বদ্বীপের অভিমানী বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল
1060 kamagra pastillas
বার পঠিতছোটবেলায় বড় ডানকিটে ছিলেন।তার দুরন্ত পানার গ্রামের সবাই তথস্থ থাকতো। বাবা ছিলেন সেনাবাহিনীর হাবিলদার।গ্রামের সবাই ডাকতেন হাফিজ মিলিটারী বলে।সেই হাফিজ মিলিটারীর চাক্যচিক্য শিশু মোস্তফার চোখে নেশা ধরিয়ে দিয়েছিলেন সৈনিক হবার।সেই স্বপ্নে বাধ হয়ে আসলেন বাবা কিন্তু জেদী আর একরোখা মোস্তফা বাড়ি থেকে পালিয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন ঠিকই।
সৈনিক হয়ে চাওয়া সেই মানুষটি থেকে আর কেই বা বেশি জানে মাতৃভূমি রক্ষায় জীবন উৎসর্গ করার সেই গৌরব।এ জ্ঞানের গর্ব আর অভিমান তাকে তরুণ বয়সেই ঠেলে দিয়েছিলো মহান পথে আত্নহুতির বাণীতে।মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল ১৯৪৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভোলা জেলার দৌলতখান থানার পশ্চিম হাজীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।২০ বছর বয়সে জয়েন করেন সেনাবাহিনীতে।ট্রেনিং শেষ করে যুদ্ধের সময় ছিলেন কুমিল্লায় ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে।
যুদ্ধের দামামা যখন পুরো দেশ জুড়ে তাতে পানি ডালতে ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট সরিয়ে নেয়া হয়েছিলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার।কিন্তু সে আশা পূরণ হয়নি সাতাশে মার্চ মেজর সাফায়েত জামিলের নেতৃত্বে গুটিকয়েক বাঙালি অফিসারের সাহায্যে পাকিস্তানী খিজির হায়াত সহ সমস্ত পাকিস্তানী অফিসার কে নিরস্ত্র করা হয়েছিলো সে সময় যেসব উৎফুল্ল বাঙালি সিপাহি আকাশে ফাকা গুলি ছুড়তে ছূড়তে জয়োল্লাসে মেতে ছিলেন তিনি ছিলেন তাঁদেরই একজন।
১৬ এপ্রিল পাকিস্তানী বাহিনী আকাশ-নৌ সহ সব ক্ষেত্রেই ত্রিমুখী আক্রমণ শুরু করলে দীর্ঘ নয় ঘন্টা যুদ্ধের পরে মেজর জামিলের ঘাঁটি আখাউড়ার দিকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়।ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া রেলপথ ধরে তিনটি নতুন প্রতিরক্ষা ঘাঁটি বসানো হয়েছিলো।তিতাস নদীর ব্রীজে,গঙ্গাসাগরের দক্ষিণে আর দরুইনে। সিপাহী মোস্তফার সাহস,বুদ্ধি দেখে সাফায়েত জামিল তাকে মৌখিকভাবে ল্যান্স নায়েক করে দশজন সৈন্য দিয়ে সেকশন কমান্ডার করে পাঠিয়ে দিলেন দরুইন সীমান্তে।
এরপর সাফায়েত জামিনের সাথে মোস্তফা কামালের সাথে দেখা হয়েছিলো।একবার দুদিন খাবারের অভাবে অন্যদের খাবারের ব্যবস্থার জন্য ছুটে এসেছিলেন এবং সেই সাথে খবরা খবর জানার জন্য সাফায়েত জামিল সেদিন রেগে গিয়েছিলেন কারন এভাবে সেকশন কমান্ডারের সবাইকে ফেলে চলে আসা উচিত হয়নি। renal scan mag3 with lasix
“একি তুমি কেন এসেছো তোমার প্রতিরক্ষা ছেড়ে?তুমি না সেকশন কমান্ডার? তোমার ঘাঁটি ছেড়ে আসাটা খুব অন্যায় হয়েছে।”
can levitra and viagra be taken together
মোস্তফা কথাটি বুঝলেন আসলেই এমন জীবন মরণ যুদ্ধে এভাবে চলে আসা যায়না।কিন্তু যুদ্ধে বিপর্যস্ত সৈন্যদের করুন অবস্থা দেখে ক্ষুধার অন্নের ব্যবস্থা করতেই না মোস্তফা কামাল ছুটে এসেছিলেন।আত্নগ্লানিতে দগ্ধ মোস্তফা কামাল ফিরে গেলেন বুকে ব্যাথ্যা নিয়ে কথা দিলেন আর কোনদিন পরিখা ত্যাগ করবেন না।তিনি কথা রেখেছিলেন শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত পরিখা ত্যাগ করেনি তিনি একটি বারের জন্যও।
will i gain or lose weight on zoloft
১৮ এপ্রিল,১৯৭১ প্লাটুনের সৈন্যদের তিন পরে খাবার জুটলো কপালে।একে একে সবাই খাবার খেয়ে নিলেন খেলেন না শুধু একজন যার নাম মোস্তফা কামাল।তিনি তাঁর এলএমজি হাতেই বসে ছিলেন ট্রেঞ্চের ভিতরে অতন্দ্র প্রহরী হয়ে অনড় পাহাড়ায়।
আকাশে মেঘের আগমনে মুক্তিবাহিনীর মনে খুশির জোয়ার আসুক বৃষ্টি আসুক জল।এই জলধারা নেমে আসুক শত্রুর জন্য অভিশাপ হয়ে।বেলা এগারোটায় শত্রুরা গোলা বর্ষণ শুরু করলো আর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মুক্তিবাহিনীর প্রার্থনার জোরেই বৃষ্টি নামলো অজর ধারায়। আধ ঘন্টার মধ্যেই পাকিস্তানীরা গঙ্গা সাগর ও মোগরা বাজারে অবস্থান নিলো।প্রার্থনার ফসল সেদিন কাল হয়েছিলো মোস্তফা কামালের জন্য।
can your doctor prescribe accutane
মোগরা বাজারের এক ছাদের উপর থেকে শত্রুরা ভারী মেশিনগানের গুলিবর্ষন শুরু করলো দরুইনের প্রতিরক্ষা ঘাটির উপরে।দুপুরের পরে আক্রমণ আরো জোরালো হলো এই আক্রমণে খানিক সময়ের জন্য বিহ্বল বোধ শুরু করলেন শুধু করলেন না একজন সেকশন কমান্ডার মোস্তফা কামাল।অবিচল মনোভাব নিয়ে আত্নবিশ্বাসের সাথে এলএমজি থেকে একের পর এক গুলি শুত্রুর বুকে ছুড়ে যাচ্ছিলেন।অল্পক্ষণের মাঝেই দক্ষিণ ও পশ্চিম দিক দিয়ে শত্রুরা অগ্রসর হতে শুরু করলেন বাকি রইলো শুধু পূর্বদিক।এমন অবস্থায় পিছনে হাঁটা ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই কিন্তু সবার নিরাপদে সরে পড়ার জন্য একজনকে এলএমজি নিয়ে অনবরত শত্রুর দিকে গুলি চালাতে হবে।একে কাভার ফায়ারিং বলে। amiloride hydrochlorothiazide effets secondaires
মোস্তফা কামাল অন্যদের যাবার জন্য আদেশ নিয়ে নিজেই কাঁধে নিলেন কাভারিং ফায়ারিং এর দ্বায়িত।অন্যরা তাকে অনুরোধ করেছিলেন শেষের দিকে দৌড়ে চলে আসার কিন্তু তিনি যাননি কারন তিনি জানতেন এতে করে শেষের পলায়নরত যোদ্ধাদের কয়েকজন মারা পড়তে পারেন।তাঁর অধিনস্ত একজন যোদ্ধার ও প্রান তিনি যেতে দেয়নি সত্যিই।পরিখার ভিতরে থেকে অবিরাম গুলি চালাতে থাকেন তিনি।এভাবেই একসময় শত্রুর গুলীতে ঝাড়রা বুলেট বিদ্ধ হয় তাঁর বুক।সেই ঝঝড়া বুকে শত্রুর বুলেট ও তাঁর যৌবনে পাওয়া দেশপ্রেম আর আর্দশ সৈনিক হবার ব্রত থেকে সরাতে পারেনি।এই ব্রত থেকে সরাতে পারেনি তাঁর ঘরের তরুনী বধূ কিংবা সদ্যজাত শিশুপুত্রের প্রিয় মুখখানিও।এবুকেই গুলি ছুড়ে গেছেন শুত্রুর বেয়োনেটের খোঁচায় প্রান হারানোর আগ পর্যন্ত।
যুদ্ধশেষে পাকিস্তানী বাহিনী এলাকা ছেড়ে চলে যাবার পরে গ্রামবাসী বুলেটে বিদ্ধ বেয়নেটে ঝাঁঝরা একটি মাত্র লাশ সে গ্রামেই কবর দিয়েছিলেন। মাটি ফিরেয়ে নিয়েছিলেন নিজের জন্ম দেয়া এক অকুতোভয় বীর কে যে নিজের জীবন যাবে সে কথা ভেবেও অন্যদের জীবন রক্ষা করে দেশমাতাকে সব উড়ার করে দিয়েছিলেন।মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক পদক বীরশ্রেষ্ঠ পদক দেয়া হয় মোহাম্মদ মোস্তফা কামালকে। এছাড়া তাঁর নামে প্রতিষ্ঠিত কলেজ প্রাঙ্গণের একটি কোণে ভোলা জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল লাইব্রেরি ও জাদুঘর নির্মাণ করা হয়।এছাড়া মোস্তফা কামালের নামানুসারে গ্রামের নাম মৌটুপীর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে কামালনগর৷
leo minhaz বলছেনঃ
বাবার সৎ আদর্শটা মেনে যারাই এগিয়েছে তারাই আজ দেশ দেশান্তরে নিজেদেরকে কীর্তিমান হিসেবে প্রতীয়মান করে চলেছেন। http://www.dhakatimes24.com/