প্রথম বিশ্বযুদ্ধ -০৪
311
বার পঠিতগ্যাভরিল প্রিনসেপ, ত্রিফকো গ্রাবেজ ও নেদেলজকো ক্যাব্রিনভিচের সাথে ব্ল্যাক হ্যান্ডের গোপন চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী তারা ১৯১৪ সালের মে মাসের শেষের দিকে সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেড থেকে সারাজেভর দিকে রওনা দেন। ব্ল্যাক হ্যান্ড সেকেন্ড ইন কম্যান্ড মেজর তাঙ্কচিভের দেয়া ব্রাউনিয়া পিস্তল দিয়ে গ্যাভরিল প্রিনসেপ ইতিমধ্যে বেলগ্রেড শহরের অদুরে ক্রুশিনিয়াক পার্কে টার্গেট প্র্যাকটিস করেছে। accutane prices
২৮ মে তারা বেলগ্রেড শহর থেকে নৌকায় সাভা নদীর মধ্য দিয়ে চলে সাভাকে এসে পৌঁছে। সেখানে সার্বিয়ার বর্ডার গার্ড ক্যাপ্টেন পপভিকের সাথে দেখা করে একটা খাম ধরিয়ে দেন। পপভিক তাদেরকে ট্রেনে করে আরেক বর্ডার শহর লজনিকা যাওয়ার ব্যাবস্থা করে দেন, সাথে ক্যাপ্টেন প্রানভিকের জন্য বার্তা পাঠান। ২৯ শে মে তারা যখন লজনিকায় ক্যাপ্টেন প্রানভিক সাথে দেখা করে তাদের গন্তব্য সম্পর্কে জানায়।
তাদের সেই গোপন মিশনের কথা যদিও খুব বেশী দিন গোপন থাকেনি। বসনিয়ার গভর্নরের কাছে খবর পৌঁছে যায় সার্বিয়া থেকে তিন যুবক ফ্রান্স ফারদিনান্দের হত্যা মিশন নিয়ে ইতিমধ্যে রওনা দিয়েছে সারাজেভর পথে। কিন্তু গভর্নর অস্কার পিটিওরেক তার বাহিনীকে তা অবহিত করলেও কেউ সেভাবে গুরুত্ব দেয় নাই বা ব্যাবস্থা নেয় নাই তাদের বিরুদ্ধে।
গ্রেফতার এড়ানোর জন্য লজনিকা শহরে থেকে তারা দুই গ্রুপে ভাগ হয়। প্রিনসেপ ক্যাবিনভিচকে একা যভরনিক হয়ে তুযলা যাবার পরামর্শ দেন। ক্যাবিনভিচ সেখানে প্রিনসেপ ও গ্রাবেজের অস্ত্র রেখে একা রওনা দেন তুযলার পথে। ৩০ শে মে সকালে সার্জেন্ট প্রানভিচের পরামর্শে সার্জেন্ট বুদিভজ গ্রাবিজ তাদের দুইজনকে দ্রিনা নামের ছোট্ট নদীর মাঝে অবস্থিত ইসাকভিচ দ্বীপ পর্যন্ত হাটায়ে আনেন, যা কিনা সার্বিয়া ও বসনিয়াকে আলাদা করেছে। ৩১ শে মে তাদের অস্ত্র অন্য পথ হয়ে সেখানে এসে পৌঁছায় ।
গ্রাবিজ তাদের দুইজন ও তাদের অস্ত্র একজন সারবিয়ান নারদনা অদব্রানা (বসনিয়ান সার্ব মুক্তি আন্দোলন গ্রুপ) গ্রুপের সদস্যর কাছে দিয়ে নিজে ফিরে যান। তাকে তাদের কাজ ও দায়িত্ব সম্পর্কে বুঝিয়ে দেন যেন তারা কোন ভাবেই অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি বাহিনীর হাতে ধরা না পরে। প্রিনসেপ ও গ্রাবেজ ১ জুনে অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরীর বর্ডার ক্রস করে। তাদেরকে নানান এজেন্টের হাত বদলিয়ে ৩ জুন অস্ত্রসহ তুজলায় পৌঁছে দেয়া হয়। সেখানে তারা নারদনা অদব্রানা এর একজন সদস্য মিস্ক জভানভিচের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে পুনরায় ক্যাবিনভিচের সাথে মিলিত হয়।
চাতক পাখি বলছেনঃ
metformin tabletখান-ভাই আপনার সিরিজের একজন নিয়মিত পাঠক হয়ে গেলাম! আপনার পর্বগুলো আরেকটু বড় করা যায় না? এতো ছোট পড়ে মন ভরে না ;;) ;;) ;;) :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি: :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি: :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি: %%- %%- %%- %%-
তারিক লিংকন বলছেনঃ
উনি খান ভাই না আশানুর রহমান ভাই। যাহোক আপনার সাথে একমত ইতিহাস ভিত্তিক লিখা এতো ছোট হলে মন ভরে না। এমনকি এর দিগুন সাইজও ইতিহাস ভিত্তিক ব্লগ পোস্ট হয়। তাছাড়া আপনার ধারাবাহিকতা ভাল লেগেছে। এই ইতিহাসো সকলের জানার দরকার।
%%- %%- %%- %%- এই পরিশ্রমলব্ধ কাজটি করবার জন্য