বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং ভারত চীন আমেরিকা সোভিয়েতের অবস্থানের সংক্ষিপ্ত আলোচনা
590
বার পঠিত৩০ জানুয়ারী, ১৯৭১ সাল। লাহোরে একটি ভারতীয় যাত্রীবাহী বিমান অপহরণ করে নিয়ে আসে দুই যুবক। তারা ছিলো কাশ্মীরের লিবারেশান আর্মির সদস্য। এমনকি ভারতের এই বিমান অপহরণের পর তাদেরকে পাকিস্তানে বিরোচিত সম্মান জানানো হয়। পিপলস পার্টির নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো তাদের সাথে আলিঙ্গন করেন এবং তাদেরকে “মহান মুক্তিযোদ্ধা” বলে অভিনন্দন জানান। বিমানটি বিস্ফোরণে ধ্বংস করার পর যুবক দুটি আত্মসমর্পণ করে এবং পাকিস্তান তাদেরকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়। এই ঘটনার সূত্র ধরে ভারত তাদের আকাশসীমায় পাকিস্তানি বিমান চলচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ফলে পাকিস্তানকে শ্রীলঙ্কান আকাশপথে বাংলাদেশে সৈন্য পরিবহণ করতে হয়। মূলত এটি ছিলো পাকিস্তানের প্রথম একটি বুদ্ধিবৃত্তিক পরাজয়। মূলত ৭০ এর সাধারণ নির্বাচনের পরই পাকিস্তানিরা জানতো বাংলাদেশের মানুষকে আর দমিয়ে রাখা সম্ভব নয়। অনিবার্য যুদ্ধের প্রস্তুতির একটা অংশ হিসেবে ওরা বিশ্বের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরানোর জন্য এই বিমান অপহরণের নাটক সাজিয়ে নেয়। যদিও পরে অস্বীকার করে বলে যে, ঐ যুবক দুটি ভারতীয় চর এবং এই সমস্ত প্রক্রিয়াটি নাকি ভারতের সাজানো। কিন্তু ১৯৮২ সালে পাকিস্তান হাইকোর্ট তাদেরকে খালাস দেয়।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার প্রতিবাদ আসে ভারত ও সোভিয়েত থেকে। ২ এপ্রিল ১৯৭১ সালে তৎকালীন সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট নিকোলাই ইয়াহিয়া খানকে একটি চিঠি লিখেন সংগঠিত গণহত্যার প্রতিবাদ করে। এর আগেই সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ আসে ভারতের কাছ থেকে। কিন্তু অন্য দুই পরাশক্তি ব্রিটেন ও আমেরিকার বক্তব্য ছিলো হতাশাজনক। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ তখন সরাসরি বলেছিলেন,
“এই সমস্যা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীন এবং ব্রিটেন সরকার পাকিস্তানের এই সমস্যায় নিজেদের জড়াবেনা।” silnejsie ako viagra
কিন্তু বেঁকে বসেছিলো ভারত ও সোভিয়েত। তারা সরাসরি জানিয়ে দিলো যখন কোনো ঘরোয়া সমস্যায় লক্ষ লক্ষ মানুষ গণহত্যার শিকার হয় তখন আর সেই সমস্যাটা আর ঘরোয়া থাকেনা।
আপনি জানেন কি? পাকিস্তানের বর্বোরচিত হামলাকে সর্বপ্রথম ‘গণহত্যা’ বলে কারা উল্লেখ করেছিলো? ভারত। ৩১ মার্চ ভারতীয় আইন পরিষদে বাংলাদেশের ঘটনার উপর প্রথম প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। সেই প্রস্তাবে পূর্ব পাকিস্তানে বর্বোরচিত হামলাকে “গণহত্যা” বলে উল্লেখ করে সারা বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষন করা হয় যে, এই যুদ্ধ ঘরোয়া যুদ্ধ নয়। কারণ, সর্বপ্রথম কথা হচ্ছে, গণহত্যা একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ। ভারতের এই কৌশলি সিদ্ধান্তটাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বিশ্বজনমত তৈরী করতে সাহায্য করে। ইংরেজ ঐতিহাসিক রবার্ট জ্যাকসনের ভাষ্য অনুযায়ী, লোকসভায় গৃহীত প্রস্তাবের দুই ধরনের তাৎপর্য আছে। প্রথমত, এতদিন ভারত নিজের ভূখন্ডের অখন্ডতার স্বার্থে দুইপাকিস্তানের সংহতির প্রতি যে সমর্থন দিয়ে এসেছিলো তা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত ছিলো। দ্বিতীয়ত, লোকসভার প্রস্তাবে “বাংলাদেশের বিযুক্ত অনিবার্য” বলে উল্লেখ করা হয়েছিলো।
লোকসভায় আলোচনা সমালোচনার পরিস্থিতিতে ইন্দিরা গান্ধী একটি বক্তব্য দিতে বাধ্য হন। পরে রাজ্যসভাতেও তিনি প্রায় একই বক্তব্য দেন। দুইটি বক্তব্যেই সর্বপ্রথম ইন্দিরা গান্ধী “পূর্ব পাকিস্তান” এর স্থলে “পূর্ব বাংলা” শব্দটি ব্যবহার করেন। যার ছিলো একটি সুদুরপ্রসারী তাৎপর্য।
এরই মাঝে সোভিয়েতের পাকিস্তান প্রসঙ্গটা আমেরিকার কাছে তীব্র মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠে। ৬ এপ্রিল ঢাকা থেকে ওয়াশিংটনে একটি প্রতিবাদলিপি প্রেরিত হয় যা “ব্লাড টেলিগ্রাম” নামে পরিচিত। সেই প্রতিবাদ পত্রে, আমেরিকার পাকিস্তানের পরিস্থিতিকে অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে এড়িয়ে যাওয়াটা ভয়াবহ সমালোচনা করা হয়। রিপোর্ট প্রস্তুতকারক আমেরিকান কুটনীতিক ব্লাড ও তার ২০ জন কনসুলেট কর্মী তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেন আমেরিকা পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের। aborto cytotec 9 semanas
এর আগে ১৩ মার্চ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নিক্সনের কাছে হেনরী কিসিঞ্জার এক মেমোতে বিবৃত করেন যে,
“আমাদের কোনো হস্তক্ষেপ করা উচিত হবেনা। কারণ এতে পশ্চিম পাকিস্তানিরা আমাদের সম্পর্কে বিরূপ ধারণা পোষন করবে এবং পাকিস্তানের সাথে আমাদের সম্পর্ক খারাপ হবে ভবিষ্যতে।” (ফরেন রিলেশানশীপ অব দ্য ইউ স্টেটস, ১১ খন্ড, পৃষ্ঠা ২০)
২৫ শে মার্চ বাংলাদেশের গণহত্যার পর ২৬ শে মার্চ ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসে WSAG বা ওয়াশিংটন স্পেশাল অ্যাকশান গ্রুপ। হেনরী বলে, প্রেসিডেন্ট মার্কিন নীতির পরিবর্তন চাননা। পাকিস্তান বিভক্তিতে আমেরিকার হস্তক্ষেপ ছিলো এই অভিযোগের মুখে আমেরিকা ভবিষ্যতে পড়তে চায়না। পরবর্তীতে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস ভ্যান পাকিস্তানের পক্ষে ঝুঁকে পড়ায় নিক্সন- কিসিঞ্জারের সমালোচনা করে বলেন, “বাংলাদেশের গণহত্যায় আমেরিকার নিষ্ক্রিয় থাকাটা ছিলো একটি নৈতিক ব্যর্থতা।” doxycycline monohydrate mechanism of action
নিজেদের কুটনীতিকদের কাছ থেকে নিন্দা পেলেও চুল পরিমাণ নড়েননি নিক্সন- কিসিঞ্জার জুটি। এরই মাঝে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের গণহত্যা নিয়ে প্রতিবেদন করায় সেটা অস্বস্তির কারণ হয় তাদের জন্যে। বিশেষ করে, ২৮ মার্চ বোম্বে থেকে প্রেরিত সিডনী শ্যানবার্গের একটি প্রতিবেদন ৩১ শে মার্চ নিউইয়র্ক টাইমসে ছাপা হয়। সেদিন ভারতের আইন পরিষদেও বাংলাদেশ বিষয়ক প্রস্তাব গৃহীত হয় যা আগেই বলেছি। এখানেও পাকিস্তানিদের হত্যাকে গণহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়।
অন্যদিকে আমেরিকার সাথে একাত্মতা ঘোষনা করেছিলো চীন। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে চীনা প্রধানমন্ত্রী সরাসরি ইয়াহিয়াকে জানিয়ে দিলেন যে, বাংলাদেশের জাতীয় মুক্তির বদলে ইয়াহিয়ার সামরিক নেতৃত্বের প্রতিই আস্থা আছে তাদের। চীনা প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাইয়ের এই ঘোষনায় বিস্মিত এবং বিভ্রান্ত হয়ে যান চীনপন্থী কম্যুনিস্টরা। বাংলাদেশের প্রধান চীনপন্থী নেতা NAP এর প্রধান ছিলেন মাওলানা ভাসানী। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর তিনি পশ্চিম বাংলায় এসে পৌঁছান এবং বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারকে সমর্থন দেন। ২১ এপ্রিল তিনি চৌ এন লাই এর কাছে একটি চিঠি লিখেন,
“সমাজতন্ত্রের আদর্শ হল অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম। আপনার সরকার যদি পাকিস্তান সরকারের নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ না করে তাহলে বিশ্ব জানবে আপনারা নিপীড়িত মানুষের বন্ধু নন।” (বাংলাদেশ ডকুমেন্টস, প্রথম খন্ড, পৃষ্ঠা- ২৯৯)
এরই আগে, আরেক প্রধান চীনপন্থী নেতা মোহাম্মদ তোয়াহ পূর্ব পাকিস্তানকে সামরিক শাসন থেকে মুক্তির লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধে গেরিলা অভিযানে অংশ নেয়। কিন্তু এপ্রিলে ইয়াহিয়ার কাছে চৌ এন লাই এর চিঠির কারণে অতিবামপন্থী এই দলে দ্বিধাবিভক্তির সৃষ্টি হয়। কিন্তু তোয়াহ’র নেতৃত্ব প্রত্যাখান করে অজয় ভট্টাচার্য ও আবদুল হকের নেতৃত্বে বামপন্থী গ্রুপ পাকিস্তানের বিপক্ষে গেরিলা যুদ্ধ অব্যহত রাখে। তবে এই কথা শোনা যায় যে, আওয়ামী লীগের সাথে প্রচন্ড আদর্শগত সংঘর্ষের কারণে দুই একটি অতিবামপন্থী গ্রুপ কোথাও কোথাও মুক্তিযোদ্ধাদের সাথেই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। আরেক চীনপন্থীদল সিরাজ শিকদারের নেতৃত্বে সর্বহারা পার্টির অধীনে মুক্তিযুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধে অংশ নিলেও মুক্তিযুদ্ধের প্রায় শেষার্ধে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুগত মুক্তিবাহিনী ও মুজিব বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সে সময় সর্বহারা পার্টির প্রায় ২০০ নেতাকর্মী মারা যায়। (সুমন্ত ব্যানার্জি, বাংলাদেশ মার্ক্সিস্ট লেনিনিস্ট, ইকোনমিক অ্যান্ড পলিটিকাল উইকলি, আগস্ট ৭, ১৯৮২)
সর্বহারা পার্টি মুজিব বাহিনীর সাথে এই সংঘর্ষের জন্য ভারতকে দোষারোপ করে। তারা অভিযোগ করে, “ভারতে যুদ্ধ প্রশিক্ষনের সঙ্গে সঙ্গে কমিউনিস্ট ও বামপন্থী নিধনের মূল শিক্ষাটিও আওয়ামী পন্থী মুক্তিযোদ্ধারা ভারতীয় সেনা অফিসারদের কাছ থেকে আত্মস্থ করে নেয়।” তারা তাদের নিজস্ব ইশতেহারে বলে,
“ভারতের সম্প্রসারণবাদের ভয় ছিলো যে, জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে তার নিয়ন্ত্রন চলে যাবে বামপন্থীদের হাতে। তাই আওয়ামী লীগ পন্থী মুক্তিযোদ্ধদের প্রতি নির্দেশ ছিলো যেকোনো মূল্যে বামপন্থীদের, বিশেষ করে সর্বহারা পার্টির কর্মীদের নিধন করা।” (মুনীর মোরশেদ, সিরাজ শিকদার ও পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি, ঘাস ফুল নদী, ঢাকা ১৯৯৭, পৃষ্ঠা ৮৭)
বাংলাদেশে চীনপন্থীদের কয়েকটি গ্রুপ (সব গ্রুপ নয়) এই অসহযোগীতার কারণটা স্পষ্ট হয় পাকিস্তানের বুদ্ধিজীবি এবং চীনপন্থী আইজাজ আহমেদের রচনায়। আইজাজ আহমেদ লিখে,
“বাঙালিদের মুক্তি আন্দোলনে ভারতীয় হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা আন্দোলনের দূর্বলতার দিকটাই নির্দেশ করে। কোনো আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন বিপ্লবী আন্দোলন কখনো তার প্রতিবেশী বুর্জোয়া রাষ্ট্রের সমর্থনে সাফল্য খুঁজে পেতে পারেনা। বাংলাদেশের আন্দোলন যদি ভারতীয় হস্তক্ষেপকে স্বাগত জানায় তাহলে এই আন্দোলনে দ্বন্দ্ব ও বৈপরীত্য উন্মোচিত হবে এবং তা পূর্ব বাংলার জনগণকে আন্দোলনের প্রতি বিমুখ করে তুলবে। কারণ তারা যতটাই না পশ্চিম পাকিস্তানকে নিয়ে ভীত ঠিক ততটাই ভীত ভারতকে নিয়ে। তা সত্ত্বেও ভারত যদি হস্তক্ষেপ করে তবে স্বাধীন ও নিরাপদ বাংলাদেশের জন্ম হবে বলে মনে হয়না।” (আইজাজ আহমেদ, পাকিস্তান ফোরাম, নভেম্বর ১৯৭১, পৃষ্ঠা ১২-১৩)
মূলত আইজাজ আহমেদের এই সন্দেহটাই স্বাধীন বাংলাদেশে সত্যরূপ ধারণ করেছে। যদিও আইজাজ পাকিস্তানি বুদ্ধিজীবি এবং তার এই বিশ্লেষন ছিলো কেবলই বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে, কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ পাকিস্তানকে ভারতের সমান, ক্ষেত্র বিশেষে ভারতকে পাকিস্তানের চেয়েও বেশি ঘৃণা করা শুরু করে দিয়েছে। আর এই ইন্ধন বাংলাদেশের যুদ্ধ পূর্ব সময় থেকেই পাকিস্তানীরা কৌশলে গিলিয়ে আসছে বাঙালিদের। অথচ, বাংলাদেশে ১৯৭০ এর নির্বাচন পরবর্তী ইতিহাস পর্যালোচনা করলে সেখানে এটাই সবচেয়ে বেশি পরিষ্কার হয় যে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যতটা না ভারতের স্বার্থ ছিলো, তারচেয়েও বেশি বাংলাদেশের স্বার্থ জড়িত ছিলো। পাকিস্তানীরা ঠিকই আমাদের মনে একটা অপ্রয়োজনীয় ভারত প্রেম গিলিয়ে দিয়ে গেছে। অথচ, ভারতই প্রথম আমাদের গণহত্যাকে বিশ্ব মাধ্যমে তুলে ধরেছিলো এবং আমাদের গণহত্যার প্রতিবাদকারী ছিলো ভারতই। তৎকালীন পরিস্থিতিতে এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে ভারত কি স্বার্থ উদ্ধার করেছে সেটা পরিষ্কার নয় আমার কাছে। তারপরও যখন কোনো ব্যালেন্স প্রজন্মের মূর্খ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কথা বললে ভারত টেনে আনে, কিংবা পাকিস্তান=ভারত নামের এক অদ্ভুত সমীকরণ তৈরী করে, তাদের প্রতি করুণা হয়।
এই ছিলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রধান চার শক্তি, আমেরিকা, চীন, সোভিয়েত ও ভারতের অবস্থান। পরবর্তীতে অন্য কোনো ইতিহাস বা ঐতিহাসিক বিশ্লেষন নিয়ে আলোচনা করা যাবে। ততদিন ভালো থাকুন। অথবা, এই খারাপ সময়ে অন্তত বেঁচে থাকুন। সবসময় ভালো থাকতে হয়না, কিছুকিছু সময় বেঁচে থাকতে হয়।
এইমলেস ভেনাম বলছেনঃ
লেখাটি পড়ে ভালো লাগল। তবে, চিন এর পাকিস্তান সাপোর্ট এর ব্যাপারে অনেক দিক কাজ করেছে। ভুলে গেলে চলবে না যে, ইয়াহিয়া ঘোষণা দিয়েছিলেন পাকিস্তান রাষ্ট্রে কমিনিউজম চালু করা হবে। আবার , ১৯৬২ এর ভারত চীন যুদ্ধ এবং তাদের সীমন্ত সমস্যা এই ইস্যুতে প্রভাব ফেলে।
”কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে স্বাধীনতা পরবর্তী ……………………………………………………………………………………………… গিলিয়ে আসছে বাঙালিদের। ” bird antibiotics doxycycline
আপনার এই বক্তব্য এর প্রতি সমর্থন জানাতে পারছি না । বর্তমানে, বেশির ভাগ মানুষ হিন্দুস্তানকে ঘৃণা করতে শুরু করেছে তাদের কৃতকর্মের কারণে। আর বুজলাম তারা আমাদের অনেক হেল্প করেছে। তো????? তাদের কে বহবার ধন্যবাদ জানান হয়েছে। ৭১ এ হেল্প করেছিল বলে কি আমরা, আমাদের প্রতি তাদের, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারব না? বা ঘৃণা করতে পারব না। অব্বসশই পারব।
ফারাক্কা বাধ ৬১ তে নির্মাণ শুর হয়। শেস হয় ৭৫ এ। ১৯৫১ সালে প্রথম এটি সবার নজর এ আসে। এরপর ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারের সঙ্গে গঙ্গা প্রশ্নে জরুরি আন্তরিক আলোচনা শুরু করে।
এছারা পাকিস্তান এর মুল কৃষি শক্তি ছিল পুরব পাকিস্তান। এছাড়া এই অঞ্চল এ সামরিক শক্তি বাড়ানো হলে যে হিন্দুস্তান সমস্যাই পরবে তা বুঝাই যাই। এইসকল দিক থেকে বুঝা যায় আমাদের বড় স্বার্থের তাদের অনেক স্বার্থ ছিল ।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
কিছু মনে করবেন না, মন্তব্যে আপনার বানানগুলোর শোচনীয় অবস্থা দেখে খুব বিরক্ত এবং কষ্ট লাগছে। কাইন্ডলি বানানগুলো ঠিক করে দিন… বহুত রক্তের বিনিময়ে এই ভাষা পাওয়া, এইভাবে ভুল বানানে সেইটা লিখতে দেখলে মেজাজ অটো খারাপ হয়ে যায়…
এইমলেস ভেনাম বলছেনঃ
পরবর্তীতে খেয়াল রাখবো।
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
prednisone dosage for shoulder painভারতের অন্যায়ের বিপক্ষে কথা বলাটা ভুল নয়, তবে ভারতের বিপক্ষে যাওয়াটা কতটু নিজ দেশ প্রেম আর কতটুকু ভারত বিদ্বেষী মনোভাবের কারণে তা বুঝার প্রয়োজন আছে। যারা ভারতের বিপক্ষে যাচ্ছে তাদের অধিকাংশই পাকিস্তান প্রসঙ্গে থাকে সুবিধাবাদীর দলে অর্থাৎ নিশ্চুপ্,…
এইমলেস ভেনাম বলছেনঃ
ভারত বিদ্বেষী মনোভাব ৩ ভাবে বাঙালিদের মনে এসেছে। ১। ধর্মের নামে ২। রাজনৈতিক কারণে ৩।ভারতীয়দের অন্যায়ের কারণে ।
ধর্মের ব্যাপারটা সবাই জানে ও বুঝে। এক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় পাকিদের টেনে আনা হয়।
বিএনপি মানেই ভারত বিরোধী , চীন পাকিস্তানপন্থী। আবার আওয়ামী লিগ মানে ঠিক উল্টা ।
ভারত ৭৫ থেকে যেসকল অন্যায় আমাদের সাথে করেছে তা বিশ্লেষণ করে অনেক বাঙালি তাদের প্রতি বিদ্বেষী।
সুবিধাবাদিরা নিজেদের স্বার্থ নিয়ে থাকে। তারা সুবিধার জন্য পাকিদের ও পা চাঁটতে পারে আবার ভারতীয়দের। আবার অধিকাংশ ভারতপন্থিরা ভারতের অন্যায়কেও সঠিক বলে চালিয়ে দিতেও দেরী করে না। অনেক ক্ষেত্রে নিশ্চুপ অনেক ক্ষেত্রে উচ্চ- বাচ্চ করে থাকে ।
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
ভারতের অন্যায়ের বিপক্ষে যতটা না তার চেয়ে বেশি অন্য দুই কারনে…
এইমলেস ভেনাম বলছেনঃ
pills like viagra in storesবর্তমান যুগের সচেতন ও এক কথায় চোখ-কান খোলা রাখে যেসব ছেলে-মেয়েরা , তারা বেশির ভাগই ৩য় কারনটার জন্য ঘৃণা করে থাকে ।
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
১ কোটি বাদ দিলাম, ৯ মাস ধরে ১০ জন উদ্বাস্তুকে খাওয়াতে পারবেন নিজের বাড়িতে? আর আপনার এই কথার প্রমাণ আপনি নিজে দিতে পারবেন?
আর ধরেই নিলাম, ওদের স্বার্থ অনেক বড় ছিলো। তাতে কি সমস্যাটা হয়েছে? আমাদের স্বাধীনতাটা কি পৃথিবীর যেকোনো স্বার্থের চেয়ে বড় না? ভারত ধরে নিলাম নিজেদের স্বার্থেই হেল্প করছে। তো?? সমস্যা কি? স্বাধীনতাটাতো পাইছি। তাইনা? নাকি না পেলে ভালো হত কারণ ভারত স্বার্থোদ্ধার করতে পারতো না?!
আসলে সমস্যাটা হল, কোনো কোনো বাঙলাদেশি নিজের দেশটাকে যতটা না ভালোবাসে, তার চেয়ে বেশি ভারতকে ঘৃণা করে, তার চেয়েও বেশি ফাকিস্তানকে ভালোবাসে। ক্লিন এন্ড ক্লিয়ার।
এইমলেস ভেনাম বলছেনঃ
১০ জনকে খাওয়াতে পারব ইনশাল্লাহ । ৯মাস না ১ বছর ‘ অন্তত ‘ পারব ।
কিন্তু সেটা আমার পয়সায় হবে না , হবে বাপের টাকায়।
ওদের স্বার্থের কারণে যদি আমার দেশের ক্ষতি হয় তাহলে অবশ্যই সেটা সমস্যা। আর স্বাধীনতায় কোন সমস্যা, আমার মতে নাই । আপনার মতে কি তা বলতে পারব না।
আসলে কিছু মানুষ এবং অনেক ভারতীয়রা আমাদের স্বাধীনতায় যতটা আমাদের ,বাংলাদেশিদের, অবদান মনে করে তার চেয়ে বেশি অবদান ভারতীয়দের বিশ্বাস করে। অনেকে তো ভারত বলতে অন্ধ ।
আপনার লাস্ট লাইন এর সাথে একমত
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
/////জের দেশটাকে যতটা না ভালোবাসে, তার চেয়ে বেশি ভারতকে ঘৃণা করে, তার চেয়েও বেশি ফাকিস্তানকে ভালোবাসে///// আমি এটাই বুঝাতে চাচ্ছি…
তাদের স্বার্থ আমাদের ক্ষতি করা ছিল এটা বলাটা ভুল… বড় রকমের ভুল…
অপার্থিব বলছেনঃ
cialis 20 mg prix pharmacieবাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা প্রশ্নে ভারতের অনেক নিরাপত্তা বিশ্লেষকের মধ্যে মতভিন্নতা ছিল। ইন্দিরা গান্ধী যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রশ্নে ভারতের নীতি নির্ধারণ করেন তখন ভারতের অনেক নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইন্দিরা গান্ধীর নীতি তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিলেন। তাদের যুক্তি ছিল বাংলাদেশ স্বাধীন হলে ভারতকে পূর্ব পশ্চিম দুই দিক দিয়ে দুটো ভিন্ন ‘ পাকিস্তান’ কে মোকাবেলা করতে হতে পারে । স্বাধীনতার পর থেকে গত ৪৪ বছরে বাংলাদেশে যে পরিমাণ ভারত বিদ্বেষ দানা বেধেছে তাতেই এটা অনেকটাই প্রমাণিত যে তাদের এই ভবিষ্যৎ বানী মোটেও অমুলক ছিল না। এছাড়াও অনেকের ধারণা ছিল যে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে বাংলাদেশের প্রতিবেশি ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য গুলোতে বিচ্ছিন্নতাবাদ আরো চাঙ্গা হবে।হয়েছেও ঠিক তাই। তবে বাংলাদেশে মুক্তি যুদ্ধে ভারতের প্রধান স্বার্থ ছিল এটাই যে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে ভারত সামরিক ক্ষেত্রে তার পূর্ণ মনযোগ পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এবং অরুণাচলে চীনের বিরুদ্ধে দিতে পারে। বিশেষ করে ১৯৬২ সালে ইন্দো-চীন যুদ্ধে পরাজয়ের কারনে অরুণাচল নিয়ে ভারত অনেকটাই শংকিত ছিল । আর মুক্তিযুদ্ধে আমেরিকার ভুমিকা অনেকটাই প্রভাবিত হয়েছে সে সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে চলা স্নায়ু যুদ্ধকে কেন্দ্র করে।
এইমলেস ভেনাম বলছেনঃ
pastilla generica del viagraআপনার একটা জায়গাই ভুল আছে । ইন্দো- চীন যুদ্ধে ভারত একতরফা যুদ্ধবিরতি জারি করে। আর চীন অরুণাচল ফিরেয়ে দিতে বাধ্য হয়। যদিও তিব্বত নিজেদের দখলে রাখে। তাই ভারত সেই যুদ্ধে জয়ী হয় বলা চলে ।
এইমলেস ভেনাম বলছেনঃ lasix dosage pulmonary edema
প্রথম ৩ টা লাইন জানতাম না । ধন্যবাদ ।
অপার্থিব বলছেনঃ
১৯৬২ সালের যুদ্ধে ভারতের দখল কৃত অঞ্চল গুলো চীন ভারত কে ফিরিয়ে দিলেও এই যুদ্ধে ভারতের সমর নীতি বড় ধরনের ধাক্কা খায়। চীন যে ভারতের জন্য বিশাল হুমকি সেটা আরো ভাল ভাবে প্রমাণিত হয়। চাপের মুখে নেহেরু সরকার তার সমর নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয় যার মধ্যে ছিল সমরাস্ত্রের ব্যাপক আধুনিকায়ন। এই যুদ্ধে চীনের চেয়ে ভারতের বেশি সংখ্যক সৈন্য নিহত হয় , এছাড়া অন্যান্য ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণও ছিল ভারতের বেশি।
এইমলেস ভেনাম বলছেনঃ
হুম। ঠিক বলেছেন । আচ্ছা আপনার কি জানা আছে যে , ভারতের সাথে নেপাল এর কোন যুদ্ধ হয়েছিল কিনা?
শশী প্রসাদ শীল বলছেনঃ
শুরুর গল্পটা জানতাম না……
ভালো লাগল….