এক অনিচ্ছুক প্রজন্মের কথা…
197
বার পঠিত“ইধার সো রাহা হ্যায় এক গাদ্দার”
পাকিস্তানের করাচীর মাসরুর বেসের চতুর্থ শ্রেণীর কবরস্থানে নিতান্তই অযত্নে আর অবহেলায় ফেলে রাখা একটা কবরের সামনে লেখা ছিল কথাটা। কবরটা এক ফ্লাইট লেফটেন্যান্টের।পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে যার উজ্জ্বল ক্যারিয়ার ছিল, কর্মদক্ষতা আর পারদর্শিতায় যার তুলনা ছিল সে নিজেই। ৪৪ বছর আগের সেই ২০ আগস্ট মানুষটা সব ভুলে গিয়েছিল,ভুলে গিয়েছিল তার স্ত্রী-সন্তানের কথা, পাকিস্তানীদের প্রতি তীব্র ঘৃণা আর অকুতোভয় দেশপ্রেমে জন্ম দিয়েছিল এক অসম্ভব উপাখ্যানের…
দেশমাতাকে খুবলে খাচ্ছে চাঁদ-তারা শকুন, মুক্ত করতে হবে তাকে,মাথার ভেতর লুপের মত ঘুরতো এই কথাগুলো… প্রত্যেকটা মুহূর্ত… টি-৩৩ বিমানটা নিয়ে যখন আকাশে উড়লো সে, তখনো কথাগুলো বাজছিল তার মাথার ভেতর। শিক্ষানবিস পাকিস্তানী পাইলট মিনহাজ রশীদ হঠাৎই যেন শুনতে পেল সেগুলো, দেখলো প্লেনটা যাচ্ছে ইন্ডিয়ান বর্ডারের দিকে… মিনহাজ সাচ্চা পাকিস্তানী ছিল।তাই ধ্বস্তাধস্তি করতে করতে অজ্ঞান হবার আগে ঠিকই সে খবরটা পৌঁছে দিয়েছিল বেসক্যাম্পে… চারটা যুদ্ধ বিমান উড়ে এসেছিল, বর্ডারের একটু আগে প্লেনটা বিধ্বস্ত হয়ে দুমড়েমুচড়ে পড়ে ছিল… তারছিঁড়া সেই বঙ্গশার্দুল কিন্তু পরিনতিটা জানতো… কিন্তু সে ভয় পায়নি… একটুও না…
ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউরের কবরটা ৩৫ বছর পাকিস্তানীরা ওভাবেই ফেলে রেখেছিল,একজন গাদ্দারের জন্য তারা আর কিই বা করতে পারতো? মিরপুরের কসাই কাদের আর তার সহচর পাকিস্তানী সেনা আর বিহারীদেরও আসলে কিছু করার ছিলো না। কবি মেহেরুন্নেসা একটা স্বাধীন বাংলাদেশ চেয়েছিলেন,অনলবর্ষী কবিতা বেরোত তার আঙ্গুল ফুড়ে… কত বড় সাহস, ভাবা যায়? তাই ইসলামের নামে প্রথমে মেহেরুন্নিসার মাকে কোপানো হল, তারপর তার ছোট্ট ছোট্ট দুইটা ভাইকে জবাই করে তাদের মাথা দিয়ে ফুটবল খেললো ওরা… শেষে মেহেরুন্নিসাকে ধর্ষণের পর জবাই করে মাথাটা আলাদা করে ফেলা হল। তারপর তার চুল দিয়েই বেঁধে সেই মাথাটা লটকে রাখা হল ফ্যানের সাথে… হা হা অট্টহাসিতে ফেটে পড়েছিল সেদিন কাদের মোল্লাসহ পাকিস্তানী ভাইয়েরা, কোরআন শরীফ বুকে জড়িয়ে একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান হিসেবে প্রানভিক্ষা চেয়েও বাঁচতে পারেননি মেহেরুন্নিসার মা। ওরা তো নিরুপায়, ইসলাম কায়েম করতে হবে না? সাচ্চা পাকিস্তানী ইসলাম… buy kamagra oral jelly paypal uk
চুলায় ভাত বসিয়েছিল আসমানী, হঠাৎ কোথেক্কে “মিলিটারি মিলিটারি” চিৎকার করতে করতে ছুটে এল নশু পাগলা। জীপ তিনটা গ্রামে ঢুকলো ঠিক তখনই, কিছুদূর গিয়ে থামতেই লাফ দিয়ে পাকিস্তানী শূয়োরগুলো নামলো। আসমানীর স্বামীর খোঁজে পুরো বাড়ি তন্নতন্ন করে খুঁজলো, না পেয়ে অগত্যা আসমানী আর তার ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধা শাশুড়ির পেটে ইসলামের নামে পাকিস্তানের বীজ বুনে যাওয়াই মনস্থির করলো। কয়েকদিন আগে রেহানা নামের ফুটফুটে একটা পরী জন্ম দেওয়া আসমানি অবশ্য এই পবিত্র পৈশাচিকতা সহ্য করতে পারলো না, “মাগো, মাগো বলে কয়েকবার আর্তচিৎকারের পর নিস্তেজ হয়ে গেল। যোনির ভেতর বেয়নেট নিয়ে নির্বিচারে খোঁচানোয় গলগল করে রক্ত বেরোতে লাগলো। যাবার সময় হঠাৎ বিছানায় নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে থাকা রেহানার দিকে চোখ পড়লো ওদের, “সালে মালাউন বি বাচ্চে, কিমা বানাও উসকো”… কমান্ডারের অর্ডার পেয়ে আর দেরী করল না শুয়োরগুলো, ২৫ দিন বয়সী ফুটফুটে পুতুলটাকে সজোরে আছাড় মারলো মাটিতে, তারপর প্রবল আক্রোশে বুট দিয়ে পিষতে লাগলো ছোট্ট শরীরটা, সবাই মিলে… will metformin help me lose weight fast
পৃথিবীর ইতিহাসের এই পৈশাচিক গণহত্যার জন্য ওরা আজো ক্ষমা চায় নাই, ক্ষমা চাওয়া তো দূরে থাক, স্বীকার পর্যন্ত করে নাই যে কি বর্বর গণহত্যা চালাইছিল ওরা। ৪৩ বছর ধরে একের পর প্রজন্মকে তারা স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যত্ন করে শেখাইছে, ১৯৭১ সালে হিন্দুস্তানি দালালেরা পাকিস্তান ভাঙ্গতে চাইছিল, সামান্য গণ্ডগোল হইছিল, কিন্তু পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বীর জওয়ানেরা সেইটা ঠিকঠাক সামাল দিয়ে ফেলছিল, কিন্তু শেষপর্যন্ত ভারতের ষড়যন্ত্রে পাকিস্তান ভেঙ্গে যায়। মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযোদ্ধা বলতে যেইটা বোঝানো হয়, সেইটা আসলে ইন্ডিয়ান আর্মি, ইন্ডিয়ান চর ছিল। ৪৩ বছর পার হয়ে গেছে, ওরা ক্ষমা চায় নাই। কিন্তু আজ নতুন প্রজন্মের কিছু আধুনিক ভদ্র সুসভ্য মানুষজন ক্ষমার কথা বলেন, তারা বলেন,
“কিন্তু তাই বলে আমরা প্রত্যেক পাকিস্তানিকেই ঘৃণা করব? সেই ঘৃণার বীজ ছড়িয়ে দেব প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে? পাকিস্তানে কি ভালো মানুষ একটিও নেই?”
আসলেই তো, কিইবা করতে পারেন রাজীব সাহেবেরা? অযুতনিযুত শহীদদের রক্তস্রোতে ডুবে যাওয়া জমিনে দাড়িয়ে পাকিস্তানকে ঘৃণা করার ৩৪ লাখ জলজ্যান্ত কারন আছে তো কি হইছে? তাই বলে পাকিস্তানের সবাইকে ঘৃণা করতে হবে? প্রত্যেক পাকিস্তানী অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে পরম ঘৃণায় বাংলাদেশের গাদ্দার মালাউনগুলার ধ্বংস কামনা করে তো কি হইছে? তাই বলে আমরাও ওদের পাল্টা ঘৃণা করবো? এইটা কেমন বিচার?
বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের নির্বাক নিস্তব্ধতার সামনে অসম্ভব বিষণ্ণ চোখে তাকিয়ে ছিলেন কবি মেহেরুন্নেসা… অনেক দূরে টলমল চোখে একরাশ অভিমান নিয়ে দাড়িয়ে আছে ছোট্ট রেহানা… পাকিস্তানকে ঘৃণা করতে অপারগ প্রজন্মের সামনে বড্ড বিব্রতবোধ করছে মানুষগুলো… ৪৪ বছর আগের রক্তাক্ত জন্মইতিহাসের জন্য, একটা অনিচ্ছুক ভুল ইতিহাসের জন্য অসম্ভব বিব্রত আজ তারা… অসম্ভব অসম্ভব বিব্রত..
কোলাহল
Mohd Shahanoor Alam Bhuiyan Titu @ বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীর বিক্রম এবং বীর প্রতীকদের তালিকা
shapan @ প্রসঙ্গ নারী : ধর্মীয় আর সামাজিক বর্বর আইন নারী খৎনা Female Circumcision
Mkjk @ বিদ্রোহী কবি নজরুল ; একটি বুলেট কিংবা কবিতার উপাখ্যান
পারভেজ আহমেদ @ বাংলা কবিতায় ছন্দ কত প্রকার ও কি কি?
Md forid mia @ পা চাটা কুত্তার জলকেলি
Juel @ বিদ্রোহী কবি নজরুল ; একটি বুলেট কিংবা কবিতার উপাখ্যান
Juel @ জলচর মৎস্য হতে স্তন্যপায়ী মানুষ; বিবর্তনবাদের মহা নাটকীয়তার পরিণতি
Ask2ans @ The Boy In The Striped Pajamas