দাও ফিরে সে অরণ্য, লও এ নগর!
886
বার পঠিতদাও ফিরে সে অরণ্য, লও এ নগর,
লও যত লৌহ লোষ্ট্র কাষ্ঠ ও প্রস্তর
হে নবসভ্যতা! হে নিষ্ঠুর সর্বগ্রাসী,
দাও সেই তপোবন পুণ্যচ্ছায়ারাশি,
গ্লানিহীন দিনগুলি, সেই সন্ধ্যাস্নান,
সেই গোচারণ, সেই শান্ত সামগান,
নীবারধান্যের মুষ্টি, বল্কলবসন,
মগ্ন হয়ে আত্মমাঝে নিত্য আলোচন
মহাতত্ত্বগুলি। পাষাণ পিঞ্জরে তব
নাহি চাহি নিরাপদে রাজভোগ নব–
চাই স্বাধীনতা, চাই পক্ষের বিস্তার,
বক্ষে ফিরে পেতে চাই শক্তি আপনার,
পরানে স্পর্শিতে চাই ছিঁড়িয়া বন্ধন
অনন্ত এ জগতের হৃদয়স্পন্দন।
১৯ চৈত্র, ১৩০২ zovirax vs. valtrex vs. famvir
রবী ঠাকুরের এই কবিতার সাথে সবাই ই কম বেশি পরিচিত। পুরো কবিতা যদি আমরা কেউ কেউ নাও জেনে থাকি তবুও মাধ্যমিকে পড়েছেন আর কবিতার প্রথম লাইনটি দেখেননি বা ঐ লাইনটি নিয়ে কিছু লিখেননি এমন ছাত্র/ছাত্রী খুব কমই পাওয়া যাবে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পেরিয়ে যখন ভার্সিটি পর্যায়ে আসলাম তখন অনলাইন জগতে বিচরণও আস্তে আস্তে বাড়তে থাকলো। এই জগত মুলত লেখার এবং পড়ারই জগত। এখানে পদার্পনের পর থেকে অনেক গল্প, কবিতা, রম্য, নাটক, গবেষণা রিপোর্ট পড়েছি। এখানেও কোন কোন লিখায় ঐ লাইনটি বেশকিছুবার চোখে ভেসেছে। তাছাড়া ঐ লাইনটি লিখে গুগলে সার্চ দিলে তো কথাই নেই। বিভিন্ন রকমে অসংখ্য লিখার যেন এক অপূর্ব ভান্ডার।
গত ক’দিন আগে এমনিভাবে নেটে উপরের কবিতাটি খুজতে গিয়ে নিম্নোক্ত গবেষণা রিপোর্টটি দেখতে পাই।
এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক মানুষের মস্তিষ্কের ওপর শহুরে যান্ত্রিক পরিবেশ ও গ্রামীণ নৈসর্গিক দৃশ্যাবলির তুলনামূলক প্রভাব বিশ্লেষণ করে দেখতে পান, গ্রামীণ নিসর্গ মানুষের মনে প্রশান্তি জাগায়। অন্যদিকে শহুরে কৃত্রিম পরিবেশ মনে বিভিন্ন জটিলতা ও চাপ তৈরির জন্য দায়ী। আর সেই চাপ মানুষের আচরণেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, যার পরিণাম ভোগ করে আজন্ম শহরবাসী। এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাইকেল ডেপলেডজ বলেন, শহরে বসবাসকারী ব্যক্তির মানসিক অবস্থার সঙ্গে চিড়িয়াখানায় খাঁচায় সদ্য বন্দী পশুপাখির অনুভূতির তুলনা চলে।
দেখুন এখানে… http://politicalnews24.com/2013/12/13/9782
শেষবার যখন এই গবেষণা রিপোর্টটি পড়ি তখন দীর্ঘদিন গ্রামে থাকার দরুন গ্রামীন পরিবেশের প্রতি যে বিতৃষ্ঞা জন্মছিল তা এক নিমেষেই চলে যায়। গ্রামের প্রতি টান ও মায়া যেন আরো কয়েক ধাপ বৃদ্ধি পেয়ে যায়। গ্রামের অধিবাসী বলে নিজেকে খুবই ধন্য এবং গর্বিত মনে হয়। তখন আজীবন শহরে থাকতে না পারার যে আক্ষেপ ছিল তা একেবারেই চলে যায়।
আমার বক্তব্য এখানেই শেষ হতে পারত কিন্তু এখানে শেষ না করে আরেকটু টেনে লম্বা করতে চাই!
গত ইদের পর বেশ কিছুদিন অনলাইনের নিউজফিড জুড়ে একশ্রেণীর গ্রাম প্রেমিকের যে সাহিত্যভরা বক্তব্য দেখতে পেয়েছিলাম তা এককথায় ছিল বিস্ময়কর। রবী বাবু কিংবা প্রখ্যাত গ্রামীণ কবি বন্দে আলী মিয়াও যদি এই লিখাগুলো দেখতেন তবে নিশ্চিত তারাও বিস্মিত হতেন, এমনকি তাদের প্রকৃতি প্রেমও তুলনামূলক বিচারে কিনারে গিয়ে ঠেকতো!
আমি এখানে সেইসব বক্তব্যের কিছু নমুনা খন্ডিত আকারে না দিয়ে একসাথেই দিয়ে দিলাম…
“অনেকদিন পর গ্রামে গেলাম। আহ কি দারুন পরিবেশ! যানজট-ঝামেলাহীন এমন নির্মল পরিবেশ স্বর্গেই মানায়! সবুজের সমারোহ, পাখির কিচিরমিচির, বিশাল খেলার মাঠ, ধুলো মাখা মেঠো পথ, বড় বড় পুকুর, রাতের জোনাকি, প্রতিবেশির আতিয়েতা… ওহ, শহরে ফিরতে মনই চাচ্ছিল না! আর ক’টা দিন যদি এমন পরিবেশে থাকতে পারতাম?” can levitra and viagra be taken together
পাঠকদের বলছি, ধৈর্য্য হারাবেন না প্লিজ। আমার এসব ফালতু লেকচারের মূল কারন কিন্তু আমার গ্রামীণপ্রীতি দেখানো নয়, সংবাদপত্রের এই শিরোনামটি!
“ঢাকায় চিকিৎসক উপচে পড়ছে, গ্রামে পদ শূন্য : দৈনিক প্রথম আলো।
রিপোর্টটি থেকে জানা যায়,
“বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০০ শয্যার স্ত্রীরোগ বিভাগে চিকিৎসক আছেন ২৮৪ জন। আর ঢাকার বাইরে ভোলা জেলায় চিকিৎসকদের ৭০ শতাংশ পদ খালি। ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে চিকিৎসকের পদ আছে ৩০টি, এর মধ্যে ২৫টিই শূন্য অথচ ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের পদ ২১টি। কোনো পদ শূন্য নেই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, সারা দেশে ৪৮১টি উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকের পদ আছে নয় হাজার ১৫০টি। ১ জানুয়ারির হিসাবে দুই হাজার ২৯৪টি পদে চিকিৎসক নেই। অর্থাৎ উপজেলা পর্যায়ে ২৫ শতাংশ পদ শূন্য।
এটা গড় হিসাব। কিন্তু রাজধানী থেকে উপজেলার অবস্থান যত দূরে, সেখানে শূন্য পদের সংখ্যা তত বেশি।
দেখুন… http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2013-01-14/news/321200
এই হল আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের অবস্থা আর আমাদের প্রকৃত প্রকৃতি প্রেম! যে লোকটি ভ্রমণের জন্য গ্রামকেই বেছে নিতে বেশি পছন্দ করে সেই গ্রামে দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানায়! শুধু স্বাস্থ্য বিভাগ নয়, প্রতিটি বিভাগেই যে কর্মকর্তা ছুটি নিয়ে মাসের পর মাস গ্রামে কাটিয়ে আসতে পারেন সেই কর্মকর্তা সরকারী দায়িত্ব নিয়ে দুদিনও গ্রামে অবস্থান করতে পারেন না! গ্রাম থেকে শহরে বদলি হতে কেউ কেউ বড় অংকের ঘুষ পর্যন্ত ব্যায় করে থাকেন।
আসলে আমরা সবাই ই ঐ রকম। দায়িত্ব পালনে আমরা সবাই একধাপ পিছিয়ে। ব্লগ ফেসবুকে কুতুব আলীর ইয়া লম্বা প্রেমময় লুতুপুতু ইশটাটাশ খুটিয়ে খুটিয়ে পড়তে আমরা যতটুকু আগ্রহী, পাঠ্য বইয়ের দুটি লাইন পড়তে ঠিক ততটুকু বিরক্তিবোধ করি। আমরা এমন, এমনই আমরা!
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ doctus viagra
লিখার মাঝখানের অতিরিক্ত স্পেসগুলি উধাও হয়ে সব প্যারা/অনুচ্ছেদ একাকার হয়ে গেছে!
সমস্যাটি শুধুমাত্র আমার ব্রাউজারে দেখা যাচ্ছে নাকি সবার বেলায়ই এমন হচ্ছে বুঝতে পারছি না!
প্রাগতৈহাসিক ভাইও উনার একটি পোষ্টেও এই সমস্যা চিহ্নিত করে কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন । সমস্যাটা কোথায় তা জানতে আমিও কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি…
তারিক লিংকন বলছেনঃ can you tan after accutane
achat viagra cialis franceকিন্তু কীভাবে আপনি শহরমুখো মানুষকে আবার গ্রামের দিকে নিয়ে যাবেন যেখানে সে কখনই গ্রামে থাকার মঝা বুঝে নি?
তবে আমাদের শিক্ষার উদ্দেশ্য মূল্যবোধ সৃষ্টি এই যায়গায় আমরা ব্যর্থ!! ভাল লাগলো আপনার লিখা। cialis new c 100
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
শহরমুখো সব মানুষদের গ্রামমুখী হবার দরকার নেই । শুধুমাত্র সরকারী দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তাদের গ্রামের প্রতি তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলেই আমরা কৃতজ্ঞ ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।