একটি দেশ ও ঘুণে ধরা “শিক্ষা” নামক প্রটোকল !!
255
বার পঠিত
“ আমরা জীবনের মূল্যবান ২০ টি বছর খরচ করি,
২ পৃষ্ঠার একটি বায়োডাটা বানাবো বলে! ” metformin gliclazide sitagliptin
এখনকার শিক্ষিত সমাজে এই প্রবচনটি বেশ জনপ্রিয়। কেউ হয়ত অক্ষেপ করে বলে, আবার কেউ বলে হতাশায়। কিন্তু এত দীর্ঘ সময়ের ব্যপ্তিকালে শিক্ষার্জন করে আসা একজন শিক্ষার্থীর এমন আক্ষেপ বা হতাশা সত্যিকার অর্থেই একটি ব্যক্তি জীবন, একটি পরিবার, একটি সমাজ এবং সর্বোপরি একটি দেশের জন্য অনেক বড় ধরনের হুমকি।
সত্যিকার অর্থে এখনকার সমাজে শিক্ষার্জন পরিমাপ হয় অর্থের মাপকাঠিতে। একজন শিক্ষার্থী তার জীবনের মূল্যবান সেই ২০ টি বছর অতিবাহিত করছে একটি ভাল চাকুরী লাভের আশায়। কিন্তু আসলেই কি সে তার আখাংকিত চাকুরী পাচ্ছে? নাহ কি যে কোম্পানি বেতন বেশি দিবে সেটাই ভাল চাকুরী? পড়াশুনার বিষয় বস্তু আর চাকুরী দুইটা দুই জিনিস। বাস্তবতায় একটু ফিরে তাকালে দেখা যাবে বিচিত্র অনেক অনাকাংখিত সচিত্র প্রেক্ষাপট। যে প্রেক্ষাপটগুলোকে আমরা খুব সহজে নিয়তি মনে করে কোন রকম বেঁচে ছিলাম, এখনও বেঁচে আছি।
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের শিক্ষা দেবার পাশাপাশি অনেক অদ্ভুত কিছু শিখিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই যেমন, ভাল চাকুরী পেতে দরকার ভারি ভারি সার্টিফিকেট। পাশাপাশি সমাজ ব্যবস্থা আর একটু সরস চিত্তে বলে ওঠে, ভাল চাকুরী পেতে লাগে মোটা অংকের ঘুষ নামক এক বস্তু আর মামা খালু নামের কিছু পারিবারিক সম্পর্ক। ফলাফলে একজন শিক্ষার্থী দিনে দিনে হয়ে পড়ছে আরও ভীত সন্ত্রস্ত। আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার অধিকাংশই মধ্যবিত্ত বা দরিদ্র। ছোট বেলা থেকেই এত এত ভয়ের গল্প শুনে শুনে কেউ উঠে পড়ে লাগে যে ভাবেই হউক একটি ভাল সার্টিফিকেট তাঁকে পেতেই হবে। শুরু হয়ে যায় অদ্ভুত এক প্রতিযোগিতা। এই ভিত্তিহীন দৌড়ে অংশ নেয় যথাক্রমে শিক্ষার্থী সহ তার পিতা-মাতা, বিদ্যালয়ের শিক্ষক, টিউশন শিক্ষক আরও অনেকে। একটাই লক্ষ্য, A+ খচিত একটি সার্টিফিকেট।
কিন্তু A+ বা A খচিত সেই সার্টিফিকেট নিয়ে মাধ্যমিক আর উচ্চ মাধ্যমিক এর গন্ডি পেরিয়ে এই সকল শিক্ষার্থীরা পড়ে যাচ্ছে অতল সমুদ্রে। বুয়েট, মেডিক্যাল বা সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় গিয়ে হেরে যাচ্ছে সেই দৌড়ে। নিজের আত্মবিশ্বাসে মুহূর্তে ভর করছে, আক্ষেপ আর হতাশা। অথচ সেই সব পরীক্ষায় উতরে যাওয়া সেই সকল শিক্ষার্থীদেরও আছে সেই একই A+ বা A খচিত সার্টিফিকেট! buy kamagra oral jelly paypal uk
মুলত আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ যে কোন প্রকার সমস্যা নিয়ে লিখতে বললে যে কেউ পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা অনায়াসে লিখে যেতে পারে। এই সকল কারনে কাকে দোষারোপ করব? নিজেকে, পরিবারকে, সমাজকে, সরকারকে নাহ দেশকে?
দোষ সিস্টেমের, এক দিকে এই শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের বছরে বছরে লক্ষ লক্ষ A+ বা A খচিত সার্টিফিকেট এর জন্ম দিচ্ছে, পাশাপাশি অন্য দিকে নিম্ন গ্রেড দিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎদের সমাজ, পরিবার থেকে পচা বা নষ্ট অপবাদ দিয়ে নর্দমায় ছুঁড়ে মারছে!!
এভাবে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা সমস্যা নিয়ে লিখে যাওয়া অথবা একে অপরকে দোষারোপ করা এক প্রকার মূর্খতা। সময় এসেছে সমাধান নিয়ে আলোচনা করার, সমাধানের প্রয়াসে সামনে এগিয়ে যাবার।
স্বাধীনতার প্রাক্বালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, “আমি তোমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছি, এখন তোমরা এগিয়ে যাও আর সেটা সংরক্ষণ কর।” দেশ স্বাধীন হয়েছে ৪৪ বছর, এখনও আমরা আমাদের মৌলিক চাহিদার অন্যতম এই শিক্ষাকে সঠিক আলো দেখাতে সক্ষম হতে পারিনি। কিন্তু সম্প্রতি নতুন প্রজন্মের অনেকেই তাদের স্ব স্ব উদ্যোগে সামনে এগিয়ে আসছে।
আসলে হিস্টোরিকাল টাইম ফ্রেমের সহজ সমীকরণে প্রতিটি জাতি , সমাজ বা দেশ একটি নির্দিষ্ট সময় পাই নিজেদের শুধরানর, স্ব মহিমায় নিজেদের আলোকিত করার। আর আমার মনে হয়, বাংলাদেশের জন্য সেই স্বর্ণ যুগটি এখন বর্তমান!
কোলাহল
Mohd Shahanoor Alam Bhuiyan Titu @ বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীর বিক্রম এবং বীর প্রতীকদের তালিকা
shapan @ প্রসঙ্গ নারী : ধর্মীয় আর সামাজিক বর্বর আইন নারী খৎনা Female Circumcision
Mkjk @ বিদ্রোহী কবি নজরুল ; একটি বুলেট কিংবা কবিতার উপাখ্যান
পারভেজ আহমেদ @ বাংলা কবিতায় ছন্দ কত প্রকার ও কি কি?
Md forid mia @ পা চাটা কুত্তার জলকেলি
Juel @ বিদ্রোহী কবি নজরুল ; একটি বুলেট কিংবা কবিতার উপাখ্যান
Juel @ জলচর মৎস্য হতে স্তন্যপায়ী মানুষ; বিবর্তনবাদের মহা নাটকীয়তার পরিণতি
Ask2ans @ The Boy In The Striped Pajamas