মাদ্রাসার ছাত্র আমীর
637
বার পঠিতআমীর বারো বছর বয়সের এক কিশোর। নামের সাথে সঙ্গতি রেখে বাবা-মায়ের ইচ্ছে পূরণে আমীর হবার জন্য মাদ্রাসায় পড়তে হয় তাকে। নাম করা মাদ্রাসা, আশে পাশের দু তিন গ্রামের মধ্যে নাম করা এ মাদ্রাসাটি। রাজধানীর ভিকারুন্নেসা,ধানমন্ডি বয়েজ কিংবা মতিঝিল আইডিয়ালের মত স্কুলে ভর্তি হবার জন্য কচি কাঁচা বাচ্চাদের যেমন ভর্তি যুদ্ধে উত্তীর্ণ হতে হয়, অন্যকে ঘায়েল করে নিজের মগজ ধোলাই করতে হয় ঠিক তেমনই এই মাদ্রাসায় ভর্তির ক্ষেত্রে। এ মাদ্রাসা তাই ধর্মীয় শিক্ষায় আগ্রহী বাবা-মায়ের জন্য এক স্বপ্নপুরী। ছোট বেলা থেকেই তারা নিজ নিজ সন্তানদের তৈরী করে তোলেন এর জন্য। গ্রাম হলেও পড়া লেখার প্রতি বেশ সচেতন এ গ্রামের লোক, বিশেষ করে ধর্মীয় শিক্ষা। কারণ এছাড়া মুক্তি নেই। ইহকাল কিংবা পরকালের সকল কিছুর সমাধান, সকল দরজার চাবি এ পথ।
কথা বলতে শেখার পর থেকেই ভর্তি যুদ্ধের মাঠে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করার কাজ চলতে থাকে। আমীর কে শেখানো হয় কোরানের বিভিন্ন আয়াত ও হাদিস। সে আরবি অক্ষর গুলো খুব সহজেই শিখে ফেলে, এ থেকে তার প্রখর মেধার প্রমাণ পাওয়া যায়। এক হুজুর তাকে আরবি লেখা ও পড়তে শেখায়, আমরা শহরের লোকেরা যাকে টিউশন বলে থাকি সেটাই। হুজুর আমীরের মেধার প্রশংসা করে প্রায়ই বলে জীবনে সে খুব উন্নতি করবে। সে তার এই ছাত্রের ব্যপারে নিশ্চিত ভাবে বলেছিল আলীপুর মাদ্রাসায় ও ভর্তি হতে পারবেই! তার কথার জয় হয়েছিল, আল্লাহর রহমতে মাদ্রাসায় ভর্তি হতে পারে আমীর।
ভর্তি হবার জন্য আগে শুধু আরবি লিখতে পড়তে পারলে এবং উর্দুতে একটু আধটু কথা বলতে পারলেই চলতো। কিন্তু এখন যারা বাংলা পারে তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়। জামিল সরকার কি সব বোর্ড পরীক্ষার প্রচলন করেছে তাতে বাংলা অবশ্যিক বিষয়। ছাত্ররা সব বিষয়ে ভাল করলেও এ বাংলা বিষয়টিতে খারাপ করে। হুজুরদের প্রায়ই আক্ষেপ প্রকাশ করতে শোনা যায় এ নিয়ে।
ওহ! আমীরের কথা বলছিলাম, মাদ্রাসার প্রথম সারির ছাত্র সে। কিন্তু ইদানিং কেমন যেন হয়ে গেছে! আগে কি সুন্দর করে উর্দুতে কথা বলতে পারত, ইদানিং শুধু বাংলায় কথা বলে। উর্দু বলতে চায় না। আবার উর্দু বলার ক্লাসেও অনুপস্থিত থাকে, মাদ্রাসার কোথাও তাকে খুজে পাওয়া যায় না। কোথায় যে যায় তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সব হুজুররা। গতবছর ক্লাস ফাইভের বোর্ড পরীক্ষায় গোল্ডেন এ’প্লাস পেয়েছিল আমীর, এ মাদ্রাসার একমাত্র আমীরই গোল্ডেন এ ‘প্লাস পেয়েছে। এই ছেলে মাদ্রাসার গর্ব, সেই ছেলেই কেমন যেন হয়ে গেল।
ইদানিং কোন উর্দু ক্লাসে পাওয়াই যায় না আমীরকে, কিভাবে কিভাবে যেন ফাঁকি দেয়। অন্য বিষয় গুলোতে ভাল হওয়ায় কিছু বলতেও পারে না হুজুরেরা। কিন্তু উর্দু না শিখলে কি করে হবে! মাহফিলে বয়ান দিতে তো উর্দু শিখতেই হবে, ঠিক মত বলতে না পারলে আবার নাস্তিকেরা আর মালোয়ানেরা কত কথা বলবে, টিটকারি করবে।
একদিন খোঁজ পাওয়া গেল পাশেই অবস্থিত ছোট একটি স্কুল, সেখানেই আছে আমীর। সেই স্কুলের বাংলা শিক্ষিকা ফাতেমা। ফাতেমা’র বাংলা ক্লাসেই আমীর বসে আছে। মাস খানেক আগে লুকিয়ে একটা ক্লাসের বাইরে বসেছিল আমীর, ফাতেমা বাংলা ক্লাস নিচ্ছিল তখন। ফাতেমা দেখে ফেলায় দৌড়ে পালিয়ে যায় সে। পরের দিন আবার ফাতেমার ক্লাসের বাইরে, আগের দিনের পুনরাবৃতি ঘটার আগেই তিনি ছেলেটাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করেছিল কেন সে এখানে আসে? সে কে? কি তার পরিচয়? ছল ছল চোখে নিয়ে আমীর বলেছিল , সে বাংলা শিখতে চায়। মাদ্রাসায় বাংলা পড়ায় না, উর্দু পড়ায়। সে বাংলা বইয়ে পড়েছে বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছিল আমাদের দেশের মানুষরা, আমীর সেই বাংলা ভাষায় পড়তে চায়। বাংলার প্রতি এমন আকর্ষণ দেখে ফাতেমা তাকে রোজ আসতে বলে দেয়। তখন থেকেই উর্দু ক্লাস ফাঁকি দিয়ে চলে আসে আমীর, ফাতেমা যেখানেই বাংলা কিংবা ইতিহাসের ক্লাস নেয় সে ক্লাসেই বসে থাকে আমীর, বাংলা পড়ে, শোনে বাংলার ইতিহাস।
ঘটনায় ফিরে আসি, আমীরের খবর পেয়ে কয়েকজন হুজুর মিলে চলে আসে স্কুলটিতে । আমীরকে জায়গা দেয়ার জন্য বিচারের সম্মুখীন হতে হয় ফাতেমাকে, ফাতেমা নিশ্চুপ। তাকে শাসিয়ে দেয়া হয়েছে মুখ দিয়ে যেন একটা শব্দও বের না করে। অনেক অপমান করা হয় তাকে, এ সুযোগে অনেক বিজ্ঞ ব্যক্তি আবারও প্রমাণ করেন নারী শিক্ষা অনাবশ্যক। বাংলায় কথা বললেও কথার ফাঁকে ফাঁকে দুই একটি কথা উর্দুতে বলে রস জোগায় বিচারকের আসনে বসা সম্মানীত হুজুরেরা। এক হুজুর আমীরকে শক্ত করে ধরে রেখেছিল, হঠাৎ আমীর হুজুরের হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে দৌড়ে ফাতেমার কাছে চলে যায় আর বলে ওঠে
“”যে সবে বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গবানী। / সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।””
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
:কস কি মমিন?: :কস কি মমিন?:
মানে কি!!!!!!!!!!!!!
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ
সেই যে কবি ছিলো, নিশ্চুপ থাকতো
বিহ্বল বাক্য বলতো
কানে রেখে চোখ শুনতো কথা,
জমাতো চাঁদের ছায়া, ভেজা ভেজা আলোর বিন্দু।
কোল ভরে যাচনা করতো
রাতের শুকনো শুকনো পাতা,
সময়ের এই গাঢ় অরণ্যে
বাছতো কাঁচা-পাকা মুহূর্ত।
হ্যাঁ, সেই আজব কবি
রাতে ঘুম থেকে উঠে বাহুসন্ধিতে ভর দিয়ে
চুমু খেতো চাঁদের ঠোটে।
সে মরে গেলো চাঁদ থেকে পড়ে
আর লোকে বললো ওটা আত্মহত্যা….।
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
বুঝিলাম নারে ভাই বুঝিলাম না posologie prednisolone 20mg zentiva
জাফরান দেশের কাঁচপোকা বলছেনঃ
থিমটা ভালো লাগলো। কিন্তু গল্পের কোথায় কি যেন একটা নেই!! :-@
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
irbesartan hydrochlorothiazide 150 mgভাল লিখবার চেষ্টা করবো…… ovulate twice on clomid
নীহারিকা বলছেনঃ
will metformin help me lose weight fastভাল হয়েছে । দুইটি সংশোধন – জামিল= জালিম , মালোয়ান= মালাওন
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
ধন্যবাদ দিদি……
;;)
তারিক লিংকন বলছেনঃ
ভাল লাগলো! থিম চমৎকার তবে সবার কথা শুনলে আরও ভাল হবে। লিখতে লিখতে জয় একদিন আশাকরি সবার মন জয় করতে পারবে।
:কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি: :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি:
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
সবার মন জয় করবার অপেক্ষায় রইলাম…… পড়বার জন্য ধন্যবাদ……
ঋতানৃত তূর্য্য বলছেনঃ tome cytotec y solo sangro cuando orino
প্লটটা অসাধারণ…
সব মিলিয়ে ভালোই লেগেছে…
আশা করি আগামীতে আরো ভালো লেখা পাবো… doctus viagra
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
ভাল লেখার চেষ্টা করবো…… ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগলো……
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
ভাল লেখার চেষ্টা করবো…… ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগলো……
আশরাফুল করিম চৌধুরি বলছেনঃ
প্লট ভালো।
গভীরতা বাড়ানো উচিত ছিল।
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
পরবর্তীতে চেষ্টা করবো। পড়বার জন্য ধন্যবাদ
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
গল্পের থিমটা অসাধারণ । ভাল লিখেছ জয় ।
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
:গোলাপ নিন: :গোলাপ নিন: :গোলাপ নিন: ধন্যবাদ…
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
সবার সাথে আমিও একমত… বেশ ভাল লেগেছে গল্পটা … :)>- :)>- :)>- :)>- :)>- all possible side effects of prednisone
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগলো… সাথেই থাকুন
চাতক বলছেনঃ
buy kamagra oral jelly paypal uk:প্রতীক্ষায় আছি…: :প্রতীক্ষায় আছি…: :প্রতীক্ষায় আছি…: :দে দে তালি: :দে দে তালি: :দে দে তালি:
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
:গোলাপ নিন: :গোলাপ নিন: :গোলাপ নিন: :গোলাপ নিন: :চলেন চা খাই: :চলেন চা খাই: :চলেন চা খাই:
রাজু রণরাজ বলছেনঃ
তবে জয়ের গল্প লেখার হাত অনেক ভালো, প্রানবন্ত এগিয়ে যাওয়াটা আছে। ♥
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
ধন্যবাদ দাদা… সাথে থাকুন। ভুল গুলো ধরিয়ে দিলে আরও ভাল লিখতে পারবো আশা করি…
অংকুর বলছেনঃ
চিন্তার পরিধি একটু বাড়াবেন । ভালো হয়েছে
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
বুঝলাম না!
একেলা পথের পথিক বলছেনঃ
জয় এই ধরণের থিম দিয়ে ভাঢা আন্দোলন অথবা মুক্তিযুদ্ধের গল্প লেখার চেষ্টা কর খুব ভালো হবে ।। ভালো লাগ্লো আমার কাছে …… m/
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
চেষ্টা করব দাদা। মন্তব্য ও পড়ার জন্য ধন্যবাদ……
সফিক এহসান বলছেনঃ
সবাই বলছে “প্লট”টা ভাল, “প্লট”টা ভাল…! “প্লট”টা তো ভাল হবেই; দেখতে হবে না ছেলে থাকে কোথায়? ছেলের বাড়ি ধানম্নডি! তা ওখানকার প্লট ভাল না হয়ে যাবে কোথায়???
জয়, তোমার প্লট কত করে কাঠা? ও,এল,এক্স-এ এড দিয়ে বেঁচে দাও!
মজা করলাম… এখন কাজের কথায় আসি। মজা করে বললেও কথা সত্য- জয়ের প্লটগুলো আসলেই ভাল। কিন্তু একটা ভাল প্লটও যেমন ভাল দাম পায় না শুধু মাত্র প্লটের আর সব জিনিস ডেভেলপ না হওয়ার জন্য, ঠিক তেমনি জয়ের গল্পগুলোতে দেখা যায় একটু ডেভেলপের অভাব…!
এখানকার যুগ হচ্ছে ডেভেল্পমেন্টের যুগ। পুকুর-ডোবা ভরাট করেও যদি ল্যান্ড ডেভেলপ করা যায় তাহলে ভাল দাম পাওয়া যায়। আমি জয়কে বলব তোমার অনেক ভাল ভাল প্লট আছে, জাস্ট এগুলোকে একটু ডেভেলপার দিকে মন দাও। তাহলেই বিশাল কিছু হয়ে যাবে…
]
কিভাবে করবে ডেভেলপের কাজ? জাস্ট প্রচুর পড়! যে কোন টাইপের বিভিন্ন লেখকের লেখা প্রচুর পড়তে থাক। শীর্শেন্দু-সুনীল-সমরেশ-হুমায়ূন যা পাও পড়তে থাক। বিষয়বস্তুর পাশাপাশি রচনাশৈলী ও বাক্য বিন্নাসে একটু নজর দাও। সেই সাথে মাঝে মাঝে একটু পাঠকের চাহিদার দিকে খেয়াল রেখে সংগতিপূর্ণ কাহিনী বিন্যাস… ব্যস জয়কে আর পায় কে?
জয় সত্যি সবার মন জয় করে নেবে একদিন!
[বিঃদ্রঃ ছোটবেলায় আমি যত যত সাজেশন পেয়েছি সব চান্সে একেবারে ঢেলে দিলাম!
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
আপনার এই মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই……
বই পড়ার কাজ চলছে……
রবিন রেজোয়ান বলছেনঃ puedo quedar embarazada despues de un aborto con cytotec
accutane pricesভালো! কিন্তুউউউ! শেষটা খাপছাড়া মনে হইসে!
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
পড়ার জন্য ধন্যবাদ বন্ধু