মানঝি- দ্যা মাউন্টেইন
210 para que sirve el amoxil pediatrico
বার পঠিত
কোন এক বাংলা ছায়াছবির গানে নায়ক অমিত হাসান একবার গেয়েছিল,
“আমি পাথরে ফুল ফোটাবো, শুধু ভালোবাসা দিয়ে!”
সিরিয়াসলি??
![]()
যাই হউক, প্রেম ভালোবাসা নিয়ে এমন ঔদ্ধতপূর্ণ বা অবাস্তব বাক্য বিনিময় কেবল ছায়াছবিতেই সম্ভব। কথায় আছে ছিঃনেমার গরু সর্বদায় গাছে চড়িতে সক্ষম। ছিঃনেমার এরকম জানা অজানা অসংখ্য বাক্য বা ডাইলগ আমাদের মত সাধারন মানুষদের কাছে প্রেম ভালোবাসাকে এক প্রকার মিশন ইম্পসিবল এর পর্যায় নিয়ে গেছে। আর আমাদের এই সাধারণ কাতারের বাইরে যে বা যাহারা এই ইম্পসিবল কে পসিবল করেছে তাহারা এক একজন শ্রেফ টম ক্রুজ! তাদেরকে আন্তরিকভাবে অভিনন্দন।
প্রেম- ভালোবাসার প্রশ্নে বা উদাহরণে বরাবরই কয়েকটি পরিচিত নাম; এই যেমন লইলি- মজনু, শিরি- ফরহাদ, রোমিও- জুলিয়েটদের নাম কথায় কথায় অত্যন্ত যত্ন সহকারে পরিবেশন করা হয়। যদিও ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে প্রেমের জন্য এমন জীবন দেয়া প্রেমের বাস্তবিক কোন অর্থ আমি খুঁজে পাই না। বরং ইট পাথরের শহরের কোন এক চিলে- কোঠার ছোট্ট ঘরে জীবনের সাথে প্রতি নিয়ত যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা সেই সকল কপোত- কপোতীদের ভালোবাসায় অনেক বেশি অর্থ খুঁজে পাওয়া যায়। ঠিক যেমন পাওয়া গিয়েছিল উনিশ শতকের মাঝমাঝি সময়ে জীবনের সাথে যুদ্ধ করা এক জোড়া কপোত- কপোতী; নাম দাশ্রাথ মানঝি ও ফাল্গুনী দেবী। তারা ভালোবাসার খাতিরে একজন আর একজনের জন্য জীবন দিয়ে যায় নাই। সাধারন জীবন যাপনের মধ্যেই সমাজের বৈরিতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে করতে তারা এঁকে অন্যকে ভালোবেসেছিল হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে। সম্রাট শাহাজাহান হয়ত নিজের ক্ষমতা আর অর্থের ব্যয়ে স্ত্রী মমতাজের জন্য গড়েছিল অদ্ভুত সুন্দর তাজমহল, যেঁটা পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি নিদর্শন হয়ে আছে আজও। কিন্তু মানঝি জন্ম নিয়েছিল দিন আনে দিন খাওয়া একজন খেত মজুরের ঘরে। স্ত্রীকে ভালোবেসে তাজমহল তোঁ দূরের কথা, কষ্ট শিষ্টে একবার একটি তাজমহলের খেলনা কিনে দিতে পেরেছিল।
টাকার অভাবে এক জোড়া নূপুর কেনার সাধ্য না থাকায় একটি কিনে পরম ভালোবাসায় পরিয়ে দিয়েছিল ফাল্গুনীর পায়ে। এই ছিল দাশ্রাথ মানঝির ক্ষমতা। কিন্তু তার ছিল ভালোবাসা নামক অন্তহীন এক শক্তি। যে শক্তির উপর ভর করেই একটি হাতুরি ও শাবল এর সাহায্যে একায় যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল পাথরে গড়া পাহাড়ের সাথে। কেননা এই দীর্ঘ পাহাড় পাড়ি দিতে গিয়েই মৃত্যু হয়েছিল প্রানপ্রিয় স্ত্রী ফাল্গুনীর। ২২ বছর যুদ্ধ করে অভিশপ্ত পাহাড়ের বুক চিরে গড়েছিল ৩৬০* ২৫* ৩০ফুট (দীর্ঘ* উচ্চতা* প্রশস্ত) একটি রাস্তা। যার নাম দাশ্রাথ মানঝি রোড। কিন্তু তার এমন অসম্ভবকে সম্ভব করার কাহিনী বর্তমানের মিডিয়া বা সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকটাই নির্লিপ্ত।
বিহারের গেহ্লাহুর গ্রামে জন্ম নেয়া এই মানঝি – ফাল্গুনীর অমর প্রেম কাহিনী নিয়ে পরিচালক কেতন মেহতা নির্মাণ করেন MANJHI – The Mountain Man মুভি। যেখানে অভিনয় করেন গ্যাং অফ ওয়াসিপুর খ্যাত নওয়াজুদ্দীন সিদ্দিকি ওরফে মানঝি এবং অন্তহীন এর মিস্টি মেয়ে রাধিকা আপতে ওরফে ফাল্গুনী বা ফাগুনিয়া। মুভিটি দেখার সময় আমার কাছে একটি বার ও মনে হয় নাই যে তারা অভিনয় করছে। এ যেন ছিল দুটি বাস্তব জীবনের হুবুহু প্রতিফলন। ছবির শুরুতেই মানঝি ও ফাগুনিয়ার বাল্য বিবাহ হয়। দৃশ্যটা এমন, মঞ্চে পুরোহিত শিশু মানঝি- ফাগুনিয়ার বিবাহ সম্পন্নের মন্ত্র পড়ছেন, পিছনে বর কনের পিতারা পাঁচটি শূকর দেনা পাওনায় হাতা হাতিতে ব্যস্ত, কিন্তু সদ্য বিবাহিত বড় কনের মুখে যেন এক অদ্ভুত ভালোবাসার হাসি খেলা করে গেল। এরপর গ্রামের শোষক মুইখ্যা জির হাত থেকে বাঁচতে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায় ছোট মানঝি। ফিরে আসে অনেক বছর পর। পর্দায় আগমন ঘটে লাল প্যান্ট ও হলুদ শার্ট পরা দি গ্রেট নওয়াজুদ্দীন এর। মুখে সেই চিরায়িত অদ্ভুত মন ভাল করা হাসি।
সেই ছোট বেলায় বিয়ে করে রেখে জীবনের ভয়ে পালিয়ে যাওয়া মানঝি তার জরুয়া ফাগুনিয়াকে না চিনেই প্রথম দেখাতে ভালোবেসে ফেলে। এভাবেই তাদের ভালোবাসার ছোট ছোট খুনসুটি ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল মুভির অর্ধেকটা সময়। metformin synthesis wikipedia
তাদের ভালোবাসাময় প্রাত্যহিক এই জীবনে মুল বাধা বলতে ছিল ঐ পাহাড়। পাহাড়ের অপর পাশে ছিল সভ্য মানুষদের বাস। স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল সহ সকল প্রকার নাগরিক সুবিধা পেতে হলে গেহ্লাহুর গ্রামবাসীদের প্রতিদিন পাড়ি দিতে হত ৭০ কিঃ মিঃ। কেননা, গেহ্লাহুর গ্রাম আর সভ্য সমাজের মাঝে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল পাহাড়টি। তারপরও জীবনের তাগিদে হয় শত কিঃ মিঃ পাড়ি দিয়ে নতুবা পাহাড় ডিঙিয়ে চলেছিল গেহ্লাহুর গ্রামবাসী। এমনই একদিন ফাগুনিয়া তার অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় পাহাড় ডিঙাতে চেয়েছিল সভ্যতার টানে। কিন্তু বিধি বাম, অভিশপ্ত পাহাড়টি কেড়ে নিল ফাগুনিয়ার জীবন। এদিকে সর্বদা হাসি খুশি মানঝি তার প্রাণ প্রিয় স্ত্রীকে হারিয়ে হয়ে গেল অন্য রকম এক মানুষ; যার শত্রুতে পরিনত হোল প্রকৃতির উপাদান এই পাহাড়টি। রাগে, ক্ষোভে, দুঃখে আগুন জালিয়ে দিল পাহাড়ের উপত্যকায়। এরপর সে সিদ্ধান্ত নিল পাহাড় কাটার। সম্বল একটি হাতুড়ী ও একটি শাবল। ঝড়, বৃষ্টি, তুফান, খরা কোন কিছুই রুখতে পারেনি ভালোবাসার টানে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ দাশ্রাথ মানঝিকে। এভাবে সে দীর্ঘ ২২ টি বছর একটানা কাজ করে সফল হয় তার মঞ্জিলে পৌঁছুতে। সফলতার সাথে পাহাড়ের বুক চিরে বের করে আনে একটি সুন্দর রাস্তা। যে রাস্তা আজও সাক্ষী হয়ে আছে সেই অমর ভালোবাসার। মুভির আদ্য থেকে অন্ত পর্যন্ত মানঝি ওরফে নওয়াজুদ্দীন এর ছিল একচ্ছত্র প্রভাব। মুভি জগতের কিছু কিছু চরিত্র যেমন গড ফাদার বলতে আমি মারলন ব্রান্ডো, জন ন্যাশ বলতে রুসেল ক্রু বা ফরেস্ট গাম্প বলতে টম হ্যাংক্স বা থিওরি অব এভ্রিথিং এর স্টিফেন হকিং বলতে এড্যি রেডমাইন কেই বুঝি। ঠিক তেমনি দাশ্রাথ মানঝি বলতে নওয়াজুদ্দীন সিদ্দিকির নাম ইতিহাস হয়ে থাকবে। আগেই বলেছি এই মানুষটি অভিনয় শিল্পী নাহ, সে অনেক গুলো চরিত্রের বাস্তব প্রতিফলন। যে চরিত্রেই অভিনয় করে দেখলে মনে হয় এইটা আসলেই সে। kamagra pastillas
সত্য সেই কাহিনীর উপর নির্মিত এই বায়োগ্রাফি মূলক মুভিটি পরিচালক কেতন মেহতার জীবনে অন্যতম একটি কাজ হয়ে থাকবে। যদিও মুভিটির এখনও IMDB রেটিং শুরু হয় নায়, তবে আমি ব্যক্তিগত মতামতে ৮.০ দিতে কুণ্ঠিত হব না। অন্যদিকে ক্রিটিক্স হিসাবে ৪ দেয়ায় যায়। মুভিটির সাথে জড়িত সকল কলা কুশলীদের এত সুন্দর প্রচেষ্টার নির্মাণটি নিয়ে ক্রিটিসাইজ করাটা শোভনীয় মনে করছি না। metformin tablet
প্রথম দিকে যখন সে একা একাই পাহাড়ের পাথর ভাঙতে শুরু করল, তখন সবাই তাঁকে ডাকত পাগল মানঝি। এরপর নিজের একাগ্র প্রচেষ্টা, সততা আর পরিশ্রমে যখন সত্যিই পাহাড় এর বুক চিরে তৈরী করে ফেলল রাস্তা তখন সবাই তাঁকে বাবা মানঝি বলে ডাকত। ডাকবেই বা না কেন, যুগ যুগ ধরে সকল প্রকার সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকা গেহ্লাহুর বাসীরা যে দেখেছিল সুন্দর একটি জীবনের আলো। মুভির শেষ দৃশ্যে সাংবাদিক অলক দাশ্রাথ মানঝির এমন অসম্ভভবকে সম্ভব করায় তার অনুভূতি জানতে চায়। উত্তরে দাশ্রাথ মানঝি বলেছিল, zovirax vs. valtrex vs. famvir
“আমি একজন অশিক্ষিত মানুষ কি বা বলতে পারি, তবে এইটুকু বলব যে, সৃষ্টিকর্তার ভরসায় বসে থেকোনা, কে জানে সৃষ্টিকর্তাই আমাদের ভরসায় বসে আছে!!”
বিঃ দ্রঃইন্টারনেটের বদৌলতে মুভি রিলিজ হবার ১০ দিন আগেই মুভি দেখলাম। এই রকম অপরাধের জন্য কর্তৃপক্ষ কোন ভাবেই দায়ী নয়।
অপার্থিব বলছেনঃ
সাম্প্রতিক কালে বলিউডি সিনেমায় বায়োপিকের জয়জয়কার। নওয়াজ উদ্দীন কে নিয়ে নুতুন করে বলার কিছু নেই আর অহল্যাতে রাধিকা আপ্তের স্ক্রিন প্রেজেন্স এবং একটিং দুটোই দারুন ছিল । কেতন মেহতাও ভাল পরিচালক। সব মিলিয়ে আশা করছি সিনেমাটা ভালই হবে। রিভিউ ভাল লাগলো।
বি এম বেনজীর আহম্মেদ বলছেনঃ
আপনাকেও ধন্যবাদ এত বড় রিভিউ ধৈর্য নিয়ে পড়ার জন্য