অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা।
306
বার পঠিতঘটনাটা অনেক দিন আগেরই বলতে হবে। তখন আমি হাইস্কুলে পড়ি। খুব সম্ভবত সালটা হবে১৯৯৭। মানে সময়ের হিসাবে গত শতাব্দীর ঘটনা। যে ঘটনার কথা বলবো সেটা সিরাজগঞ্জে আমাদের গ্রামের বাড়িতে ঘটে ছিল। যাহোক শুরুতে কিছু বিষয় ব্যাখ্যা করে নেই তাহলে বুঝতে সুবিধা হবে।
গ্রামের বাড়িতে আমাদের পরিবার এক কাকা আর দাদা-দাদি থাকত। বাকি কাকারা অন্য শহরে থাকতেন। যেহেতু যৌথ পরিবার ধারা ছিল ছুটি ছাটা সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সবাই নিয়মিত আসতেন। এবার ঘটনার মূল দুটি চরিত্রের বর্ণনা দেই। আমার কাকাতো বোন তখন ওর বয়স চার বছর। প্রচন্ড চঞ্চল আর দুষ্টু ছিল। মুহুর্তের মধ্যে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বাড়ির পাশে খালের পানিতে নেমে যেত। ওই বয়সেও সে দুইবার পানিতে পড়েছিল। পাড়ার লোকজন দেখে ওরে উদ্ধ্বার করেছে। আর এই বদমাশ টাকে দেখে রাখার জন্য আমার কাকি একটা মেয়েকে রেখে ছিল। নাম নীরু, বয়স দশের মত হবে। ওর বাড়ি ছিল উত্তর বঙ্গে। ওরা সমতলের আদিবাসী। ফর্সা চোখ ছোট। সাধারণত ক্ষত্রিয় বলে সবাই ওদের সম্বোধনকরে থাকে। এ ঘটনার মূল ব্যক্তি নীরু।
সেদিন রাত সাড়ে দশটার মত হবে। তখন স্যাটেলাইট চ্যানেলের দৌরাত্ব নাই। গ্রামের মানুষ অন্য কোন কাজও নাই সে হিসাবে গ্রামে বেশ রাতই হবে। সবার খাওয়া শেষ প্রায় মা-চাচিরা খাচ্ছিলেন বাচ্চা পোলাপাইনের মধ্যে আমি আর আমার এক ফুফাতো ভাই জুয়েল জেগে আছ।
যাহোক নীরুকে কাজে রাখলে কি হবে ঔতো ছোট ছিল। তো আমির চাচি ওরে ঘুম থেকে তুলে বাড়ির পিছনে বাথরুমের দিকে প্রস্রাবের জন্য বসিয়ে দিয়ে ঘরে এসে কথা বলছে। প্রায় ৫ মিনিট হয়ে গেল চাচির হঠাৎ খেয়াল হলো নীরু আসছে না। চাচির গলার স্বর বেশ জোড়ে ছিল তিনি ধমক দিলেন কিরে আসিস না কেন। কোন আওয়াজ নাই। তিনি জোরো আবার ডাক দিলেন আসিস সা কেন। এবার শুনি খেব ক্ষীন স্বরে শোনা যাচ্ছে কাকিমা আমি এখানে। সবাই দৌড়ে গেল আমিও গেলাম দেখি নীরু নাই ডাকলে আওয়কজ দিল। দেখি আমাদের বাড়ির পিছনের খাল পাড় হয়ে ঐ পাড়ে একটা গাব গাছের নিচে ও দাড়িয়ে আছে। তখন অবশ্য শীতকাল খালে পানি ছিল না। শুধু নিচের দিকে একটু কাদার মত ছিল। তবে বেতের ঝাড়, কাটা, আর মান্দারের ডাল দেয়া ছিল। পরে টর্চ লাইট ধরে ওরে ওখানেই দাড় করিয়ে আমাদের বাড়ি থেকে আরো তিন বাড়ি পড়ে আরেক টা খাল রাস্তা পেরিয়ে আমার এক চাচা ওরে উদ্ধ্বার করে আনে। যদি ধরেও নেই ও ঘুমের ঘোড়ে খাল পাড় হয়ে গিয়েছে অন্ধকারে। কিন্তু মজার বিষয় হলো ওর গায়ে কোন নোংরা তো দূরের কথা আনার পর দেখি ওর পায়েও একফোটা নোংরা নেই। পরের দিন জিঙ্গাসা করলে ও কিছু বলতে পারে না।
বিষয় হচ্ছে নীরু ঔ পাড়ে গেল কিভাবে এখন তো গ্রামের অনেক পরিবর্তন হয়েছে এখনো ঔ খকল দিয়ে দিনের বেলা নামা দুস্কর। রাতের বেলা আলো ছাড়ক নামতে গেলে কাটায় বেজে পড়ে গিয়ে জামা কাপড় সহ খুব সহজেই গা হাত পা কেটে যাবে। কিন্তু এরুন রাস্তা দিয়ে কিভাবে খালের ঔ পাড়ে গাছের নিচু চলে গিয়েছিল সেটা আজো রহস্য। আমি অন্তত কোন ব্যাখ্যা পাইনি।
এই ১৫ সালেও যদি আপনারা কেউ আমাদের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে খালটা দেখেন বিনা বাক্য ব্যয়ে বলবেন রাতে আহত না হয়ে অন্ধকারে এই খাল পাড় হওয়া সম্ভব না।
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
লিখতে গিয়ে বানান ভুল হয়েছে। ঠিক করে নিবেন!
আমিও দিতে পারব না ব্যক্ষাটি! গেল কি করে!
কিরন শেখর বলছেনঃ
বেশ কিছু বানান ভুল হয়েছে। মোবাইলে লিখতে গিলে আমার বেশ সযস্রা হয়। পড়ার জন্য ধন্যবাদ। metformin gliclazide sitagliptin
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
levitra 20mg nebenwirkungenমস্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
ঘটনা কি একবারই ঘটেছে? আর কিছু ঘটেনি কখনও?
কিরন শেখর বলছেনঃ
ঘটনা এক বারই ঘটেছিল। আর নীরু তো ওখানে থাকত না। পরবর্তিতে ও বাড়ি চলে যায় বেশিদিন কাজও করেনি।
লাল সবুজের ফেরিওয়ালা বলছেনঃ
আমি আরেকটু বেশি কিছু আশা করেছিলাম
কিরন শেখর বলছেনঃ
zoloft birth defects 2013ঠিক বলেছেন। অনেকদিন পরে লেখার কারণে ধৈর্য্য রাখতে পারিনি। যে কারণে বিষয়টি ওভাবে উঠে আসেনি। missed several doses of synthroid
অপার্থিব বলছেনঃ
আপনার ভাষ্য অনুযায়ী শিশুটির বয়স ছিল নয়-দশ বছর। শীতকালে শুকনো খালে নেমে শিশুরা নানারকম খেলাধুলা করে। এই খেলাধুলা করতে যেয়েই সম্ভবত কাদা-জঞ্জাল এড়িয়ে খালের ঐ পাড়ে যাওয়ার কোন পথ সে তৈরী করেছিল। এটা খুবই স্বাভাবিক প্রবণতা,সবাই করে । জোর করে ঘুম থেকে তুলে আনায় সে সম্ভবত ঘুমের ঘোরেই ঐ পথ দিয়ে গিয়েছিল। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে যে সে অন্ধকারের মধ্য দিয়ে ঐ পথে কিভাবে গেল ? এটার উত্তর হতে পারে দিনের বেলা ঐ পথ দিয়ে সে এতবার গিয়েছে যে ঐ রুটটি তার সাব কনশাস মাইন্ডে খুব ভাল ভাবে গেথেছিল । তার সাব কনশাস মাইন্ড তাকে ঐ পথে টেনে নিয়ে গিয়েছে , যেভাবে অন্ধরা পথ চলে আর কি। আবার এমনও হতে পারে মেয়েটির পায়ে কাদা কিংবা জঞ্জালের চিহ্ন ঠিকই ছিল কিন্ত পুরো ঘটনায় আপনারা এতটাই আতংকিত ছিলেন সেসব আপনাদের চোখেই পড়েনি।