Author: এম এ আউয়াল চৌধুরী

নিঃশব্দে বলে যাই কত কথা বিন্যস্ত করি কবিতার পঙ্কতি আঁকি- তোমার ছবি ভ’রি মনের গোপন শুভ্রপাতা ৷ কতকাল-আর কতকাল এভাবে পার করবো দিনেরপর দিন আর কত ঝড়াবো… নদী বিরহ সূচে গাঁথবো অশ্রুমালা ! ক্লান্তিহীন ডাকি কেবলই তোমাকে শুকি অশোকের ঘ্রাণ তুমি এসো, এসো হে যথাযত, অক্ষত অম্লান ৷ ভিড়াও তোমার প্রণয় ভরা তরী ভাঙ্গো দার্ঢ্য মৌনতা, জীবনের পথ হাঁটছি-বুকে নিয়ে ভালবাসার প্রথম সুখ প্রস্তাবনা ৷

আমি মহাকালের গর্ভে বিলীন থেকেও শুনেছি তোমার কণ্ঠস্বর তোমার করুণ সঙ্গীতে আমাকে আসতেই হলো আঁচল ভ‌’রে নিয়ে আবির চূর্ণ ওগো ক্লান্ত, সুদর পাহূন ফিরে দ্যাখো… ওগো কবি- একবার নয় শতবার স্পর্শকর করতলে ছুঁয়ে দ্যাখো অরণ্যের স্নিগ্ধতা পাহাড়ের উচাই, খোঁজ নদীর গভীরতা… আমিই সেই কণকচাঁপা ফুল অগ্নিঝরা তোমার ছনম’ -তোমার কবিতা ৷

আমি কি তোমাকে বেঁধে রেখেছি? নাকি আমার আছে সে ক্ষমতা ! আমার কাছে কোন শিকলই তো নেই না সোনার না ভালবাসার লোহার শিকল তো খোলাযায় অনায়াসেই চাবিতে ৷ চাবিহীন ওই শিকল -আমি পাব কই ! সোনার ; ভালবাসার আমার না আছে অর্থ প্রাচুর্য না বুক ভরা ভালবাসা আমার তো কিছুই নেই আমি কি দিয়ে বাঁধবো তোমায় !? থাকলে না হয়… তুমি যখন বারবার আমাকে বল ‘আমি যা’ই- আমার তখন মনে হয় কি জানো! আমাকে কী করুণ উপহাস কর ৷

যারা -আমার কথা রাখেনি ভাঙ্গলো স্বপ্ন ভাঙ্গলো বিশ্বাস ভাঙ্গলো সব – আমার কী এতো দায়, চলি সময়ের কাঁটায় কাঁটায় ৷ ভালবাসা বিদ্বেষে কামে -ও ক্রোধে- রক্ত মাংশের আমি ও তো মানুষ, আছে মোহ নির্মোহ আমি তো নেইনি এমন কোন ব্রত সংযমী হতে হতে হয়ে উঠবো অতি মানব ৷ কেবল- ছলনা আর মায়ার কাছেই কী বিকাবো এই জীবন ! যারা এসেছে কেবল করুণা নিয়ে মিথ্যেয় সাজাতে চেয়েছে ভরাতে চেয়েছে এই জীবন-মনপ্রাণ, দূর থেকে শুধু করুণ প্রার্থনায় শুভ কামনা করি এর প্রতিদান তারা না পাক ভাল থাক ভাল থাক ৷ মৃত্যুকে কাছে টেনে ছুঁইবো শূণ্য দু ‘হাতে কাঙ্খীত সেই নীল আকাশ আনন্দ...