মুক্তচিন্তা মুক্ত হোক
120
বার পঠিতশিক্ষা জাতির মেরুদন্ড।শিক্ষিত জাতি পারে একটি সুখী সুন্দর সাবলীল রাষ্ট্র উপহার দিতে।একটি জাতিকে প্রসারিত করতে পারে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রয়োজন চিন্তার বিকাশ প্রসারণ মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, পুঁথিগত বিদ্যা হয়তো মুখস্ত করলেই পাওয়া যায়। কিন্তু সৃজনশীল ও মুক্তচিন্তা মানুষকে কষ্ট করেই অর্জন করতে হয়। তাই মুক্তচিন্তার অধিকারী হতে শিশুকাল থেকেই শিক্ষার প্রকৃত অর্থটা বোঝানোই হতে পারে মুক্তচিন্তার প্রাথমিক ধাপ। আধুনিক সমাজে মুক্তবুদ্ধি চর্চা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। তথ্যের অবাধ প্রবাহ বাড়ায় মুক্ত চিন্তার ক্ষমতা। সুশিক্ষার হার বাড়ার সাথে সাথে বাড়ে সচেতনতার হার, বাড়ে যুক্তি দিয়ে কাজ ও চিন্তা করার ক্ষমতা, এবং কমে অন্ধ বিশ্বাসের পরিধি।আজকাল মুক্তচিন্তা বিষয়টি বারবার আলোচিত এবং সমালোচনা হচ্ছে পুঙ্খানোপুঙ্খ ভাবে।যে জাতি যত বেশী মুক্তভাবে জ্ঞান চর্চা করতে পারছে সে জাতি তত বেশী সভ্য এবং প্রগতিশীল জাতি হিসাবে পরিচিত লাভ করতে পেরেছে সমগ্র বিশ্ব জুড়ে।
উইকিপিডিয়া বলছে, মুক্তচিন্তা হলো এক প্রকার দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গী। যা বলে যে, বিজ্ঞান, যুক্তিবিদ্যা এবং যুক্তির আলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। মতামত গঠনের ক্ষেত্রে প্রথা, অন্ধ বিশ্বাস এবং কর্তৃপক্ষ দ্বারা প্রভাবিত হওয়া উচিত নয়। সচেতনভাবে মুক্তচিন্তার প্রয়োগকে বলে মুক্তচিন্তন এবং এর অনুশীলনকারীদের বলে মুক্তমনা। thuoc viagra cho nam
মনোবিজ্ঞানীরা আরও বলেন, মুক্তচিন্তার অধিকারী হতে হলে একজন মানুষের কখনোই জ্ঞান ও যুক্তিহীন দাবিকৃত কোনও মতকেই সত্য হিসেবে গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করা উচিত না। সুতরাং মুক্তমনারা বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান, বাস্তব সত্য এবং যুক্তির আলোকে মত গড়ে তুলবেন।অথবা কর্তৃপক্ষ, পক্ষপাতদুষ্টতা, লোকজ্ঞান, জনপ্রিয় সংস্কৃতি, কুসংস্কার, সাম্প্রদায়িকতা, প্রথা, গুজব এবং অন্য সব গোঁড়া, বৃদ্ধিবৃত্তিক প্রতিবন্ধকতার উৎসাহদাতার ভূমিকা পালনকারী জিনিস থেকে নিজেদের বিরত রাখবেন। ধর্মের ক্ষেত্রে মুক্তমনারা সাধারণত সমস্ত অলৌকিক বিষয়াবলি এড়িয়ে চলে তার পেছনের যুক্তি খুঁজে বের করবেন। মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে-মানুষ ধর্মের জন্য নয় বরং মানুষের জন্যই ধর্ম।
মানুষ চিন্তাশীল প্রাণি। সে তার জীবন, জগৎ, সমাজ, রাষ্ট্র, বিশ্ব নিয়ে চিন্তা করে। কেননা সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্বের যে ঘটমান-রূপান্তর তা কোনো-না-কোনোভাবে তার জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং কোনো-না-কোনোভাবে তার জীবনে প্রভাব বিস্তার করে।বিশ্বব্যাপী মুক্তভাবে চিন্তা করা এবং নিজের চিন্তা স্বাধীনভাবে প্রকাশ করা একটি মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃত।
যুগ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তি আর যোগাযোগে সভ্যসমাজ হয়ে উঠছে আধুনিক। অথচ এই একুশ শতকে এসেও আজ পৃথিবী ধুঁকছে মুক্তচিন্তার অভাবে। দেশে দেশে যেমন ছড়িয়ে পড়েছে কট্টরপন্থিতা, ধর্মীয় মৌলবাদ, সন্ত্রাসবাদ। তেমনি সমাজে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অন্যের মত ও পথের প্রতি সহনশীলতার অভাব, হানাহানি।মুক্তচিন্তা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সোস্যাল মিড়িয়ার দ্রুততম যোগাযোগের সৌজন্যে একটি প্রযুক্তিগত ন্যায্যতা পায়। বিশ্বব্যাপী মিডিয়া অধ্যয়নে সোস্যাল মিডিয়া সেভাবেই বিরাট জায়গা দখল করে নিচ্ছে। কেননা সমাজের গতিশীলতায় নতুন মাত্রা যোগ করার ক্ষেত্রে সোস্যাল মিড়িয়া একটি অভূতপূর্ব প্রভাব-বিস্তারকারী শক্তি হিসেবে ইতোমধ্যে তার ক্ষমতা প্রমাণ করেছে।তৃতীয় কিংবা চতুর্থ বিশ্বের কোনো প্রত্যন্ত প্রান্তের কোনো প্রান্তিক মানুষের মতামত সোস্যাল মিড়িয়া হয়ে পৌঁছে যাচ্ছে পৃথিবীর অন্যান্য প্রত্যন্ত প্রান্তরে। wirkung viagra oder cialis
তবে মুক্তচিন্তা সবসময় মুক্ত ছিল না। এখনও নেই। মুক্তমনাদের ওপর আঘাত এসেছে বারবার। চিন্তা যত যৌক্তিক ও বস্তুনিষ্ঠ হোক, তা মেনে নিতে চান না অনেকেই। বিশেষ করে ধর্মান্ধরা মুক্তচিন্তার বিরোধিতা করেছেন বরাবরই। বিশেষ কোনো মতবাদের প্রতি অন্ধ বিশ্বাস থেকে অন্য মতবাদকে বাতিল করতে চেয়েছেন বারবার। তারা চিন্তা দিয়ে চিন্তার জবাব দেননি, জবাব দিয়েছেন অস্ত্র দিয়ে। কারণ, তারা নতুন করে চিন্তা করতে পারেন না বা করেন না। মুক্তভাবে চিন্তা করা পছন্দও করেন না তারা। বিজ্ঞান অন্ধকার পথকে আলোকিত করে সঠিক পথের সন্ধান দেয়, অজানা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে রক্ষণশীল সমাজের সত্যের মুখোশ উন্মোচন করে দেয়। স্বার্থে আঘাত লাগে বলে রক্ষণশীলরা বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়, বিজ্ঞানের চিন্তাকে যারা ধারণ করে, লালন করে তাদের উপর অত্যাচার চালায়, কখনো কখনো জীবননাশের পথও বেছে নেয়। puedo quedar embarazada despues de un aborto con cytotec
সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে নাকি পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে — এই প্রশ্নে যদি কেউ বলে সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে — তাহলে লোকে তাকে নির্ঘাত আজ পাগল ভাববে। অথচ একসময় এই ধারণাই ছিল প্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠিত সেই বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ব্রুনো, কোপার্নিকাস বলেছিলেন — পৃথিবী-ই সূর্যের চারদিকে ঘোরে। গাণিতিকভাবে তা প্রমাণও করে দেখিয়েছেন। এই সত্য আবিষ্কার ও প্রচারের কারণে ধর্ম যাজকরা ব্রুনোকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ছিল। গ্যালিলিওকে সারাজীবন অন্ধকার প্রকোষ্ঠে দিনাতিপাত করতে হয়েছিল।এসব মহান মানুষ সরাসরি ধর্মের বিরোধিতা করেননি। কিন্তু মণীষীদের বক্তব্য ধর্মান্ধদের বিশ্বাসের বিপরীত হওয়ায়, তাদের হেনস্তা এমনকি হত্যা করা হয়।
সব ধর্মেরই লক্ষ্য পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা।প্রত্যেক ধর্মেরই অসংখ্য ধার্মিক পণ্ডিত আছেন।তারা ভালো বলতে পারেন, লিখতে পারেন। ধর্মবিরোধী কোনো বক্তব্যের জবাব তারা মুখে কিংবা লিখে দিতে পারেন। এ দেশে নাস্তিক পণ্ডিতের চেয়ে আস্তিক পণ্ডিতের সংখ্যা অনেক বেশি। সব ধার্মিক পণ্ডিত যদি লিখতে থাকেন, তাহলে তো ধর্মে অবিশ্বাসী বা ধর্মবিরোধী চিন্তাবিদরা পাত্তাই পাবেন না।
ধর্মীয় অনুশাসন শিক্ষা দেওয়া অন্যায় নয়।কোরআন, গীতা, ত্রিপিটক, বাইবেলের মতো গ্রন্থ যে পবিত্র তা আমরা জন্ম থেকে জেনে আসি না। কেউ পরিচয় না করিয়ে দিলে ধর্ম কি তা আমরা জানতাম না। জন্মের পর আমাদের আশেপাশের মানুষ-ই আমাদেরকে এসবের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। আর আমরা প্রায় সবাই ধর্ম না বুঝে শুধুমাত্র তাদের ওপর আস্থা রেখেই তা মানা শুরু করেছি। ধর্মের ব্যাপারে শুরু থেকেই শোনা কথার ওপর আস্থা রাখার এই মানসিকতা আমাদের আজও রয়ে গেছে।
অন্য দিকে, ‘অন্ধত্ব’ শুধু ধর্মানুসারীদের জন্যই প্রযোজ্য নয়। ‘ধর্মান্ধ’ আস্তিক যেমন আছেন, তেমনি কট্টরপন্থি নাস্তিকও রয়েছেন। ধর্মানুসারীদের যেমন উচিত ‘ধর্মান্ধতা’ পরিহার করা, তেমনি নাস্তিকদেরও উচিত নাস্তিক্যের ‘অন্ধত্ব’ থেকে বেরিয়ে আসা। উভয় পক্ষেরই উচিত পরমত-সহিষ্ণুতা প্রদর্শন করা। অপরের কথা শোনা এবং বোঝার মানসিকতা থাকতে হবে।
আমরা কেউ পর্যাপ্ত মাত্রায় সহনশীল নই। সহনশীলতা শুধু ধর্মান্ধদের পক্ষ থেকেই প্রত্যাশিত না, প্রগতিশীলদের কাছ থেকেও সমমাত্রার সহনশীলতা কাম্য। বিকৃত বা অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করলেই যে তর্কযুদ্ধে জয়লাভ ঘটে না, তা আমরা সবাই জানি। কিন্তু মুক্ত আলোচনার নামে আমরা এসব করে থাকি। এটা হলো রাগ বা ক্ষোভ প্রকাশের সূচনা।ক্রোধ মানুষকে অমানুষে পরিণত করে। অমানুষের মধ্যে কোনো মানবিকতা থাকে না।
মুক্তচিন্তা মানে সমস্ত অজ্ঞতা-ধর্মীয় গোঁড়ামি-কুসংস্কার-পশ্চাৎপদ ধ্যান-ধারণা থেকে বেরিয়ে আসা।এর মানে ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় চিন্তা না করেই খেয়াল-খুশি মতো যেকোন কিছু করা বা বলা নয়। অনেকেই মুক্তচিন্তা বলতে ব্যক্তি স্বাধীনতার নাম করে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করাকে বোঝেন, কোনো নিয়ম না মানাকে বোঝেন। তারা এই সত্যটি ভুলে যান যে, জাগতিক কোনো কিছুই নিয়মের বাইরে নয়, সবকিছু নিয়মের শাসনাধীন।সমাজ বিকাশের নিয়ম মেনে চিন্তা ও কাজ করতে পারার নামই প্রগতিশীলতা।
মুক্তচিন্তার প্রতিপক্ষ ধর্ম নয় কোনভাবেই। ধর্ম ক্ষেত্র বিশেষে কিছু প্রতিবন্ধকতা তৈরী করতে পারে মাত্র। আজকের দুনিয়ায় মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানের প্রতিপক্ষ প্রকৃতপক্ষে শাসকগোষ্ঠী আর সাম্রাজ্যবাদ যার দখলে আছে রাষ্ট্রযন্ত্র আর কর্মকৌশল। তারাই দখল করেছে চিন্তা-জ্ঞান আর বিজ্ঞানকে। এই দখলদারিত্ব বজায় রাখার জন্যই তারা ধর্মকে ব্যবহার করছে।ধর্ম একটা বিশ্বাস।আর এই বিশ্বাসকে পুঁজি করেই প্রতিক্রিয়াশীল অপশক্তি ধর্মীয় গোঁড়ামিকে কাজে লাগিয়ে দেশে প্রতিনিয়ত অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে চলেছে।তাদেরকে প্রথমে তাদের নিজেদের জ্ঞানের ভিতকে সুসংহত করতে হবে। বুঝত হবে, ধর্মীয় কুসংস্কার ও ধর্মের অপব্যাখ্যার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ আর ধর্মীয় মূল্যবোধকে অবমাননা করা এক নয়।
পৃথিবীর ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, মুক্ত চিন্তাই শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়। নতুন নতুন চিন্তাই দুনিয়াকে এগিয়ে নেবে। মানুষ হবে মুক্তচিন্তার জোরেই। সুতরাং মুক্তচিন্তা মুক্ত হোক। will i gain or lose weight on zoloft
কোলাহল
Mohd Shahanoor Alam Bhuiyan Titu @ বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীর বিক্রম এবং বীর প্রতীকদের তালিকা
shapan @ প্রসঙ্গ নারী : ধর্মীয় আর সামাজিক বর্বর আইন নারী খৎনা Female Circumcision
Mkjk @ বিদ্রোহী কবি নজরুল ; একটি বুলেট কিংবা কবিতার উপাখ্যান
পারভেজ আহমেদ @ বাংলা কবিতায় ছন্দ কত প্রকার ও কি কি?
Md forid mia @ পা চাটা কুত্তার জলকেলি
Juel @ বিদ্রোহী কবি নজরুল ; একটি বুলেট কিংবা কবিতার উপাখ্যান
Juel @ জলচর মৎস্য হতে স্তন্যপায়ী মানুষ; বিবর্তনবাদের মহা নাটকীয়তার পরিণতি
Ask2ans @ The Boy In The Striped Pajamas