কুখ্যাত জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড নিয়ে দুছত্র
189
বার পঠিতব্রিগেডিয়ার রেজিনাল্ড ডায়ার নির্দেশ দিলেন, “ফায়ার।”
রেজিনাল্ড ডায়ারের এক কথায় বদ্ধ উদ্যানটিতে নরক নেমে এলো। সেই নরকের স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ১০ মিনিট। কিন্তু সেই ১০ মিনিটেই ১০০ গুর্খা সৈন্য মেরে ফেললো প্রায় ২০০০ মানুষকে।
১৩ এপ্রিল, ১৯১৯। শিখদের নববর্ষ উৎসব উপলক্ষে স্বর্ণমন্দিরসংলগ্ন জালিয়ানওয়ালাবাগে বিশেষ প্রার্থনাসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন অমৃতসরের নানা ধর্মের অন্তত ২০ হাজার মানুষ। শহরে তখন চলছে সামরিক আইন রাওলাট অ্যাক্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন। আন্দোলন থামাতে ব্রিটিশ সরকার জারি করেছে ১৪৪ ধারা। সে ধারা ভঙ্গ করেই নববর্ষ উৎসব পালনের জন্য সবাই সমবেত হয়েছে জালিয়ানওয়ালাবাগের ঐতিহাসিক ময়দানে। ব্রিটিশ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডায়ারের কানে পৌঁছে যায় এই জমায়েতের কথা। তৎক্ষণাৎ ডায়ার ১০০ জন রাইফেলধারী সেনা নিয়ে হাজির জালিয়ানওয়ালাবাগের সেই প্রার্থনাসভায়। মূল ফটক বন্ধ করে নিরীহ ও নিরস্ত্র জনতার ওপর গুলিবর্ষণের নির্দেশ দেন। এই ময়দানের পাশেই ছিল একটি কুয়ো। গুলিবর্ষণের ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে যায় উপস্থিত লোকজন। গুলির আঘাতে লুটিয়ে পড়ে একে একে। চলে ছোটাছুটি। পাশের কুয়োয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে প্রায় ৩০০ নারী-পুরুষ-শিশু। একটানা ১০ মিনিট ধরে চলে গুলিবর্ষণ। এক হাজার ৬৫০টি গুলি কেড়ে নেয় প্রায় দেড় হাজার মানুষের প্রাণ।
এ ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়লে গোটা দেশের রাজনীতি হয়ে পড়ে উত্তাল। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। খেপে ওঠেন মহাত্মা গান্ধী। ডাক দেন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে প্রত্যাখ্যান করেন ব্রিটিশদের দেওয়া নাইটহুড। দেশজুড়ে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ায় গণমানুষের চাপে ব্রিটিশ সরকার গঠন করে একটি তদন্ত কমিটি। তদন্ত শেষে ঘোষণা দেওয়া হয় এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞে নিহত মাত্র ৩৭৯ আর আহত এক হাজার ১০০ জন। তৎকালীন সিভিল সার্জন ডা. স্মিথ জানান, এই হত্যাযজ্ঞে নিহত মানুষের সংখ্যা এক হাজার ৫২৬ জন।
ঘটনার পরপরই ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডায়ারকে অপসারণ করে ব্রিটিশ সরকার। তাঁকে ফিরিয়ে নেওয়া হয় লন্ডন। কিন্তু প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছিল শিখরা। নিজের হাতে লাগানো আগুনে নিজেই পুড়ে ছাই হয়ে যান ব্রিগেডিয়ার ডায়ার যখন এক শিখ যুবক লন্ডনে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে তাকে। তিনি তখন লন্ডনের ক্যাক্সটন হলে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন। renal scan mag3 with lasix
এই ঘটনার ৯৪ বছর পরে ২০১৩ সালে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন পাঞ্জাব প্রদেশের অমৃতসরে গণহত্যার স্মৃতিস্তম্ভে গিয়ে প্রার্থনা করে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন। ঐ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে ক্যামেরন বলেন, “এ ঘটনা ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে লজ্জাজনক ঘটনা।”
২০১২ সালে, মুক্তিযুদ্ধের ৪১ বছর পরে পাকিস্তানের গণহত্যা এবং নৃশংসতার কথা উল্লেখ করে পাকিস্তান ক্ষমা চাইবে কিনা বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিপুমণি’র এক প্রশ্নের জবাবে পাকিস্তানের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার বলেন, “অতীত ভুলে যাও……” wirkung viagra oder cialis
মস্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
“পাকিস্তানিদের আমি সবসময়ই অবিশ্বাস করি, যখন তারা ফুল হাতে আসে তখনও”