ভেঙ্গে পড়ছে মেকী সকল মানবিক সংঘ-পরিষদ
403
বার পঠিত will metformin help me lose weight fastঘটনা-একঃ (সমাজ) ঘটনার সূত্রপাত ৩০ মার্চ, ২০১৪। চট্টগ্রাম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহের জন্য রাহী ও উল্লাস কলেজে যাচ্ছিল বেলা এগারোটার দিকে, তখন স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দল ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংঘ ইসলামী ছাত্র শিবিরের পঞ্চাশ থেকে ষাটজন ক্যাডার তাদের উপর হামলা চালায়। অবশ্যই ধর্মানুভূতির জুজু পুঁজি করে।
ঘটনা-দুইঃ (শিক্ষা) গত ৩ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এইচএসসির তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল ৫ জুন। তবে স্থগিত ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা গত ৮ জুন নেয়া হয় । এখানের শেষ নয় শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য যেখানে মূল্যবোধের সৃষ্টি এবং মানব সভ্যতার অগ্রযাত্রার ক্রমান্বয় ঠিক রাখা মাঝে মাঝে সেখানেও তীব্র ঘাটতি দেখা যায়।
ঘটনা-তিনঃ (সীমান্ত – রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যাবস্থা) ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারী ভোরে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার অন্তর্গত চৌধুরীহাট সীমান্ত চৌকির কাছে কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময়ে ফেলানি খাতুন কনস্টেবল অমিয় ঘোষের গুলিতে মারা যান। তারপর এই বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে নানান তালবাহানা এবং গড়িমসি আমরা সবাই প্রত্যক্ষ করেছি। ফেলানিতো একটা ঘটনা এরূপ মৃত্যুর মিছিল সীমান্তে সবসময় হচ্ছে। আমাদের না শুধু দুনিয়ার প্রায় সকল সীমান্তে।
ঘটনা- চারঃ (ধর্ম এবং বিশ্বাস) মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াত নেতাদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগের আন্দোলন নিয়ে ব্লগে সক্রিয় ছিলেন রাজিব। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ রাত ৯টার দিকে তিনি শাহবাগ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তার পরিবারিক সূত্র জানায়, বিকাল ৩টার দিকে শাহবাগের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন রাজিব। রাজধানীর পল্লবীতে খুন হয়েছেন ব্লগার আহমেদ রাজিব হায়দার (৩৫); শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে পলাশনগরে তার বাড়ির সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনা-পাঁচঃ (পরিবার) গত ১৪ই অগাস্ট রাতে ঢাকার চামেলীবাগের নিজ বাসায় খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান এবং তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমান। হত্যাকান্ডের তিনদিন পর তাদের মেয়ে ঐশী রহমান পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করে।
এইবার হুমায়ুন আজাদ স্যারের একটি অতিপ্রিয় কবিতা “সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে” কয়েকটা লাইনের পরই মূল লিখায় যাব।
“আমি জানি সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।
নষ্টদের দানবমুঠোতে ধরা পড়বে মানবিক
সব সংঘ-পরিষদ; চ’লে যাবে, অত্যন্ত উল্লাসে
চ’লে যাবে এই সমাজ-সভ্যতা-সমস্ত দলিল-
নষ্টদের অধিকারে ধুয়েমুছে, যে-রকম রাষ্ট্র
আর রাষ্ট্রযন্ত্র দিকে দিকে চ’লে গেছে নষ্টদের
অধিকারে। চ’লে যাবে শহর বন্দর ধানখেত
কালো মেঘ লাল শাড়ি শাদা চাঁদ পাখির পালক
মন্দির মসজিদ গির্জা সিনেগগ পবিত্র প্যাগোডা।
অস্ত্র আর গণতন্ত্র চ’লে গেছে, জনতাও যাবে;
চাষার সমস্ত স্বপ্ন আস্তাকুড়ে ছুঁড়ে একদিন
সাধের সমাজতন্ত্রও নষ্টদের অধিকারে যাবে”।
নষ্টদের অধিকারে যাওয়া মানবিক সকল সংঘ পরিষদ আজ একে একে ভেঙ্গে পড়ছে। তাই বিষয়ত্রয় এই ঘুণেধরা সমাজব্যবস্থার ভাঙনের সুর উন্মোচন করে-
ক) ভেঙ্গে পড়ার দৌড়ে কিছুটা এগিয়েই থাকবে আজকের নাজুক সমাজ ব্যবস্থা। আজ অতি সহজে কারো বাক রোধ করা সম্ভব কেবল দরকার একটা প্ল্যানের। কি সহজেই না রাহী-উল্লাসকে অমানবিকভাবে বিপর্যস্ত করা হল ৩০ মার্চ’১৪ সকালে। আর আমরা এমনই অকালে আছি যে আমাদের সমাজের বসবাসকারী মানুষরূপী হায়েনাগুলোও তাঁদের মত দুটো বাচ্চা ছেলেকে মেরে পুলিশের হাটে তুলে দিলো। আবার অনেকে কাভারড ভ্যানের পিছন থেকে খুন না করে ফেলার আফসোস প্রকাশ করেছিল। আজ এই জনপদ এতোটাই অস্থির যে দুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষকদের অন্যতম মিলনমেলা ছবিরহাটকে ভেঙ্গে পড়তে হয় পুলিশের সহায়তায় একইভাবে কোন কূটকৌশলে। আজ এইখানে ব্যক্তিস্বাধীনতা লুপ্ত এবং অবাধজ্ঞানচর্চা স্তম্ভিত। ভেঙ্গে পড়া এই সমাজের খুব তাগিদ একই সুরে ভাব্বার। কিন্তু সমাজের মানুষের তার দরকার নেই কোন আইন কিংবা নিয়ম অথবা শাসননীতিই কখনও মানুষের চিন্তার স্বাধীনতাকে প্রকৃত অর্থে রোধ করতে পারে নি। সমাজ বদলেছে তার আপনগতিতে। গোটা বিশ্বের অস্থির এই অবস্থা বিরাজমান, রাষ্ট্রপ্রধানেরা ভাবে রাষ্ট্রের মত করে ভাববে সকল মানুষ। আসলে তা হবার নয়। ভেঙ্গে পরছে এইসব সংস্কার। মানুষের প্রয়োজনেই নতুন করে গড়বে মানুষ এই ভেঙ্গে পড়া ধুকতে থাকা সমাজ ব্যবস্থাকে। এডওয়ার্ড স্নোডেন কিংবা জুলিয়ান এসেঞ্জের মত বিপরীত শ্রোতের মানুষেরাই একদিন সকলকে নতুন করে ভাবতে শিখাবে। রাষ্ট্রীয় সমাজ ব্যবস্থার ভেঙ্গে পড়া থামানো যাবে না।
খ) ‘শিক্ষার উদ্দেশ্য মূল্যবোধ সৃষ্টি’ - ছোট বেলায় মাধ্যমিকে পড়েছিলাম উক্তিটি। তবে এখন মনে হচ্ছে শিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে অর্থউপার্জন। সভ্যতা তবেই যথার্থ মুক্ত ও স্বাধীন হবে যখন মানুষ সুশিক্ষিত হবে; আর পুঁজিবাদের তাঁবেদারি যন্ত্র বা মেশিন না হয়ে মানবতার জন্যে কাজ করবে। আর এক্ষেত্রে বলা যায় শিক্ষা আমাদের মধ্যে শুধুমাত্র উপজাত (byproduct) হিশেবে অর্থ উপার্জনের বা জীবিকা অর্জনের সৎ পথ বাতলায় দেয় না , শিক্ষা আমাদের মাঝে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার শিক্ষাও দেয়ার কথা, মানুষকে মানবিক হওয়ার শিক্ষা দেয়ার কথা, সভ্যতার অগ্রযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করার কথা। জানিনা কে কতটা এই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। এও জানিনা এইটা শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা নাকি সমাজ ব্যবস্থার? আজ মূল্যবোধ সৃষ্টির শিক্ষা হলে নকল করা কিংবা সার্টিফিকেট নকল করা সহ সকল শিক্ষা সম্পর্কিত অনৈতিক কাজ বন্ধ হত। অর্থাৎ প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাও ভেঙ্গে পড়বে। গোটা বিশ্বই এখন অনলাইন শিক্ষার দিকে ঝুঁকছে- ঝুঁকবে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে। about cialis tablets
গ) সীমান্তে মানবতা লাঞ্ছিত, এইটাই মূল কথা! লাশ ঐ পাড়ে পড়ুক আর এই পাড়ে পড়ুক,লাশ হচ্ছে মানুষ। “স্বাধীন সমাজ ব্যবস্থায় কোন রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা থাকতে পারে না কেননা রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় মানুষ কখনই স্বাধীন নয়”; এইবার দেখি সীমান্তের মানুষদের স্বাধীনতা কেমন? গরু চুরি? ফেন্সিডিল পাচার? ভারতীয় কম দামী পন্য বাংলাদেশে এনে দেশীয় পন্যের বাজার নষ্ট করা এবং উচ্ছ মুনাফা করা? বাংলাদেশের তেল বা এমন পন্য যেসবের দাম এই পাড়ে কম ঐসব ঐপাড়ে পাচার অথবা বিপরীতভাবে রাষ্ট্রীয় স্বার্থবিরোধী কাজ করা? নারী এবং শিশুকে ব্যাপক হারে এইসব কাজে ব্যাবহার করা? পরিনামে বিএসএফ-বিজিবি’র আইনের অতিপ্রয়োগ অথবা অপপ্রয়োগ। গত ৪২ বছরে বাংলাদেশের সীমান্তের গরীব মানুষ কত প্রান দিয়েছে তার ইয়ত্তা নেই অপরদিকে ২০০১ সালের ১৮ই এপ্রিল। বাংলাদেশ আর ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক আর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে এদিন নিহত হয়েছিলেন ১৮ জন ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী। কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তের গ্রাম বড়াইবাড়িতে এই সংঘর্ষের পর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এক কঠিন সংকটের মুখে পড়ে। এতে কি প্রমান হচ্ছে? গোটা দুনিয়ার রাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার সঙ্কটের প্রশ্নে আর নাইবা গেলাম। এই মেকী জাতীয়তাবাদ কতটা সর্বনাশ করেছে মানব সভ্যতার তা বুঝতে এই মানবকূলের আর কত শতাব্দী লাগবে এইটাই এখন প্রশ্ন! ১৮ শতকে ইংল্যান্ডে এই মানবতা বিধ্বংসী মতবাদের উদ্ভব ঘটে পরবর্তীতে পরাসি বিব্লবের হাত ধরে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পরে। আর আজ এই প্রতিষ্ঠানটি শুধু অনিকেত প্রান্তরের মৃত্যুর মিছিলের কারণ নয় এটা গোটা ২ মহাযুদ্ধ এবং বর্তমান-আগামীর সকল অনিশ্চয়তার অন্যতম প্রধান কারণ। নানানভাবে অবশেষে এই প্রতিষ্ঠানটির ভঙ্গুর দশা আজ তাবৎ দুনিয়ার সমাজ বিজ্ঞানী এবং দার্শনিকদের কাছে স্পষ্টত দৃশ্যমান অর্থাৎ ‘রাষ্ট্র আর রাষ্ট্রযন্ত্র দিকে দিকে চ’লে গেছে নষ্টদের অধিকারে’।
ঘ) ১২০০০ বছর আগে খ্রিষ্টপূর্ব ৯৮৩১ সালের দিকে Neolithic Revolution এর হাত ধরে মানব সমাজে ধর্মের ধারনার উৎপত্তি। আজ ১২,০০০ বছর ধরেই এই মতবাদের অনুসারীরা তাদের সাথের মতের অমিলের মানুষদের হত্যা করে এসেছে। এই তালিকায় সক্রেটিস থেকে হাইপেশিয়া বা ব্রুনো থেকে হুমায়ূন আজাদ অথবা জন লেননের মত জনপ্রিয় গায়কেরা প্রান দেন। আমাদের দেশের উগ্রধর্মীয় মৌলবাদীদের হাতেও লাশ হওয়া মানুষের পরিমাণ নিতান্তই কম নয়। এ থেকে শুধুই তাদের অতিসংবেদনশীলতা বা প্রতিক্রিয়াশীলতার প্রমাণ মিলে তা নয়, ধর্মীয় মৌলবাদ যে একটি নিরাময়যোগ্য মানুষিক ব্যাধি তারও প্রমান মিলে। কিছুদিন আগের একটা মার্কিন গবেষণার তথ্যের কথা মনে পরল আর তা হল ‘চিনির আসক্তি কোকেনের আসক্তি থেকে বেশী বিপদজনক’; কিন্তু এতে সবাই আসক্ত বলে আমরা সবাই একে অসুস্থতা মনে করছি না। এই ১২ হাজার বছর ধরে মানব সভ্যতার সকল যুদ্ধ-বিগ্রহ এবং প্রাণঘাতী বেশীরভাগ কার্যকলাপের অন্যতম মূল হাতিয়ার ধর্মও আজ সমাজ বিজ্ঞানী এবং দার্শনিকদের কাছে আরেকটি বাহুল্যের নাম। কতটা অসহিষ্ণু হলে মানুষ লিখনির বা কথা বলার কারণে মানুষকে সভ্যতার এই পর্যায়ে এসে খুন করতে পারে? এই একটা ন্যায়সঙ্গত প্রশ্নই প্রমাণ করে
‘মন্দির মসজিদ গির্জা সিনেগগ পবিত্র প্যাগোডা।
অস্ত্র আর গণতন্ত্র চ’লে গেছে, জনতাও যাবে;
চাষার সমস্ত স্বপ্ন আস্তাকুড়ে ছুঁড়ে একদিন
সাধের সমাজতন্ত্রও নষ্টদের অধিকারে যাবে’।
ঙ) এইবার দেখি ব্যক্তিস্বাধীনতার অন্যতম প্রধান প্রতিবন্ধকতা ‘পরিবার’ যার বলি হল ঐশী এবং তার মা-বাবা। ৮৫০০ বছর আগে কৃষিবিপ্লবের পর যখন নারীর ভূমিকা সমাজে পুরুষের থেকে আলাদা হতে থাকল এবং নারী ক্রমেই গৃহস্থলী কাজে ব্যস্থ হতে থাকল তখন থেকেই পরিবার প্রথার শুরু। আজ সমাজের সন্তানদের জন্মদাতারা তাদের দায়িত্ব নিয়ে নিজের ছায়ায় নিজের মত করে বড় করতে চাই তা একই সাথে যেমন সৃজনশীল মানুষ সৃষ্টিতে একটা বড় বাধা তেমনি ব্যক্তিস্বাধীনতার মৌলিক এবং প্রধান বাধা। শুধু ঐশী বা তার জন্মদাতারা কেন এমন দান্দিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে অনেক পরিবার সারাবিশ্বে। আজ মিষ্টির বা চিনির মত মুখরোচক সব নেশা দিয়ে সমাজকে নেশাগ্রস্থ করে রাখলে আমরা বুঝতে পারি না কেননা সমাজ এখনও বুঝতে শিখেনি কিসে বাধা আর কিসে মুক্তি। এমন মেকী প্রতিষ্ঠানের প্রতীকী প্রতীবাদ করতে গিয়ে সারত্রে তার জীবনটাই কাটিয়েছেন হোটেলে কেননা পরিবার প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম প্রধান মশলাচ্ছন্ন হাতিয়ার হচ্ছে বাসা বা ঘর। কোনটা সুস্থতা আর কোনটা ব্যাধি বুঝতে সময় লাগলেও সভ্যতা তার পথচলয়ায় ক্রমাগত পরীক্ষা-প্রতিপরীক্ষার (চেক-ক্রসচেক) পর মানব কল্যাণের এবং স্বাধীনতার জন্য সহায়ক সমাজব্যবস্থাটাই বেঁচে নিবে। ভেঙ্গে পড়ার তালিকায় তাই সমাজবিজ্ঞানী এবং দার্শনিকদের কাছে পরিবার আরেকটি ভঙ্গুর প্রতিষ্ঠানের নাম।
শেষ কথাঃ এমন লাশের মিছিল এবং মানবতার অবমাননা থেকে এইটাই মানবতার শিক্ষা হওয়া উচিৎ যে আমাদের সমাজের আদিমতম এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রমাগত ব্যর্থতা আধুনিক বিশ্বকে সবসময় আগে ভাবতে শিখালেও যথারীতি নিয়মসিদ্ধভাবেই এই দুঃখী জনপদের ক্ষুধার্ত মানুষকে পরে উপলব্ধিগুলো দেয়। দুনিয়া জুড়ে মেকী মশলাচ্ছন্ন সকল প্রতিষ্ঠানগুলোর এমন ভঙ্গুর দশা এইটাই প্রমাণ করে সব দুর্বল গাঁথুনির প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙ্গে পরবে অতিসম্প্রতি এবং ভাঙ্গনের সুর আজ মেরু থেকে মেরুতে বিস্তৃত।
তাই খুঁজতে গেলে মানব সভ্যতার একটাই টেকসই স্থায়ী প্রতিষ্ঠান তা হচ্ছে ‘মানবতা’ এবং মানুষের মুক্তি অর্থাৎ স্বাধীন মানুষ বা স্বাধীন মুক্ত সমাজ; এটাই ধর্ম-রাষ্ট্র-পরিবার-সমাজ-শিক্ষাব্যাবস্থা যতদিন বিশ্ববাসী এমন মতে একমত হবে না ততদিন এমন ইতস্তত মৃত্যুর মিছিল থামানো যাবে না কেননা ‘বিষবৃক্ষের অবস্থান নিশ্চিত করে ডালপালা কর্তন নির্বুদ্ধিতার পরিচায়ক’। cialis new c 100
আধুনিকতা পিছনে এসে তাল মিলায় না বরং পশ্চাদগামীরা সামনে এসে তাল মিলাতে বাধ্য হয়, অথবা পিছন থেকে অগ্রযাত্রাকে টেনে ধরে রাখে…
নোটঃ পূর্বে অন্যত্র প্রকাশিত হলেও পোস্টটি বর্ধিত এবং পরিমার্জিত করা হয়েছে। zithromax azithromycin 250 mg
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
লেখাটা ভাল ছিল। কিন্তু, আলটিমেট কোন মেসেজ ধরতে পারলাম না।
তারিক লিংকন বলছেনঃ
মেজেস হচ্ছে স্যারের কবিতা। মানবিক সকল সংঘ পরিষদ ভেঙ্গে পড়ছে বিপুল উৎসাহে। এখন কেবল নতুনের কেতন উড়াতে হবে আমাদের। ঢেলে সাজাতে হবে এই সমাজ…
আগামী ২০/৩০ বছরে এতোই পরিবর্তন হবে মানব সভ্যতা যা কেউ কখনও দেখে নি আগে, কল্পনাও করে নি…
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
মজার ব্যপার হচ্ছে, এমন ঘটনা কিন্তু মানব সমাজ/ধর্মের ইতিহাসে চিরন্তন। এমন কোন কাল বা যুগ আপনি পাবেন না যেখানে এমন ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু, সমাজ এবং ধর্মের পরিবর্তন বা পরিবর্ধন ছাড়া রেভুল্যুশনারি কোন পরিবর্তন কিন্তু আসেনি।
তারিক লিংকন বলছেনঃ
অর্থাৎ পরিপূরক! আমিও তাই বলতে চেয়েছি!! এবং আমার কাছে এমন ঘটনা খুবই তাৎপর্য বহন করে কিনা তাই নোট করলাম!!
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
tome cytotec y solo sangro cuando orinoপরিবর্তন আসেনি বলে কি পরিবর্তন দাবী করাটা অবান্তর? আজ আসেনি, কাল আসবে, পরশু আসবে, এক যুগ পরে আসবে! নয়তো এক শতাব্দী পরে আসবে!
নবজাতকদের জন্য এই পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে যাবো আমি, এই আমার অঙ্গীকার!
তারিক লিংকন বলছেনঃ
অভিনন্দন… রকিং লাইক এ ইলেকট্রন!!! posologie prednisolone 20mg zentiva
তারিক লিংকন বলছেনঃ
না হয় ৫০০ বছর পরে আসবে, কিন্তু আসবে… can levitra and viagra be taken together
জন কার্টার বলছেনঃ
synthroid drug interactions calciumচমৎকার লিখেছেন তারিক লিংকন ভাই।
সব কিছুই হয়তো নষ্টদের দখলে চলে যাবে! তবে এটা বিশ্বাস করতে সত্যিকার অর্থেই খুব কষ্ট হয়!
আসলে আশায় বুক বাধতে ভালোবাসি তো, তাই বিশ্বাস করতে বা মানতে কষ্ট হয় যে সব কিছু নষ্টদের দখলে চলে যাবে! বিশ্বাস করি খুব তাড়াতাড়িই নষ্ট স্রোতের বিপরীতে হাটা মানুষের দেখা পাব বলে! আসলে আপনি যদি সভ্য কিংবা উন্নত দেশগুলোর আদিম ইতিহাস নিয়ে ঘাটাঘাটি করেন তবে দেখবেন ওই দেশগুলোর পরিস্থিতি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির থেকে আরও অনেক বেশি অস্থিতিশীল ছিল! কিন্তু একসময় ঠিকই লাইনে এসেছে এবং নিজেদেরকে শ্রেষ্ঠ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেছে। তাই বিশ্বাস করি বাংলাদেশ একদিন সঠিক লাইনে চলবে এবং নিজেদের কে শ্রেষ্ঠ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করবে আর নষ্টরা নিক্ষিপ্ত হবে আস্তাকুরে…..
তারিক লিংকন বলছেনঃ
buy kamagra oral jelly paypal ukআপনাকে অফুরন্ত ধইন্যা…
স্পীকার বলছেনঃ
এতবড় লেখার কারণে বিরক্ত হয়ে পুরোটা পড়তেই পারিনি। কি বুঝিয়েছেন? মাথায় কিছু ঢুকলো না
তারিক লিংকন বলছেনঃ
মনোযোগ দিয়ে মাথা ঠাণ্ডা করে পড়ুন!! আর স্পেন কিংবা পর্তুগালের সাপোর্টার হলে আরেক লেগ হওয়ার পরে পড়বেন!!
তারিক লিংকন বলছেনঃ
ইলেকট্রন,
আপনার এই স্পিরিটই যথার্থ