মায়া/মুগ্ধতা
বার পঠিতইদানিং মুগ্ধতা রোগে ধরেছে। সব কিছুতেই মুগ্ধ হই। cipro el salvador doblajes nuevos
রিক্সাওয়ালা বিড়ি টানছে। রিক্সার হ্যান্ডেলের রাখা বাম হাতের দুই আঙুলের মাঝে সিগারেট ধরা, কি স্টাইল। কিছুক্ষন প্যাডেল মারে, রিক্সা চলে, লম্বা এক টান। আবার প্যাডেল, তার পর আয়েশ করে আরেক টান। প্রতি টানে সুখ উড়ে যাচ্ছে। সুখের আবেশে রিক্সাওয়ালা ভাইয়ের চোখ বুঝে আসছে। বিড়ি টানার স্টাইল দেখে আমি মুগ্ধ। চোখে মুখে নিখাদ মুগ্ধতা নিয়ে আমি বিড়ি টানা দেখছি।
ইচ্ছে করছে বলি, “ভাই আমাকে এক টান দেয়া যায় না?”
বললে এক টান না পুরো সিগারেটাই গছিয়ে দিবে, আমি জানি। মুগ্ধতার ধাক্কায় সিগারেট খেতে ইচ্ছে করছে। পায়ের উপর পা তুলে একটা সিগারেট ধরাবো, চোখ বন্ধ করে আয়েশ করে একটা লম্বা টান। ফুসফুস ভরা উত্তপ্ত নিকোটিন! আহ, ভাবতেই কেমন নেশা নেশা লাগছে। কিন্তু ইচ্ছে হলেও সিগারেট খাওয়া সম্ভব না এই মুহুর্তে। সত্যিটা হল আমি আসলে সিগারেট খাই না। অঞ্জন দত্তের মত- ‘রঞ্জনা, বিড়ি সিগারেট আমি কোনো টাই খাই না”
সব ধরনের নেশা মুক্ত আদর্শ শান্ত শিষ্ট লেজ বিশিষ্ট ছেলে। এই কথাটাও সম্পুর্ন ঠিক না। আমার অত্যন্ত ভয়াবহ একটা নেশা আছে। যে ড্রাগের কোনো প্রতিকার নেই। প্রতিটি মুহুর্ত সেই নেশায় বুদ হয়ে থাকি। ড্রাগ কাকে বলে আমার জানা নেই। যা বোধজ্ঞান লোপ করে দেয় তাই কি ড্রাগ? তার প্রেমে আমি যে বুদ হয়ে আছি এটাকে কি নেশা বলা যায়? তাহলে তাই সই।
সময়টা হয়ত শীতের কোনো বিকেল হবে। একটা পুকুর ঘাট। লোকে অবশ্য দীঘি বলে, যদিও পুকুর আর দীঘির মাঝে কি পার্থক্য আমি এখনো বুঝে উঠতে পারি না। সুর্যের আলো একটু পর ফিকে হয়ে আসবে, শেষবেলার লালচে আলোটুকু তাই সর্বশক্তিতে ঝাঁপিয়ে পড়ছে দীঘির জলে। দিঘীর জলের উপর দিয়ে আড়াআড়ি ভাবে চলে যাওয়া বিদ্যুতের লাইনের উপর এক জোড়া শালিক বসে আছে। গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বসে থাকা শালিক দুটির ছায়া এসে পড়ছে জলের উপর। নেশার ঘোরে না থাকলে হয়ত তাদের প্রেমটা আমার চোখে পড়ত। cialis just for fun
এই মুহুর্তে দীঘির লালচে সৌন্দর্য আমার চোখে পড়ছে না। প্রকৃতির রুপে চোখ ধাধিয়ে যাবে কবিদের, সাথে সাথে দুচারটা কবিতার লাইনও মাথায় এসে যাবে। আমি কবি না, সদ্য কলেজ পেরুনো বালক। তার উপর সদ্য প্রেমে পড়া প্রেমিক। বালিকার সৌন্দর্য সর্বক্ষন বিভোর হয়ে থাকি। শিরায় শিরায় উদ্দাম প্রেমের ছুটাছুটি।
বালিকার নামটা বলা দরকার। তার আসল নামটা আপাতত ইহ্য থাকুক। আমি কখনোই তাকে নাম ধরে ডাকি না। নাম ধরে ডাকলে অদ্ভুত কোনো কারনে আমার তীব্র কষ্টবোধ হয়। ধরা যাক তার নাম ‘দিয়া’। দিয়ার গল্পটা এর আগেও আমি অনেকবার বলেছি। যে মেয়েটার রুপে রক্তে বান ডেকে যায়। আমি যখন ডাকি -”দিয়া?” “আমার দিয়া”
সে তখন তীব্র ভাবে ভাবে সারা দেয়, উমমম!
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি। সময় যখন ধীর হয়ে যায়, ধীর হতে আরও ধীর। দৃষ্টির শেষ সীমানায় থাকা ভয়ঙ্কর মায়াকারা মুখটা দেখে বুকের পাশটা কেমন গলে যায় তীব্র মায়ায়। আমি তার নেশায় বুদ হয়ে থাকি। দিয়ার নেশায়।
নেশার ঘোরে আমি ছুটে এসেছি দিয়ার কাছে।
পুকুর পাড়ে গোল গোল পাতা ভরা গাছটায় ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে দিয়া । আমি প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছি তার সামনে। সরাসরি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে সে। ঠোঁটে ঠোঁট রেখে প্রেম হয়, চোখে চোখ রেখেও তো হয়!
আমি চোখ নামিয়ে নিলাম। আমি কখনোই তার দিকে এক নাগাড়ে অনেকটা সময় তাকিয়ে থাকতে পারি না। খুব ইচ্ছে হয় তাকিয়ে থাকি অনেকটা সময় নিয়ে, তবু পারি না। দিয়ার চোখের পানে তাকালে মনে হয় যেন বুকের ভেতরটা পড়ে নিচ্ছে এক মুহুর্তে। কোথায় যেন পড়েছিলাম প্রচন্ড ভালবাসা টের পেলে নাকি তার প্রতি টান কমে যায়। আমি ভয় পাচ্ছি, তাকে কিছুতেই বুঝতে দেয়া যাবে না কতটা ভালবাসি। ঠিক এতটা ভালবাসি।
বুকের মাঝে কেমন শিরশিরে অনুভুতি হচ্ছে। একেই ভালবাসা বলে?
“দিয়া?” -আমি ডাকলাম zoloft anxiety how long to work
- “উমম”
“ভালবাসি, ভালবাসি”
-উমমম…
আমি জানি দিয়া এভাবে উত্তর দিবে। প্রতিউত্তরের প্রতিটি শব্দে বান ডেকে যাবে রক্তে। ভালবাসার তীব্রতায় আমি ডুবে যাব আরও একটু।
সারা দেহে তীব্র তৃষ্ণা নিয়ে আমি তাকিয়ে আছি দিয়ার দিকে।
এক গোছা চুলপড়ে আছে কপালের এক পাশ দিয়ে। বাকি চুল গুলো পিঠের উপর ছড়ানো । রোদ পড়ে তার কালো চুল গুলো কেমন সোনালি দেখাচ্ছে। তীব্র রোদে ঝিকমিক করছে।
এপ্রনের মত নীল সাদা একটা জামা পড়া, নামটা জানা নেই। পেছনের ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা গোল গোল পাতা ভরা গাছটার নামও জানি না আমি। ঠোট দুটো পরস্পরের সাথে এটে বসেছে। দিয়া কি জানে আমি আরও একবার তার প্রেমে পড়ে গেলাম? তার খোলা চুলের? তার ঠোটের বাকের!
হঠাৎ দমকা বাতাসে চুল গুলো এলোমেলো হয়ে গেল তার। এক গোছা চুল এসে ঢেকে দিল চোখের এক পাশটা। খুব ইচ্ছে করছে আলতো করে চুল সরিয়ে দিতে। যদি তীব্র ভালবাসায় আলতো করে ছুয়ে দেই তার চোখের পাতা তাহলে কি অন্যায় হবে?
নিখাদ মুগ্ধতায় দিয়ায় চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে আছি আমি।
ইশ্বর ওর চোখে এত মায়া কেন!
দুরন্ত জয় বলছেনঃ viagra tablets advantages
বেশ কিছু বানান ভুল আছে। আর এছাড়া গল্প ভালই হয়েছে… প্রেমের অনুভুতি!! বড় নেশা ভালই বলেছেন
মুক্ত বিহঙ্গ বলছেনঃ natural viagra in australia
বানানে একটু সমস্যা আছে। শুধরানোর চেষ্টা করছি। ধন্যবাদ
দুরন্ত জয় বলছেনঃ