গণহত্যা ১৯৭১: ভয়াবহতার চিত্র
47407 euro moneta cipro
বার পঠিত paphos cipro spiaggeযে কোন গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শী, ভুক্তভোগী ও উপস্থিত সাক্ষীদের সংখ্যা যতবেশী কমতে থাকে সে গণহত্যার অস্বীকারকারীদের সংখ্যাও ততবেশী বাড়তে থাকে। এমন না যে, তারা সরাসরি সম্পূর্ণ ঘটনাকে অস্বীকার করে ফেলে, বরং ঘটনাটাকে স্বীকার করেই ঘটনার ভয়াবহতার ও নৃশংসতার তীব্রতা ও মাত্রা কমানো শুরু করে। একাত্তরেপাকিস্তানিরা যে ধরণের নির্যাতন করেছিল তার ভয়াবহতা কিংবা ব্যাপকতা আমাদেরএই প্রজন্মের কাছে অনেকটা অকল্পনীয়, কখনো কখনো অবিশ্বাস্য মনে হয়। এই সুযোগটা আজে লাগিয়ে কিছুটা সত্য ও কিছুটা মিথ্যের আশ্রয়ে বিভিন্ন যুক্তির জাল বিস্তার করে এই অস্বীকারকারীরা সহজেই নতুন প্রজন্মের মগজ ধোলাই করে এবং এর ফলশ্রুতিতে যা হয় সেটার প্রভাব আমাদের দেশের চতুর্দিকে বিদ্যমান। ত্রিশ লক্ষ শহীদের সংখ্যা শুধু কমছে, পাকিস্তানিদের প্রতি আমাদের প্রেম বেড়েই চলছে।
একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর, অর্থাৎ বিজয়ের পরপরই এ দেশ থেকে প্রচারিত গণমাধ্যমে বাংলা জুড়ে পরিচালিত গণহত্যার ভয়াবহতা ও নির্মমতার ছবি ও খবর প্রকাশ হত নিয়মিতভাবে – যা কিনা আজকের আমাদের প্রজন্মের জন্যে এক অসাধারণ দলিল। এই ছবিগুলোর দিকে একটু যত্নের সহিত চোখ বুলালেই নজরে পড়বে পাকিস্তানিদের নির্মমতা ও নৃশংসতার তীব্রতা! ১৯৭২ সালের বিভিন্ন পত্রিকায় গণহত্যার যে প্রতিবেদনগুলো পাওয়া যায় সে অনুযায়ী অঞ্চলভিত্তিক নিহতদের সংখ্যার দিকে একটু নজর দেয়া যাকঃ
দিনাজপুর – ৭৫,০০০
চাঁদপুর – ১০,০০০
বরিশাল শহর – ২৫,০০০
ঝালকাঠি – ১০,০০০
রংপুর – ৬০,০০০
আখাউড়া – ২০, ০০০
ঠাকুরগাও – ৩০,০০০
চট্টগ্রাম – ১ লাখের উপরে
সেতাবগঞ্জ – ৭,০০০
পার্বতীপুর – ১০,০০০
কুড়িগ্রাম – ১০,০০০
সৈয়দপুর – ১০,০০০
কুষ্টিয়া – ৪০,০০০
নওগা – ২০,০০০
কুমিল্লা – ২০,০০০ viagra 7000mg
নড়াইল – ১০,০০০
বগুড়া শহর – ২৫,০০০
জামালপুর – ১০,০০০ pastillas tipo viagra para mujer
চৌদ্দগ্রাম থানা – ১০০০ vorst 50 sildenafil que es
স্বরুপকাঠি ও বানরীপাড়া – ৫০০০
মানিকগঞ্জ – ১০০০
নরসিংদী – ১০১৯ buy cheapest levitra
হাজিগঞ্জ – ৩০,০০০
সিলেট – ১০,০০০
খুলনা – ১ লাখের উপরে
হরিরামপুরে একটি পুকুরে পাওয়া গিয়েছিল ১০,০০০ নরমুন্ডু। কুমিল্লায় ১১ দিনে উদ্ধার করা হয়েছিল ৫০০, জয়পুরহাটে একদিনে ৫০০ – এর বেশী, দিনাজপুরের দুটি গ্রামে ৩৭০০০, শেরপুর জেটিতে ২০০০।
[সূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ – মুনতাসির মামুন]
বুঝতে হবে এ হিসাব শেষ নয়, ছিটেফোটা মাত্র; এর বাইরে ছিল ভয়াবহতার আরো অনেক অনেক ছবি।
আমাদের সিনিয়রদের অনেক দিন ধরে নিঃস্বার্থ পরিশ্রমের কারণেই অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ১৯৭২ এর সে সময়ের বিভিন্ন পত্র – পত্রিকার ছবি ও পেপারকাটিং। সে ছবিগুলোই তুলে ধরলাম; কৃতজ্ঞতা সকল সিনিয়রদের প্রতি যাদের কল্যানে এই পেপারকাটিং গুলো পড়ার কিংবা দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। আজ ছবিই কথা বলবে ____

[বাংলাদেশ অভজারভার, ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৭১]

[বাংলাদেশ অভজারভার, ৪ জানুয়ারী, ১৯৭২]
The military action was a display of stark cruelty, more merciless than the massacre at Bukhara and Baghdad by Changez khan and Halaku khan and at JalianwalaBagh by British General Dyer। – নিয়াজী

[দৈনিক পূর্বদেশ, ৫ জানুয়ারী, ১৯৭২]

[দৈনিক পূর্বদেশ, ৭ জানুয়ারী, ১৯৭২] alcohol impotence and viagra
ঝোপ ঝাড়ের ফাঁকে ফাঁকে যেখানেই চোখ ফেলেছি – দেখেছি শুধু মানুষের কঙ্কাল। কোথাও পরনের টুকরো কাপড়টা এখনও আছে – কোথাও মাথার চুল, গাঁয়ের গেঞ্জি। একটি জিনিসের ব্যাপারে সব কঙ্কালের মিল রয়েছে। তা হচ্ছে রশি বা কাপড় দিয়ে হাত বাধা। এখন হাড়ের সাথে রশিগুলো আটকে রয়েছে [সূত্রঃদৈনিক পূর্বদেশ, ৭ জানুয়ারী, ১৯৭২] vimax 50 es viagra
“ … এক মেয়েকে পেয়ারা বাগান থেকে ধরে এনে সবাই মিলে পাশবিক অত্যাচার চালায়। তারপর তিনদিন যাবত ব্লেড দিয়ে শরীর কেটে কেটে লবন দিয়েছে। অশেষ যন্ত্রনা লাঞ্চনা দেওয়ার পর মেয়েটিকে গুলি করে হত্যা করা হয়…” -স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র ৮ম খন্ড

[দৈনিক পূর্বদেশ, ২১ জানুয়ারী, ১৯৭২]
আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই
আজো আমিমাটিতে মৃত্যুর নগ্ন নৃত্য দেখি
ধর্ষিতার কাতর চিৎকার শুনি আজো আমি তন্দ্রার ভেতরে…

[দৈনিক পূর্বদেশ, ২৯ জানুয়ারী, ১৯৭২]

[দৈনিক পূর্বদেশ, ২৯ জানুয়ারী, ১৯৭২]
There must be more killing, more mopping up and more witch hunting - নিয়াজী

[ বাংলাদেশ অভজারভার, ৩১ জানুয়ারী, ১৯৭২]
ঢাকা থেকে বিমান বন্দরে যাবার সময় দু ধারে আমি ব্যাপক কবর দেখতে পাই ঢাকার রাস্তাগুলোতে গলিত মৃতদেহ ছড়িয়ে রয়েছে। এর অধিকাংশ মহিলা ও শিশুদের। সে এক অতি ভয়ঙ্কর দৃশ্য। শিশুদের এইভাবে হত্যা করা হচ্ছে কেন জিজ্ঞাসা করা হলে পাকিস্তান বিমান বন্দরের একজন অফিসার তাকে বলেন, “এদের মারাই ভাল, কেননা এরা পাকিস্তানী বিরোধী হয়ে বড় হবে”। - পূর্ব বাংলা থেকে বিমানে নিয়ে আসা জনৈক ব্রিটিশ।
[সুত্রঃ মুক্তিযুদ্ধের ছিন্ন দলিলপত্র - মুনতাসির মামুন]

[ বাংলাদেশ অভজারভার, ২ ফেব্রুয়ারী, ১৯৭২] allergic reactions to prednisolone eye drops
is metformin safe during pregnancy

[ বাংলাদেশ অভজারভার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ১৯৭২]
একটি গ্রিক সওদাগরী জাহাজের অফিসার লে কনস্টানটিন জিরোজ, পূর্ব পাকিস্তান থেকে ফিরে এক সাক্ষাতকারে বলেন, পশ্চিম পাকিস্তানী সৈন্যরা চট্টগ্রামের এক হাসপাতাল থেকে রোগীদের টেনে বের করে এনে রাস্তায় তাদের খুন করে। পশ্চিম পাকিস্তান বাহিনী চট্টগ্রাম দখল করতে আসে এবং অচিরে রাস্তাগুলি মৃতদেহে ভরে যায় এবং সেগুলি খেতে থাকে কুত্তার দল। doxycycline capsules ip 100mg
[সুত্রঃ মুক্তিযুদ্ধের ছিন্ন দলিলপত্র - মুনতাসির মামুন]

[ বাংলাদেশ অভজারভার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ১৯৭২ side effects of long term use of viagra

[ বাংলাদেশ অভজারভার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ১৯৭২]
“…পাক সেনারা বিনা বাধায় ঢুকে যায় হলে। শুরু হল ওদেরতান্ডব। আমি ঘরেবন্দী থেকে ওদেরতান্ডব প্রত্যক্ষ করিনি। তবে ওদের অট্টহাসি ও ছাত্রদেরআর্তচিৎকারসবকিছু আন্দাজ করছি। ওরারুমে, বাথরুমে, কার্ণিশে ছাত্রদেরখুজতে থাকে। কোন ছাত্রকে পেয়ে গেলে ওরা পৈশাচিক আনন্দে চিৎকার করতো। ‘ওস্তাদ, চিড়িয়া মিল গিয়া‘। তারপরেই শুনতে পেতাম অসহায় বন্ধুর তীব্রচিৎকার। এভাবে চলতে থাকে ওদেরনরমেধযজ্ঞ …” can metformin cause severe diarrhea
- তপন বর্ধন – ২৫ শে মার্চ রাতে জগন্নাথ হলের গণহত্যার হাতথেকে মুক্তি পাওয়া সৌভাগ্যবানদের একজন

[ বাংলাদেশ অভজারভার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ১৯৭২]
বিবিসির সংবাদদাতা সিলেট সফরের সময় লালমাটিয়াতে বেশ কয়েকটি গণকবর দেখতে পান। এক হিসাব মতে, শুধুমাত্র লালমাটিয়াতে পঞ্চাশের উপরে গণকবর আছে এবং প্রতিটা কবরে দুই থেকে তিন ডজন শরীর পাওয়া যাচ্ছে। পাশবিক পাকিস্তানিরা প্রথমে মাটি খুড়ত, নিস্তেজ শরীরগুলোকে ছুড়ে ফেলে দিত গর্তের মধ্যে এবং তারপর লাশগুল মাটিচাপা দিয়ে চলে যেত।
শহরের পাশেই শালুটিকরের রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলে পাকিস্তানি দখলদাররা ক্যাম্প গড়েছিল এবং সেখানেই শুধু মাত্র পাচ হাজারের বেশি লোককে হত্যা করা হয়েছিল। - [ সূত্রঃ বাংলাদেশ অভজারভার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ১৯৭২]

[ বাংলাদেশ অভজারভার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ১৯৭২]
যুদ্ধশেষে ক্যাম্পের একটি কক্ষ থেকে কয়েকটি কাঁচের জার উদ্ধার করা হয়; যার মধ্যে ফরমালিনে সংরক্ষিত ছিলো মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন অংশ। অংশগুলি কাটা হয়েছিলো খুব নিখুঁতভাবে। -খুলনার ডা. বিকাশ চক্রবর্তীর

[ বাংলাদেশ অভজারভার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ১৯৭২] a randomized double-blind placebo-controlled dose-ranging study of oral sildenafil
পাকিস্তান সেনাবাহিনি সাম্প্রতিক সময়ে বিদ্রোহীদের খুজতে আসার ভান করে ডেমরা গ্রাম ঘেরাও করে। তারপর ১২ থেকে ৩৫ বছর বয়সী সকল নারীকে ধর্ষন করে এবং ১২ বছরের বেশি সকল পুরুষ্ কে হত্যা করে। - নিউজ উইক, ১৫ নভেম্বর, ১৯৭১।

[ বাংলাদেশ অভজারভার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ১৯৭২]
একজন মেজর ছিলেন, তার সঙ্গে আমরা দুই ঘন্টা ধরে আলোচনা করি। যুদ্ধ শেষ হলে তিনি কি করবেন সে সম্বন্ধে তিনি অনর্গল বকে যান।
তিনি বললেন, এটা ভারী মজার ব্যাপার, এটা শেষ হয়ে গেলে, কোন বাঙ্গালীকে আরগাড়ী চালাতে হবে না।। কেবল বিদেশীরা এবং পশ্চিম পাকিস্তানিরা গাড়ি চালাবে।
তারপর তাদের এই ক্লাব চট্টগ্রাম ক্লাব। কুত্তা ও বাঙ্গালীদের এই ক্লাবে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। prednisone side effects eyesight
পুলিশ লাইনস ও যেখানে কিছু বাধা দেয়া হয়, সেখানে যারা বেঁচে গিয়েছিলেন, তাদের লাইন করে দাড় করিয়ে গুলি করে মারা হয় এবং তাদের মৃতদেহ, মেজরটি বলেন, কুকুরকে খাওয়ানো হয়, কারণ কুকুররা প্রায় এক মাস খায় নি।
মেজরটি বলেন, চট্টগ্রামে আমি একটি বাঙালী রক্ষিতা রাখব। এবং আমি চাই সেনাবাহিনীর প্রত্যেকে একটি করে বাঙালী রক্ষিতা রাখে …
কথাগুলো চট্টগ্রাম থেকে সরিয়ে আনা এক মার্কিন ইঞ্জিনিয়ার বলছিলেন! olanzapine fluoxetine prescribing information
[সুত্রঃ মুক্তিযুদ্ধের ছিন্ন দলিলপত্র - মুনতাসির মামুন]

[ বাংলাদেশ অভজারভার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ১৯৭২]

[ বাংলাদেশ অভজারভার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ১৯৭২]
“মুক্তিযোদ্ধা বদির দুই আঙ্গুল কেটে দিয়েছে, ডান হাত ভেঙ্গে দিয়েছে এবং মেরুদন্ড বাট দিয়ে পিটিয়ে কুজো করে দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা আজাদের ও একই অবস্থা। মুক্তিযোদ্ধা রুমির চেহারা বিধ্বস্ত, তাঁকে চেনাই যাচ্ছিল না, তার ও আঙ্গুল কেটে দিয়েছিল ও পা ভেঙ্গে দিয়েছিল। সুরকার আলতাফ মাহমুদের হাতের কব্জি কপানো ছিল, আঙ্গুল গুলো কাটা ছিল, ওনার ঠোট দুটো শসার মতো ফুলা ছিল। মুখমন্ডলে রক্ত জমাট হয়ে ফুলে উঠেছিল। ওনার ও মেরুদন্ড বাট দিয়ে পিটিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা জুয়েল ভাইয়ের দুই আঙ্গুল কেটে দিয়েছিল। তার বাম কান দিয়ে রক্ত ঝরছিল। তার ও মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়েছিল”। – মুক্তিযোদ্দা জহির উদ্দিল জালাল ওরফে বিচ্ছু জালাল

[বাংলাদেশ অভজারভার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ১৯৭২]
সমাপিকাঃ
“বাংলার মাটি পরম আদরে তার বীর সন্তানকে ধারণ করেছে। জোছনার রাতে সে তার বীর সন্তানদের কবরে অপূর্ব নকশা তৈরী করে। গভীর বেদনায় বলে, আহারে! আহারে!” [“জোছনা ও জননীর গল্প”] budesonide vs prednisone for cats
নীহারিকা বলছেনঃ
buy viagra melbourne australiaকি ভয়াবহ!
kabir বলছেনঃ
বিচার চাই পাকিস্তানি নরপশুদের।বিচারের আগে শরীর কেটে লবন লাগানো হোক,তারপর ফাসি।
Love Zone BD বলছেনঃ
অনেক কিছু জানতে পারলাম
LoveZoneBD