বিচারহীনতায় বাংলাদেশ
226
বার পঠিতযখন একটি রাষ্ট্রে বিচারহীনতার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়, অযাচিত রাজনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধি পায় তখনই সমাজের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে থাকে। আর তখনই রাজনৈতিক প্রভাবে অপরাধরীরা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে। গোটা দেশটাই হয়ে উঠে অপরাধ রাজ্য।
পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে সমাজের বিশেষ বিশেষ ব্যক্তি। ঘটনার বিশ্লেষণ বা তরজমা এখন আর জনমানসে খুব একটা প্রভাব ফেলছে না। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে কোপাকুপির আতঙ্ক। কে কখন সন্ত্রাসীদের চাপাতির লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন এই ভয় পেয়ে বসে আছে দেশের সকল শ্রেনীর কিংবা বিশেষ কিছু লোকের মনে।কারণ কে কোথায়,কিভাবে এই টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হয়েছেন তা আমাদের কারো জানা নাই। আর কী অপরাধে মানুষ একের পর এক খুন হচ্ছেন বা তাও কেউ জানছে না।তবে ব্লগার,মুক্তমনা,লেখক,শিক্ষক,প্রগতিশীল,সংস্কৃতিমনারাই খুনীদের টার্গেট তা বিগত হত্যাকান্ড এবং একই কায়দায় হত্যার কৌশল থেকে মোটামোটি সুস্পষ্টভাবেই বলা যায়।আর খুনীদের হত্যার মূল হাতিয়ার হচ্ছে চাপাতির ব্যবহার।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনও এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনও ধারনা দিতে পারছে না। বিগত কয়েক বছর ধরে সংঘটিত হত্যাকান্ডগুলো দেশের স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রতিফল ঘটায় না ৷ সরকার সেইসব হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয়েছে বিধায় একের পর এক হত্যাকান্ড সংঘটিত হচ্ছে ৷ ফলস্বরূপ আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে ৷
সরকারের বিভিন্ন তদন্তে নিয়োজিত বাহিনীগুলোর সক্ষমতা এবং পেশাদারীত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠছে ৷ তদন্তে নিয়োজিত গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সাগর-রুনী হত্যা,নাস্তিক,ব্লগার,প্রকাশক,অধ্যাপক, মুয়াজ্জিন,পুরোহি ত,সাধু,বিদেশী পুলিশ হত্যার সঠিক কারন এবং হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে পারেনি বিধায় খুনীরা এখন কাউকে হত্যা করতে দ্বিতীয়বার ভাবছে না ৷ খুনীরা খুন করে বারবার পার পেয়ে যাচ্ছে খুন করেও।অন্যদিকে সাধারণ মানুষ অনিরাপত্তায় ভোগছে।
ইদানিং শুধু চাপাতির ব্যবহার করেই খুনিরা আর সন্তুষ্ট থাকছে না। এর সঙ্গে তারা যুক্ত করে নিয়েছে গুলি। টার্গেট করা ব্যক্তির মৃত্যু দ্রুত নিশ্চিত করতেই খুনিরা গুলির ব্যবহার করছে। কুপিয়ে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যাচ্ছে। অথবা মোটরসাইকেলে করে এসে খুন করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করছে।
প্রধানমন্ত্রীর একটি বক্তব্য একসাথে সবাইকে অনিরাপদ করে ফেলেছে।গত বছর পর্যন্ত চাপাতি হত্যা হতো মাসিক হিসাবে। কিন্তু গ্রীন সিগন্যাল পাওয়ার পর, বর্তমানে তা দৈনিক হিসাবেই শুরু হয়েছে।কারণ চাপাতিবাদীরা জেনে গেছে, দেশের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী তাদের কিছু করতে পারবে না।নাস্তিক,ব্লগার ,প্রকাশক,অধ্যাপক, মুয়াজ্জিন,পুরোহি ত,সাধু,বিদেশী দুতাবাসের কর্মকর্তার পর এবার মন্ত্রী মিনিষ্টারদের আত্মীয়-স্বজনদের গর্দান পর্যন্ত পৌঁছে গেছে চাপাতি। এভাবে চলতে থাকলে অল্পদিনের ভেতরেই মন্ত্রীদের গর্দানেও আঘাত হানবে চাপাতি। বাসায়, অফিসে, রাস্তায়, বাজারে যে কোন জায়গায় আমাকে-আপনাকে কুপিয়ে মারবে।
যাকে হত্যা করা হোল তার পরিচয় যা-ই হোক না কেন, তিনি বিশ্বাসী কি অবিশ্বাসী তাতে কোন হত্যা জায়েজ হয়না। রাষ্ট্র ধারাবাহিকভাবে তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছে। কোন হত্যারই সুরাহা হচ্ছে না। কারণ যা-ই হোক না কেন “হত্যা” প্রচলিত আইনেই অপরাধ। কিন্তু আমরা দেখছি প্রতিটি হত্যার পর, বিভিন্ন মহল থেকে অন্যের ঘাড়ে দায় চাপানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়।“ এই হত্যাকান্ডে বি এন পি জামায়াত জড়িত”-প্রধানমন্ত্রী। রাজধানীর কলাবাগানে দুর্বিত্তকতৃক দুজনকে বাসায় ঢুকে কুপিয়ে হত্যার পর বিরোধীদলকে ফাঁসানোর জন্য তিনি একটি রাজনৈতিক মন্তব্য করে ফেললেন। একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী কতটা নিন্মমানের হতে পারে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে শিক্ষনীয়।কিন্তু কেনো? হত্যাকারী নিজ দলের হতে পারে না নাকি ?খুনি, ধর্ষক, লুটেরা, সন্ত্রাসীদের কোনো দল নেই। তারা দেশের শত্রু। তারা জাতির শত্রু,বিবেকের শ্ত্রু। ফলে হত্যার তদন্ত ও বিচার অন্ধকারে হারিয়ে যায়।সেই খুনের বিচার করার সাহস এই নাজুক অনুভূতিপ্রবণ রাষ্ট্রের নেই। এই হত্যাযজ্ঞ চলবেই, আমরা যা করতে পারি তা হলো, মৃত্যুচিন্তা মাথায় না নিয়ে যতদিন বেঁচে আছি সময়টাকে উপভোগ করতে পারি। এর বেশি কিছু আমাদের সক্ষমতার সীমায় নেই।
কিন্তু সাধারণ মানুষ আজ স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চায়। কিন্তু সুরক্ষিত কারাগার অঞ্চল ও অরক্ষিত, চাপাতি শিল্পের অগ্রযাত্রায় গত কয়েকটি বছরের ব্যাপক সফল্যে আজ উদ্ভাসিত বাংলাদেশ।
আহামদ ছফা যথার্থই বলেছিলেন- “আওয়ামি-লীগ হেরে গেলে হেরে যায় সমগ্র বাংলাদেশ ,জিতে গেলে পুরুবাংলাদেশ জিতে না”।
কোলাহল
Mohd Shahanoor Alam Bhuiyan Titu @ বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীর বিক্রম এবং বীর প্রতীকদের তালিকা
shapan @ প্রসঙ্গ নারী : ধর্মীয় আর সামাজিক বর্বর আইন নারী খৎনা Female Circumcision
Mkjk @ বিদ্রোহী কবি নজরুল ; একটি বুলেট কিংবা কবিতার উপাখ্যান
পারভেজ আহমেদ @ বাংলা কবিতায় ছন্দ কত প্রকার ও কি কি?
Md forid mia @ পা চাটা কুত্তার জলকেলি
Juel @ বিদ্রোহী কবি নজরুল ; একটি বুলেট কিংবা কবিতার উপাখ্যান
Juel @ জলচর মৎস্য হতে স্তন্যপায়ী মানুষ; বিবর্তনবাদের মহা নাটকীয়তার পরিণতি
Ask2ans @ The Boy In The Striped Pajamas