দিয়া (৩)
190
বার পঠিত clomid over the counter“দিয়া, আমার দিয়া”
শব্দ দুটো মাথার ভেতর ভন ভন করে ঘুরছে। ডান থেকে বায়ে, বা থেকে ডানে ঘুরে। ঘুরা থামানো উচিত। থামাতে ইচ্ছে করছে না।
শব্দটা মাথার খুলির গায়ে বাড়ি খেয়ে টুংটাং শব্দ তুলছে। কেপে উঠছে বুকের বাম পাশটা। কাপা উচিত নয়। হৃদয়ঘটিত বিষয়কে বেশি লায় দিতে নেই। লায় দিলে বানরের মত ঘাড়ে উঠে যাবে। বুকে থাকা ভাল,ঘাড়ে উঠা বিপদজনক।
বিড়বিড় করে বললাম, “থেমে যাও দিয়া” para que sirve el amoxil pediatrico
লক্ষ্মী মেয়ে, দিয়া থেমে গেল।
দিয়াকে ঠান্ডা করে সামনে বসা রাফি সাহেবের দিকে তাকালাম আমি। সত্যিটা হল আমি তার সামনে বসে আছি। জড়সর হয়ে বসে আছি।
রাফি সাহেব দিকে কটমট করে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে। ক্ষুধার্ত বাঘের দৃষ্টি। বাঘ না হয়ে বাঘডাশাও হতে পারে। বাইরে থেকে যেটা সুন্দরবনের বাঘ মনে হচ্ছে সেটা হয়ত আসলে ভাওয়ালগড়ের বিড়াল জাতের বাঘডাশ। সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
নেম প্লেটে ইংরেজিতে রাফি লেখা। আর এ এফ ই। এমনিতে উচ্চারন করলে হয় রাফে। উল্টো করলে হয় ফেরা। ফেরা নামটা সুন্দর। সবাই ফিরতে চায়। নিজের অতীতে, কাতো বাহুডোরে নিজের সুখের স্মৃতির সময়টুকুতে, ঘরে। সময় শেষে স্রষ্টার কাছে ফিরে যেতে হয়।
নামের কারনে তার প্রতি আমার এক ধরনের মায়া জন্মাচ্ছে। মায়া জন্মাতে দেয়া ঠিক হচ্ছে না। পুলিশের প্রতি মায়া জন্মানো বিপদজনক জিনিস। মায়া ব্যাকফায়ার করতে পারে।
ওসি সাহেব মুখ খুলতে যাচ্ছেন। মুখ খুলার আগে বেশ আয়েশ করে একটা মিস্টার ম্যাংগো মুখে দিলেন। বাচ্চাদের মত করে লজেন্স চোষার রহস্য জানা দরকার। চেষ্টা করেও ওসি সাহেবের লজেন্স খাওয়ার রহস্য বুঝতে পারছি না। বিরক্ত হয়ে রহস্যের খেতা পুড়ি ভাব নিয়ে ঝিম মেরে বসে রইলাম।
দিয়া হলে হাল ছাড়ত না। দুই মিনিট ভেবে টুক টুক করে কানের কাছে এসে ফিস ফিস করে বলত,
-ওসি চকলেট কেনো খেলো জানো? বউয়ের ভয়ে। একটু পর বঊ লাঞ্চ নিয়ে আসবে। তার বউয়ের ঘ্রান শক্তি প্রবল। পাশের কলোনি থেকেই ওসির মুখের সিগারেটের ঘ্রান পায়। এ কারনেই লজেন্স মুখে বসে আছে ওসি মিয়া।
বলেই মিষ্টি করে হাসত।
লজেন্স খাওয়া শেষ। খাওয়া শেষ হতেই ওসির বাঘের দৃষ্টি মোলায়েম হয়ে আসল। বিড়ালের বাচ্চার দৃষ্টির মত নরম।
আমার ধারনা বউয়ের হাতে ধরা খাওয়ার ভয় নেই এই ভাবনাটুকু তার উত্তেজিত মস্তিষ্ক ঠান্ডা করে দিয়েছে। এতেই রাগ কমে পানি হয়ে গিয়েছে।
যতটা সম্ভব গলা গম্ভীর করে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন,
–কাহিনি কি? কই ধরা খাইছ?
- ধরা খাই নাই ভাই, চুমা খাইছি।
দিয়া শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে। বহু চেষ্টা করেও আমার ভাষা শুদ্ধ করতে পারে নি। সে হলে বলত, চুমো খেয়েছি স্যার। তার সব চেষ্টা বিফল করে দিয়ে আমি দিব্যি অসুদ্ধ ভাষায় কথা বলে যাচ্ছি। side effects of quitting prednisone cold turkey
– কাকে? মনে হচ্ছে আমার ভাই বলাটা তিনি খেয়াল করেন নি। না করাই ভাল। missed several doses of synthroid
-একে,আমি হাসি হাসি মুখ করে উত্তর দিলাম
-কেন?
-খুব ইচ্ছে করছিল তাই?
- সব তো শুনলাম, রাস্তা ঘাটে চুমাচুমি করা তো ঠিক না বাবা।
তিনি আমাকে বাবা বলছেন কেন। কিছু একটা ঘাপলা আছে বুঝা যাচ্ছে না। তিনি কি আমাকে ঘাবড়ে দেয়ার প্ল্যান করছেন? বিয়ে পড়িয়ে দিব, গার্ডিয়ান কল দিব টাইপ কোনো ভয় দেখাবেন?
আমি উত্তর দিলাম না। তিনি ঘাবড়াতে চাইছেন। আমিও ঘাবড়ানোর ভান ধরলাম। হাসি হাসি মুখ করে বসে রইলাম।
মনে হল হাসি দেখে তিনি নিজেই ঘাবড়ে গেলেন।
-মেয়ের নাম কি?
-রাদিয়া
কপাল কুঁচকে আমার দিকে তাকালেন তিনি, রাদিয়া তার মেয়ের নাম। তাকে চমকে দেয়ার ইচ্ছেটা সফল হয়নি। হুমায়ুন সাহেবের হিমু খুব ভাল পারে এধরনের কাজ। মানুষকে ঘাবড়ে দেয়ায় হিমুর জুড়ি নেই। পিলে চমকিয়ে গলার কাছে এনে ঠেকায়।
আমি হিমু না। হিমু সাধারনত রমনা থানায় যায়। ভয়ঙ্কর টাইপ সন্ত্রাসিরা কয়েক মিনিটেই তার ভক্ত হয়ে পড়ে। আপাতত থানার ভেতর আমার কোনো ভক্ত নেই। আমি শাহবাগ থানায়।
ওসির সামনে জড়সড় হয়ে বসে আছি। হিমু হলে এতক্ষন কয়েক কাপ চা, সাথে কয়েক পিস টোস্ট বিস্কুট খেয়ে ফেলত। আমি খাবি খাচ্ছি, ভয়ে।
হিমু রুপাকে কখনো চুমো খায় না, আমি খাই। যেখানে সেখানে খাই। জাপটে ধরে তার ঠোটে চুমো দেই আমি। তাছাড়া রুপা কখনো থানায় আসে না। দিয়া এসেছে। আমার পাশের চেয়ারে রাগি রাগি চোখ করে ওসির দিকে তাকিয়ে আছে। ক্ষমতাশীল মানুষের মেয়ে, চোখে আগুন থাকা স্বাভাবিক।
লেক পাড়ে তাকে জাপটে ধরে চুমো খাওয়ার পর পুলিশ ধরে নিয়ে এসেছে আমাদের দুজনকে। থানার ভেতরটা আলোকিত হয়ে উঠছে তার রুপে। একবার ইচ্ছে হল ওসি সাহেবকে বলি লাইট নিভিয়ে দিতে। শুধু শুধু বিদ্যুৎ নষ্ট করার মানে হয় না। thuoc viagra cho nam
-কি নাম বললে?
-দিয়া
এবার একটু আস্বস্ত হলেন তিনি। আগের বার নিশ্চয় শোনার ভুল।
শোনার ভুল না, আমি ইচ্ছে করেই রাদিয়া বলেছিলাম। তার মেয়ে আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড। কভার ফটোতে বাপ মেয়ের সেলফি আছে। renal scan mag3 with lasix
-এ তোমার গার্লফ্রেন্ড? হাত দিয়ে দিয়াকে দেখালেন তিনি
- নাহ, আমি তাকে ভালবাসি।
ঊত্তর শুনে কপালের ভাজ আরও ঘন হল তার। এক ভুরো আরেকটার উপর উঠে যাচ্ছে।
-সত্যিই বাসো?
– না,মিথ্যা বাসি। বলেই দিয়ার দিকে তাকালাম, মুহুর্তেই আগুন ঝরা দৃষ্টি কেমন ঘোলাটে হয়ে গেল তার। এই দৃষ্টি আমি চিনি। এ দৃষ্টিতে মিশে আছে প্রেম, শুধুই আমার জন্য। দিয়া আলতো করে আমার হাত ধরল। ধরেই তার আঙুল গুলো আমার আঙ্গুলের ফাকে ঢুকিয়ে দিল। এক আঙ্গুল আমার,পরেরটা তার,পরেরটা আমার এভাবে। levitra 20mg nebenwirkungen
সুনীল হলে কবিতা লিখে ফেলতে পারত। can levitra and viagra be taken together
“আঙ্গুলের ফাঁকেফাঁকে এটে যাচ্ছে ভালবাসা
দিয়া, শুধুই আমার দিয়া”
আমি সুনীল না। বিশ্রি ধরনের ছন্দহীন তাল গোল পাকানো কবিতার সৃষ্টি হল। ডায়রিয়া টাইপ প্রেমের কবিতা।
নিজের মেয়ের বয়েসি একটা মেয়ে আরেকটা ছেলের হাত ধরে বসে আছে তার সামনে, দুচোখ জুড়ে শুধুই প্রেমের নেশা। বিষয়টা ওসি সাহেবের জন্য অসস্থিকর হওয়ার কথা। তা হচ্ছে না। নেশা তার চোখেও ছড়িয়ে যাচ্ছে। ভয়, হাসি এগুলোর মত ভালবাসাও সর্বগ্রাসী। সুযোগ পেলেই মহামারির মত ছড়িয়ে যায় চারপাশে।
তার নিজের বিয়ের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। প্রেমের বিয়ে, দুজনের বাড়ির কেও মেনে নিবে না। এক দিন হুট করে মনে হল একে ছাড়া আমার বেচে থাকা সম্ভব না। সেদিন দুপুরেই রাদিয়ার মাকে নিয়ে পালানেন। তার পর কেটে গেল কত গুলো বছর,আহ। ভাবতে ভাবতেই তিনি দুটো স্বীদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন, ছেলেমেয়ে দুটোকে তিনি ছেড়ে দিবেন। রাজনৈতিক বিবেচনায় সন্ত্রাসীদের ছেড়ে দেয়া গেলে এদেরও ছেড়ে দেয়া উচিত। তার নিজের বিবেচনায়। ভালবেসে চুমো খাওয়ার অপরাধে এদের আটকে রাখা ঘোরতর অন্যায়।
–তোমরা চলে যাও, বলেই আমাদের আগেই তিনি নিজেই চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়ালেন। তার দ্বিতীয় স্বীদ্ধান্তটা আমি জানি। তিনি এখন রাদিয়ার মায়ের কাছে ছুটে যাবেন। দিয়ার চোখের প্রেম আমার চোখ হয়ে তার চোখে ছড়িয়ে গিয়েছে। এর পর তার চোখ থেকে ছড়িয়ে যাবে রাদিয়ার মায়ের চোখে, সারা দেহে। তিনি হন্তদন্ত হয়ে বেড়িয়ে গেলেন।
আমি উঠে দাড়ালাম। উঠে দাড়িয়ে দরজার কপাট টেনে দাড়িয়ে রইলা।রাজকন্যার জন্য দরজা খুলে দিতে হয়। দিয়া মিষ্টি করে হেসে আমার হাত ধরল।
আমি বললাম,
–দিয়া?
-উমম, দিয়া এভাবে উত্তর দেয়। আমি যখনই বলব,দিয়া আমার দিয়া
সে তীব্র ভাবে সারা দিবে, উমমম.
———————-
ছবির হাটে দিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে আছি আমি। সে আচার খাচ্ছে। খাওয়ার ভঙ্গি হুবহো আমার দিয়ার মত।
দিয়া কি জানে তাকে আমার চুমো খেতে ইচ্ছে করে। জাপটে ধরে চুমো খেতে ইচ্ছে করছে।
ভালবাসার তীব্রতায় তার হাত থেকে আচার পড়ে যাবে। পুলিশ যখন থানায় নিয়ে যাবে, আমি হাসি হাসি মুখ করে রাদিয়ার বাবাকে বলব,
“সে আমার গার্লফ্রেন্ড না কিন্তু আমি তারে ভালবাসি, দিয়াকে ভালবাসি”
দিয়াকে কথাটা বলা দরকার। তাকে দিয়ার গল্পটা বলা খুব দরকার। বলতে পারছি না। আমি তার দিকে চেয়ে আছি। খুব ইচ্ছে করছে তাকে এক গোছা কাচের চুড়ি কিনে দিতে, দু হাত ভরা নীল চুড়ি! দিয়ার মত দুহাত উপরে তুলে বলবে, দেখ আমার কত্ত গুলা চুড়ি,এত্তগুলা চুড়ি..
আচ্ছা সে কি আমাকে চুড়ি পড়িয়ে দিতে দিবে?
মনে হয় না, অচেনা একটা মেয়ে। তাকে চুড়ি পড়িয়ে দেয়ার অধিকার আমার নেই। এই অধিকারটা অন্য কারো।
দিয়ার অত্যাচার আবার শুরু হল, মাথার ভেতর শুধু তার নামটাই ঘুরছে। অদ্ভুত কোনো কারনে আজ দিয়া আমার কথা শুনছে না। সারা দেহ জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তার নাম,
দিয়া, আমার দিয়া….
অপার্থিব বলছেনঃ
ভাল লাগলো।
Momin hossain shuvo বলছেনঃ metformin tablet
ধন্যবাদ