মৃনাল সেন ( সেলুলয়েডের নক্ষত্র)
324
বার পঠিত
মৃনাল সেন ভারতীয় সিনেমা জগতের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র । তিনি সত্যজিত রায় ও ঋত্বিক ঘটকের সমসাময়িক ছিলেন । তাদের মাঝে পেশাগত প্রতিযোগীতা থাকলেও একে অপরের কাজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন ।
প্রথম জীবন- ১৯২৩ সালের ১৪ মে মৃণাল সেন বর্তমানবাংলাদেশের ফরিদপুরে একটি শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পড়াশোনার জন্য কলকাতায় আসেন এবং স্কটিশ চার্চ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিদ্যায় পড়াশোনা করেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সাংস্কৃতিক শাখার সঙ্গে যুক্ত হন। যদিও তিনি কখনও কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হন নি। চল্লিশের দশকে তিনি সমাজবাদী সংস্থা আই পি টি এর (ইন্ডিয়ান পিপ্লস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশন) সঙ্গে যুক্ত হন এবং এর মাধ্যমে তিনি সমমনভাবাপন্ন মানুষদের কাছাকাছি আসেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করবার পর তিনি একজন সাংবাদিক, একজন ওষুধ বিপননকারী এবং চলচ্চিত্রে শব্দ কলাকুশলী হিসাবে কাজ করেন। viagra generico prezzo farmacia
ছবি জগতে- ১৯৫৫ সালে মৃণাল সেনের প্রথম পরিচালিত ছবি রাতভোর মুক্তি পায়। এই ছবিটি বেশি সাফল্য পায় নি। সেই সিনেমায় উত্তম কুমার তাঁর অভিনয় জীবনের শুরুতে অভিনয় করেন । তাঁর দ্বিতীয় ছবি নীল আকাশের নীচে তাঁকে স্থানীয় পরিচিতি এনে দেয়। তাঁর তৃতীয় ছবি বাইশে শ্রাবন থেকে তিনি আর্ন্তজাতিক পরিচিতি পান। ১৯৬৯ সালে তাঁর পরিচালিত ছবি ভুবন সোম মুক্তি পায়। এই ছবিতে বিখ্যাত অভিনেতা উৎপল দত্ত অভিনয় করেছিলেন। এই ছবিটি অনেকের মতে মৃণাল সেনের শ্রেষ্ঠ ছবি। তাঁর কলকাতা ট্রিলোজি অর্থাৎ ইন্টারভিউ (১৯৭১), ক্যালকাটা ৭১ (১৯৭২) এবং পদাতিক (১৯৭৩) ছবি তিনটির মাধ্যমে তিনি তৎকালীন কলকাতার অস্থির অবস্থাকে তুলে ধরেছিলেন। মধ্যবিত্ত সমাজের নীতিবোধকে মৃণাল সেন তুলে ধরেন তাঁর খুবই প্রশংসিত দুটি ছবি এক দিন প্রতিদিন (১৯৭৯) এবং খারিজ (১৯৮২) এর মাধ্যমে। খারিজ ১৯৮৩ সালের কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ জুরি পুরস্কার পেয়েছিল। ১৯৮০ সালের চলচ্চিত্র আকালের সন্ধানে। এই ছবিতে দেখানো হয়েছিল একটি চলচ্চিত্র কলাকুশলীদলের একটি গ্রামে গিয়ে ১৯৪৩ খ্রীষ্টাব্দের দুর্ভিক্ষের উপর একটি চলচ্চিত্র তৈরির কাহিনী। কিভাবে ১৯৪৩ এর দুর্ভিক্ষের কাল্পনিক কাহিনী মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় সেই গ্রামের সাধারণ মানুষদের সাথে সেটাই ছিল এই চলচ্চিত্রের সারমর্ম। আকালের সন্ধানে ১৯৮১ সালের বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ জুরি পুরস্কার হিসাবে রুপোর ভালুক জয় করে। মৃণাল সেনের পরবর্তীকালের ছবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য মহাপৃথিবী (১৯৯২) এবং অন্তরীন (১৯৯৪)। এখনও অবধি তাঁর শেষ ছবি আমার ভুবন মুক্তি পায় ২০০২ সালে।
মৃণাল সেন বাংলা ভাষা ছাড়াও হিন্দি, ওড়িয়া ও তেলেগু ভাষায় চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। ১৯৬৬ সালে ওড়িয়া ভাষায় নির্মাণ করেন মাটির মনীষ, যা কালীন্দিচরণ পাণিগ্রাহীর গল্প অবলম্বনে নির্মিত হয়। ১৯৬৯ এ বনফুলের কাহিনী অবলম্বনে হিন্দি ভাষায় নির্মাণ করে ভুবন সোম। ১৯৭৭ সালে প্রেম চন্দের গল্প অবলম্বনে তেলেগু ভাষায় নির্মাণ করেন ওকা উরি কথা। ১৯৮৫ সালে নির্মাণ করেন জেনেসিস, যা হিন্দি, ফরাসি ও ইংরেজি তিনটি ভাষায় তৈরি হয়।
স্বীকৃতি – ১৯৬১ সালে তাঁর “পুনশ্চ” সিনেমা টি তৃতীয় সেরা চলচ্চিত্র হিসাবে জাতীয় পুরস্কার লাভ করে । তিনি ১৯৭৫ সালে “কোরাস” ও ১৯৭৯ সালে “পরশুরাম” সিনেমার জন্য মস্কো আন্তর্জাতিক পুরষ্কার পান । ১৯৭৬ এ নির্মিত “মৃগয়া” ছবিটি সমালোচক দের মতে সেরা হিসাবে ফিল্মফেয়ারের জন্য মনোনীত হয় । তিনি আরো অনেক আন্তর্জাতিক সম্মান পেয়েছেন ।
মৃণাল সেন পরিচালিত চলচ্চিত্রগুলি প্রায় সবকটি বড় চলচ্চিত্র উৎসব থেকে পুরস্কার জয় করেছে। ভারত এবং ভারতের বাইরের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেছে। তিনি ইন্টারন্যাশন্যাল ফেডারেশন অফ দি ফিল্ম সোসাইটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন।
- ১৯৮১ সালে তিনি ভারত সরকার দ্বারা পদ্মভূষণ পুরস্কার লাভ করেন।
- ২০০৫ সালে তিনি দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পান।
- তিনি ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ অবধি ভারতীয় সংসদের সাম্মানিক সদস্যপদ লাভ করেন।
- ফরাসি সরকার তাঁকে কম্যান্ডার অফ দি অর্ডার অফ আর্টস অ্যান্ড লেটারস (Ordre des Arts et des Lettres ) সম্মানে সম্মানিত করেন। এই সম্মান ফ্রান্সের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান।
- ২০০০ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁকে অর্ডার অফ ফ্রেন্ডশিপ সম্মানে ভূষিত করেন।
কাল ছিল এই মহান নির্মাতার জন্মদিন । তাঁকে অনেক শ্রদ্ধা জানাই ।
রোবো স্যাপিয়েন্স বলছেনঃ ventolin spray precio mexico
তাঁর প্রতিটি কাজের, প্রতিটি চলচ্চিত্রের বর্ণনা দিয়েছেন। :-bd :-bd বিনম্র শ্রদ্ধা থাকল এই শিল্পীর প্রতি। ^:)^ ^:)^
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ
clomid trying to get pregnantবিনম্র শ্রদ্ধা রইলো।
নীহারিকা বলছেনঃ
:”>
তারিক লিংকন বলছেনঃ
ampicillin susceptible enterococcusএতো ছোট লিখায় এই মহান চলচ্চিত্রকারের সকল কাজের ফিরিস্তি দিলেন কি প্রাঞ্জল ভাষায় আসলেই চমৎকার।। দারুণ হয়েছে অনেক কিছুই নতুন করে জানা হল।
যুগে যুগে মৃণাল সেনেরা আমাদের বাংলা চলচ্চিত্রকে আগামীর দিকে নিয়ে যাক এই কামনা।
আপনাকে অফুরন্ত ধইন্যা!! %%- %%- %%- %%- %%-
:-bd :-bd :-bd :-bd
নীহারিকা বলছেনঃ prednisolone for cats diarrhea
pharmacy tech practice test online freeধন্যবাদ
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
আপনি অনেক তথ্য নির্ভর পোস্ট দিয়েছেন :-bd :-bd
মৃণাল সেনের প্রতি রইল বিনম্র শদ্ধা……
নীহারিকা বলছেনঃ funny viagra stories
্ধন্যবাদ
চাতক বলছেনঃ
turisanda cataloghi ciproধন্যবাদ আপু দারুণ লিখেছেন %%- %%- %%- %%- %%- %%-
নীহারিকা বলছেনঃ
ধন্যবাদ