঝো ভাই ও ছোট ভাই থাকবে তোমার দুই পাশে আর আফজল ভাই থাকবে পেছনে। একেবারে চুপি চুপি যাবে। ধরে জোরে চিৎকার দিলেই আমরা সবাই দৌড়ে চলে আসবো।
এত কষ্ট করে একটা সন্তান পেয়েছি আর ডাইনি ছিনিয়ে নিল; আমি ওদের ছাড়বোনা! এভাবে আর কোন মায়ের বুক খালি হতে দেয়া যায় না। ২৫দিন আগে মারল নুরীর মেয়েকে, সেদিন রাবেয়ার ছেলেকে, আজ মারল আমাদের মেয়েকে! এভাবে আর কত? যে করেই হোক খুনিদের ধরবোই।
শেষের কথাটি অনেকটা উচ্চস্বরেই বলল আমেনা। আমেনার কথার আওয়াজে পাশের ঘর থেকে বৃদ্ধ শশুর উঠে এসে আরেকবার সাবধান করে দিলেন।
- খবরদার, যা করার একবারে চুপিচুপি এবং নিরবে করতে হবে। কোন ক্রমে ওদের বুঝতে দেয়া যাবে না। জোয়ানবালা আমরা ঐরকম করে কতবার ধরতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছি। একমাত্র উত্তরবাড়ীর আলাউদ্দিন চাচার পৈ দাদা ছাড়া আর কেউ কোনদিন ধরতে পারেনি। শুনেছি উনি নৌকা নিয়ে দুর গ্রামে রাতে নদীতে মাছ ধরতে গেছিলেন। গভীর রাতে হঠাৎ একটি শিশুর কান্নার শব্দ শুনে পাড়ে উঠে দেখেন একটি কবরস্থানে দুটো উলঙ্গ লোক(পুরুষ মহিলা) একটি শিশুকে কোলে নিয়ে দাড়িয়ে আছে। তিনি সাহস করে ধমক দিতেই ওরা শিশুটিকে ফেলে পালিয়ে যায়। ঐদিন তিনি একাই ছিলেন এবং শিশুটিকেও জীবিত এনে তার মায়ের কাছে ফেরত দিছিলেন!
তোমরা এতজন যাচ্ছো তাও আবার আওয়াজ করে কথা বলছ? যত পার নিরবে যাও।
হাওরে মাছ ধরে গফুর। জীবনে কোনদিন ইশকুলের দ্বারে কাছে যায়নি। বুঝ হবার পর থেকেই বাবার সাথে মাছ ধরার কাজে যোগ দেয় সে। দুবছর আগে বিয়ে করেছে পাশের গ্রামের আব্দুলের মেয়ে আমেনাকে। আমেনাও নিরক্ষর। গফুর সহ তারা তিন ভাই ও দুই বোন। গফুরই সবার বড়। বোনদের একটিকে বিয়ে দেয়া হয়েছে এবং বিবাহ উপযুক্ত একটা এখনো ঘরে আছে। ভাই দুটি জোয়ান তবে অবিবাহিত। বাবা মা সহ ৮ জনের পরিবার গফুরের। নিম্নবিত্তের মধ্যে মোটামুটি স্বচ্ছল সংসার।
বিয়ের পর অনেক তাবিজ-দোয়া করে একটি কন্যা সন্তান পায় গফুর। মেয়েটি জন্মের দুদিনের মাথায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমেনা শিশুটিকে নগরে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে চাইলেও নজর লাগার ভয়ে শশুড়-শাশুড়ি নিতে দেননি! তাদের কথামত নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামের মোল্লাজির কাছে। মোল্লাজি অনেক ফুঁ-ফাঁ দেয়ার পর বলেন, শিশুটিকে জীবকড়াঁ দেয়া হয়েছে! এবং অল্প ক’দিনের ভিতরেই শিশুটি মারা যাবে। জীবকড়াঁ শুনেই ঘাবড়ে যায় আমেনা। কেননা জীবকড়াঁ খুবই ভয়ঙ্কর এক রোগ। আমেনা জানে, জীবকড়াঁ দিলে শিশুর মাথা ধেবে যায়, পিট বাকাঁ হয়ে যায় এবং নির্দিষ্ট কয়েকদিনের ভিতর শিশুর নিশ্চিত মৃত্যু ঘটে।
উত্তজিত আমেনা জীবকড়াঁ কে দিছে জানতে চাইলে মোল্লাজি জানান, কে জীবকড়াঁ দিছে তা উনার জানার এখতিয়ারে থাকলেও বলবার এখতিয়ার নেই! তবে তিনি জানান, জীবকড়াঁ আমেনার গ্রামেরই কোন এক বন্ধ্যা দম্পতি দিয়েছেন এবং কাজটি করেছে দুর গ্রামের কোন এক হিন্দু তান্ত্রিক! জীবকড়াঁ দেয়ার কারণ জানতে চাইলে মোল্লাজি বলেন, এই কাজটি তান্ত্রিকের মাধ্যমে বন্ধ্যা দম্পতিরা করে থাকেন। এতে তোমার শিশুর মৃত্যু ঘটলে তাদের ঘরে সন্তান জন্ম নেবে! আমেনা জিজ্ঞেস করে, সেটা কিভাবে? মোল্লাজি বলেন, জীবকড়াঁ দিলে শিশু মরে গেলেও একেবারে মরে না! মরার পর তোমার শিশুকে যেদিন কবর দিবে সেদিন গভীর রাতে ঐ বন্ধ্যা দম্পতি একেবারে উলঙ্গ হয়ে তোমার সন্তানের কবরের কাছে যাবে। তারা কবর খুড়ে শিশুটিকে বের করে আনবে এবং ঐ সময় তান্ত্রিকের দেয়া পানিপড়া শিশুর গায়ে ছিটালেই শিশু বেঁচে উঠে দুধ খেতে চাইবে! তখন বন্ধ্যা মহিলা তার দুধ খাইয়ে শিশুটিকে গলাটিপে হত্যা করে পুনরায় কবর দিয়ে চলে আসবে। এরপর কিছুদিন গেলে ঐ বন্ধ্যা মহিলা সন্তান সম্ভবা হবে! আমেনা জানতে চায় তার শিশুটির জীবকড়াঁ ছোটানো সম্ভব কিনা? মোল্লাজি জানান, হ্যা ছোটানো সম্ভব হত যদি প্রথমদিন নিয়ে আসা হত। মাথা ধেবে গেলে কিংবা পিট বাকাঁ হয়ে গেলে আর কিছু করার নেই। শুধু আমি কেন, দুনিয়ার কোন মোল্লা-তান্ত্রিকই আর বাচাঁতে পারবে না! তবুও শেষ চেষ্টা হিসেবে তোমাকে এই তাবিজ আর পানিপড়া দিলাম। তাবিজ বুকে-পিটে আঁড়াআঁড়ি করে বেধে দিও আর সন্ধ্যা এবং ফজরে পানি ছিটা দিও। আল্লাহ ভাল করেও দিতে পারেন।
সন্ধ্যার পর থেকে শিশুটি দুধ খাওয়া ছেড়ে দিছে। আমেনা পাগলপ্রায়। গফুর গোমড়াঁমুখে দাওয়ায় বসে আছে। দিনের বেলা পাশের বাড়ীর দু-চারজন মহিলা দেখতে আসলেও ভয়ে রাত্রে আর কেউ আসেনি। আমেনার আত্মীয় কয়েকজন মহিলা দেখতে এসেছেন। কেউ জিজ্ঞেস না করলেও তারা নিয়মিত শিশুটির অবস্থা বর্ণনা করছেন। শিশুটি কালো বর্ণ ধারণ করছে, বাকাঁ হতে হতে একেবারে দুই ভাজঁ হয়ে যাচ্ছ, মাথা ধেবে শরীরের ভিতর ঢুকে যাচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি! গফুর ও অন্য পুরুষেরা নিরবে তাদের বর্ণনা শুনে যাচ্ছে আর জীবকড়াঁ প্রদানকারী বন্ধ্যা দম্পতিকে বকে যাচ্ছে। অবশেষে ভোরের দিকে শিশুটি মারা যায়। পাড়াপ্রতিবেশী মিলে জোহরের পর জানাজা শেষে দূরে নদীর পাড়ে দাফন করে চলে আসে।
মুরুব্বির ধমকে কথা বন্ধ করে রাত গভীরের অপেক্ষা চলতে থাকে। আনুমানিক শেষ রাতের দিকে চুপি চুপি কবরস্থানের দিকে রওয়ানা দেয় গফুরেরা। কিছু দুরে থাকতেই নতুন কবরের পাশে অন্ধকারে দুটো প্রাণীর উপস্থিতি লক্ষ্য করে গফুর। গাঢ় অন্ধকারে পরিস্কার দেখা না গেলেও গফুর ভাবছে মানুষ! ধমক দিয়ে টর্চের আল ফেলতেই দৌড় শুরু করে প্রাণীদুটি। চিৎকার করে গফুরেরাও পেছনে দৌড়াতে থাকে। একসময় গ্রামের শেষ মাথার একটি ঝোঁপের আড়ালে মিলিয়ে যায় প্রাণীদুটি। গফুর ফিরে আসে কবরের পাশে। চিৎকার শুনে ততক্ষনে আমেনাও চলে এসেছে। ছড়ানো মাটিগুলোতে হাত রেখে কাদোঁ কাদোঁ গলায় গফুর বলতে থাকে…সব শেষ হয়ে গেছে আমেনা, সব শেষ! আমরা আসার আগেই ঐ ডাইনি আমাদের সোনামনিকে দুধ খাইয়ে পুনরায় পুতে ফেলেছে! ঐ যে দেখ, মাটিগুলো এখনো এলোমেলো রয়ে গেছে! স্বামীর কথায় হারিকেনের আলো আরেকটু বাড়িয়ে আমেনা লক্ষ্য করে…মাটির সাথে বেড়াঁয় থাকা বাশেঁর খঞ্চিগুলোও ছড়ানো ছিটানো!
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
উপরের ঘটনাটি নিছক কোন গল্প নয় । এটি সত্য ও বাস্তব গল্প । আগে আগে কিংবা এখনো গ্রামাঞ্চলে এসব কথা লোকেরা বিশ্বাস করে । শিক্ষার প্রসার ও সরকারিভাবে টিকাদান কর্মসুচি হাতে নেয়ায় এসব কুসংস্কার কিছুটা কমেছে বৈকি তবে একেবারে নিঃশেষ হয়নি । এখনো শিশু অসুস্থ হলে মায়েরা মোল্লা-তান্ত্রিকের কাছে আগে যায় ।
গল্পে আমেনার শিশুর মাথা ধেবে যাওয়া ও পিট বাকা হয়ে যাওয়া আসলে মোল্লাজি ঘোষিত জীবকড়াঁ নামের কোন রোগ নয়। এটা ডিপথেরিয়া ও ধনুকস্টংকার রোগের লক্ষন। সময়মত ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে শিশুর এসব রোগের সহজেই চিকিৎসা সম্ভব। আমেনা অশিক্ষিত হওয়ায় মোল্লাজির সব কথা নিরবে মেনে নিয়েছে। বন্ধ্যা নারীর সাথে তার শিশুর সংযুক্তি, বন্ধ্যা নারীর দুধ নিঃসরণ, মৃত শিশুর জীবিত হয়ে উঠা ইত্যাদি বিষয়ে ধারণা না থাকায় আমেনা সহজে রূপকথাগুলি বিশ্বাস করে নিয়েছে। আমেনার কথায় বিশ্বাস করে শিক্ষান্ধ গফুরেরা কবরের পাশে দাড়ানো শেয়ালকে মনে করেছে বন্ধ্যা দম্পতি । লাশ তুলে খেতে আসা(সাধারণত লাশ মাটি দেবার পর রাতে শেয়াল মাটি খুড়ে সেই লাশ তুলে খাওয়ার চেষ্টা করে । শেয়ালের উপদ্রব থেকে নতুন কবস্থান বাচাতে এখনো খেসারী ডাল ও বড়ই গাছের ডাল ব্যবহার করা হয়) শেয়ালের আচড়ে ছিটানো মাটি আর বাঁশের খঞ্চি দেখে ওরা বিশ্বাস করে নিয়েছে কেউ এসে লাশ তুলে আবার পুতে রেখে গেছে ।
আমাদের কিঞ্চিত প্রচেষ্টায় দুর হোক সমাজের সকল কুসংস্কার ।
অংকুর বলছেনঃ
ভাই এইটা মন্তব্যে না দিয়ে পোষ্টের সাথেই এড দেন । কোট করে দিয়েন । সচেতনতা বাড়বে । আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এমন একটা তথ্য জানানোর জন্য
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
মোবাইলে পোষ্ট লিখি । মোবাইলে লিখলে শব্দের সীমাবদ্ধতা থাকে ।তাই অনেকসময় ইচ্ছা থাকা সত্বেও শব্দসংখ্যা বৃদ্ধি করা সম্ভব হয় না । আপনার পরামর্শ স্মরণে থাকবে । ল্যাপটপ ঠিক হয়ে গেলে পুনরায় সম্পাদনা করে নেব ।
অংকুর বলছেনঃ
ধন্যবাদ ভাই । আমিও মোবাইলে লিখি । তাই এই সমস্যাটার সাথে আমিও পরিচিত
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
সম্ভব। যেই ব্রাউজারেই হন সম্ভব। আপনি লিখাটি কপি করুন। এর পর ইডিট অপশনে যান , তখন শেষে পেস্ট করে দিন। নিশ্চই আগে নোট লিখেছেন এরপর এখানে কপি পেস্ট।
আপনার পান্ডুলিপি তে ক্লিক করুন, সেখানে শিরনামে ক্লিক করলেই ইডিট অপশন চলে আসবে। পেস্ট করুন পরবর্তী অংশ এরপর প্রকাশ করে দিন
অংকুর বলছেনঃ kan metformin krossas
যারা জাভা ফোন ব্যবহার করে তাদের কীবোর্ডের একটা লিমিটেশন থাকে । সম্ভব না
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
আমার এন্ড্রয়েড সে হিসেবে বলেছি।
অংকুর বলছেনঃ
এহ ! ভাই এইটা কি লিখেছেন ? পড়ে খুব খারাপ লাগল । গল্পটা সুন্দর হয়েছে :-bd :-bd
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
গ্রামীণ অজ্ঞ সমাজে এসব কুসংস্কার এখনো প্রচলিত আছে ।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।
অংকুর বলছেনঃ
আপনাকেও ধন্যবাদ
জন কার্টার বলছেনঃ
ভালো লিখেছেন
………
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ cd 17 clomid no ovulation
অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা নিন । aborto cytotec 9 semanas
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
খুবই ভালো লাগলো… :-bd :-bd :-bd :-bd :-bd :-bd
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
lasix dosage pulmonary edemaভাল লাগলো জেনে প্রীত হলাম । ধইন্যা নেন…!
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
সেই রকম লেগেছে। মাথায় থাকবে গল্পটি।
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
এরকম হরর(লিংকন ভাই ও মিল্টন ভাইর কথায়)গল্প শিশুদের মাথায় না রাখলেই মঙ্গল!
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
এই খানেও শিশু ট্যাগ! আহ আর কত ট্যাগ আর কত!! :’( viagra lowest price
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ
অসাধারণ লিখেছেন শাহিনভাই। :-bd :-bd :-bd :-bd :-bd
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
silnejsie ako viagra%%- %%- %%-
তাওহিদ মিলটন বলছেনঃ
দারুণ একটা হরর গল্প। অজ্ঞতা-নিরক্ষরতা-কুসংস্কার আসলেই একটা হরর ব্যাপার।
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
পড়ার জন্য ধন্যবাদ । শুভেচ্ছা নিন… %%- %%- %%-
তারিক লিংকন বলছেনঃ
অসাধারণ একটি হরর! আসলেই রোমহর্ষক সত্য ঘটনার আলোকে লিখা কল্পনা করতেও ভয় হচ্ছে সাথে সাথে ঘৃণা…
অসাধারণ লিখেছেন =D> =D> =D> =D> =D> :-bd :-bd :-bd
কেউ একটা হরর নাটক করার কথা চিন্তা করলেই চমৎকার হত!! is viagra safe for diabetics
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
যাহোক, আমার
ট্যাগ তব বৃথা যায়নি!
ধইন্যা নেন… %%- %%- %%- লিংকন ভাই ।
জানামতে, সফিক এহসান ভাই ভাল নাটক লিখতে পারেন । উনি
হৈছেন কিনা জানিনা । নাহলেও সভ্যতায় আমন্ত্রন জানিয়ে আপনার আকাংখার কথা জানিয়ে দেব । আপাতত আপনি এবং
ভাইকে একটি করে হরর নাটক লিখার অনুরোধ করলাম ।
দুরন্ত জয় বলছেনঃ propranolol hydrochloride tablets 10mg
সফিক ভাই সভ্য হয়েছেন কিন্তু অনিয়মিত। আমার পোস্টে মন্তব্য করেছিলেন।
সফিক এহসান বলছেনঃ
এই “সভ্য” শব্দটা শুনলে আমার কেমন যেন লাগে! বাকিরা কি তাহলে “অসভ্য”??? =((
এভাবে “সভ্য-অসভ্য” বলাটা আসলে শ্রুতিকটু…!
এটাই যদি সভ্যতা হয় তাহলে আমি সভ্য নই। [-(
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
আগে খুব বেশি রেডিও বাজাতাম । তো রেডিওতে প্রায় সময় একটা শাড়ীর দোকানের বিজ্ঞাপন দিত । বিজ্ঞাপনটা ছিল এরকম…
তো বিজ্ঞাপনের মত আমিও সফিক ভাইকে বলছি… না ভাইজান, এই সভ্য সেই সভ্য নয় । এটা হচ্ছে সভ্যতা ব্লগের ব্লগার বিশেষণমূলক সভ্য! sildenafil 50 mg mecanismo de accion
সফিক এহসান বলছেনঃ
নিজের নাম শুনে আর থাকতে পারলাম না!
সুন্দর গল্প। শেষের বর্ণনাটাও বেশ যুক্তি যুক্ত। শুধু একটা খটকা- ডিপথেরিয়া ও ধনুষ্টংকার কি একই সাথে এবং মাত্র ২দিনের শিশুরও হয়?
আমি তো জানতাম ধনুষ্টংকারের টিকাই দেয়া হয় (খুব সম্ভবত) ৬মাস বয়সে!
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
যতদুর জানি ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, ধনুষ্টংকার, জন্ডিস, উদরাময়, মাম্পস ইত্যাদি রোগগুলো শিশুর যে কোন বয়সেই হতে পারে ।
শিশুর জন্মের পর স্বাভাবিকভাবেই মাথার তালুর একটা অংশ কিছুটা ধেবে ও নরম হয় ।আমেনার মত অজ্ঞ মায়েরা এটাকেও রোগ মনে করে । জীবকড়াঁ নামে কুসংস্কারমুলক যে রোগটি অজ্ঞ সমাজে প্রচলিত তা মুলত আড়াইদিন থেকে ২১দিন সময়ের ভিতর হয় । এই বয়সের ভিতর শিশুর উল্লেখিত রোগগুলো হওয়া অসম্ভব হলে জীবকড়াঁরই অস্থিত্বকে প্রকারান্তরে মেনে নিতে হয় যা বিংশ শতাব্দীতে অসম্ভব ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
নাটক লিখবেন কি না বা কখন লিখছেন এব্যাপারে কিছু বললেন না সফিক ভাই?
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
আমার কোন ধারনাই ছিল না এটা সম্পর্কে। খুব ভাল লাগল
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
জীবকড়ার মত আরেকটা আছে যার নাম কলেরা । আগামীতে কলেরা বিষয়ে আরেকটা কুসংস্কার তুলে ধরার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ । domperidona motilium prospecto
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
আপনাকেও ধন্যবাদ
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
আইডিয়া সিলেকশন চমৎকার। তবে কাজটা যে শিয়ালের করা, সেটা গল্পের মধ্যেই ক্লিয়ারিফাই করলে সম্ভবত ভাল হত।
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
ইচ্ছে থাকা সত্বেও সম্ভব হয়নি । তাছাড়া গল্পের সত্যতা ও রোমহর্ষকতা বজায় রাখতে শেয়ালের কর্মকান্ড ঘটনায় হাইড রেখেছি ।
পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ । %%- %%- %%-
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
শাহিন ভাই তো বললই যে মোবাইলে তাই দিতে পারে নি।
চাতক বলছেনঃ
সেইরাম লেভেলের একটা গল্প পড়লাম দুর্দর্শ সুন্দর এবং ভয়ঙ্কর m/ m/ m/ m/ m/ =D> =D> =D> =D> :-bd :-bd :-bd
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ ventolin evohaler online
অসংখ্য ধন্যবাদ । %%- %%- %%-
ত্রিভুজ বলছেনঃ
অসাধারণ ! আশা করছি ভবিষ্যতে এমনই লিখে যাবেন ।
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
চেষ্টা থাকবে অবশ্যই । ধন্যবাদ ।