প্রসঙ্গ নারী : ধর্মীয় আর সামাজিক বর্বর আইন নারী খৎনা Female Circumcision
1389
বার পঠিত doxycycline monohydrate mechanism of actionনারী খৎনা যা নারী লিঙ্গাগ্রচ্ছেদ, নারী যৌনাঙ্গ বিকৃতকরণ এবং নারী যৌনাঙ্গ ছাঁটাই নামেও পরিচিত; বলতে বোঝানো হয় সে সকল কার্যপ্রণালী যেগুলোতে স্ত্রী যৌনাঙ্গের আংশিক বা পুরোপুরি অপসারণ করা অথবা সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় বা অন্য কোনো চিকিৎসা বহির্ভূত কারণে নারীর যৌন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করা হয় বা ক্ষত সৃষ্টি করা হয়। এটি সেই ধরণের কার্যপ্রণালীগুলোর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ নয়, যেগুলো আন্তলৈঙ্গিকদের জন্যে লিঙ্গ প্রতিস্থাপন সার্জারি বা যৌনাঙ্গ পরিবর্তনে ব্যবহৃত হয়। এর চর্চা সারা পৃথিবীতেই আছে, কিন্তু প্রধানত আফ্রিকা ও ইন্দোনেশিয়াতেই এর চর্চা বেশি দেখা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) প্রক্রিয়াটিকে চার ভাগে ভাগ করেছে: টাইপ ১, ২, ৩ এবং ৪। তিন নম্বর কার্যপ্রণালীটিকে ঘিরে অনেক বিতর্ক রয়েছে। কারণ এই প্রক্রিয়াটির নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ ও প্রক্রিয়াটির ফলাফল। গত কয়েক দশক ধরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ছাড়াও বহু স্বাস্থ্য সংস্থা এর চর্চা বন্ধ করতে তাদের চাপপ্রয়োগমূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। যদিও ঐতিহ্য ও ধর্মীয় জীবনের প্রয়োজনে এটির চর্চা এখনো অনেক সমাজে রয়ে গেছে।
নারী যৌনাঙ্গের অস্ত্রোপচার বা এ ধরণের অন্যান্য কার্যপ্রণালীগুলোকে বর্ণনা করতে বিভিন্ন রকম পরিভাষা ব্যবহৃত হয়। এই প্রক্রিয়াগুলো সাধারণত নারী লিঙ্গাগ্রচ্ছেদ/খৎনা নামে উল্লেখ করা হতো, কিন্তু নারী যৌনাঙ্গ বিকৃতকরণ এবং নারী যৌনাঙ্গ ছাঁটাই পরিভাষা দু’টি এখন আর্ন্তজাতিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রাধান্য বিস্তার করছে। এই চর্চাটির বিপক্ষে যাঁরা আছেন, তাঁরা প্রায়ই “নারী যৌনাঙ্গ বিকৃতকরণ” পরিভাষাটি ব্যবহার করেন। কিছু গোষ্ঠী বিকৃতকরণ শব্দটি ব্যবহারের বিরোধী, কারণ তারা মনে করেন, এটি নারীর জন্যে অবমাননাকর, তাই তারা নারী যৌনাঙ্গ ছাঁটাই পরিভাষাটি ব্যবহার করাকেই শ্রেয় মনে করেন। কিছু সংস্থা ইতোমধ্যেই দু’টি পরিভাষাকে একত্রিত করে সম্মিলিত পরিভাষা ব্যবহার করা শুরু করেছে, আর তা হলো নারী যৌনাঙ্গ বিকৃতকরণ/ছাঁটাই (FGM/C)। domperidona motilium prospecto
লালন ফকিরের কালজয়ি গান: সুন্নত দিলে হয় মুসলমান,নারীদের তা হলে কি বিধান? নারীর জন্য অবমাননাকর, ক্ষতিকর, মানবিকতা আর স্বাধিনতা বিরোধী প্রায় সব কিছুই প্রবর্তন আর সংরক্ষণ করেছে ধর্ম। ব্যাবিলনে ইহুদি বা হিব্রুরা প্রথমে খতনার প্রবর্তন করে, যা অন্তত আজ থেকে ৩৫০০ বছর আগে। এই প্রক্রিয়াটির চর্চা এখনো মুসলিম, খ্রিস্টান ও সর্বপ্রাণবাদীদের (আফ্রিকান প্যাগান) মধ্যে কমবেশি বিদ্যামান। এই খৎনার মাধ্যমে নারীর যৌনাঙ্গের একটি অংশকে কেটে ফেলে দেয়া হয়। ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন বা স্ত্রী খৎনা সাধারণত ৪-১০ বছর বয়সী মেয়েদের করানো হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বের প্রায় ১৪০-মিলিয়ন নারী এই বিভৎস অভিজ্ঞতার মুখোমুখী। এর মধ্যে ১০১ মিলিয়নই আফ্রিকাতে।
ইসলামের নবী একবার মদিনায় ঘটনাক্রমে একটি নারী খতনার সামনে পড়লে তিনি বলেন, “— কাটার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত যেয়োনা (গভীর করোনা), কারণ এটি মেয়ের জন্য ভাল এবং স্বামী তা অধিক পছন্দ করে” [আবুদাউদ, তাবারানী, বাইহাকী]। একে ইসলামে নারী খতনার সপক্ষে যুক্তি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।
নারী খৎনার সপক্ষে যেসব যুক্তি ব্যবহৃত হয় তার মাঝে যুক্তিগুলো স্বাস্থ্য থেকে সামাজিক সুবিধা সম্পর্কিত বেশি। পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা, কুমারীত্ব অক্ষূণ্ন রাখা, উর্বরতাশক্তি বাড়ানো, ঊচ্ছৃঙ্খলতা প্রতিরোধ করা, বৈবাহিক সুযোগ বৃদ্ধি পাওয়া, নান্দনিকতার অনুসরণ, পুরুষের যৌনক্ষমতা ও সুখ বৃদ্ধি করা ইত্যাদি।
এখনো যে সব দেশে এ ঘৃণ্য প্রথাটি প্রচলিত আছে তা হচ্ছে: বেনিন, বুরকিনোফাসো, চাদ, আইভরি কোস্ট, জিবুতি, ঘানা, গিনি, কেনিয়া, নাইজার, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, সোমালিয়া, সুদান, তানজানিয়া, টোগো, উজান্ডা, ক্যামেরুন, কঙ্গো, মিসর, ইরিত্রিয়া, ইথিওপিয়া, গাম্বিয়া, গায়েনা, গিনিবিসাউ, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, লাইবেরিয়া, মালি, ইয়েমেন, সৌদি আরব, বাহরাইন, কাতার, আমিরাত ইত্যাদি।
অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ধারণায়, প্রতি বছর প্রায় ১৩০ মিলিয়ন (১৩ কোটি) নারী এই নারী খৎনার কোন না কোনো একটি প্রক্রিয়া দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে । বর্তমানে নারী যৌনাঙ্গ ছাটাই-এর চর্চা প্রধানত আফ্রিকান দেশগুলোতেই হয়। এটা একটি সাধারণ বলয়, যার বিস্তৃতি পশ্চিম আফ্রিকার সেনেগাল থেকে পূর্ব উপকূলের ইথিওপিয়া, সেসাথে উত্তরে মিশর থেকে দক্ষিণে তানজানিয়া পর্যন্ত। এছাড়াও আরব উপদ্বীপের কিছু গোষ্ঠীর মধ্যেও এটির চর্চা দেখা যায়। নারী খৎনার চর্চা যখন আফ্রিকানদের মাঝে বিশ্বাসের জোরে প্রকাশ্যে ও ব্যপকভাবে হচ্ছে, তখন মধ্যপ্রাচ্যের কিছু অংশে এটির চর্চা হচ্ছে গোপনীয়তার সাথে। বিশেষ করে আরবদের মধ্যে (আফ্রিকান শিষ্টাচারসম্মত নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীগুলো যারা ইনফিবুলেশনকে অধিকতর শ্রেয় মনে করে)। চর্চাটি সাধারণত ঘটে থাকে বিশেষত উত্তর সউদি আরব, দক্ষিণ জর্ডান ও ইরাকে। সাম্প্রতিক কালে ইরাকের হাসিরা গ্রামের একটি পর্যবেক্ষণে দেখা যায় যে, ৬০% নারী ও বালিকা বলেছেন, যে তারা এই প্রক্রিয়াটির শিকার হয়েছিলেন। পর্যবেক্ষণের আগে সেখানে এই প্রক্রিয়াটির কোন শক্ত প্রমাণ পাওয়া যায় নি। সেখানে আরো কিছু আনুষঙ্গিক প্রমাণ আছে যা বলে নারী খৎনার চর্চা সিরিয়া, পশ্চিম ইরান এবং দক্ষিণ তুরস্কেও আছে। ওমানে কিছু সমাজে এখনো নারী খৎনার চর্চা আছে; বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বিশ্বাস করেন এসব ক্ষেত্রে এগুলোর সংখ্যা কম এবং তা বাৎসরিকভাবে হ্রাস পাচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সউদি আরবে এটির চর্চা মূলত সেসকল বিদেশি শ্রমিকদের মাঝে, যারা পূর্ব আফ্রিকা ও নীল উপত্যকা সৌদি আরবে এসে বসবাস করছে ।
এটির চর্চা আরো আছে দক্ষিণ আমেরিকার কিছু নৃ-তাত্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে এবং খুব কম সংখ্যায় ভারতে (দাঊদি বহ্রা গোষ্ঠীতে)। ইন্দোনেশিয়ার মুসলিম নারীদের মধ্যে মোটামুটি ভাবে এটির চর্চা খুব সাধারণ।
ইহুদি, ইসলাম ও খ্রিস্টান উভয় ধর্মই ঐতিহ্যগত সাংস্কৃতিক নারী খৎনার চর্চার শিকার। খ্রিস্টপূর্ব ১৬৩ অব্দের একটি গ্রিক প্যাপিরাসে উল্লেখ আছে যে, মিশরীয় মেয়েদের খৎনার ভিতর দিয়ে যেতে হতো এবং এটা ব্যপকভাবে স্বীকৃত যে এটির জন্ম হয়েছিল ফারাওদের আমলে মিশর ও নীল উপত্যকায়। এখনো নারী খৎনার চর্চার বিস্তৃতি সম্মন্ধে কিছু জানা যায় না, তবে এই প্রক্রিয়াটির চর্চা এখন মুসলিম, খ্রিস্টান ও সর্বপ্রাণবাদীদের মধ্যে আছে। যদিও নারী খৎনার চর্চা কিছু বিশেষ ধর্মীয় উপ-সংস্কৃতিতে হয়, তারপরও প্রাথমিকভাবে নারী খৎনা ধর্মকে ছাপিয়ে একটি সাংস্কৃতিক চর্চা। ইউনিসেফ বলে, যখন আমরা স্বাধীনভাবে ধর্মের দিকে তাকাই, তখন নারী খৎনার সাথে সাধারণত কোন সংশ্লিষ্টতা খুজে পাওয়া যায় না।” নারী খৎনার সপক্ষে যেসব যুক্তি ব্যবহৃত হয় তাদের মধ্যে হেরফের হয়, যুক্তিগুলো স্বাস্থ্য থেকে সামাজিক সুবিধা সম্পর্কিত বেশি।
“নারী যৌনাঙ্গ বিকৃতকরণ” পরিভাষাটি ১৯৭০-এর দশকের শেষ দিকে সমর্থন পেতে শুরু করে। “বিকৃতকরণ” শব্দটি শুধুমাত্র যে পুরুষ খৎনার থেকে একটি ভাষাতাত্বিক স্বাতন্ত্রতা সৃষ্টি করে তাই নয়, বরং এ কাজটির গুরুত্বকেও জোরের সাথে তুলে ধরে। ১৯৯০ সালে আদ্দিস আবাবাতে আন্ত-আফ্রিকান কমিটির তৃতীয় কনফারেন্সে যেসকল ঐতিহ্যগত চর্চা নারী ও শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে সেগুলো সমন্ধে আলোচনা করা হয়। সেখানেই প্রথম এ পরিভাষাটি ব্যবহৃত হয়। ১৯৯১ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (যা জাতিসঙ্ঘের একটি বিশেষ সহায়ক সংস্থা) সুপারিশক্রমে জাতিসঙঘ এই পরিভাষাটি গ্রহণ করে। তারপর থেকে এটি জাতিসঙেঘর দাপ্তরিক কাগজপত্রে ব্যপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
টাইপ ১
পুরো ভগাঙ্কুর বা ভগাঙ্কুরের অগ্রভাগ সম্পূর্ণ বা লম্বালম্বিভাবে কেটে অপসারণ করাকে টাইপ ১ নারী খৎনা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছে; যা হুডেক্টোমি বা ক্লিটোরোডটোমি নামেও পরিচিত। ভগাঙ্কুরের অগ্রভাগ ও পুরুষাঙ্গের অগ্রত্বককে পরস্পর সাদৃশ্যপূর্ণ ধরা হয়, যা খৎনার সময় কেটে ফেলা হয়। এখানে যে নারীরা লেবিয়াপ্লাসটি করাতে ইচ্ছুক, তারা ভগাঙ্কুরের অগ্রভাগ অপসারণের তীব্র বিরোধী, কারণ এর ফলে ক্ষত সৃষ্টি ও স্নায়ুর ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে।
টাইপ ২
টাইপ ২ নারী খৎনাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে- ক্লাইটোরিসের সম্পূর্ণ অপসারণের সাথে লেবিয়া মাইনরার আংশিক বা সম্পূর্ণ অপসারণ। এই ধরণের নারী খৎনাকে “খাফ্দ”-ও বলে, আরবিতে যার অর্থ “হ্রাস”।
টাইপ ৩ : অপসারণের সাথে ইনফিবুলেশন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা টাইপ ৩ নারী খৎনাকে কে সংজ্ঞায়িত করেছে যে, বর্হিযৌনাঙ্গের অংশ বিশেষ বা পুরো বর্হিযৌনাঙ্গের অপসারণ এবং যোনিদ্বারকে সেলাই বা চিকন করে ফেলা (ইনফিবুলেশন)। এটি নারী খৎনার সবচেয়ে মারাত্মক রূপ এবং জরিপে দেখা যায়, এটি সকল নারী খৎনার প্রায় ১৫%। ইনফিবুলেশনকে ফারাওনিক খৎনা বা নামেও পরিচিত।
হর্ন অফ আফ্রিকাতে ইনফিবুলেশনের উপর এক পর্যবেক্ষণে, পিয়েটারস লক্ষ করেন এই প্রক্রিয়ায় বর্হিযৌনাঙ্গের বেশ অনেকখানি টিস্যু কেটে ফেলা হয়, লেবিয়া মেজরার ভেতরের অংশসহ পুরো লেবিয়া মাইনরা। এরপর লেবিয়া মেজরা কাঁটা বুনে বা সেলাই করে রাখা হয়। নড়াচড়া যেন না করতে পারে সেজন্য কিছু ক্ষেত্রে মেয়েটির দুই পা দুই থেকে ছয় সপ্তাহের জন্য বেঁধে রাখা হয়, যাতে তার ভালভার দুই পাশ সেরে ওঠে। পিউবিস থেকে মলদ্বার পর্যন্ত মাংস প্রাচীর ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না, সাথে শুধু ভালভার নিচের অংশে ছোট একটি জায়গা খোলা থাকে যাতে প্রস্রাব ও রজঃস্রাবের রক্ত বেরিয়ে যেতে পারে। সাধারণত এই কাজটি যিনি করেন তিনি এই প্রক্রিয়াটি করার ব্যাপারে অভিজ্ঞ ও প্রয়োজনীয় দক্ষতা সম্পন্ন এবং এজন্য স্থানিয় চেতনানাশক ব্যবহৃত হয়। দুর্গম অঞ্চলে যখন এই কাজটি করা হয়, তখন এটি সাধারণত করেন বয়স্ক মাতৃকা বা ধাত্রীরা এবং তখন কোন চেতনানাশক ব্যবহৃত হয় না।
সুদানে ৩০০ জন নারী ও ১০০ জন পুরুষের মধ্যে পাঁচ বছর ব্যপী এক পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে, যে নারীরা এই মারাত্নক যৌনাঙ্গ বিকৃতকরণের শিকার হয়েছিলেন, তাদের মধ্যে বেশিরভাগ যৌনাকাঙক্ষা, সুখ এবং অর্গাজমবা শীর্ষসুখের অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন, এদতসত্ত্বেও তারা তাদের এই অনুভূতিগুলো তাদের সংস্কৃতিতে তারা লুকিয়ে রাখতে বাধ্য। এই প্রক্রিয়াটির সমর্থকেরা এটি চালিয়ে যাবার পক্ষপাতি। কারণ তারা এটিকে আদর্শ সুন্দরের অনুগামিতা বলে মনে করে এবং এটি পশ্চিম থেকে অনেক আলাদা। অনেক ইনফিবুলেটেড নারী মত দেয়, এই প্রক্রিয়াটির কারণে তাদের সঙ্গীরা যে সুখ লাভ করবে, তা সুনির্দিষ্টভাবে একটি সফল বিবাহিত জীবন ও আনন্দপূর্ণ যৌন জীবনের অংশ।
টাইপ ৪ : অন্যান্য প্রক্রিয়া
অন্যান্য রূপগুলো যৌথভাবে টাইপ ৪ হিসেবে উল্লেখ্য এবং এটার সাথে কোন রকমের টিস্যু অপসারণ জড়িত নয়। এটির সাথে বিভিন্ন সিমা চর্চার জড়িত, যেমন: ভগাঙ্কুরে সূচ ফোটানো, যৌনাঙ্গ পুড়িয়ে ফেলা বা ক্ষত সৃষ্টি করা সেই সাথে যোনি চিরে বা ছিড়ে ফেলা অথবা যোনির ভিতরে তৃণলতা প্রবেশ করানো, যাতে রক্তপাত হয় এবং যোনিদ্বার চিকন হয়। টাইপ ৪-এর চর্চা প্রাথমিকভাবে কিছু বিচ্ছিন্ন নৃ-তাত্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে দেখা যায়, সেই সাথে অন্যান্য টাইপের সাথে একত্রেও দেখা যায়। cialis online australia
আমাদের দেশে প্রচলিত ধারণা, মেয়েদের খাতনার প্রয়োজন নেই। আরবদেশের নারীদের যদি এফজিএম বা খাতনা করতে হয় আমাদের দেশে হয় না কেন? ধর্ম কি এক এক জনের জন্য একেক রকম? চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে পুরুষের খতনা স্বাস্থ্য সম্মত মনে করা হলেও, মেয়েদের খতনা ততটা কমন না হলেও বিশ্বের প্রায় ২৮টি দেশে তা পালন করা হয়। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মেয়েদের খতনা হচ্ছে অবৈজ্ঞানিক একটি বর্বর প্রথা। জানা যায়, আফ্রিকা বিশেষ করে মিশর, ইথিওপিয়া, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশে মেয়েদের খতনা প্রথাটি প্রচলিত আছে। আর প্রচলিত চাকু, কাচি, ব্লেড দিয়ে গ্রামের অশিক্ষিত হাজাম দিয়ে এই খতনা করানো হয়। এই প্রথাটি পুরুষ-নারী সবার ভিতরেই বদ্ধমূল হয়ে আছে। চাইলেই এই প্রথাকে দূর করা সম্ভব নয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটাকে নারীদের সতীত্ব ও সম্মানের একটি প্রতিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর মাধ্যমে নারীর যৌন কামনাকে প্রশমিত করা হয়। নারীর যৌনাঙ্গের যে অংশটুকু স্পর্শকাতর মূলত সেই অংশটুকুই কেটে ফেলা হয়। যাতে তীব্র যৌনাকাঙ্খা অনুভব না করে অথবা একেবারেই যৌন অনুভূতি না থাকে। তবে সম্প্রতি ২০১২ সালে ইউনাইটেড নেশনস জেনারেল এ্যাসেম্বলিতে একটি নীতিমালা পাস করা হয়, এই পৈশাচিক প্রথাকে বিলুপ্তি করা জন্য। ইউনাইটেড নেশনস জেনারেল এ্যাসেম্বলিতে উগান্ডার মানবাধিকার কর্মী সিলভিয়া ট্যামেল তার এক গবেষণা পত্রও এই সময় প্রকাশ করেন। কিন্তু আফ্রিকান জাতিসমূহ এর বিরোধিতা করে। ট্যামেল ভায্যমতে, এই প্রথাটি হচ্ছে সভ্যতার সবচেয়ে জঘন্যতম প্রথা। এই প্রথার মাধ্যমে নারীদেরকে শুধুই যৌনদাসী করে রাখার এক গভীর চক্রান্ত কাজ করে। কারণ নীচু মানসিকতা সম্পন্ন এইসব সমাজের পুরুষের কাছে নারী কেবলই যৌনকর্ম করার যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই না। স্ত্রী-খতনা করানো হলে ঐ নারী চিরদিনের মত যৌন অনুভূতি হারিয়ে ফেলে। অনেক ক্ষেত্রে নারীর জননতন্ত্রের ভগাঙ্কুর কেটে ফেলে দিলে অনেক কিশোরী সারা জীবন এর জটিলতা বয়ে বেড়ায়। কোন কোন ক্ষেত্রে মৃত্যুও ঘটে। এ বিষয়ে শৈল্য চিকিৎসক নাহিদ টবুয়া বলেন, সাধারণত দুই-তিন ধরণের ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন বা স্ত্রী খতনা করা হয়ে থাকে। প্রথম পদ্ধতিতে মেয়েদের ক্লাইটরিসরের একটি অংশ কেটে ফেলে দেওয়া হয়। আর দ্বিতীয় পদ্ধতিটি আরো বেশী ভয়ঙ্কর – এ পদ্ধতিতে তাদের যৌনাঙ্গের একটি বড় অংশ কেটে ফেলে দেওয়া হয়। আর এ পদ্ধতি খুবই বিপদজনক। তিনি এবিষয়ে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠিগুলোর সহায়তা কামনা করেন দৃঢ়চিত্তে!
অভিবাসনের মাধ্যমে এটির চর্চা ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকাতেও ছড়িয়ে পড়েছে। কিছু ঐতিহ্যমনা পরিবার তাদের মেয়েদের খৎনার ভেতর দিয়ে যেতে হয়, যখন তারা তাদের মাতৃভূমিতে ছুটিতে যায়। যেহেতু পশ্চিমা সরকার নারী খৎনার ব্যপারে খুব সচেতন, তাই তাদের আইনগুলো বহুদেশে নারী খৎনাকে আইনের লঙঘন হিসেবে সাব্যাস্ত করতে সাহায্য করেছে। খালিদ আদেম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ব্যক্তি, যাকে ২০০৬ সালে তার কন্যাকে খৎনা করানোর জন্য শাস্তি প্রদান করা হয়। যে সমস্ত দেশে নারী খৎনার ব্যপকতা সবচেয়ে বেশি সেগুলো হলো মিশর, সেই সাথে সুদান, ইথিওপিয়া ও মালি-তে। সাম্প্রতিক কালের সংখ্যায় ধারণা করা হয় ৯০% মিশরীয় নারী খৎনার শিকার হয়েছে। ২০০৮ এ মিশর একটা আইন পাশ করে যা নারীদের এফজিএম (মুসলমানী/লিঙ্গের ত্বকচ্ছেদ) নিষিদ্ধ করে। জাতিসঙ্ঘ বিশ্ব জনসংখ্যা তহবিল (UNFPA) ৬ ফেব্রুয়ারিকে আর্ন্তজাতিক নারী যৌনাঙ্গ বিকৃতকরণ বিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। বিস্ময়কর ব্যাপার নানা কুসংস্কারে নিমজ্জিত বাংলাদেশ এটি থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত!
ব্লগারের ফেসবুক আইডি : https://www.facebook.com/logicalbengali ventolin evohaler online
লেখক পরিচালিত পেজ :
যারা ‘ধর্ম, দর্শন, মানুষ আর জীবন জিজ্ঞাসা’ জানতে চান তাদের জন্যে জ্ঞানের চমৎকার মিউজিয়াম। প্রত্যহ হাজারো ছবি আর নলেজ দিয়ে আপডেট করা হয়। পেজটি লাইক করুন আর পড়ুন।
লিংক : https://www.facebook.com/drlogicalbangali
ডার্ক ম্যান বলছেনঃ
অনেক কিছুই জানলাম।
একবার লাদেনের রক্ষিতার একটা সাক্ষাতকার পড়ছিলাম। সেইখানে ঐ রক্ষিতা ছিলেন খতনা করা। আর প্রতিবার সেক্স করার পর লাদেনের মন্তব্য ছিল, খতনা করা মেয়ের সাথে সেক্স করা অনেক মজার।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
:তার ছিঁড়া: :-?? X_X
শেহজাদ আমান বলছেনঃ
ওয়াক থু!
অংকুর বলছেনঃ
lasix dosage pulmonary edemaঅর্ফিয়াস বলছেনঃ 2nd course of accutane side effects
বীভৎস। এক কথায় বীভৎস। ^#(^
চাতক পাখি বলছেনঃ
নৃশংস ! কি নৃশংস !!!
:পুঁজিবাদ-পুঁজিবাদ: :পুঁজিবাদ-পুঁজিবাদ: :o) :o) :o) :o) :o)
শেহজাদ আমান বলছেনঃ sito sicuro per comprare cialis generico
মেয়েদের খৎনা তো বটেই, ছেলেদের খৎনাও নিষিদ্ধ করে দেয়া হোক। এই পদ্ধতিটাই অমানবিক আর আদিম!
চাতক পাখি বলছেনঃ
অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ধারণায়, প্রতি বছর প্রায় ১৩০ মিলিয়ন (১৩ কোটি) নারী এই নারী খৎনার কোন না কোনো একটি প্রক্রিয়া দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে ।
— X( X( X( X( X( X(
ধর্ম সকল কি মানুষকে বিকল করায় ব্যস্ত? এর জন্যেই কি ধর্মের সৃষ্টি?
:o) :o) :o) :o) :o) :o)
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
নারীদের উপর অত্যাচার টাই একটা প্রাচীন প্রথা! buy viagra alternatives uk
প্রাগৈতিহাসিক ভাই, আপনি অনেক ভাল লেখেন। কিন্তু এভাবে প্রতি পোস্টের শেষে নিজের বিজ্ঞাপন দেয়া কতটুকু ভাল দেখায় বলুন!
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
সহমত জয়ের সাথে…
shapan বলছেনঃ propranolol hydrochloride tablets 10mg
narir khotnar shomortone islamer onumudoner bishoye je hadistir kotha bola hoy, ta durbol bolai mone hoy. ta chara islam shomorton korle sara worlder muslimrai korto.