দৃষ্টিসীমার শৃঙ্খল ভঙ্গকারী দার্শনিক ও চিত্রকর ‘সালভাদর ডালি’
730
বার পঠিতসালভাদর দালি (মে ১১, ১৯০৪ – জানুয়ারি ২৩, ১৯৮৯)
কিছু মানুষের সৃষ্টিকর্ম তাদেরকে ঈশ্বরের কাছাকাছি একটি অবস্থান দিয়ে দেয়। অধিবাস্তববাদী শিল্পকর্ম দিয়ে সেরকমই একটি স্থানে পৌঁছানো চিত্রশিল্পী সালভাদর ডালি। তাঁর একক অধিবাস্তব শিল্পকৌশল এবং অনবদ্য কল্পনাশক্তি দিয়ে প্রকৃতির সবকিছুর মাঝে মানবসত্ত্বাকে ফুটিয়ে তোলার জন্য তাঁর শিল্পকর্মগুলো অন্য সবার থেকে ভিন্ন। অদ্ভুত ঢঙ্গের এই কাজগুলোই তাঁকে খ্যাতির শীর্ষে নিয়ে গেছে।
সালভাদর দালির পুরো নাম ‘Salvador Felipe Jacinto Dalí Domènech’। জন্ম স্পেনের কাতালান শহরের ফিকুইরেসে ১১ই মে, ১৯০৪ সালে। নোটারী বাবার পরিবারের তিন সন্তানের মধ্যে দালি ছিলেন দ্বিতীয়। বাবার পৃষ্ঠপোষকতায় তাঁর শিল্পচর্চা শুরু। বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর দালির জন্ম হয় এবং বড় ভাইয়ের ‘সালভাদর’ নামেই তাকে ডাকা হয়। তাঁর বাবা-মার মতে তিনি ছিলেন বড় ভাইয়ের আরেক প্রতিকৃতি। তবে দালি এরকমটা মনে করতেন না। পরবর্তী সময়ে তাঁর Portrait of My Dead Brother (1963) চিত্রকর্মে এই ব্যাপারটি ফুটে ওঠে।
Portrait of My Dead Brother (1963)
১৯১৬ সালে তিনি প্রথম ড্রয়িং স্কুলে ভর্তি হন। ১৯১৯ সালে Municipal Theater, Figueres এ প্রথম পদর্শনী হয়। ১৯২২ সালে স্পেনের মাদ্রিদ-এর San Francisco School of Fine Arts- এ ভর্তি হন। ১৯২৫ সালে প্রথম তাঁর ছবির একক প্রদর্শনী হয়। ১৯২৬ সালে তাকে San Francisco School of Fine Arts থেকে বহিস্কার করা হয়। তিনি এরপর বিখ্যাত শিল্পকর্ম The basket of bread (১৯২৬) আঁকেন। সেবছরই তিনি প্যারিসে যান এবং সেখানে ম্যুরো ও পকাসোর সাথে তার পরিচয় হয়। যদিও পিকাসো দালির ব্যতিক্রমধর্মী শিল্পকর্মের কথা ম্যুরোর কাছে এর আগেই শুনেছিলেন। দালির অসংখ্য কাজ পিকাসো এবং ম্যুরোর শিল্পকর্ম দ্বারা প্রভাবিত হয় এর পরবর্তী সময়ে।
দালির শিল্পকর্ম নিঃসংকোচে ব্যতিক্রমধর্মী এবং অনন্য। তাঁর বিভিন্ন কাজের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট নিরবিচ্ছিন্ন ধারা লক্ষ করা যায়। যদিও তাঁর কাজের মধ্যে Raphael, Bronzino, Francisco de Zurbarán, Vermeer, এবং Velázquez কাজের ধারার একটি প্রতিফলন দেখা যায়। দালির শিল্পকর্মের এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল প্রাচীন এবং আধুনিক শিল্পকৌশল দুটোরই ব্যবহার তাঁর ছবিগুলোর মধ্যে দেখা যায়। কিছু ছবিতে তিনি এ’দুধরনের শিল্পকৌশলকে আলাদা করেছেন, কিছু ছবিতে তাদের একসাথে করেছেন।
১৯২৯ সালে দালি দ্বিতীয়বারের মত প্যারিস ভ্রমনে যান এবং সেখানে তাঁর পরিচয় হয় স্যুরেলিজমের জনক Andre Breton-এর সাথে। সুরিয়ালিজম বা পরাবাস্তববাদ (Surrealism) হচ্ছে একটি সংস্কৃতিক আন্দোলন। মূলত বিংশ শতকের গোরার দিকে যখন খেয়ালবাদ বা দাদাইজমের ( Dadaism) উত্থান-পতনের সমসাময়িক সময়ে ১ম মহাযুদ্ধের অবসান ঘটে তখনই উত্থান হয় এই সুররিয়ালিজম বা পরাবাস্তববাদের। এই আন্দোলনের পুরোভাগেই ছিলেন সাল্ভাদোর দালি। যদিও চিত্রশিল্প, চলচ্চিত্র আর স্থাপত্য শিল্পেই মূলত এই ভাবের প্রকাশ ছিল বেশী। স্বপ্ন এবং বাস্তবতার দ্বন্দ্বের মধ্য থেকেই এই মতবাদের শুরু। দালি নিজেও বলছিলেন “‘পরাবাস্তববাদ’ (Surrealism) ধ্বংসাত্মক, কিন্তু এটা কেবল আমাদের সীমিত দৃষ্টির শৃঙ্খলকেই ধ্বংস করে”। সকল ধরণের রীতিনীতি ভাঙ্গাই এই পরাবাস্তববাদীদের সংস্কৃতিক আন্দোলনের মূল চেতনা। ভিজুয়াল আর্টস বা দৃশ্যমান শিল্প মাধ্যমেই এই পরাবাস্তববাদের। সুরিয়ালিস্টিক আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোগতা আন্দ্রে ব্রেন্টন বলতেন “সামাজিক বিপ্লব চিরস্থায়ী হোক এবং নিঃসঙ্গভাবে”। এই অবস্থান থেকে সুররিয়ালিজম কমিউনিজম এবং এনারখিজমের সাথে সম্পর্কযুক্ত। এমন সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তি ছিলেন সালভাদোর দালি।
১৯২৯ সালে সুয়রেলিজমে অংশ নেবার সময় দালির পরিচয় হয় Gala Eluard-এর সাথে যিনি পরবর্তীতে দালির স্ত্রী, প্রাথমিক মডেল হন। ১০ বছরের বড় Gala Eluard-এর সাথে দালির সম্পর্ক এবং একই সাথে তাঁর স্যুরেলিজমে অংশগ্রহন দালির বাবা মেনে নেন নি। দালি এবং গালার দ’বার বিয়ে হয়। ১৯৩৪ সাথে সিভিল আইন অনুসারে বিয়ে হয় এবং ১৯৫৮ সালে ধর্মীয় (ক্যাতালান) ভাবে। দালি ক্যান্ডাওলিজমের চর্চা করতেন। অর্থাত নিজের স্ত্রীকে অন্যের সামনে এক্সপোজ করে একধরনের ফ্যান্টাসী পেতেন। তাঁর বিভিন্ন ছবিতে এর পরিচয় পাওয়া যায়। Gala Eluard-নগ্ন প্রোট্রেটগুলোতেও এব্যাপারটি লক্ষ করা যায়। একারণে দালার সাথে বিভিন্ন পুরুষের সম্পর্ক তৈরি হয়।
The City of the Drawers cialis new c 100
দালির ছবিতে একটি বিষয় বিশেষ লক্ষণীয় যে তিনি বিভিন্ন প্রাণীর দ্বারা বিভিন্ন অর্থ প্রকাশ করেছে। যেমনঃ হাতি; Dream Caused by the Flight of a Bee Around a Pomegranate a Second Before Awakening এবং elephant carrying an ancient obelisk-এ দু’টি ক্ষেত্রে দালি অসামঞ্জস্যতাকে প্রকাশ করেছেন হাতির মাধ্যমে। খুব সম্ভবত হাতির দেহের তুলনার সরু-লম্বা পা তাকে এই উপলব্ধি দেয়। তিনি হাতিকে distortion in space হিসেবে ভাবতেন। তাঁর বিভিন্ন ছবিতে ডিমকে একটি রুপক অর্থে পাওয়া যায় যেমনঃ The Great Masturbator and The Metamorphosis of Narcissus। ডিমকে তিনি জন্মপূর্ব আশা ও ভালবাসা অর্থে প্রকাশ করেছেন। যদিও The Metamorphosis of Narcissus-এ এর অর্থ ছিল পুরোই বিপরীত- মৃত্যু।
তিনি পিঁপড়াকে মৃত্যু, ক্ষয় এবং কামুকতার প্রতীক হিসেবে দেখতেন। শামুকের সাথে তিনি মানুষের মাথার সম্পর্ক তৈরি করেন । লোকাস্টের দ্বারা ভয়কে প্রকাশ করেছেন।
দালির কিছু বিখ্যাত শিল্পকর্ম-
The Persistence of Memoryঃ
দালির সবচেয়ে বিখ্যাত শিল্পকর্ম এটি। ১৯৩১ সালে এ ছবিটি আঁকেন এবং প্রথম Julien Levy Gallery – এ এর প্রদর্শনী হয়। পরবর্তীতে Museum of Modern Art (MoMA) , New York City তে এটি সংরক্ষণ করা হয়। এই ছবিটি মূলত থিওরি অফ মেল্টিং কিংবা softness ও hardness এর বহিঃপ্রকাশ। ছবিটিতে তিনটি গলিত ঘড়ি এবং একটি কমলা ঘড়ি দেখা যায়। এই তিনটি গলিত ঘড়ির ব্যাখ্যায় Dawn Ades লিখেন “The soft watches are an unconscious symbol of the relativity of space and time, a Surrealist meditation on the collapse of our notions of a fixed cosmic order”.[3] অনেকে মনে করেন এ ছবিটি Albert Einstein এর Special Theory of Relativity থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে তৈরি। Ilya Prigogine দালিকে এ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি তা অস্বীকার করেন বরং তিনি বলেন স্যুরেলিস্ট প্রেক্ষাপট থেকে এটি Camembert cheese অনুসরণে সৃষ্টি। কমলা ঘড়িটিকে পিঁপড়া দিয়ে আচ্ছাদিত দেখা যায়। এখানে দালি কমলা ঘড়িটি দ্বারা ক্রম ক্ষয় বুঝিয়েছেন। মাঝে যে একটি মানব প্রতিকৃতি দেখা যাচ্ছে এটি মূলত দালির আত্মপ্রতিকৃতি। চোখ বন্ধ করা এই প্রতিকৃতির দ্বারা দালি বুঝিয়েছেন সৃষ্টি হল স্বপ্নের একটি অবস্থা। চোখ বন্ধ করে এই আত্মপ্রকৃতিই বিভিন্ন কিছুর সৃষ্টি করছেন, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তাঁর আশেপাশের সব কিছু ধ্বংস হচ্ছে।
মাত্র ২৭ বছর বয়সে আঁকা এই পেইন্টিংটি দিয়ে দালি ব্যাপক পরিচিত পান। এই ছবিটি মূলত অবচেতন এবং সচেতন মনের পরিস্ফুটন। ছবিটির দিকে তাকালে একটি নিঃশব্দিক আবহ অনুভূত হয়। তিনটী ঘড়ি মানুষের অবচেতন মনের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে। ঘুমই মানুষের অবচেতন মনকে জাগিয়ে রাখে। অন্য কমলা রঙের ঘড়িটিতে পিঁপড়াগুলো কেন্দ্রের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে। এতে তিনি বুঝিয়েছিলেন সচেতন মনের দুশ্চিন্তাগুলো ঘুমন্ত অবস্থায় বিলুপ্ত হয়। মাঝখানের প্রতিকৃতিটি ঝাপ্সাভাবে আঁকা যা অনেককে এই ধারনা দেয় যে, তিনি এর মাধ্যম্যে দুঃস্বপ্নের দানবীয় আকৃতিগুলো ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন যেগুলো অবচেতন মনে ঝাপসা হয়ে থাকে।
ছবিটির অপর একটী ব্যাখ্যা এই যে, ছবিটিতে আলো আধারী দু’টি অংশ আছে এবং তীরে দু’টি পাথর ( ক্যাতালান শহরের স্মৃতি থেকে এই ল্যান্ডস্কেপটি তৈরি)। অন্ধকার অংশটী অবচেতন মন এবং আলোকিত অংশটিকে সচেতন মন হিসেবে দেখা হয়।
Millet’s Architectonic Angelusঃ
Millet’s Architectonic Angelus
The Invisible Manঃ zoloft birth defects 2013
দালি এই ছবিটি আঁকেন ১৯২৯ সালে। Giuseppe Arcimboldo – এর আঁকা ছবিগুলোর মত একটী দ্বৈত ছবি এটি। খুব গভীরভাবে দেখলে বোঝা যায় এই ছবিটী দালির তখনকার মানসিক অবস্থা প্রকাশ করেছে। বোল্ড এবং পপের মিশ্রণে খুব উজ্জ্বলে রঙ ব্যবহার করে ছবিটি আঁকা। ছবিটিতে তিনি এমন একজন মানুষকে গড়ে তুলেছেন যে শারীরিক এবং মানসিকভাবে ভঙ্গুর। অন্যভাবে বলা হয়, মানুষটি তার নিজের শরীর এবং মন দু’টোই হারিয়ে ফেলেছেন। ডানে নিচের দিকে কিছু স্তম্ভাকৃতির ফিগার দেখা যায় যেগুলো মূলত কাঁদছে Invisible man এর মৃত্যু বা হারিয়ে যাওয়ায়। সবচেয়ে নিচে কিছু পা দেখা যায় যেগুলো Invisible Man এর শরীর থেকে বেরিয়ে আসছে। এর দ্বারা অশুভ শক্তি থেকে বাঁচা এবং শুভ শক্তির বিকাশের প্রত্যাশা বোঝানো হয়েছে। ল্যান্ডস্কেপের অন্য উপানা দিয়ে এক ধরনের নির্লিপততাকে তুলে ধরা হয়েছে, যা মূলত বোঝায় সব কিছু কিভাবে তাকে লক্ষ না করে বয়ে যাচ্ছে
Geopoliticus Child Watching the Birth of the New Manঃ
Geopoliticus Child Watching the Birth of the New Man
দালির অন্যতম বিক্ষ্যাত চিত্রকর্ম এটি। ১৯৪৩ সালে আমেরিকায় অবস্থানরত অবস্থায় এই তৈলচিত্রটি আঁকেন তিনি। সিম্বলিজম এবং রনের ব্যবহারে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা ফুটে ওঠে ছবিটিতে। দালি ছবিটি সম্পর্কে লিখেছেন, “parachute, paranaissance, protection, cupola, placenta, Catholicism, egg, earthly distortion, biological ellipse. Geography changes its skin in historic germination.” acquistare viagra in internet
সাধারণভাবে ধরে নেওয়া হয় ডিম দ্বারা পৃথিবীকে বোঝানো হচ্ছে। ডিম থেকে একজন মানুষ বেরিয়ে আসছে। স্পষ্টত জায়গাটা আমেরিকা। মানুষটা এক হাত দিয়ে ইংল্যান্ডকে আচ্ছাদিত করে রেখেছে যা থেকে বোঝা যায় ইংল্যান্ড আমেরিকার অধীনেই থাকবে। ডিমের একটী অংশ থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে যা স্পষ্টত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা প্রকাশ করে। ডিমের উপরে থাকা প্যারাসুট বা কাপড়টি দ্বারা পৃথিবীকে রক্ষার ব্যাপারটি তুলে ধরা হয়েছে। ডিমের খানিকটা পাশে একজন মানুষ ও একজন শিশু দেখা যাচ্ছে। কারো মতে মানুষটির লিঙ্গ নির্ধারিত নয়। তবে অধিকাংশ তা একটি নারীমুর্তি হিসেবে ধরে নেয় যা শিশুটিকে ডিমটি দেখিয়ে অতীত (বিশ্বযুদ্ধ)-এর শিক্ষা দিচ্ছে। মানুষটি রুগ্ন, ক্ষয়ে যাওয়া, ভগ্ন কিন্তু শিশুটি বলশালী, পরিপুষ্ট ও স্বাস্থ্যবান। যা অতীতের জীর্ণতা থেকে বেরিয়ে একটি সুন্দর ভবিষ্যতের আশা প্রকাশ করে। অপরপক্ষে এই শিশুটির ছায়া বড়ো করে দেখানো হয়েছে এই বিষয়টি শিশুটির জন্য একটি তাতপূর্যপূর্ণ ঘটনা হয়ে থাকবে এবং একটি সুন্দর ভবিষ্যত গড়োবে। পেছনে আরো পাঁচটি মানব প্রতিকৃতি দেখা যায়। গ্লোবের দু’পাশে দু’টি নাচের ভঙ্গিমায় আছে। এর মাধ্যমে দালি বোঝাতে চেয়েছেন সমাজের উঁচু শ্রেণী এখান থেকে বের হয়ে আসতে পারলেও, নিচু শ্রেণীর সাথে তাদের কোন যোগসূত্র নেই।
বস্তুতু এই ছবিটির দালির একটি অনন্য মাস্টারপিস
The Face of Warঃ
১৯৪১ সালে এই তৈলচিত্রটি তৈরি করেন সালভাদর দালি। স্পেন তখন যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি শহর। তিন বছর গৃহযুদ্ধের ফলে জন্মভূমি যখন জীবন্ত লাশে পরিণত হয়েছে তখন দালি এই ছবিটী আঁকেন। মূলত একটি নারী মূর্তিকে কেন্দ্র করে ছবিটি আঁকা মুখাবয়টির চোখে এবং মুখের মধ্যে আরো একটি কংকাল তার ভেতর আরো একটি। অর্থাত মৃত্যুর গভীরে মৃত্যু। ছবির ডান দিকে নিচে রয়েছে দালির নিজের হাতের ছাপ। এ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, তিনি যুদ্ধকে অনুভব করেছিলেন। ছবিটির পেছনের ল্যান্ডস্কেপের গাঢ় রঙের ব্যবহার তৈলচিত্রকে জীবন্ত করেছে এবং সাথে যুদ্ধের বীভিসীকা তুলে ধরেছে।
Apparition of Face and Fruit- dish on a Beachঃ
Apparition of Face and Fruit- dish on a Beach
১৯৩৮ সালে আঁকা হয় এই ছবিটী। Wadsworth Atheneum Museum of Art, Hartford, Connecticut. –এ সংরক্ষীত রয়েছে। ছবিটি একটি ওয়াই গ্লাসে, পিয়ার ফলের সাথে একটি মুখাবয়বকে কে কেন্দ্র করে আঁকা। মুখাবয়বটি এক ধরনের optical illusion এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ফলের বাটিটি মুখাবয়বের কপাল, ফলগুলো ঢেউখেলানো চুল বোঝায়। চোখের অংশটি পেছনের ধুসর বালুপ্রান্তর এবং ল্যান্ডস্কেপের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যা মূলত দৃষ্টির গভীরতা বুঝিয়েছে।
Crucifixionঃ
১৯৫৪ সালে এই ছবিট আঁকেন দালি। এই সময়ে স্যুরিজমের প্রতি তাঁর আগ্রহ কমে এবং নিউক্লিয়ার বিজ্ঞানের প্রতি ঝোঁক বাড়ে। এই সময় এক ভিন্ন শিল্পকৌশল উদ্ভাবন করেন তিনি। যার নাম দেন nuclear mysticism।
will i gain or lose weight on zoloft
Dream Caused by the Flight of a Bee (1944)
private dermatologist london accutane
সালভাদর দালি মাত্র ছয় বছর বয়সে এই ছবিটি আঁকেন। হ্যা, মাত্র ছবছর বয়সে। এই ছবিটি নিয়ে পরবর্তীতে বেশ কিছু গবেষণাও হয়েছে।
তিনি সব মিলিয়ে প্রায় ১৫০০ এর মত শিল্পকর্ম রেখে গেছেন বিশ্ববাসীর জন্য। এসব ছবির পাশাপাশি দালি ভাষ্কর্য এবং শর্ট ফিল্ম নিয়েও কাজ করেন। স্যুররিয়ালিজম সম্পর্কিত Lobster Telephone এবং Mae West Lips Sofa দালির বিখ্যাত দু’টি ভাষ্কর্যকর্ম। শিক্ষা জীবনেই ছোটবেলার বন্ধু লুই ব্যান্যুয়েলের ১৭ মিনিটের শর্ট ফিল্ম Un chein anadalou তৈরি করেন। পরবর্তীতে হিচককের সাথে Spellbound মুভির ড্রীম সিকুয়েন্স তৈরি করেন। যা এখন দর্শকদের বিভ্রান্ত করে। libretto এর সেট ডিজাইনও তিনি করেন। দালির দ্বিতীয় ফিল্ম ছিল ব্যুনেলের সাথে L’Age d’Or,। এটি প্যারিসের Studio 28 এ ১৯৩০ সালে প্রদর্শিত হয়।
দালি ১৯৭৪ সালে তার নিজস্ব সংগ্রহশালা Teatro-Museo Dali, in Figueres, Spain তৈরি করেন।
১৯৮২ সালে St. Petersburg এ The Salvadour Dali museum স্থাপিত হয়। পরবর্তী তাঁর অপর একটী মিউজিয়াম Theatre Meuseum ফ্লোরিডার ফিগুইরাসে প্রতিষ্ঠিত হয়।
গালার মৃত্যুর পর দালির শরীরের অবনতি হতে শুরু করে। ১৯৮০ সালে তার শরীরের এক বিশাল পরিবর্তন ধরা পড়ে, তার নার্ভসিস্টেমগুলো ধীরে ধীরে শিথিল হতে শুরু করেছিল। ১৯৮৯ সালে দালি হার্ট ফেইলরের কারণে স্পেনে মারা যান।
দালি তার জীবদ্দশায় মাত্র ৩৭ বছর বয়সে আত্মজীবনী ‘The Secret Life of Salvador Dali’ লিখেন। ১৯৬৪ সালে স্পেনের সর্বোচ্চ শিল্পমর্যাদা The grand Cross of the Order of Isabella the catholic পান। ব্যতিক্রমীধর্মী ও অধিবাস্তব শিল্পকৌশলের জন্য তাঁর শিল্পকর্মগুলো চিত্রশিল্পীদের কাছে এক বিশাল রহস্য।
তথ্যসূত্রঃ
ক) উইকিপিডিয়া
তারিক লিংকন বলছেনঃ
metformin tabletদৃষ্টিসীমার শৃঙ্খল ভঙ্গকারী দার্শনিক ও চিত্রকর ‘সালভাদর ডালি’কে — শ্রদ্ধাবনত শতসহস্র স্যালুট :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু:
আর এই পরিশ্রমলব্ধ কাজটি করার জন্যে আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর আপনার প্রেরণা যদি হয়ে থাকে এই মহানশিল্পী তবে আমরা ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে। ভাল থাকবেন…
:-bd :-bd :-bd :-bd :-bd :জয় গুরু: :জয় গুরু: :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি: :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি: :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি:
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ %%-
আশরাফুল করিম চৌধুরি বলছেনঃ
অসাধারন এই পোষ্টটার জন্য ধন্যবাদ।
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
স্বাদতম
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
এক কথায় অনবদ্য লিখেছেন আপনি। এমন আরো অসাধারন পান্ডুলিপি দ্বারা সিক্ত হোক সভ্যদের অন্তর, সমৃদ্ধ হোক সভ্যতার বন্দর।
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
দার্শনিক ও চিত্রকর ‘সালভাদর ডালি’কে স্যালুট ।
অসম্ভব পরিশ্রমী ভাল একটি পোষ্ট লিখার জন্য লেখিকাকে অজস্র ধন্যবাদ ।
তারিক লিংকন বলছেনঃ
কি ঝামেলা দেখেন দেখি শাহিন ভাই। সভ্যতার কথনিয়াকে প্রিয়তে নেয়া এবং স্যালুটের ইমো দেয়ার কথা বলছি কিন্তু করছে না। লিখাটা আসলেই সেইরাম হইছে…
স্যালুট টু সালভাদর দালি… :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু:
মাশিয়াত খান বলছেনঃ side effects of quitting prednisone cold turkey
আপনাকে পড়ার জন্য ধন্যবাদ all possible side effects of prednisone
চাতক বলছেনঃ metformin synthesis wikipedia
দৃষ্টিসীমার শৃঙ্খল ভঙ্গকারী দার্শনিক ও চিত্রকর ‘সালভাদর ডালি’কে :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু:
আর য়াপনাকে এতো চমৎকার করে এই অসাধারণ পোস্টটি দেয়ার জন্য :-bd :-bd :-bd :-bd :-bd
দারুণ! ‘পরাবাস্তববাদ’ (Surrealism) এর অসীমতায় ধ্বংস হোক আমাদের সকল সীমিত দৃষ্টির শৃঙ্খলক!! এই আশাবাদ রইলো।
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ zithromax azithromycin 250 mg
আজকে কি এই ব্লগের মাস্টরপিস দিবস? একসাথে এতগুলো মাস্টারপিস পোস্ট হল!
অসাধারণ লিখেছেন অসাধারণ একজন মানুষকে নিয়ে।
চাতক বলছেনঃ
আসলেই মাস্টরপিস সব পোস্ট এল আজ :-bd :-bd :-bd :)>- :)>- :)>-
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
সোজা প্রিয়তে নিলুম।
অনেক কষ্টসাধ্য পোস্ট।
চাতক বলছেনঃ
আপনি না বললে তো খেয়ালই করতে পারতাম না। প্রিয়তে নিলাম %%- %%- %%- %%- %%- :গোলাপ নিন: :গোলাপ নিন: :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি: :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি:
নীহারিকা বলছেনঃ
অনেক ভাল লেগেছে । সাল্ভাদর ডালি কে স্যালুট ।