গণহত্যাকে অস্বীকারঃ গণহত্যারই একটা অংশ
992
বার পঠিতপাকিস্তান ৭১ এ ত্রিশ লক্ষ লোক হত্যা করেছিল, এটা মেনে নিলেও পাকিস্তান গণহত্যা করেছে, এটা মানতে আমাদের অনেকেরই আপত্তি। “তখন যুদ্ধ চলছিল দেশব্যাপী, যুদ্ধের সময় এমন হবেই” – তাদের যুক্তিটা অনেকটা এ ধরণের। আমার এই লেখাটা শুধুমাত্র এই “যুক্তি”কে ঘিরে, তবে লেখাটা মৌলিক নয়। ১৯৯৬ সালে প্রখ্যাত গবেষক Dr. Gregory H. Stanton একটা আর্টিকেল লিখেন “8 stages of genocide” নামে; যেখানে তিনি একটি গণহত্যা সংগঠনের বিভিন্ন ধাপ নিয়ে বিশদ আলোচনা ও বিশ্লেষণ করেছিলেন। তাঁর কাজের ওপর ভিত্তি করে আমাদের উপর সংগঠিত গণহত্যাটিকে আমি তুলনামূলকভাবে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছি।
প্রথমেই দেখি, গণহত্যা বা Genocide বলতে আমরা কি বুঝি? Genocide এর উৎপত্তি গ্রীক শব্দ geno এবং ল্যাটিন শব্দ caedere থেকে। geno এর অর্থ জাতি বা গোষ্ঠী এবং caedere এর অর্থ হত্যা করা; অর্থাৎ সংক্ষেপে দাঁড়ায়, “Genocide is the systematic elimination of all or a significant part of a racial, ethnic, religious, culture or national group”। accutane prices
আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুযায়ী, গণহত্যা হচ্ছে নির্দিষ্ট কোন একটা গোষ্ঠীকে (National, ethnical, racial or religious) পুরোপরি কিংবা আংশিক ধ্বংসের উদ্দেশ্যে নিম্নের অপরাধসমূহ
১) গোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা করা
২) গোষ্ঠীর সদস্যদেরকে মারাত্নকভাবে শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি সাধন করা
৩) ইচ্ছাকৃতভাবে হানা দিয়ে গোষ্টির প্রকৃত অবস্থা পুরোপুরি কিংবা আংশিক ধংস করা zithromax azithromycin 250 mg
৪) আইন প্রণয়ন করে গোষ্ঠীর ভেতর জন্মরহিত করণ চালু করা
৫) জোর পূর্বকভাবে গোষ্ঠীর শিশুদেরকে অন্য গোষ্ঠীতে ঢুকিয়ে দেয়া।
এখানে একটা কথা, যারা পাকিস্তানিদের গনহত্যার কথা অস্বীকার করেন তারা সাধারণত এই যুক্তি দেখান যে, গনহত্যা হচ্ছে পুরো একটা জাতিকেই হত্যা করা, সেখানে ৭ কোটির ভেতর মাত্র ৩০ লক্ষ ( হ্যা! ৩০ লক্ষ মানতে আপত্তি থাকলে আরিফ রহমান এর “ত্রিশ লক্ষ শহীদঃ বাহুল্য নাকি বাস্তবতা!” বইটা পড়ে দেখতে পারেন) কিভাবে গনহত্যা হয়! সবাইকে উপরের কনভেনশনের ধারাগুলি আবারো পড়ার জন্যে অনুরোধ করছি। এখানে স্পষ্ট বলা আছে, “Deliberately inflicting on the group conditions of life calculated to bring about its physical destruction in Whole or in part.”
প্রধান আলোচনায় যাওয়ার আগে জেনে নেয়া যাক কারা কিংবা কোন অপরাধগুলো গনহত্যার সাথে সম্পর্কিত এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ; কেননা, এতে আমাদের Stage গুলো বুঝতে সুবিধে হবে।
১) গনহত্যায় সরাসরি অংশগ্রহন করা
২) গনহত্যার ষড়যন্ত্রে অংশগ্রহন করা viagra vs viagra plus
৩) প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে উষ্কানি দেয়া যা গনহত্যার পথ সুগম করে
৪) গনহত্যার চেষ্টা করা
৫) গনহত্যায় সহায়তা করা।

গণহত্যা
Gregory H. Stanton তার আর্টিকেলে গণহত্যা সংগঠনের প্রক্রিয়াকে ৮ টা ধাপে কিংবা পর্যায়ে ভাগ করেছেন। ধাপগুলোর নাম আমি অনুবাদ না করে সরাসরিই তুলে দিচ্ছি; দুর্বল আনুবাদকের হাতে পড়লে লেখক আসলে কি বুঝাতে চেয়েছিলেন তা কিঞ্চিৎ হারানোর সম্ভাবনা আছে।1.Classification, 2.Symbolization, 3. Dehumanization, 4. Organisation, 5.Polarization, 6.Preparation, 7. Extermination, 8.Denial. will metformin help me lose weight fast
প্রথম দুটি পর্যায় প্রতিটা সমাজেই প্রতীয়মান; Classification কিংবা শ্রেণীকরণ ধর্মের ভিন্নতা, ধর্মের ভেতরে মতাদর্শের ভিন্নতা, মুখের ভাষার ভিন্নতা এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্রতা সহ আরো অনেক কারণেই হয়ে থাকে। আবার প্রতিটা শ্রেণীকে চিহ্নিত করা হয় ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট দ্বারা, যাকে লেখক বলেছেন Symbolization। দাড়ি টুপি যেমন মুসলিমদের পরিচয় বহন করে তেমনি ধুতি সিঁদুর বহন করে হিন্দু ধর্মালম্বীদের পরিচয়। সেই চিহ্নিতকরণ কখনো কখনো করা হয় গাত্রবর্ণের দ্বারা, কখনো শারিরিক গঠন দ্বারা; যেমন, উপজাতি। সামনেই আমরা দেখতে পাব এই Symbolization কিভাবে গনহত্যায় সহায়তা করে।
লেখকের মতে, প্রথম দুটি পর্যায় প্রতিটা সমাজেরই অংশ এবং তা সর্বত্র বিদ্যমান থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই দুটোর সাথে যখন একত্র হয় Dehumanization, তখনই প্রথম দুটো পর্যায় “গণহত্যার” সাথে সম্পর্কিত হয়ে উঠে। এটা অনস্বীকার্য, অন্যের মনুষ্যত্বকে অস্বীকারই উদ্দীপনা যোগায় একের পর এক দায়হীন হত্যার। প্রতিটি গণহত্যাতেই দেখা যায় ভিকটিমদেরকে শুরুতেই বিভিন্ন জন্তু জানোয়ারের সাথে তুলনা করা হয় যার মাধ্যমে প্রকাশ পায় এই Dehumanization এর প্রথম পর্যায়। কখনো কখনো ভিকটিমদেরকে “Disease”, “Virus” কিংবা “Cancer” হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়। নাৎসিরা ইহুদিদেরকে প্রকাশ্যেই “Rat” অথবা “Vermin” বলে সম্বোধন করত।রুয়ান্ডায় হুতুরা তুতসীদেরকে “Cockroach” বলে ডাকত। মনুষ্যত্বের প্রতি তাদের সর্বোচ্চ অবজ্ঞা কিংবা ঘৃণার প্রকাশ পাওয়া যায় গণহত্যার সময় আক্রান্তদেরকে হত্যার পর তাদের অঙ্গহানি করা, কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলা কিংবা সীমাহীন নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করার মধ্য দিয়ে।
এবার এই ধাপটাকে আমরা মিলিয়ে দেখি ১৯৭১ এর ঘটনাপ্রবাহের সাথে। ব্রিগেডিয়ার সিদ্দিক সালিক ‘A Witness to Surrender’ বইতে লিখেছিলেন, আওয়ামীলীগ বাঙ্গালী জাতীয়তাবোধের “Virus” ছড়াচ্ছিল যা বাঙ্গালী সাধারণ মানুষ ও সেনাদের “Infect” করছিল। খেয়াল করে দেখুন শব্দ দুটো, virus এবং infect!আওয়ামীলীগ কর্মীরা ছিলেন তাদের কাছে “গুন্ডা”। কারো কারো কাছে তো পুরো বাঙ্গালী সমাজটাই ছিল “বাস্টার্ড” এবং “জারজ”। বাঙ্গালীদেরকে উদ্দেশ্য করে কসাই টিক্কা খান বলেছিলেন, “Reduce the number of Bengali bastards”। ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরের দিকে এক নৈশভোজের জেনারেল ইয়াহিয়া বলেছিলেন, “Don’t worry .. We will not allow these black bastards to rule over us”
para que sirve el amoxil pediatrico
মার্চে যখন মুজিবের সাথে ইয়াহিয়ার আলাপ আলোচনা চলছে তখনকার ঘটনা; প্রথমদিন আলোচনার পরই ইয়াহিয়া একটু বিমর্ষ হয়ে গিয়েছিলেন দেখে সিদ্দিক সালিকের মন্তব্যটা শুনুন, “Amazingly, he had (apparently) failed to see the snake in the grass”। এ বিষয়ে গবেষক মুনতাসির মামুন লিখেন, “রূপক অর্থে হয়তো এটি ব্যবহৃত কিন্তু ‘সাপ’ বলতে তো বাঙ্গালীকেই বোঝাচ্ছে”।
এরপরই আসে পরবর্তী পর্যায়, Organization| পৃথিবীর সবগুলো গণহত্যাই চালানো হয়েছে দলবদ্ধভাবে সংঘটিত হয়ে, অবশ্য বেশিরভাগই হয়েছে সরকারী ভাবে কিংবা মিলিটারী দ্বারা।হত্যা করার জন্যে নির্দিষ্ট কোন পরিকল্পনার দরকার পড়ে না কিংবা প্রতিপক্ষকে মারার জন্যে কোন জটিল প্রক্রিয়ার মধ্যে যাওয়ার দরকার পড়ে না, যেমন – রুয়ান্ডায় তুতসীরা মারা গিয়েছিল ছোরাঘাতে, কম্বডিয়ায় গনহত্যা চালানো হয়েছিল নিড়ানির মত একধরনের ছুরি দিয়ে।কম্বোডিয়ার গণহত্যাকারীদের নীতি ছিল “Bullets must not be wasted” – যা কিনা ভিকটিমদের প্রতি ছিল সর্বোচ্চ Dehumanization। কখনো কখনো ফায়ারিং স্কোয়াড কিংবা ক্যাম্প স্থাপন করেও ম্যাসাকার চালানো হয়।এই Organization এ ভিন্নতা দেখা দেয় সমাজ থেকে সমাজে, দেশ থেকে দেশে; তবে এটা সর্বদা সুসংগঠিত অবস্থায়ই হয়ে থাকে।৭১ এ পাকিস্তানি সরকার এবং মিলিটারির পাশাপাশি সংগঠনে অংশ নিয়েছিল দেশীয় রাজাকার, আলবদর, আলশামস, শান্তিসেনা প্রভৃত দল। এরা যে কতটা সংগঠিত অবস্থায় ছিল এর প্রমাণ নিচের ছবি। দেশিয় দলগুলোতে ঢুকতে হলেও ফরম পূরণ করা আবশ্যক ছিল।

সূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধের ছিন্ন দলিল পত্র – মুনতাসির মামুন acquistare viagra in internet
এরপরই আসে Polarization এবং Preparation পর্যায়। প্রতিটা গণহত্যার শুরুতেই উগ্রপন্থিরা মঞ্চ থেকে সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করে সকল “মডারেট”দের যারা গনহত্যার গতি কমিয়ে দিতে পারে, যাকে লেখক বলেছেন Polarization। উগ্রপন্থীরা তাই টার্গেট করে সকল মডারেট নেতাদের এবং তাদের পরিবারকে। আমরা জানি যে, ফেব্রুয়ারীর থেকে দশ মার্চ এর মধ্যে তিনবার পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর বদলি করা হয়। কারণ, এরা ইয়াহিয়ার উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে অপারগ ছিলেন। এর মধ্যে জেনারেল ইয়াকুব বিবেকের তাড়নায় নাকি পদত্যাগ করেছিলেন; পাকিস্তানি ভাইদের উপর তিনি গুলি চালাতে পারবেন না। পাকিস্থানের অনেক বিবেকবান মানুষই তখন পাশে দাড়িয়েছিলেন বাঙ্গালীদের; প্রতিবাদ করতে গিয়ে জেল খেটেছেন, নিগৃহীত হয়েছেন ইয়াহিয়ার আমলে। (শাহরিয়ার কবিরের “যুদ্ধাপরাধ – ৭১” নামক ডকুমেন্টারিটা দেখতে পারেন)
Preparation কিংবা প্রস্ততিরই একটা অংশ হচ্ছে ‘Identification’। ‘ লেখকের মতে, “Identification greatly speeds the slaughter”। ভিকটিমদের তালিকা তৈরী করা হয়, বাড়ি ঘর চিহ্নিত করা হয়, ম্যাপ তৈরী করা হয়। রুয়ান্ডায় সবার পরিচয় পত্রের ব্যবস্থা করে হয়েছিল যেন সহজেই তুতসীদের চেনা যায়। এই আইডি কার্ড ছুড়ে ফেলে দিলেও কাজ হত না, ‘হুতু’ হিসবে নিজের পরিচয় প্রমান করতে না পারলে ‘তুতসী’ বলেই ধরে নেয়া হত। এই পরিচয়ের ক্ষেত্রে Symbolization এর ভূমিকা ব্যাপক। পাকিস্তানিরা ছিল হিন্দু বিদ্বেষী, হিন্দুদের উপর তাই প্রকোপও পড়েছিল বেশী। তাই হিন্দু নারীরা তখন মাথার সিঁদুর মুছে ফেলত, পুরুষরা মাথায় টুপি পরত, ধুতির বদলে লুঙ্গি পরতো। পাকিরা “চার কলেমা”র মাধ্যমে হিন্দু মুসলিম যাচাই করতো; কেউ বলতে না পারলেই গুলি করে হত্যা করা হত। কখনো কখনো লুঙ্গি খুলে পরীক্ষা করতো হিন্দু না মুসলমান! অবশ্য শুধু হিন্দুরাই নয়, পুরো বাঙ্গালী সমাজই তাদের গণহত্যার শিকার হয়েছিল।
‘Identification’ এর আরেক প্রমাণ হচ্ছে রাও ফরমান আলীর ডায়রী, যেখানে পাওয়া গিয়েছিল বুদ্ধিজীবিদের নামের তালিকা। তার ডায়রিতেই লেখা ছিল, “Green land of East Pakistan will be painted red”।

রাও ফরমানের ডায়রির অংশ
ভিকটিমদের সম্পত্তি লুটপাট করা কিংবা বাজেয়াপ্ত করা ও প্রস্তুতির অংশ; যার বেশীরভাগই করেছিল পাকিদের এ দেশীয় দোসররা। কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প তৈরী করা ও যাতায়াতের জন্যে Transportation ব্যবস্থা করাও গণহত্যার প্রস্তুতির ভেতরে পড়ে। আমরা সকলেই জানি এ দেশের স্কুল, কলেজ, বিমানবন্দর, বিভিন্ন বাড়িকেই পাকিস্তানিরা ক্যাম্প বানিয়েছিল। কখনো কখনো খোলা মাঠে জমা করতো সবাইকে অতঃপর নির্বিচারে হত্যা করা হত সবাইকে।
প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার পরেই আসে সপ্তম ধাপ, Extermination। এটাকে মার্ডার না বলে Extermination ই বলা হয়, কেননা এ ক্ষেত্রে আক্রান্তদের কে মানুষ বলে বিবেচনা করা হয় না। পরিকল্পনামাফিক হত্যা করা শুরু হয় প্রতিটা লক্ষ্যবস্তুকে কেন্দ্র করে, এমনকি বাচ্চাদেরকেও রেহাই দেয়া হয় না। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ এর কথা সকলেই জানি। পাকি জেনারেলদের বইপত্র প্রমাণ করে যে, ‘অপারেশন সার্চলাইট’ তাদের বহু দিনের প্ল্যান, হুটহাট কোন সিদ্ধান্ত নয়। এই Extermination এতটাই ভয়াবহ ছিল যে এক পাকিস্তানি জেনারেলই (নিয়াজি) এটাকে চেঙ্গিস খানের নিষ্ঠুরতার চেয়ে বেশী ভয়াবহ বলেছিলেন। নিয়াজি লিখেন, “ The military action was a display of stark cruelty, more merciless than the massacre at Bukhara and Baghdad by Changez khan and Halaku khan and at Jalianwala Bagh by British General Dyer”।
এখানে উল্লেখ্য, প্রতিটা Extermination এর শেষে হত্যাকারীরা শোধন প্রক্রিয়া বলে একে ইতিবাচক হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। বসনিয়াতে বলা হয়েছিল, “ethnic cleansing”, আলজেরিয়া তে বলা হয়েছিল “Ratonade”(Rat extermination)। যেমন পঁচিশ মার্চ রাতের পর ভূট্টো বলেছিলেন, “ আল্লাহকে অশেষ ধন্যবাদ, পাকিস্তানকে রক্ষা করা গেছে”।
সর্বশেষ ধাপ হচ্ছে Denial কিংবা অস্বীকার করা। খেয়াল করে দেখবেন, প্রতিটা গণহত্যাই শেষ হয় প্রত্যাখানের মাধ্যমে। লেখকের মতে, এই প্রত্যাখানের জন্যে অপরাধীরা কয়েকটি নির্দিষ্ট পন্থা বেছে নেয়।
১) গনকবর গুলো লুকিয়ে ফেলা হয়
২) ঐতিহাসিক দলিলগুলো পুড়িয়ে নষ্ট করে ইতিহাসের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয় venta de cialis en lima peru
৩) গণহত্যা সংক্রান্ত সকল রিপোর্টকে বিরোধীদলের প্রোপাগান্ডা হিসেবে অবিহিত করা হয়
৪) গণহত্যার তথ্যগুলো Officially approved সূত্র থেকে আসেনি – এই অযুহাতে গণহত্যার সকল রিপোর্টকে Unconfirmed অথবা alleged হিসেবে চিহ্নিত করা হায়
৫) হত্যাগুলো প্রচলিত গণহত্যার সংজ্ঞাকে সংজ্ঞায়িত করে কি না এই নিয়ে কু – তর্ক করা হয়
৬) ভিকটিম দলের হতাহতদের সংখ্যার চেয়ে নিজ দলের হতাহতের সংখ্যা আরো বেশী বলে দাবি করা হয়
৭) মানুষ মারা গিয়েছে “গৃহযুদ্ধ” এর কারণে, তাই এটা গনহত্যা না – বলে দাবি করা হয়
খুব মনোযোগ দিয়ে ৭ টা পয়েন্ট পড়ে দেখুন তো, এই কথাগুলো আমাদের সাথে খুবই পরিচিত কি না? প্রতিটা যুক্তি কিংবা পন্থাই কি আমাদের উপর চালানো গণহত্যাকে অস্বীকার করতে ব্যবহৃত হয় নি? যুদ্ধ চলাকালীন অবস্থায় গনহত্যার সংক্রান্ত সব খবরকেই “ভারতীয়দের চক্রান্ত” হিসেবে উল্লেখ করা হত।৭১ এর আগষ্ট মাসে পাকিস্তানি সরকার একটা শ্বেতপত্র প্রকাশ করে যেখানে আওয়ামীলীগকেই গণহত্যার জন্যে দায়ী করা হয়। এই শ্বেতপত্র নিয়ে ৬ ই আগষ্ট New York Times প্রতিবেদন ছাপায় “Pakistan accuses of Bengalis massacring 100,000” শিরোনামে। খবরে বলা হয়,
‘In a white paper, the government asserted that 100,000 men, women and childern had died since March 1 in a “reign of terror unleashed by the Awami league” the now banned political party that pressed for autonomy and then independence”।
এই শ্বেতপত্র প্রকৃত ইতিহাস থেকে কতটা দূরে ছিল সেটা সহজেই অনূমেয়। মে মাসের ২৫ তারিখ পাকিস্তানি এক সংবাদপত্র শরণার্থীদের নিয়ে খবর প্রকাশ করে ‘Refugees are victims of Indian propaganda’ শিরোনামে। amiloride hydrochlorothiazide effets secondaires

২৫ মে, ১৯৭১ – পাকিস্তান অভজারভার zovirax vs. valtrex vs. famvir
গনহত্যায় পাকিস্তানিদের সহযোগী রাজাকার, আলবদর, আল শামস দের মুখপাত্র “দৈনিক সংগ্রাম” তখন নিয়মিতই মুক্তিযুদ্ধ কিংবা পাকিদের গণহত্যাকে ‘ভারতীয়দের চক্রান্ত’ বলে প্রচার করেছিল। ৬ মে পত্রিকাটি “শরণার্থী বাহানা” শিরোনামে একটি প্রতিবেদনে লিখে,
“হিন্দুস্থান এখন নিজ দেশের তালাবদ্ধ মিল কারখানার বিপুল সংখ্যক শ্রমিক ও বেকার নাগরীকদের একত্র করে তাদের শরণার্থী বলে প্রচার করছে। এবং বিশ্ববাসীর দরবারে মানবিকতার দোহাই দিয়ে তাদের নামে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা চালাচ্ছে” ।
ব্রিটিশ পত্র পত্রিকা তখন গণহত্যার খবর নিয়মিত ছাপানো শুরু করলে এ নিয়ে ৫ জুলাই “দৈনিক সংগ্রাম” খবর প্রকাশ করে; শিরোনাম “হিন্দুস্থানের চক্রান্ত জালে ব্রিটিশ” । মিথ্যে কয় প্রকার ও কী কী সেটা শুধু এই “দৈনিক সংগ্রাম” এর খবরগুলো দেখলেই বোঝা যায়।
এই পর্বের সবচেয়ে বড় প্রমাণ কিংবা দলিল হচ্ছে পাকিস্তানি জেনারেল-মেজরদের লেখা বইপত্র। পাকিস্তানি জেনারেলরা আর কিচ্ছু পারেন আর নাই পারেন উনারা এই দেশের মানুষের রক্তে দুই হাত রঞ্জিত করে নিজ দেশে গিয়ে অতঃপর হাতে কলম তুলে নিয়েছেন। সবাই বই লিখে নিজের সাফাই গাওয়া শুরু করেন। সবারই এক কথা, ১৯৭১ এ দেশে কি হচ্ছিল তারা এ সম্পর্কে কিছুই জানতেন না, সবই তাদের অগোচরে হয়েছিল। অস্কার বিজয়ী মুভি “Judgment at Nuremberg “(1961) দেখেছিলাম অনেকদিন আগে। নাৎসি বাহিনির চারজনের বিচার নিয়ে নির্মিত এই মুভিতে যখন আসামীদের কে “ইহুদী গনহত্যা” বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল তখন তাদের উত্তরও ছিল অনেকটা “আমরা কিছুই জানতাম না” ধরণের। নাৎসি বাহিনির সাথে এদের অমিল এক জায়গায় ওদের বিচার হয়েছিল, আর পাকি জেনারেলদের বিচার হয় নি।
যুদ্ধের এতটা বছর পর, এই ২০১৫ সালেও এসে পাকিস্তানিরা অস্বীকার করছে গণহত্যার কথা, বলছে ভিত্তিহীন এসব অভিযোগ। ৩০ নভেম্বর পাকিস্তানি পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গণহত্যার কথা অস্বীকার করে বলা হয়, ‘baseless and unfounded assertions’ of Bangladesh against Pakistan. posologie prednisolone 20mg zentiva
walgreens pharmacy technician application online
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার মাধ্যমে পাকিস্তানীদের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক নাকি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এই অভিযোগ করে বাংলাদেশের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রাখার অভিপ্রায় ব্যাক্ত করে সে বিজ্ঞপ্তিতে আবার বলা হয়,
“It is regrettable that attempts have been made by the Government of Bangladesh to malign Pakistan, despite our ardent desire to develop brotherly relations with Bangladesh. Pakistan believes that the peoples of both countries not only want to maintain but also further strengthen the bonds of friendship and brotherhood. However, sadly, the Government of Bangladesh does not seem to respect these sentiments.”
এ নিয়ে The Daily Star পত্রিকা ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর অনলাইন ভার্সনে প্রতিবেদন প্রকাশ করে, শিরোনামঃ Pakistan denies war atrocities in 1971।

৩০ নভেম্বর, ২০১৫ – The Daily Star
দুঃখের বিষয় হচ্ছে, এই Denial টা শুধু পাকিস্তানিরাই করেনি বরং এই পাকিস্তানি জেনারেলদের মন মানসিকতার সাথে আমাদের একটা সম্প্রদায়ের মানসিকতার প্রচন্ড মিল বিদ্যমান। জেনারেল রা যেমন ” গণহত্যা”টাকে কোনভাবেই মানতে চান না; সংখ্যাটা খুব বেশী হলে হাজার বিশেক হতে পারে! একজন জেনারেল জগন্নাথ হল এবং ইকবাল হল ঘুরে এসে লিখেছেন, “হল দুটি পরিত্যাক্ত, কিন্তু ধ্বংসলীলা তেমন হয় নি” । অথচ আমরা সবাই জানি এখানকার নির্মম হত্যাকান্ডের কথা। side effects of quitting prednisone cold turkey
ঠিক আমাদের মাঝের ঐ সম্প্রদায়ের অবস্থাটা তাই, আগে বলতো ত্রিশ লাখ না আরো কম হবে; এর পরে বললো, আসলে ৩ লক্ষ, ভুল করে ৩০ হয়ে গেছে! সংখ্যাটা শুধু নামতেছে, কয়দিন পর হয়তোবা বলবে, “১৯৭১ এ আসলে কিছুই হয় নাই…সবই ষড়যন্ত্র…!”
হাল জমানার নিরপেক্ষ (!) ইতিহাসবিদ (!) শর্মিলা বসুও যেসব যুক্তি দেখান গণহত্যাটাকে অস্বীকার করার জন্যে সেগুলো অনেকটা উপরোল্লিখিত ৭ টা পয়েন্টের ধরনেরই। অবশ্য পাকিস্তানি থেকে শুরু করে যারাই এটাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চান না তারা মোটামুটি সকলেই ৭ নম্বর যুক্তিটা দেখান সবসময়। “ইহা একটি গৃহযুদ্ধ; তাই গণহত্যা হতে পারে না”। অথবা এটাও বলেন যে, “যুদ্ধের সময় হতাহতের ঘটনা ঘটবেই তো!” তাদের জন্যে লেখকের পরের দুইটা লাইন সরাসরি তুলে দিচ্ছি, “Infact civil war and genocide are not mutually exclusive. Most genocide occur during wars” এরপর এ নিয়ে আসলে আর কিচ্ছু বলার থাকে না।
এটা স্বীকার করতেই হবে, যে কোন ধরনের অপরাধের পর এর “বিচারহীনতা” কিংবা “দায় থেকে অব্যাহতি” সে ধরনের অপরাধ ভবিষ্যতে সংগঠিত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলে। এ কথাটা গণহত্যার সাথেও সম্পর্কিত। হিটলার তখন পোল্যান্ড আক্রমনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছিল; সে সময় হিটলারের সামনে ‘আন্তর্জাতিক নিয়ম ভঙ্গের’ প্রসঙ্গ তুললে সে জবাব দেয়, “Who ever heard of the extermination of the Armenians!” এটা বুঝতে হবে, যে কোন গণহত্যার একটি ভয়াবহ নেতিবাচক দিক হচ্ছে সেটাকে ভুলে যাওয়া কিংবা দোষীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করাতে না পারা – যা ইন্ধন যোগায় ভবিষ্যতের আরেক গণহত্যাকে। তাই গণহত্যাকে অস্বীকার করার এই প্রবণতা দূর করার জন্যে লেখক জোর দিয়েছেন পাবলিক ট্রায়াল ও ট্রুথ কমিশনের উপর; “… public trials and truth commission, followed by the years of education about the fact of genocide”।
যখন আদালত আক্রান্তদেরকে সুবিচার দিতে পারে না তখন তাদের মধ্যে জন্ম নেয় প্রতিশোধ নেয়ার প্রবণতা বা আকাঙ্ক্ষা যা কিনা সমাজে বাড়িয়ে দেয় অপরাধের মাত্রা আরো বহু গুনে এমনকি কখনো কখনো সুগম করে গণহত্যার পথ; “In societies with histories of ethnic violence, the cycle of killing will eventually spiral downward into the vortex of genocide”।এই আর্টিকেলের শেষ লাইনটাও তাই বিচার প্রসঙ্গ নিয়ে, “The strongest antidote to genocide is justice” viagra in india medical stores
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কাহিনী নিয়ে হলিউডে এখনো সিনেমা বানানো হয়, সেসব সিনেমা দর্শক নন্দিতও হয়। বিভিন্ন উপায়ে হিটলারের কুকর্মগুলো উপস্থাপন করা হয় এই প্রজন্মের কাছে যেন তারা জানতে পারে আসলে তখন কী হয়েছিল। নাৎসী বাহিনীর প্রতি ঘৃণা নিয়েই তাই বড় হচ্ছে ইউরোপের এই প্রজন্ম। এইত কয় দিন আগে রাশিয়ান একটা ফুটবল টিমকে শাস্তি দেয়া হয় দলের সমর্থকেরা নাৎসী বাহিনীর চিহ্ন দেখিয়েছিল বলে। এপ্রিলের ৭ তারিখ The Washington Post ঐ ম্যাচ নিয়ে খবর ছাপায়, “Russian soccer team punished after fans bring Nazi signage to a match” শিরোনামে। রাশিয়ান ফুটবলের অফিসিয়ালরা বলেন, “In Nazi Germany, they were used as emblems of the Hitlar Youth. We can’t ignore the appearance of these symbols – especially in our country”।মুদ্রার ঠিক উল্টো পাশে আমরা। পাকিস্থানকে শুধু সমর্থনই করেই ক্ষান্ত হই না, খেলার মাঠে নিয়ে যাই তাদের জাতীয় পতাকাও। মাত্র ৪৫ বছরের মাথায় আমরা ক্ষমা করে দিয়েছি সকল পাকি গনহত্যাকারীদের, আমার দেশের পতাকা টানিয়ে দিয়েছি এক রাজাকারের গাড়িতে, গনহত্যাকারীদের বুক ফুলিয়ে বলতে দিয়েছি “এই দেশে কোন যুদ্ধাপরাধী নেই”, শহীদের সংখ্যা নিয়ে কু তর্কে মেতেছি। আফসোস ! বিরাট আফসোস!!
আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই
আজো আমি মাটিতে মৃত্যুর নগ্ন নৃত্য দেখি
ধর্ষিতার কাতর চিৎকার শুনি আজো আমি তন্দ্রার ভেতরে…
এদেশ কি ভুলে গেছে সেই দুঃস্বপ্নের রাত, সেই রক্তাক্ত সময়?
বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে
মাটিতে লেগে আছে রক্তের দাগ।
এই রক্ত মাখা মাটির ললাট ছুঁয়ে একদিন যারা বুক বেঁধেছিলো।
জীর্ণ জীবনের পুঁজে তারা খুঁজে নেয় নিষিদ্ধ আঁধার ,
আজ তারা আলোহীন খাঁচা ভালোবেসে জেগে থাকে রাত্রির গুহায়।
এ যেন নষ্ট জন্মের লজ্জার আড়ষ্ট কুমারি জননী,
স্বাধীনতা– একি তবে নষ্ট জন্ম?
একি তবে পিতাহীন জননীর লজ্জার ফসল?
জাতির পতাকা আজ খামছে ধরেছে সেই পুরোনো শকুন
(রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ)
[বিঃদ্রঃ পরবর্তীতে লেখক আরো দুটি ধাপ এর সাথে যোগ করেছেন]
glyburide metformin 2.5 500mg tabs
তথ্যসূত্রঃ
১) http://www.genocidewatch.org/genocide/8stagesofgenocide.html
২) মুক্তিযুদ্ধের ছিন্ন দলিলপত্র - মুনতাসীর মামুন
৩) পাকিস্তানি জেনারেলদের মন - মুনতাসীর মামুন private dermatologist london accutane
৪) Witness to Surrender – Siddiq salik renal scan mag3 with lasix
৫) মুক্তিযুদ্ধের দৈনিক সংগ্রামের ভূমিকা – আলী আকবর টাবী
৬) The New York Times Archive all possible side effects of prednisone
কোলাহল
Mohd Shahanoor Alam Bhuiyan Titu @ বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীর বিক্রম এবং বীর প্রতীকদের তালিকা
shapan @ প্রসঙ্গ নারী : ধর্মীয় আর সামাজিক বর্বর আইন নারী খৎনা Female Circumcision
Mkjk @ বিদ্রোহী কবি নজরুল ; একটি বুলেট কিংবা কবিতার উপাখ্যান
পারভেজ আহমেদ @ বাংলা কবিতায় ছন্দ কত প্রকার ও কি কি?
Md forid mia @ পা চাটা কুত্তার জলকেলি
Juel @ বিদ্রোহী কবি নজরুল ; একটি বুলেট কিংবা কবিতার উপাখ্যান
Juel @ জলচর মৎস্য হতে স্তন্যপায়ী মানুষ; বিবর্তনবাদের মহা নাটকীয়তার পরিণতি
Ask2ans @ The Boy In The Striped Pajamas